Ajker Patrika

কেমন হলো ৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত

সার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন ২০১৮ এর ২১ ধারা অনুযায়ী ৯ ফেডারেশনের আগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নয়টি ফেডারেশন যথাক্রমে-ব্রিজ, টেনিস, স্কোয়াশ, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস, বিলিয়ার্ড-স্নুকার, বাস্কেটবল, দাবা এবং হকি। যেখানে ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। টেনিসের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় আব্দুল হাই সরকারকে। এ ছাড়া কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম।

গত ৩০ আগস্ট গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নয়টি ফেডারেশন নতুন কমিটির দেখা পেল। বাকি ফেডারেশনগুলোর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু নয়টি ফেডারেশনের কমিটি হয়ে গেছে। এখন আমরা আরও ১৫-২০ ফেডারেশনের খসড়া প্রস্তাব পাঠাব। সেটা মন্ত্রণালয় দেখে ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করবে।’

যদিও সার্চ কমিটির কোনো প্রতিবেদন পাননি বলে একদিন আগেও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশনের কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখভাল করা ক্রীড়া-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সানাউল হক। কমিটি নিয়ে প্রশ্ন শুনে খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলেন তিনি। কেন বিরক্ত, সে কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিষয়টি জানতে অনেকে ফোন দেন। কাউকে সদুত্তর দিতে পারছি না। আমরা এখনো সার্চ কমিটির প্রতিবেদনই পাইনি। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা এখনো প্রতিবেদনগুলো দেয়নি। প্রতিবেদনগুলো হাতে পেলে আমরা কাজ শুরু করে দেব। আমাদের তো প্রতিবেদন পাওয়া লাগবে, তাই না?’

দেশের ৫৫ ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন-সংস্থার নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হাতে থাকলেও সভাপতি কিংবা কমিটি গঠনের এখতিয়ার পুরোপুরি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে যৌথভাবে শুদ্ধি অভিযানে নামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারই অংশ হিসেবে ৯টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি দিল মন্ত্রণালয়।

একনজরে ৯ ফেডারেশনের কমিটি

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন

সভাপতি: এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান

সহ সভাপতি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলমগীর (অব.), শাহিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ

সাধারণ সম্পাদক: লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: কাজী আবু জাফর তপন

কোষ্যাধ্যক্ষ: খাজা মাঞ্জের নাদিম

সদস্য: হোসেন ইমাম শান্টা, কাউছার আলী, শহিদ উল্লাহ দোলন, ইশতিয়াক সাদেক, বায়েজিদ হায়দার, বদরুল ইসলাম দিপু, মো. ইকবাল হোসেন, পারভীন নাছিমা পুতুল, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী

সহ সভাপতি: বিকেএসপি ডিজি, আবদুন নাসের খান, মো. ইকবাল হোসেন

সাধারণ সম্পাদক: মো. শাহ আলম

যুগ্ম সম্পাদক: কিতাব আলী, মিজানুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: ড. সাব্বির আহমেদ খান

সদস্য: মজিবুর রহমান মল্লিক, ফরিদ খান চৌধুরী, ফিরোজা খাতুন, শর্মিষ্ঠা রায়, এমএম নজির আহমেদ, শিরিন আক্তার, মুজিবুর রহমান, মো. রিয়াজুল ইসলাম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিমান ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি

বাস্কেটবল ফেডারেশন

সভাপতি : ডা. শামীম নেওয়াজ

সহ সভাপতি: শাখাওয়াত হোসেন, আসিফ আজিজ

সাধারণ সম্পাদক: মেজর (অব.) মোহাম্মদ আতিকুল হাফিজ

যুগ্ম সম্পাদক: মোহাম্মদ ফয়সাল আজিম, আ স ম আনামুল হাসান তাইমুর

কোষাধ্যক্ষ: মোহাম্মদ তানভীর তিতাস

সদস্য: মো. জাহিদুল ইসলাম (বুলু), ইকবাল হোসেন এমি, জহির উদ্দিন, নাজমুল, ক্যাপ্টেন (অব.) ফজলুর রহমান, বেগম আসরিন মৃধা, আইয়ান আনোয়ার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, অনিরুদ্ধ তালুকদার বর্ণ

টেনিস ফেডারেশন

সভাপতি: আবদুল হাই সরকার

সহ সভাপতি: আশরাফুজ্জামান খান (পুটন), মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ শাকিল খান

সাধারণ সম্পাদক: ইশতিয়াক আহমেদ

যুগ্ম সম্পাদক: মুয়াম্মার আহমেদ, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: এম এ জিন্নাহ

সদস্য: মো. শফিকুল আলম, আশরাফ কায়সার, আবদুর রব শামীম, আহমেদ জিয়াউর রহমান, হোসনে আরা রিনা, মোহাম্মদ শরিফুল আলম, জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাজ্জাদ আলম, এম ফরিদ আহমেদ, অর্ণব সাহা ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

দাবা ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ

সহ সভাপতি: ড. সোয়েব রিয়াজ আলম, ড. আরিফ দৌলাহ

সাধারণ সম্পাদক: তৈয়বুর রহমান সুমন

যুগ্ম সম্পাদক: লোকমান হোসেন মোল্লা (লাভলু), নাজনিন ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মীর সাজেদ উল–বাশার

সদস্য: আবু সাঈদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, দুলাল মাহমুদ, রাহাত হোসেন, অনন্য রায়হান, শামীম আকন্দ, মো. আরিফুজ্জামান।

স্কোয়াশ ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল মো. হাসান উজ জামান

সহসভাপতি: রাশেদ চৌধুরী, মীর্জা সালমান ইস্পাহানি

সাধারণ সম্পাদক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: তারেক মাসুদ খান

কোষাধ্যক্ষ: কামরান টি রহমান

সদস্য: মেজর এম তানিম হাসান (অব.), এরশাদ হোসেন, রামজুল সিরাজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি (অব.), ফাইয়াজ রহমান, সাজ্জাদ আরেফিন আলম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা ডিজি ও বিকেএসপি ডিজি/প্রতিনিধি।

বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন

সভাপতি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন (অব.)

সহসভাপতি: আজিজ আল মাসুদ, তাজবির সালেহিন

সাধারণ সম্পাদক: রিয়াসাত করিম ভূঁইয়া

যুগ্ম সম্পাদক: সুলতান মঈন আহমেদ রবিন

কোষাধ্যক্ষ: মনজুরুল হক মনজু

সদস্য: স্কোয়াড্রন লিড মো. খালেদ বিন সালাম (অব.), নূর উদ্দিন জাভেদ, মো. হাসানুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সুব্রি মোহাম্মদ, সাইফুস সামি আলমগীর, জাহেদুন নবী, আসিফ হানিফ ও শাহ নেওয়াজ শিপন।

কাবাডি ফেডারেশন

সভাপতি: মো. ময়নুল ইসলাম, আইজিপি

সহসভাপতি: হাফিজুর রহমান খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান

সাধারণ সম্পাদক: এস এম নেওয়াজ সোহাগ

যুগ্ম সম্পাদক: আবদুল হক, গাজী মো. মোজাম্মেল হক

কোষাধ্যক্ষ: মনির হোসেন

সদস্য: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বি এম ইউসুফ আলী, শরিফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির, আসাদুজ্জামান শাহিন, মাসুদুর রহমান চুন্নু, বাদশাহ মিয়া, সুবিমল চন্দ্র দাস, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, বিজিবি ক্রীড়া ও প্রশিক্ষণ বোর্ড প্রতিনিধি ও পুলিশ ক্রীড়া সংস্থা প্রতিনিধি

ব্রিজ ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

সহসভাপতি: সাঈদ আহমেদ রবি, মো. আবুল কাশেম

সাধারণ সম্পাদক: নাঈমুল হাসান

যুগ্ম সম্পাদক: মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মো. জাহিদ হোসেন

সদস্য: শাহ জিয়াউল হক, মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া, নাজমুল হক কিরন, আসিফুর রহমান রাজীব, শেখ আমিন, মাওলা আল মামুন, রাশেদুল হাসান রিপন, মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ এহসানুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান সুমন ও তানভীর আহমেদ ইমন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্তর সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু রাজশাহীর

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৯
অধিনায়কের হাত ধরে রাজশাহীর শুরুটা হলো দারুণ। ছবি: ফেসবুক
অধিনায়কের হাত ধরে রাজশাহীর শুরুটা হলো দারুণ। ছবি: ফেসবুক

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে দেখা গেল দারুণ লড়াই। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে হাই স্কোরিং ম্যাচে সিলেট টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তানজিদ হাসান তামিম যখন ফেরেন তখন তাদের স্কোরবোর্ড ছিল ১৯ রান। ১৯ বলে ২০ রান করে সাহিবজাদা ফারহান আউট হলে ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। রানরেট তখন আটেরও নিচে। জয়ের জন্য দরকার ৭৩ বলে ১২৯ রান।

শান্ত ও মুশফিকের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তাঁরা দুজন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত। ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৫৮ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ঘর। টি–টোয়েন্টিতে এটা তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।

মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৩১ বলের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। রুয়েল মিয়ার করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেই উদ্‌যাপন শুরু করেন তিনি। দুই কানে হাত দিয়ে মুশফিক যেন বোঝাতে চাইলেন এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি।

এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি এবং আফিফ হোসেন, রনি তালুকদারদের মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তোলে সিলেট। ৩৩ বলে ইমনের অবদান ৬৫ রান। তাঁর ১৯৬.৯৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। আফিফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। আফিফের ৩৩ রানের আগে রনি ৪১ ও সাইম আইয়ুব করেন ২৮ রান। ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার সন্দীপ লামিচানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজও উইকেট পেয়েছেন রিশাদ, উঠেছেন চূড়ায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
পার্থের বিপক্ষে আজ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
পার্থের বিপক্ষে আজ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।

নজরকাড়া বোলিংয়ে হোবার্টের হয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিচ্ছেন রিশাদ। তারই ধারাবাহিকতায় বিগ ব্যাশের চলমান আসরে এখন হোবার্টের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে গেলেন তিনি। সবশেষ আজ পার্থ স্করচার্জের বিপক্ষে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ। প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে তাঁর সংগ্রহ ৬ উইকেট। এত উইকেট নিতে পারেনি হোবার্টের আর কোনো বোলার। সব মিলিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন রিশাদ।

শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছেন জ্যাক এডওয়ার্ডস। ৪ ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সের এই অজি পেসারের শিকার ৮ উইকেট। সমান সাতটি করে উইকেট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে আছেন পিটার সিডল ও টম কারান। রিশাদের সমান ৬ উইকেট নিয়ে চারে আছেন জোয়েল ডেভিস।

পার্থের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার দিনে বল হাতে কিছুটা খরুচে ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারের কোটায় ৮.২৫ ইকোনমিতে ৩৩ রান দেন তিনি। এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডি ও লরি ইভান্স। ২ উইকেট নেন রাইলি মেরেডিথ। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি।

সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিগ ব্যাশে অভিষেক হয় রিশাদের। সে ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ২১ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাসকিনদের পেছনে ফেলে ভুটানের বোলারের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৪
মাত্র ৭ রানে ৮ উইকেট নেন এই স্পিনার। ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ৭ রানে ৮ উইকেট নেন এই স্পিনার। ছবি: সংগৃহীত

সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।

মিয়ানমারের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইয়েশি। যা এই সংস্করণের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারের আগের রেকর্ডটি ছিল সায়াজরুল ইদরুসের দখলে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কুয়ালালামপুরে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এই বোলার।

সায়াজরুল ছাড়াও টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সমান সাতটি করে উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে অ্যাকারম্যান, তাসকিন ও আলী দাঊদের দখলে। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে গেল ভুটানের আনকোড়া এক বোলারের কাছে।

গেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ দিন মিয়ানমারের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করেন ইয়েশি। ৮ উইকেট নেওয়ার পথে একটি মেডেনে খরচ করেন মাত্র ৭ রান। ইয়েশির এমন অর্জন ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে ভুটানের সরকারি ক্রিকেট চ্যানেলগুলোতে। ভক্তদের কাছ থেকেও প্রশংসা পাচ্ছেন এই স্পিনার।

টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অন্য তিন বোলারের মধ্যে একজন কেবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েন। ১১ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন বাহরাইনের দাঊদ। তাসকিন ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের পর্বে। ঢাকার বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় ৭ ব্যাটারকে তুলে নেন এই গতিতারকা। অ্যাকারম্যান ৭ উইকেট নেন বিয়ারসের বিপক্ষে। ৪ ওভারে ১৮ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেষের তাণ্ডবে শান্তদের ১৯১ রানের লক্ষ্য দিল সিলেট, ইমনের ঝোড়ো ফিফটি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১১
৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: বিসিবি
৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: বিসিবি

রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করেছে সিলেট।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স-সিলেট টাইটান্স ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাটিং পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন সিলেট করেছে ১৯০ রান।শেষ ৪ ওভারে তারা যোগ করেছে ৫২ রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া সিলেটের দুই ওপেনার সাইম-রনি দারুণ শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করেন তাঁরা (সাইম-রনি)। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়েছেন সাইম। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোকে পুল করতে যান সাইম। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় সিলেটের। একটা পর্যায়ে মিরাজের দলের স্কোর হয়ে যায় ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সে সময় ইমনের স্কোর ছিল ১১ বলে ১৪ রান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ৪১ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এই জুটি গড়ার পথে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।

ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে তিনটি চার মারেন আফিফ। সেই ওভারের পঞ্চম বলে তানজিম সাকিবকে মিড উইকেটে পুশ করে ২ রান নিতে যান আফিফ। সীমানা থেকে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প বরাবর সাহিবজাদা ফারহান সরাসরি থ্রো করেন। ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ইনিংসের শেষ বলে ইথান ব্রুকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রানে শেষ হয়েছে সিলেট টাইটান্সের ইনিংস।

সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইমন। ৩৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ ছক্কার মধ্যে একটা মেরেছেন কাভারের ওপরে। রাজশাহীর সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার (৪১) ও টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের (২০) উইকেট দুটি নিয়েছেন লামিচানে। রনি ৩৪ বলে করেছেন ৪১ রান। জাজাই ২০ রান করতে খেলেছেন ১৮ বল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত