ফিচার ডেস্ক

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।
ফিচার ডেস্ক

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে