প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
১৮ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২০ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তির ময়দানেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দুই পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু দশক ধরে। অন্যদিকে চীন দেখিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা আর গতির সমন্বয়ে কত দ্রুত প্রযুক্তিকে বাস্তব শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের প্রযুক্তি ব্যবসা আর উদ্ভাবনের চিত্র দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কোনো একতরফা লড়াই নয়। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে মৌলিক গবেষণা, এআই সফটওয়্যার ও স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে। আবার চীন এগিয়ে রয়েছে উৎপাদন, বাস্তব প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিকে জাতীয় কৌশলের অংশ বানানোয়।
এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পিছিয়ে থেকেও বিপজ্জনক চীন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন প্রযুক্তির বড় যুদ্ধক্ষেত্র। কে আগে ভালো এআই বানাবে, সেটা এখন আর শুধু ব্যবসার প্রশ্ন নয়; এটা ক্ষমতা, নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ প্রভাবেরও প্রশ্ন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দিকে তাকাই, তাহলে একটা অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা চোখে পড়ে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া চীন পিছিয়েও ভীষণভাবে বিপজ্জনক!এআই উদ্ভাবনের মূল শিকড় এখনো মূলত যুক্তরাষ্ট্রে। বড় ভাষা মডেল, জেনারেটিভ এআই, মাল্টিমোডাল সিস্টেম—এই ধারণাগুলোর জন্ম, বিকাশ আর পরিপক্বতা বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে আরও আছে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সংযোগ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং বিশাল বিনিয়োগ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এআই দ্রুত গবেষণা থেকে পণ্যে রূপ নেয়। নতুন কোনো ধারণা জন্মানোর পর সেটাকে স্টার্টআপ, সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে খুব বেশি সময় লাগে না।
এআই সফটওয়্যারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বের প্রভাবশালী এআই প্ল্যাটফর্ম, ডেভেলপার টুলস আর ক্লাউড অবকাঠামোর বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এর মানে শুধু ভালো এআই বানানো নয়, বরং বিশ্ব কীভাবে এআই ব্যবহার করবে, সেটার মানদণ্ডও তারা ঠিক করছে। কিন্তু চীনের এআই যাত্রা একেবারে ভিন্ন পথে। চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে উন্নত কিংবা সৃজনশীল এআই এখনো বানাতে পারেনি। কিন্তু তারা যেটা করেছে, সেটাই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এআই প্রযুক্তিকে তারা দ্রুত, ব্যাপক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবে নামিয়েছে।
চীনে এআই কোনো পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়, কারখানায় উৎপাদনে, সরকারি প্রশাসনে, নজরদারি ব্যবস্থায় আর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে গেছে। বিশাল জনসংখ্যা আর ডেটার সুবিধা নিয়ে চীন এআই প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগে এমন স্কেল তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুধু ব্যবসার হাতে নেই। রাষ্ট্র সরাসরি এই খেলায় আছে। এতে গতি বেড়েছে, সিদ্ধান্ত দ্রুত হয়েছে, আর প্রযুক্তি সরাসরি জাতীয় কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। ঠিক এখানেই চীন পিছিয়ে থেকেও হয়ে গেছে বিপজ্জনক।
চিপ যুদ্ধ: এই লড়াই এআইয়ের ভবিষ্যৎ কেন ঠিক করবে
এআই নিয়ে সব কথা এসে ঠেকে যায় যে বিষয়ে, তার নাম চিপ। যত বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমই বানানো হোক, শক্তিশালী চিপ ছাড়া এআই আসলে অচল। তাই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল যুদ্ধটা হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টর কিংবা চিপ নিয়ে।
এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, চিপের দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে; বিশেষ করে এআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, ডিজাইন সফটওয়্যার আর আর্কিটেকচারের বড় অংশ এখনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। ফলে বিশ্বজুড়ে যত আধুনিক এআই তৈরি হচ্ছে, তার মস্তিষ্কের বড় অংশই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
এই এগিয়ে থাকার কারণ শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম। গবেষণা, ডিজাইন, সফটওয়্যার টুল, ক্লাউড অবকাঠামো—দেশটিতে সব একসঙ্গে কাজ করছে। ফলে নতুন এআই মডেল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে দ্রুততা ও স্থায়িত্ব—দুটোই।
চীনের সমস্যা শুরু এখানেই, আর তাই এখান থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কারণ, চীন খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে তারা যদি চিপের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে এআইতে সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনোই আসবে না। তাই ২০২৫ সালে চীন যা করছে, সেটা হলো সরাসরি প্রযুক্তিগত বাধা ভাঙার চেষ্টা না করে; বরং বিকল্প পথ তৈরি করা।
চীন এখন চিপের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে স্বনির্ভর হওয়ার কৌশল নিয়েছে। উন্নত চিপে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা মাঝারি ক্ষমতার চিপকে বড় পরিসরে ব্যবহার করে এআই চালানোর পদ্ধতি তৈরি করছে। এটা আপাতদৃষ্টে দুর্বলতা মনে হলেও আসলে এটা ভিন্নধর্মী শক্তি। এতে চীন এমন এআই সিস্টেম বানাতে শিখছে, যেগুলো কম খরচে, কম রিসোর্সে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই দক্ষতাই বড় সুবিধা হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বাজারে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। চীনে চিপ উন্নয়ন শুধু বেসরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সরাসরি অর্থ, নীতি আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে রাষ্ট্র। এতে ফল আসতে সময় লাগলেও ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না। এই চিপ যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কারণ, যে দেশ বেশি শক্তিশালী ও সহজলভ্য চিপ বানাতে পারবে, সে দেশই বেশি এআই প্রশিক্ষণ চালাতে পারবে, দ্রুত নতুন মডেল আনতে পারবে এবং বিশ্ববাজারে নিজের মানদণ্ড চাপিয়ে দিতে পারবে।
ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা
প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেত্র আছে, যা সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে আঘাত বা শক্তি দিতে পারে। এটি হলো ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা এখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এখানে এসেছে দুটো দিক থেকে। প্রথমত, উচ্চমানের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এআই-চালিত ড্রোন, নজরদারি প্রযুক্তি, আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সেন্সর—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বনেতা। দ্বিতীয়ত হলো, অভিজ্ঞতা। দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস এবং বহুজাতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রেখেছে; বিশেষ করে জটিল সাইবার ডিফেন্স এবং মহাকাশভিত্তিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে চীনের কৌশল আলাদা। তারা এখানে দ্রুততা ও পরিসরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন দ্রুত নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীন এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি শুধু আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতেও সমানভাবে শক্তিশালী।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দৌড়ে কারা এগিয়ে
২০২৫ সালে প্রযুক্তি লড়াই শুধু উদ্ভাবনের নয়; এটি ক্ষমতা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় কৌশলের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা অনেকটা দুই ভিন্ন পথের গল্প—একটি দেশ স্বাধীন উদ্ভাবন ও স্টার্টআপের ওপর নির্ভরশীল, অন্যটি রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশলে এগিয়ে।
এই দ্বন্দ্ব একে অপরকে বাতিল করে না; বরং দুই দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আরও ধারালো ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন + বাস্তবায়ন + নিরাপত্তা—এই তিনের সমন্বয় যে দেশ ভালো করতে পারবে, সেই দেশ আগামী দশকের প্রযুক্তিগত প্রভাব নির্ধারণ করবে। সংক্ষেপে, ২০২৫ সালের প্রযুক্তি মানচিত্র বলছে, উদ্ভাবনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তব প্রয়োগের দিক থেকে চীন, আর বিশ্ব এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে টেকসই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তির ময়দানেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দুই পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু দশক ধরে। অন্যদিকে চীন দেখিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা আর গতির সমন্বয়ে কত দ্রুত প্রযুক্তিকে বাস্তব শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের প্রযুক্তি ব্যবসা আর উদ্ভাবনের চিত্র দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কোনো একতরফা লড়াই নয়। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে মৌলিক গবেষণা, এআই সফটওয়্যার ও স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে। আবার চীন এগিয়ে রয়েছে উৎপাদন, বাস্তব প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিকে জাতীয় কৌশলের অংশ বানানোয়।
এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পিছিয়ে থেকেও বিপজ্জনক চীন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন প্রযুক্তির বড় যুদ্ধক্ষেত্র। কে আগে ভালো এআই বানাবে, সেটা এখন আর শুধু ব্যবসার প্রশ্ন নয়; এটা ক্ষমতা, নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ প্রভাবেরও প্রশ্ন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দিকে তাকাই, তাহলে একটা অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা চোখে পড়ে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া চীন পিছিয়েও ভীষণভাবে বিপজ্জনক!এআই উদ্ভাবনের মূল শিকড় এখনো মূলত যুক্তরাষ্ট্রে। বড় ভাষা মডেল, জেনারেটিভ এআই, মাল্টিমোডাল সিস্টেম—এই ধারণাগুলোর জন্ম, বিকাশ আর পরিপক্বতা বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে আরও আছে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সংযোগ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং বিশাল বিনিয়োগ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এআই দ্রুত গবেষণা থেকে পণ্যে রূপ নেয়। নতুন কোনো ধারণা জন্মানোর পর সেটাকে স্টার্টআপ, সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে খুব বেশি সময় লাগে না।
এআই সফটওয়্যারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বের প্রভাবশালী এআই প্ল্যাটফর্ম, ডেভেলপার টুলস আর ক্লাউড অবকাঠামোর বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এর মানে শুধু ভালো এআই বানানো নয়, বরং বিশ্ব কীভাবে এআই ব্যবহার করবে, সেটার মানদণ্ডও তারা ঠিক করছে। কিন্তু চীনের এআই যাত্রা একেবারে ভিন্ন পথে। চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে উন্নত কিংবা সৃজনশীল এআই এখনো বানাতে পারেনি। কিন্তু তারা যেটা করেছে, সেটাই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এআই প্রযুক্তিকে তারা দ্রুত, ব্যাপক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবে নামিয়েছে।
চীনে এআই কোনো পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়, কারখানায় উৎপাদনে, সরকারি প্রশাসনে, নজরদারি ব্যবস্থায় আর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে গেছে। বিশাল জনসংখ্যা আর ডেটার সুবিধা নিয়ে চীন এআই প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগে এমন স্কেল তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুধু ব্যবসার হাতে নেই। রাষ্ট্র সরাসরি এই খেলায় আছে। এতে গতি বেড়েছে, সিদ্ধান্ত দ্রুত হয়েছে, আর প্রযুক্তি সরাসরি জাতীয় কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। ঠিক এখানেই চীন পিছিয়ে থেকেও হয়ে গেছে বিপজ্জনক।
চিপ যুদ্ধ: এই লড়াই এআইয়ের ভবিষ্যৎ কেন ঠিক করবে
এআই নিয়ে সব কথা এসে ঠেকে যায় যে বিষয়ে, তার নাম চিপ। যত বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমই বানানো হোক, শক্তিশালী চিপ ছাড়া এআই আসলে অচল। তাই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল যুদ্ধটা হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টর কিংবা চিপ নিয়ে।
এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, চিপের দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে; বিশেষ করে এআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, ডিজাইন সফটওয়্যার আর আর্কিটেকচারের বড় অংশ এখনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। ফলে বিশ্বজুড়ে যত আধুনিক এআই তৈরি হচ্ছে, তার মস্তিষ্কের বড় অংশই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
এই এগিয়ে থাকার কারণ শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম। গবেষণা, ডিজাইন, সফটওয়্যার টুল, ক্লাউড অবকাঠামো—দেশটিতে সব একসঙ্গে কাজ করছে। ফলে নতুন এআই মডেল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে দ্রুততা ও স্থায়িত্ব—দুটোই।
চীনের সমস্যা শুরু এখানেই, আর তাই এখান থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কারণ, চীন খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে তারা যদি চিপের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে এআইতে সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনোই আসবে না। তাই ২০২৫ সালে চীন যা করছে, সেটা হলো সরাসরি প্রযুক্তিগত বাধা ভাঙার চেষ্টা না করে; বরং বিকল্প পথ তৈরি করা।
চীন এখন চিপের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে স্বনির্ভর হওয়ার কৌশল নিয়েছে। উন্নত চিপে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা মাঝারি ক্ষমতার চিপকে বড় পরিসরে ব্যবহার করে এআই চালানোর পদ্ধতি তৈরি করছে। এটা আপাতদৃষ্টে দুর্বলতা মনে হলেও আসলে এটা ভিন্নধর্মী শক্তি। এতে চীন এমন এআই সিস্টেম বানাতে শিখছে, যেগুলো কম খরচে, কম রিসোর্সে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই দক্ষতাই বড় সুবিধা হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বাজারে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। চীনে চিপ উন্নয়ন শুধু বেসরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সরাসরি অর্থ, নীতি আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে রাষ্ট্র। এতে ফল আসতে সময় লাগলেও ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না। এই চিপ যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কারণ, যে দেশ বেশি শক্তিশালী ও সহজলভ্য চিপ বানাতে পারবে, সে দেশই বেশি এআই প্রশিক্ষণ চালাতে পারবে, দ্রুত নতুন মডেল আনতে পারবে এবং বিশ্ববাজারে নিজের মানদণ্ড চাপিয়ে দিতে পারবে।
ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা
প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেত্র আছে, যা সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে আঘাত বা শক্তি দিতে পারে। এটি হলো ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা এখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এখানে এসেছে দুটো দিক থেকে। প্রথমত, উচ্চমানের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এআই-চালিত ড্রোন, নজরদারি প্রযুক্তি, আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সেন্সর—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বনেতা। দ্বিতীয়ত হলো, অভিজ্ঞতা। দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস এবং বহুজাতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রেখেছে; বিশেষ করে জটিল সাইবার ডিফেন্স এবং মহাকাশভিত্তিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে চীনের কৌশল আলাদা। তারা এখানে দ্রুততা ও পরিসরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন দ্রুত নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীন এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি শুধু আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতেও সমানভাবে শক্তিশালী।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দৌড়ে কারা এগিয়ে
২০২৫ সালে প্রযুক্তি লড়াই শুধু উদ্ভাবনের নয়; এটি ক্ষমতা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় কৌশলের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা অনেকটা দুই ভিন্ন পথের গল্প—একটি দেশ স্বাধীন উদ্ভাবন ও স্টার্টআপের ওপর নির্ভরশীল, অন্যটি রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশলে এগিয়ে।
এই দ্বন্দ্ব একে অপরকে বাতিল করে না; বরং দুই দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আরও ধারালো ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন + বাস্তবায়ন + নিরাপত্তা—এই তিনের সমন্বয় যে দেশ ভালো করতে পারবে, সেই দেশ আগামী দশকের প্রযুক্তিগত প্রভাব নির্ধারণ করবে। সংক্ষেপে, ২০২৫ সালের প্রযুক্তি মানচিত্র বলছে, উদ্ভাবনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তব প্রয়োগের দিক থেকে চীন, আর বিশ্ব এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে টেকসই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২০ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
১৮ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
১৮ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৯ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
১৮ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
১৯ ঘণ্টা আগে