Ajker Patrika

যে বোর্ডে আঁকা বিবর্ণ হকির ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যে বোর্ডে আঁকা বিবর্ণ হকির ছবি

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।

লোহার তৈরি সেই বোর্ড দেখেই মানুষের জেনে যাওয়ার কথা, মাঠে আজকে কোন খেলা, আগামীকালই-বা কোন ম্যাচ। কিন্তু গতকাল প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শেষ দিন পর্যন্তও সেই বোর্ডে কোনো পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ একদিনও আজকের কিংবা আগামীকালের ম্যাচের তথ্য দেওয়া হয়নি বোর্ডে। দেওয়া গেলে হয়তো সাধারণ কোনো মানুষের মনে খেলা দেখার আগ্রহ জন্ম নিলেও নিতে পারত। কিন্তু বোর্ডে মাঠের সূচি হালনাগাদ করা হয় না। লোহার বোর্ড বৃষ্টির পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এখন মরিচায় আচ্ছন্ন। ঢাকার নবাব পরিবারদের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হওয়া হকির বর্তমান গরিবি হালের প্রতীকী চিত্র যেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের এই বোর্ড।

হকি স্টেডিয়ামে কবে এই বোর্ড বসেছে, শেষ কবে হালনাগাদ হয়েছে, সেটা স্বয়ং হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদেরও অজানা। ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়নকে জিজ্ঞেস করার পরও সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। বোর্ডে লেখা অনুযায়ী ২০০০ সালের কোনো এক বছর সিনিয়র ডিভিশন হকি লিগের খেলার সূচি হালনাগাদ হয়েছিল সেই বোর্ডে। এরপর থেকে এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যেভাবে হারিয়েছে প্রতিবছর মাঠে খেলা রাখার তাগিদও। দু-তিন বছর পর একবার করে লিগ হয় বলে পেশাদার হকি খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের নাম দিয়েছেন ‘ঢাকা অলিম্পিক’!
বোর্ডের জন্মসূত্র জানতে ধরনা দিতে হলো হকির অভিজ্ঞ সংগঠক ইউসুফ আলীর কাছে। প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই অভিমান নিয়ে তিনি বললেন, ‘হকি লিগ এখন বিদেশি দিয়ে ভরা। তৃতীয় কোয়ার্টারের খেলা শেষ হয় চতুর্থ কোয়ার্টারে গিয়ে। বিদেশি আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা করা হচ্ছে, তাহলে আমাদের আম্পায়ারদের ভবিষ্যৎ কী; এসব নিয়ে কেউ প্রতিবেদন করে না। বোর্ডের খবরে কী হবে!’

বলতে বলতে স্মৃতির অতলে ডুব দিলেন ইউসুফ আলী। শোনালেন গল্প, ‘১৯৯৭ সালে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হকি শুরু হয়। এর আগে পল্টনের আউটারে হকির খেলা হতো। তখন সেখানেও এমন একটা বোর্ড ছিল। আজকের খেলা, আগামীকালের খেলা কাদের, সে সম্পর্কে লেখা থাকত। তখন দেখেছি, রিকশাওয়ালারাও সময় পেলে মাঠে খেলা দেখতে বসে যেতেন। বিকেলে একটু সময় পেলে মানুষ খেলা দেখতে আসত। অল্প কিছু বসার জায়গায় অনেক মানুষ বসত। এখন সবাই ভিআইপিতে গিয়ে খেলা দেখতে চায়। গ্যালারি থাকে ফাঁকা। কেউ জানেও না কবে কোন খেলা হচ্ছে।’

ক্রিকেটের উত্থানের আগে ফুটবলের পর হকিকে বলা হতো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ১৯৮৫ সালে এশিয়া কাপে আউটারে ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক এসেছিলেন, হাজার হাজার দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে শোনা যায়। জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে গাছের ডাল কেটে হকির প্রচলন শুরু হয়েছিল গ্রামে-গঞ্জে। জনপ্রিয়তায় উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল যাদের দিয়ে, সেই পুরান ঢাকার দর্শকেরাও এখন হকিবিমুখ। দুই ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী-মোহামেডান কিংবা মেরিনার্স-ঊষার খেলা নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ জাগায় না। অব্যবস্থাপনা আর অন্তর্দ্বন্দ্বে হকির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে তলানিতে। সূচির সেই বোর্ড নিয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের উত্তর, ‘আমি আর একা কত করব। একার পক্ষে সব কি করা সম্ভব!’

১৯৩৪ সালে ঢাকায় এসেছিলেন উপমহাদেশের ‘ফাদার অব হকি’ মেজর ধ্যানচাঁদ। এসে বলেছিলেন, ‘বাঙ্গাল হকি, চাঙা হ্যায়!’ সেই চাঙা হকিকে দেশের সংগঠকেরা হাতের মুঠোয় পুরে ডোবাতে বসেছেন। আর ডুবতে থাকা হকির অন্তিম সাক্ষী যেন স্টেডিয়ামের সেই মরচে পড়া বোর্ড!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত