প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে