সৈকত দে

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষকে চাকরিচ্যুত করবে–এমন আশঙ্কার মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আমাদের আশার কথা শুনিয়েছেন। বিবিসির বিশ্লেষক কেট মর্গানের নিবন্ধ অবলম্বনে আসুন প্রকৃত ছবিটার সামনে দাঁড়াই।
শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব। এ বছরের মার্চে গোল্ডমান স্যাকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের এক-চতুর্থাংশ কাজ করে দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনটির আরেকটি সংযুক্তি হলো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকাজুড়ে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারণে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারাতে পারেন। ‘রুল অব দ্য রোবটস: হাউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উইল ট্রান্সফর্ম এভরিথিং’ গ্রন্থের লেখক মার্টিন ফোর্ড মন্তব্য করেন, এটি বিপজ্জনক। ‘এই বিপদ কেবল একজন ব্যক্তির নয়, অসংখ্য মানুষের বেলাতেই ঘটতে পারে। একই সময়ে প্রায় সবার ক্ষেত্রে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’
আশার কথা, এই নিবন্ধ কেবল হতাশার সংবাদে পূর্ণ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো কিছু কাজ আছে, যা করতে এআই পুরোপুরি অক্ষম। কাজগুলোকে প্রধানত তিনটি ধরনে ভাগ করা যায়। প্রথমত, সুনির্দিষ্টভাবে মানবীয় বৈশিষ্ট্য দরকার এমন কাজ আর ইউনিক চিন্তার অনিবার্যতা থাকা কাজগুলো। তাঁর মতে, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিজুয়াল আর্ট সম্পর্কিত কাজে এআই দক্ষতা দেখাতে পারবে। কেননা মৌলিক অ্যালগরিদম একটা বটকে লাখ লাখ শব্দ বিশ্লেষণের নির্দেশ দিতে পারে। এই নির্দেশের ফলে এআই নন্দনতত্ত্ব বিষয়ে অত্যন্ত সৃজনশীল হতে পারবে মুহূর্তেই। কিন্তু বিজ্ঞান, ওষুধ, আইন—এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবসাপদ্ধতি কিংবা আইনি কৌশলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। কারণ, মানব মস্তিষ্কের এসব বিশ্লেষণী ক্ষমতা এআই আয়ত্ত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, আন্তব্যক্তিক সম্পর্কের চূড়ান্তে গিয়ে করতে হয় যেসব কাজ, তা-ও মার্টিনের মতে নিরাপদ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ব্যবসা পরামর্শক কিংবা হাসপাতালের নার্সের কাজ মানুষেরই থাকবে। তিনি মনে করেন, যখন মানুষকে গভীরভাবে বোঝা জরুরি, সেটা এআইয়ের বুঝতে অনেক দেরি আছে। এ ধরনের কাজে মানবিক সম্পর্ক নির্মাণ করাটা কাজের জন্যই জরুরি।
তৃতীয়ত, যেসব কাজে প্রচুর ঘোরাঘুরি এবং অভাবিত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাগে, সেই কাজ আপাতত মানুষের হাতেই থাকছে। অনেক হাতে-কলমের কাজ, যেমন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, ঝালাইয়ের কাজ, কাঠমিস্ত্রির কাজ—সব নিরাপদ। প্রতি মুহূর্তে নতুন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এসব কাজে, যা এআই পারবে না। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘এসব করতে গেলে আপনাকে স্টার ওয়ার্স সিনেমার সি থ্রি পি ও রোবট নিয়োগ দিতে হবে। সেটা কই পাবেন?’
আমেরিকার বাফালো ইউনিভার্সিটির লেবার ইকোনমিকসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জোয়ান্নে সং ম্যাকগাফিন মনে করেন, সরাসরি হুমকি এই মুহূর্তে নেই। তবে কাজ বদলাবে। মানুষের কাজ আরও বেশি করে ইন্টারপার্সোনাল স্কিলের দিকে ঝুঁকবে। তিনি যুক্ত করেন, ‘কল্পনা করা যেতে পারে, এআই মানুষের চেয়ে ভালো করে ক্যানসার শনাক্ত করবে। ভবিষ্যতে, আমি ধারণা করি, এই নতুন প্রযুক্তি চিকিৎসকেরা ব্যবহার করবেন। কিন্তু তাঁদের ভূমিকা পুরো বদলাবে না। যন্ত্র টাকা গুনে দেবে ঠিকই কিন্তু মানুষ তো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে তার বোধ-বুদ্ধি নিয়ে উপস্থিত হবে। সামাজিক সম্পর্কই খুব গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখবে ভবিষ্যতে।’
মার্টিন ফোর্ডের একটা স্মরণীয় কথা দিয়ে লেখার যতি টানি। তিনি বলছেন, ‘অগ্রসর শিক্ষা কিংবা অধিক বেতনের অবস্থান এআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা নয়। আমরা হয়তো ভাবি, বেশি বেতনের লোকটা যে জীবনধারণের জন্য গাড়ি চালায়, তার থেকে নিরাপদ। কিন্তু বেশি বেতনের লোকটার চেয়ে উবারচালক শান্তিতে থাকবে। কারণ, আমরা এখনো স্বচালিত গাড়ি পাইনি। কিন্তু এআই ঠিকঠাক প্রতিবেদন লিখতে পারে। অনেক ঘটনায় অধিক শিক্ষিত শ্রমিকেরা কম শিক্ষিতদের চেয়ে বেশি বিপদে থাকে। হোটেলের রুম পরিষ্কারের কাজের কথা ভাবুন, এই কাজ পুরো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় করা সত্যিই কঠিন। সংক্ষেপে, আমরা মানুষেরা এখনো নিশ্চিত থাকতে পারি। এআইয়ের ‘হাত’ আমাদের কাজ নিয়ে নিতে আরও বহু দেরি আছে, অন্তত বেশ কিছুটা সময়।’
সূত্র: বিবিসি

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষকে চাকরিচ্যুত করবে–এমন আশঙ্কার মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আমাদের আশার কথা শুনিয়েছেন। বিবিসির বিশ্লেষক কেট মর্গানের নিবন্ধ অবলম্বনে আসুন প্রকৃত ছবিটার সামনে দাঁড়াই।
শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব। এ বছরের মার্চে গোল্ডমান স্যাকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের এক-চতুর্থাংশ কাজ করে দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনটির আরেকটি সংযুক্তি হলো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকাজুড়ে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারণে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারাতে পারেন। ‘রুল অব দ্য রোবটস: হাউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উইল ট্রান্সফর্ম এভরিথিং’ গ্রন্থের লেখক মার্টিন ফোর্ড মন্তব্য করেন, এটি বিপজ্জনক। ‘এই বিপদ কেবল একজন ব্যক্তির নয়, অসংখ্য মানুষের বেলাতেই ঘটতে পারে। একই সময়ে প্রায় সবার ক্ষেত্রে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’
আশার কথা, এই নিবন্ধ কেবল হতাশার সংবাদে পূর্ণ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো কিছু কাজ আছে, যা করতে এআই পুরোপুরি অক্ষম। কাজগুলোকে প্রধানত তিনটি ধরনে ভাগ করা যায়। প্রথমত, সুনির্দিষ্টভাবে মানবীয় বৈশিষ্ট্য দরকার এমন কাজ আর ইউনিক চিন্তার অনিবার্যতা থাকা কাজগুলো। তাঁর মতে, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিজুয়াল আর্ট সম্পর্কিত কাজে এআই দক্ষতা দেখাতে পারবে। কেননা মৌলিক অ্যালগরিদম একটা বটকে লাখ লাখ শব্দ বিশ্লেষণের নির্দেশ দিতে পারে। এই নির্দেশের ফলে এআই নন্দনতত্ত্ব বিষয়ে অত্যন্ত সৃজনশীল হতে পারবে মুহূর্তেই। কিন্তু বিজ্ঞান, ওষুধ, আইন—এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবসাপদ্ধতি কিংবা আইনি কৌশলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। কারণ, মানব মস্তিষ্কের এসব বিশ্লেষণী ক্ষমতা এআই আয়ত্ত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, আন্তব্যক্তিক সম্পর্কের চূড়ান্তে গিয়ে করতে হয় যেসব কাজ, তা-ও মার্টিনের মতে নিরাপদ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ব্যবসা পরামর্শক কিংবা হাসপাতালের নার্সের কাজ মানুষেরই থাকবে। তিনি মনে করেন, যখন মানুষকে গভীরভাবে বোঝা জরুরি, সেটা এআইয়ের বুঝতে অনেক দেরি আছে। এ ধরনের কাজে মানবিক সম্পর্ক নির্মাণ করাটা কাজের জন্যই জরুরি।
তৃতীয়ত, যেসব কাজে প্রচুর ঘোরাঘুরি এবং অভাবিত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাগে, সেই কাজ আপাতত মানুষের হাতেই থাকছে। অনেক হাতে-কলমের কাজ, যেমন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, ঝালাইয়ের কাজ, কাঠমিস্ত্রির কাজ—সব নিরাপদ। প্রতি মুহূর্তে নতুন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এসব কাজে, যা এআই পারবে না। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘এসব করতে গেলে আপনাকে স্টার ওয়ার্স সিনেমার সি থ্রি পি ও রোবট নিয়োগ দিতে হবে। সেটা কই পাবেন?’
আমেরিকার বাফালো ইউনিভার্সিটির লেবার ইকোনমিকসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জোয়ান্নে সং ম্যাকগাফিন মনে করেন, সরাসরি হুমকি এই মুহূর্তে নেই। তবে কাজ বদলাবে। মানুষের কাজ আরও বেশি করে ইন্টারপার্সোনাল স্কিলের দিকে ঝুঁকবে। তিনি যুক্ত করেন, ‘কল্পনা করা যেতে পারে, এআই মানুষের চেয়ে ভালো করে ক্যানসার শনাক্ত করবে। ভবিষ্যতে, আমি ধারণা করি, এই নতুন প্রযুক্তি চিকিৎসকেরা ব্যবহার করবেন। কিন্তু তাঁদের ভূমিকা পুরো বদলাবে না। যন্ত্র টাকা গুনে দেবে ঠিকই কিন্তু মানুষ তো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে তার বোধ-বুদ্ধি নিয়ে উপস্থিত হবে। সামাজিক সম্পর্কই খুব গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখবে ভবিষ্যতে।’
মার্টিন ফোর্ডের একটা স্মরণীয় কথা দিয়ে লেখার যতি টানি। তিনি বলছেন, ‘অগ্রসর শিক্ষা কিংবা অধিক বেতনের অবস্থান এআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা নয়। আমরা হয়তো ভাবি, বেশি বেতনের লোকটা যে জীবনধারণের জন্য গাড়ি চালায়, তার থেকে নিরাপদ। কিন্তু বেশি বেতনের লোকটার চেয়ে উবারচালক শান্তিতে থাকবে। কারণ, আমরা এখনো স্বচালিত গাড়ি পাইনি। কিন্তু এআই ঠিকঠাক প্রতিবেদন লিখতে পারে। অনেক ঘটনায় অধিক শিক্ষিত শ্রমিকেরা কম শিক্ষিতদের চেয়ে বেশি বিপদে থাকে। হোটেলের রুম পরিষ্কারের কাজের কথা ভাবুন, এই কাজ পুরো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় করা সত্যিই কঠিন। সংক্ষেপে, আমরা মানুষেরা এখনো নিশ্চিত থাকতে পারি। এআইয়ের ‘হাত’ আমাদের কাজ নিয়ে নিতে আরও বহু দেরি আছে, অন্তত বেশ কিছুটা সময়।’
সূত্র: বিবিসি
সৈকত দে

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষকে চাকরিচ্যুত করবে–এমন আশঙ্কার মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আমাদের আশার কথা শুনিয়েছেন। বিবিসির বিশ্লেষক কেট মর্গানের নিবন্ধ অবলম্বনে আসুন প্রকৃত ছবিটার সামনে দাঁড়াই।
শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব। এ বছরের মার্চে গোল্ডমান স্যাকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের এক-চতুর্থাংশ কাজ করে দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনটির আরেকটি সংযুক্তি হলো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকাজুড়ে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারণে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারাতে পারেন। ‘রুল অব দ্য রোবটস: হাউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উইল ট্রান্সফর্ম এভরিথিং’ গ্রন্থের লেখক মার্টিন ফোর্ড মন্তব্য করেন, এটি বিপজ্জনক। ‘এই বিপদ কেবল একজন ব্যক্তির নয়, অসংখ্য মানুষের বেলাতেই ঘটতে পারে। একই সময়ে প্রায় সবার ক্ষেত্রে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’
আশার কথা, এই নিবন্ধ কেবল হতাশার সংবাদে পূর্ণ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো কিছু কাজ আছে, যা করতে এআই পুরোপুরি অক্ষম। কাজগুলোকে প্রধানত তিনটি ধরনে ভাগ করা যায়। প্রথমত, সুনির্দিষ্টভাবে মানবীয় বৈশিষ্ট্য দরকার এমন কাজ আর ইউনিক চিন্তার অনিবার্যতা থাকা কাজগুলো। তাঁর মতে, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিজুয়াল আর্ট সম্পর্কিত কাজে এআই দক্ষতা দেখাতে পারবে। কেননা মৌলিক অ্যালগরিদম একটা বটকে লাখ লাখ শব্দ বিশ্লেষণের নির্দেশ দিতে পারে। এই নির্দেশের ফলে এআই নন্দনতত্ত্ব বিষয়ে অত্যন্ত সৃজনশীল হতে পারবে মুহূর্তেই। কিন্তু বিজ্ঞান, ওষুধ, আইন—এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবসাপদ্ধতি কিংবা আইনি কৌশলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। কারণ, মানব মস্তিষ্কের এসব বিশ্লেষণী ক্ষমতা এআই আয়ত্ত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, আন্তব্যক্তিক সম্পর্কের চূড়ান্তে গিয়ে করতে হয় যেসব কাজ, তা-ও মার্টিনের মতে নিরাপদ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ব্যবসা পরামর্শক কিংবা হাসপাতালের নার্সের কাজ মানুষেরই থাকবে। তিনি মনে করেন, যখন মানুষকে গভীরভাবে বোঝা জরুরি, সেটা এআইয়ের বুঝতে অনেক দেরি আছে। এ ধরনের কাজে মানবিক সম্পর্ক নির্মাণ করাটা কাজের জন্যই জরুরি।
তৃতীয়ত, যেসব কাজে প্রচুর ঘোরাঘুরি এবং অভাবিত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাগে, সেই কাজ আপাতত মানুষের হাতেই থাকছে। অনেক হাতে-কলমের কাজ, যেমন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, ঝালাইয়ের কাজ, কাঠমিস্ত্রির কাজ—সব নিরাপদ। প্রতি মুহূর্তে নতুন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এসব কাজে, যা এআই পারবে না। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘এসব করতে গেলে আপনাকে স্টার ওয়ার্স সিনেমার সি থ্রি পি ও রোবট নিয়োগ দিতে হবে। সেটা কই পাবেন?’
আমেরিকার বাফালো ইউনিভার্সিটির লেবার ইকোনমিকসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জোয়ান্নে সং ম্যাকগাফিন মনে করেন, সরাসরি হুমকি এই মুহূর্তে নেই। তবে কাজ বদলাবে। মানুষের কাজ আরও বেশি করে ইন্টারপার্সোনাল স্কিলের দিকে ঝুঁকবে। তিনি যুক্ত করেন, ‘কল্পনা করা যেতে পারে, এআই মানুষের চেয়ে ভালো করে ক্যানসার শনাক্ত করবে। ভবিষ্যতে, আমি ধারণা করি, এই নতুন প্রযুক্তি চিকিৎসকেরা ব্যবহার করবেন। কিন্তু তাঁদের ভূমিকা পুরো বদলাবে না। যন্ত্র টাকা গুনে দেবে ঠিকই কিন্তু মানুষ তো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে তার বোধ-বুদ্ধি নিয়ে উপস্থিত হবে। সামাজিক সম্পর্কই খুব গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখবে ভবিষ্যতে।’
মার্টিন ফোর্ডের একটা স্মরণীয় কথা দিয়ে লেখার যতি টানি। তিনি বলছেন, ‘অগ্রসর শিক্ষা কিংবা অধিক বেতনের অবস্থান এআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা নয়। আমরা হয়তো ভাবি, বেশি বেতনের লোকটা যে জীবনধারণের জন্য গাড়ি চালায়, তার থেকে নিরাপদ। কিন্তু বেশি বেতনের লোকটার চেয়ে উবারচালক শান্তিতে থাকবে। কারণ, আমরা এখনো স্বচালিত গাড়ি পাইনি। কিন্তু এআই ঠিকঠাক প্রতিবেদন লিখতে পারে। অনেক ঘটনায় অধিক শিক্ষিত শ্রমিকেরা কম শিক্ষিতদের চেয়ে বেশি বিপদে থাকে। হোটেলের রুম পরিষ্কারের কাজের কথা ভাবুন, এই কাজ পুরো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় করা সত্যিই কঠিন। সংক্ষেপে, আমরা মানুষেরা এখনো নিশ্চিত থাকতে পারি। এআইয়ের ‘হাত’ আমাদের কাজ নিয়ে নিতে আরও বহু দেরি আছে, অন্তত বেশ কিছুটা সময়।’
সূত্র: বিবিসি

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষকে চাকরিচ্যুত করবে–এমন আশঙ্কার মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আমাদের আশার কথা শুনিয়েছেন। বিবিসির বিশ্লেষক কেট মর্গানের নিবন্ধ অবলম্বনে আসুন প্রকৃত ছবিটার সামনে দাঁড়াই।
শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব। এ বছরের মার্চে গোল্ডমান স্যাকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের এক-চতুর্থাংশ কাজ করে দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনটির আরেকটি সংযুক্তি হলো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকাজুড়ে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারণে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারাতে পারেন। ‘রুল অব দ্য রোবটস: হাউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উইল ট্রান্সফর্ম এভরিথিং’ গ্রন্থের লেখক মার্টিন ফোর্ড মন্তব্য করেন, এটি বিপজ্জনক। ‘এই বিপদ কেবল একজন ব্যক্তির নয়, অসংখ্য মানুষের বেলাতেই ঘটতে পারে। একই সময়ে প্রায় সবার ক্ষেত্রে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’
আশার কথা, এই নিবন্ধ কেবল হতাশার সংবাদে পূর্ণ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো কিছু কাজ আছে, যা করতে এআই পুরোপুরি অক্ষম। কাজগুলোকে প্রধানত তিনটি ধরনে ভাগ করা যায়। প্রথমত, সুনির্দিষ্টভাবে মানবীয় বৈশিষ্ট্য দরকার এমন কাজ আর ইউনিক চিন্তার অনিবার্যতা থাকা কাজগুলো। তাঁর মতে, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিজুয়াল আর্ট সম্পর্কিত কাজে এআই দক্ষতা দেখাতে পারবে। কেননা মৌলিক অ্যালগরিদম একটা বটকে লাখ লাখ শব্দ বিশ্লেষণের নির্দেশ দিতে পারে। এই নির্দেশের ফলে এআই নন্দনতত্ত্ব বিষয়ে অত্যন্ত সৃজনশীল হতে পারবে মুহূর্তেই। কিন্তু বিজ্ঞান, ওষুধ, আইন—এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবসাপদ্ধতি কিংবা আইনি কৌশলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। কারণ, মানব মস্তিষ্কের এসব বিশ্লেষণী ক্ষমতা এআই আয়ত্ত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, আন্তব্যক্তিক সম্পর্কের চূড়ান্তে গিয়ে করতে হয় যেসব কাজ, তা-ও মার্টিনের মতে নিরাপদ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ব্যবসা পরামর্শক কিংবা হাসপাতালের নার্সের কাজ মানুষেরই থাকবে। তিনি মনে করেন, যখন মানুষকে গভীরভাবে বোঝা জরুরি, সেটা এআইয়ের বুঝতে অনেক দেরি আছে। এ ধরনের কাজে মানবিক সম্পর্ক নির্মাণ করাটা কাজের জন্যই জরুরি।
তৃতীয়ত, যেসব কাজে প্রচুর ঘোরাঘুরি এবং অভাবিত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাগে, সেই কাজ আপাতত মানুষের হাতেই থাকছে। অনেক হাতে-কলমের কাজ, যেমন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, ঝালাইয়ের কাজ, কাঠমিস্ত্রির কাজ—সব নিরাপদ। প্রতি মুহূর্তে নতুন সব পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এসব কাজে, যা এআই পারবে না। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘এসব করতে গেলে আপনাকে স্টার ওয়ার্স সিনেমার সি থ্রি পি ও রোবট নিয়োগ দিতে হবে। সেটা কই পাবেন?’
আমেরিকার বাফালো ইউনিভার্সিটির লেবার ইকোনমিকসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জোয়ান্নে সং ম্যাকগাফিন মনে করেন, সরাসরি হুমকি এই মুহূর্তে নেই। তবে কাজ বদলাবে। মানুষের কাজ আরও বেশি করে ইন্টারপার্সোনাল স্কিলের দিকে ঝুঁকবে। তিনি যুক্ত করেন, ‘কল্পনা করা যেতে পারে, এআই মানুষের চেয়ে ভালো করে ক্যানসার শনাক্ত করবে। ভবিষ্যতে, আমি ধারণা করি, এই নতুন প্রযুক্তি চিকিৎসকেরা ব্যবহার করবেন। কিন্তু তাঁদের ভূমিকা পুরো বদলাবে না। যন্ত্র টাকা গুনে দেবে ঠিকই কিন্তু মানুষ তো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে তার বোধ-বুদ্ধি নিয়ে উপস্থিত হবে। সামাজিক সম্পর্কই খুব গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখবে ভবিষ্যতে।’
মার্টিন ফোর্ডের একটা স্মরণীয় কথা দিয়ে লেখার যতি টানি। তিনি বলছেন, ‘অগ্রসর শিক্ষা কিংবা অধিক বেতনের অবস্থান এআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা নয়। আমরা হয়তো ভাবি, বেশি বেতনের লোকটা যে জীবনধারণের জন্য গাড়ি চালায়, তার থেকে নিরাপদ। কিন্তু বেশি বেতনের লোকটার চেয়ে উবারচালক শান্তিতে থাকবে। কারণ, আমরা এখনো স্বচালিত গাড়ি পাইনি। কিন্তু এআই ঠিকঠাক প্রতিবেদন লিখতে পারে। অনেক ঘটনায় অধিক শিক্ষিত শ্রমিকেরা কম শিক্ষিতদের চেয়ে বেশি বিপদে থাকে। হোটেলের রুম পরিষ্কারের কাজের কথা ভাবুন, এই কাজ পুরো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় করা সত্যিই কঠিন। সংক্ষেপে, আমরা মানুষেরা এখনো নিশ্চিত থাকতে পারি। এআইয়ের ‘হাত’ আমাদের কাজ নিয়ে নিতে আরও বহু দেরি আছে, অন্তত বেশ কিছুটা সময়।’
সূত্র: বিবিসি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষ
২৯ আগস্ট ২০২৩
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষ
২৯ আগস্ট ২০২৩
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১ দিন আগেমইনুল হাসান, ফ্রান্স

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষ
২৯ আগস্ট ২০২৩
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকে, নতুন আবিষ্কৃত যন্ত্র নানা রকম ভয় দেখাচ্ছিল মানুষের মনে। যন্ত্রচালিত সুতাকল থেকে মাইক্রো চিপস হয়তো মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠবে। বেশির ভাগ মানুষ কাজ হারাবেন যন্ত্রের কারণে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সভ্যতায় চারদিক ব্যাপ্ত করে এআইয়ের ক্রমবিকাশ ঘটার কারণে কিছু কাজ রোবটের পক্ষ
২৯ আগস্ট ২০২৩
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগে