প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা
প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের দক্ষতা অনুসারে তাঁরা নানা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এর মাধ্যমে আয়ও করা যায়।
আগ্রহের বিষয় নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সাররা কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ফলোয়ারদের সঙ্গে ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি করেন তাঁরা এবং প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইনফ্লুয়েন্সার কি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজেদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এক বা একাধিক প্ল্যাটফরমে দর্শক বা ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান ভাগ করে নেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা এবং ফলোয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করেন। নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নির্মাতারা প্রায়ই তাঁদের ফলোয়ারদের একটি নির্দিষ্ট পণ্য কেনার করার জন্য ‘প্রভাবিত’ করতে পারেন।
ব্র্যান্ডগুলো পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে। ফলে কোম্পানিগুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ডকে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারে। যেহেতু ফলোয়াররা একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে বিশ্বাস করে তাই তারা এসব পণ্যের প্রচারণাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখার পরিবর্তে একজন বন্ধুর সুপারিশ হিসেবে দেখে।
এই অংশীদারত্বের ফলে ইনফ্লুয়েন্সাররা অর্থ পেতে পারেন বা বিনা মূল্যে কোনো পণ্য পেতে পারেন।
ইনফ্লূয়েন্সারদের যা যা করতে হয়
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে দর্শকসংখ্যা বাড়াতে হয়। কনটেন্ট তৈরি, নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সম্পাদনা ও পোস্ট করতে হয় একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে। ইনফ্লুয়েন্সারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিচের কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে—
• কনটেন্ট তৈরি।
• সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারণা করা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কী বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করা।
• মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
• ফলোয়ারদের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।
• বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য যে যে দক্ষতা প্রয়োজন
ইনফ্লূয়েন্সার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল আগ্রহ, দক্ষতা ও অনন্য জ্ঞান প্রয়োজন। এ ছাড়া এর পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করার ইচ্ছাও থাকতে হবে। এ ছাড়া যেসব দক্ষতার প্রয়োজন—
•যোগযোগের দক্ষতা
•লেখালেখির দক্ষতা
•সৃজনশীলতা
•সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
ইনফ্লূয়েন্সারদের প্রকারভেদ
ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী ইনফ্লূয়েন্সারদের সাধারণত ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়-
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ লাখ বা তার বেশি ফলোয়ার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ার
মিড টিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার: ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ফলোয়ার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার: ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ার
ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার: শূন্য থেকে ১০ হাজার ফলোয়ার
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রিয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁদের পছন্দের পণ্যগুলো প্রচার করেন। একজন ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধাগুলোর মধ্য রয়েছে—ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আয়, বিনা মূল্যে উপহার পাওয়া এবং বিভিন্ন ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া। তবে যাঁরা ভালোভাবে নিজস্ব সময়সূচি সেট করে, ব্র্যান্ডের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেন ও নিজেদের কনটেন্টের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরাই মূলত এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে।
তবে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধাও রয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রায়ই নিজেদের কাজের সঙ্গে নিজেদের চিন্তার একটি অসংগতি খুঁজে পেতে পারেন এবং শূন্য থেকে ফলোয়ারের সংখ্যা তৈরি করতে যে সময় লাগে, এর জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ন।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সুবিধা
দূরবর্তী কাজ: একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়। সেটি নিজের বাড়ি, স্থানীয় লাইব্রেরি, এমনকি প্লেনেও হতে পারে। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং কীভাবে অন্যান্য কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন যেমন ব্র্যান্ডের প্রচারণা বা অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত ইনফ্লুয়েন্সার নিজেই নিতে পারবেন।
পিআর প্যাকেজ: পাবলিক রিলেশন (পিআর) বা জনসংযোগ প্যাকেজের দাম ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি প্রতিটি কনটেন্টের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দামও নির্ধারণ করতে পারেন। পিআর প্যাকেজ কয়েকটি কনটেন্ট তৈরির চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণ এসব কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। এসব চ্যানেলের প্রসার ও আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইনফ্লুয়েন্সাররা এমন কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে তাঁরা আগ্রহ পান। সমমনা শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করা কনটেন্টের ওপর ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা একই বিষয়ে আগ্রহী মানুষদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন।
এমনকি ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চুক্তি থাকে। ব্র্যান্ডগুলো কনটেন্ট তৈরির দিকনির্দেশ দিয়ে একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে সাহায্য করে। আর শ্রোতাদের পছন্দের মিল রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। পণ্যের সেবা ও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করতে হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অসুবিধা
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটি স্থির আয়ের ধারা তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ। কনটেন্ট তৈরির জন্য অর্থ দেয় এমন ব্র্যান্ড খুঁজে পেতে ইনফ্লুয়েন্সাররা কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব ব্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী। ফলে সব সময় একই পরিমাণ আয় না-ও হতে পারে। ফলোয়ার তৈরির জন্য সময় ও কঠোর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যাপকসংখ্যক ফলোয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত শ্রোতা তৈরি করার জন্য অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। নিজের দক্ষতা শনাক্ত, কনটেন্ট তৈরি, ব্র্যান্ডদের আকর্ষণ করা এবং যথেষ্ট পরিমাণে শ্রোতা বাড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে।
কারা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন: বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে এখন সীমিত বাজেটের মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে চুক্তি করেন। অ্যাডিডাস, পেপসি, ডানকিন ডোনাটস ও মটোরোলার মতো বড় কোম্পানিগুলোও পণ্য প্রচারের জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে।
যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হবেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার হতে সময় লাগে। তবে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন তা হলো—এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করা, যাতে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং এসব কনটেন্ট দেখার শ্রোতাও রয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়—
১. পছন্দের বিষয় খুঁজুন
নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের বিষয় খুঁজুন। একটি বিষয় নির্বাচন করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এর মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রচার করতে পারবেন ও যার মাধ্যমে শ্রোতারা উপকৃত হতে পারবে। এর মাধ্যমে দর্শক আকর্ষণ হবে এবং নতুন ফলোয়ার যুক্ত হবে।
আর পছন্দের বিষয়টি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেয়। নিজে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং বিষয়টি নিয়ে আরও শেখার ইচ্ছা রয়েছে, এমন বিষয় বেছে নিতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যেসব বিষয় বেছে নেন—
• ফ্যাশন
• মেকআপ
• ভ্রমণ
• লাইফস্টাইল
• সেলিব্রেটি ও বিনোদনের খবর
• খেলা
• পশু-পাখি
• স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
• গেমিং
• পরিবার ও প্যারেন্টিং
• ব্যবসা ও প্রযুক্তি
২. ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ানো
প্রকৃত ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, যেসব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ হাজারের চেয়ে কম ফলোয়ার থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ফলোয়ার বাড়ে। নতুন ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতে কয়েক মাস নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
ফলোয়ার বাড়াতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• নিজের প্রোফাইলের বায়োতে নিজের পছন্দের বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
• উচ্চ মানের কনটেন্ট পোস্ট করুন।
• স্বকীয়তা বজায় রাখুন।
• নিয়মিত নিজের ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
• কনটেন্ট পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন।
• পোস্টের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. নিজস্ব কৌশল খুঁজে বের করুন
কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে নিজস্ব কৌশল তৈরি করা ভালো। এসব কৌশল সামঞ্জস্যপূর্ণ, উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• নিজের দর্শক বা ফলোয়ারদের আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা বোঝা।
• কনটেন্ট পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা।
• কনটেন্ট তৈরি, এডিট ও পোস্টের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা। • দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
৪. এসইও ব্যবহার করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে (সিইও) প্রভাবিত করে না, তবে নিজের ওয়েবসাইটে ও ব্লগের লিংকে ফলোয়াররা ক্লিক করলেও একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (সিইও) হলো আপনার ওয়েবসাইট ও এর বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর স্থানে দেখানোর প্রক্রিয়া। সার্চের ফলাফলে সিজের ওয়েবসাইটগুলো প্রথম দিকে দেখাতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
• মানুষকে সাহায্য করবে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। ফলে অন্যান্য ওয়েবসাইটও আপনার লিংকে যুক্ত করবে।
• দর্শকদের সমর্থনে মেসেজ দিন। অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও আবেগের প্রতি নজর রেখে বিভিন্ন মেসেজ পোস্ট করুন।
• বিশ্বস্ত শ্রোতা ও দর্শক কমিউনিটি তৈরি করুন।
৫. নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা
উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একজন ইনফ্লুয়েন্সারের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলোয়ারদের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বা নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফলোয়ারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
আয় ও কাজের দৃষ্টিভঙ্গি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খাত দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। এই শিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে প্রচারকে ৮৩ শতাংশ বিপণনকারীরা সফল বলে মনে করেন। ২০২৩ সালে এই খাত থেকে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার আয় হয়।
যতক্ষণ না নিয়মিত ও শক্তিশালী আয়ের উৎস বের করতে পারেন, ততক্ষণ ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত পার্ট-টাইম ভিত্তিতে এই ক্যারিয়ার শুরু করেন। একবার ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন শেয়ারের থেকে আয় বা তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন বিক্রির মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জন করতে পারলে এটি একটি পূর্ণ সময়ের চাকরি হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা বই লিখে এবং টকশোতে উপস্থিত হয়ে বা নিজস্ব পণ্যও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত গ্লাসডোরের এক ডেটা থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতিবছর গড়ে ৪৬ হাজার ৩৫৮ ডলার আয় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: কোর্সএরা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

ঘরে বসে আয় করার দারুন এক ডিজিটাল পেশার নাম ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল নির্মাতা বলা যায়। নিজের বাসায় থেকেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাই আয়ের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪ মে ২০২৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে