মাশরাফি বিন মুর্তজা

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে। ক্রিকেট একটা জায়গায় এসেছে। আগে হকি ভালো করেছে। অলিম্পিক সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। এখানে ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এখানে ফ্যাসিলিটিজ বা সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এটা বাড়লে ফল পেতে থাকবেন। যেহেতু আমি ক্রিকেটের মানুষ, এখানে আলোচনাটা ক্রিকেট নিয়েই থাকুক।
ক্রিকেট যেভাবে বড় হয়ে উঠেছে
এখানে দর্শকের ভূমিকা বিরাট। শুরুর দিকে ক্রিকেটে তো ওভাবে সাফল্য ছিল না। অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে আমরা একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছি। এখানে দর্শককে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা এই খেলার সঙ্গে ছিল বলেই ক্রিকেট এত দূর এসেছে। ফুটবলেও কিন্তু প্রচুর দর্শক আছে। গ্রামগঞ্জে যেকোনো জায়গায় দেখেন, একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট হলে কতসংখ্যক দর্শক হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাব দেখুন, কী ফ্যাসিলিটিজ তাদের। আমাদের জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা আছে। তবু যে করেই হোক ফ্যাসিলিটিজ বাড়াতে হবে। এটা বাড়লে খেলায় উন্নতি হবে। ক্রিকেটে যতটুকু হয়েছে, ফ্যাসিলিটিজ বাড়ানোর কারণেই। বাইরের দিকে যদি তাকাই, আমাদের আরও বাড়ানো উচিত ক্রিকেট, ফুটবল—সব খেলাতেই। অলিম্পিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শর্টকাটে ভালো ফল আশা করলে হবে না। ভালো ফল সব সময়ই দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা সব সময়ই ছোট ছোট প্রকল্পে এগোই। মানুষকে ধৈর্যও রাখতে হবে। রাতারাতি ফল আশা করলে হবে না।
ঢাকাকেন্দ্রিক দেশের ক্রিকেট
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের যেসব প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসে, একে আমি বলব ‘ঠুকো উঠে আসা’। আমাদের সৌভাগ্য যে ঠুকো কিছু খেলোয়াড় আমরা পেয়ে যাই। আছে না, একজন খেলোয়াড়কে তৈরি করে আনা। প্রাকৃতিকভাবে যখন আমরা একজন লেগ স্পিনার পাচ্ছি না, তখন তৈরি করতে হবে। আর এটা করতে হলে ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। ধরুন, খুলনার যে খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্য খুলনার স্টেডিয়াম সব সময় তৈরি রাখা। ওখানে প্রশিক্ষণের সব সুযোগ দেওয়া যেমন—জিম, ট্রেনার রাখা। বিসিবির বেতনভুক্ত জনবল থাকবে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে। যারা জাতীয় দলের বাইরে আছে, যারা পাইপলাইনে আছে, তারা যেন নিজের এলাকায় নিজেদের কাজটা করতে পারে। জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে যে কোচরা আছেন, তাঁদের কাজ দিয়ে দেওয়া যে খেলোয়াড়দের এভাবে তত্ত্বাবধান করবেন। ঠিক সময়ে প্র্যাকটিস কিংবা অন্যান্য কাজ কীভাবে করছে, সে সব ফলোআপ করা। এগুলো চাইলেই করা যায়। ভারতে দেখুন, রাজ্যভিত্তিক ক্রিকেটকাঠামো কত শক্তিশালী। রাজ্যভিত্তিক কত বড় টুর্নামেন্ট খেলে তাদের ক্রিকেটাররা। আমাদের সাতটা বিভাগের অধীনে কত জেলা। বিভাগীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নরা যদি জাতীয় পর্যায়ে আসে, তাহলে তো পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট অন্য উচ্চতায় চলে যায়। এই কাজগুলো বিসিবি ছাড়া আর কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
টেস্টে এখনো হোঁচট খাওয়া
একাধিকবার আমার হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হয়েছে। সেখানে বাবু ভাইয়ের (অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইকরাম বাবু) কাছেই থেকেছি। তাঁর ছেলেটা স্কুল ক্রিকেট খেলে। সেখানে দেখেছি, স্কুল ক্রিকেটেই বাচ্চারা দুই দিনের ম্যাচ খেলে। এই পর্যায়েই তারা সাদা ও লাল বলের ক্রিকেট খেলছে। স্কুল ক্রিকেট থেকেই তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘টেস্ট ক্রিকেটই হচ্ছে মাদার ক্রিকেট’। সেভাবেই একজন খুদে ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। তাহলে চিন্তা করুন, তারা কোথায় আর আমরা কোথায়।
তিন অধিনায়কের বাংলাদেশ
যে তিন অধিনায়ক এখন বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ দলই এখন আমরা। খেলোয়াড় ধরে ধরে যদি বয়সও দেখেন, তাদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দেখেন, এখন বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলই আমরা। একটা বড় শিরোপা জেতার এখনই সময়। আরও বড় দিকে এগোনোর সময়। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ২২ বছর কাটিয়ে দিয়েছি। ২২ বছরে এসে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত। এটা আসলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে ভালো করা কঠিন। আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই টেস্ট খেলতে চায় না। আমরা সেভাবে টেস্ট খেলোয়াড় তৈরি করতে পারছি না। ভালো মানের ব্যাটার, বোলার তৈরিই হবে লঙ্গার ভার্সন দিয়ে। যে টেস্ট ক্রিকেট ভালো খেলে, সে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও ভালো করবে। হ্যাঁ, এটা ঠিক, টি-টোয়েন্টি একটু ভিন্ন ধরনের খেলা। তবে ওয়ানডেতে ভালো করার সুযোগ বাড়বে। ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনিসের মতো বোলার তো আর এমনি এমনি জন্ম হয়নি। তাঁদের নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। যারা খেলোয়াড় তৈরি করছে, তাদের উৎস কতটা শক্তশালী, সেটা অনেক বড় ব্যাপার। বাংলাদেশের কয়টা কোচ বিশ্বমানের? আমাদের ভালো মানের ফিজিও নেই, ট্রেনার নেই, কোচ নেই। সংখ্যা বলছি না, বলছি মানের কথা।
খেলা বেড়েছে, ভালো মানের খেলোয়াড় কম
এক সাকিব আল হাসান, এক মুশফিকুর রহিম, এক তামিম ইকবাল, এক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে আর কত লিখবেন পত্রপত্রিকায়? এভাবে আর কত দিন চলবেন বিশ্ব ক্রিকেটে? পাইপলাইন তো সমৃদ্ধ হতে হবে। বর্তমানে যে সিরিজটা খেলছে বাংলাদেশ, এ ধরনের সিরিজ হারলে কী হয়, সামনে ধরুন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ আছে। এখানে হারলে বিপদ, মূল দলটা ওখানেও পাঠাবেন। এত ভয় থাকলে হবে না। ভারতকে দেখুন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গেল। যে সিরিজে ওদের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরা নেই। ওদের মিডিয়া কিংবা দর্শক তো আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তারা কীভাবে পাইপলাইনের খেলোয়াড়দের দিয়ে খেলানোর সাহস পায়? এবং এই দলটাই সিরিজ শেষ পর্যন্ত তাদের ২-২ হয়েছে। ভারত তো গত বছরেই দেখলাম একসঙ্গে দুটো জাতীয় দল করে দুই সংস্করণে ক্রিকেট খেলেছে। ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস সিরিজের দিকেই তাকান। ইংল্যান্ড টেস্ট খেলছে। আবার ওদের ওয়ানডে দল কতটা শক্তিশালী, ৪৯৮ রান করে ফেলে। তারা একসঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য দুটো দল করছে। এর পরও অনেক খেলোয়াড় স্কোয়াডের বাইরে আছে। তার মানে, তাদের সংস্করণ অনুযায়ী শক্তিশালী দল করে ফেলেছে। তারা কি এটা এক দিনে করেছে? ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানের (বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিল) দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমাদের দেশে এই ব্যর্থতার জন্য তাকে কী করা হতো? একবার ভাবুন। একটু ধৈর্যও ধরতে হবে আমাদের। এটা এমনি এমনি হবে না। তারা কিন্তু ওই ব্যর্থতার পর মরগানকে সরিয়ে দেয়নি। তার ওপর আস্থা রেখেছে। মরগান ঠিকই পরের বিশ্বকাপটা জিতেছে। মানুষের কথায় দল করা, নিজস্ব চিন্তায় যদি কিছু না করেন, আমাকে একবার বাংলাদেশ দলে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলো। কথা হচ্ছে, এটা কি আপনাদের মাথা থেকে আসছে? নাকি আইডিয়া চুরি করেছেন? নিজের বুদ্ধি দিয়ে কিছু করুন। সেটা হোক খারাপ। আপনার ভাবনা-পরিকল্পনা যদি বিকাশ না ঘটে, আপনার দলও বিকশিত হবে না। যারা খেলোয়াড় তৈরি করে, তারা যদি সেটআপে না থাকে, তখন ভালো মানের খেলোয়াড় আসবে না। এখানে যদি কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে দেখবেন সেই একইভাবে চলছে। বরং আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, সাকিব-তামিম-মুশফিক একে একে বিদায় নেবে এই সময়ে।
পাঁচ সিনিয়রের পর কী অপেক্ষা করছে
এই সময়ে জস বাটলারের চেয়ে আমাদের তামিমের রেকর্ড অনেক ভালো। তবু তামিমকে আমরা বড় খেলোয়াড় হিসেবে মানতে পারি না কেন জানেন? কারণ, আমরা একটা বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। আমরা একটা এশিয়া কাপ জিততে পারিনি। বড় বড় টুর্নামেন্ট জিততে পারিনি। কিন্তু বাটলাররা বড় টুর্নামেন্ট জিতেছে। এ কারণে ওদের একটি-দুটি ইনিংসও আমাদের চোখে লেগে থাকে। তামিমের পাঁচটা ভালো ইনিংস খেলার পর দুটো শূন্য রানে আউট হলে ওই দুটো শূন্য রানই আমাদের চোখে লেগে থাকে। দল ভালো না করলে এককভাবে কখনো বড় খেলোয়াড় হওয়া যায় না। সব মিলিয়ে একটা ভালো দল হতে হলে আপনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। না হলে নিউজিল্যান্ডে বা যে টেস্ট মাঝেমধ্যে জেতেন, সেই সব ফ্লুক হয়ে থাকবে।
লেখক: সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ক্রিকেট দল ও বর্তমানে সংসদ সদস্য

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে। ক্রিকেট একটা জায়গায় এসেছে। আগে হকি ভালো করেছে। অলিম্পিক সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। এখানে ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এখানে ফ্যাসিলিটিজ বা সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এটা বাড়লে ফল পেতে থাকবেন। যেহেতু আমি ক্রিকেটের মানুষ, এখানে আলোচনাটা ক্রিকেট নিয়েই থাকুক।
ক্রিকেট যেভাবে বড় হয়ে উঠেছে
এখানে দর্শকের ভূমিকা বিরাট। শুরুর দিকে ক্রিকেটে তো ওভাবে সাফল্য ছিল না। অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে আমরা একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছি। এখানে দর্শককে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা এই খেলার সঙ্গে ছিল বলেই ক্রিকেট এত দূর এসেছে। ফুটবলেও কিন্তু প্রচুর দর্শক আছে। গ্রামগঞ্জে যেকোনো জায়গায় দেখেন, একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট হলে কতসংখ্যক দর্শক হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাব দেখুন, কী ফ্যাসিলিটিজ তাদের। আমাদের জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা আছে। তবু যে করেই হোক ফ্যাসিলিটিজ বাড়াতে হবে। এটা বাড়লে খেলায় উন্নতি হবে। ক্রিকেটে যতটুকু হয়েছে, ফ্যাসিলিটিজ বাড়ানোর কারণেই। বাইরের দিকে যদি তাকাই, আমাদের আরও বাড়ানো উচিত ক্রিকেট, ফুটবল—সব খেলাতেই। অলিম্পিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শর্টকাটে ভালো ফল আশা করলে হবে না। ভালো ফল সব সময়ই দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা সব সময়ই ছোট ছোট প্রকল্পে এগোই। মানুষকে ধৈর্যও রাখতে হবে। রাতারাতি ফল আশা করলে হবে না।
ঢাকাকেন্দ্রিক দেশের ক্রিকেট
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের যেসব প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসে, একে আমি বলব ‘ঠুকো উঠে আসা’। আমাদের সৌভাগ্য যে ঠুকো কিছু খেলোয়াড় আমরা পেয়ে যাই। আছে না, একজন খেলোয়াড়কে তৈরি করে আনা। প্রাকৃতিকভাবে যখন আমরা একজন লেগ স্পিনার পাচ্ছি না, তখন তৈরি করতে হবে। আর এটা করতে হলে ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। ধরুন, খুলনার যে খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্য খুলনার স্টেডিয়াম সব সময় তৈরি রাখা। ওখানে প্রশিক্ষণের সব সুযোগ দেওয়া যেমন—জিম, ট্রেনার রাখা। বিসিবির বেতনভুক্ত জনবল থাকবে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে। যারা জাতীয় দলের বাইরে আছে, যারা পাইপলাইনে আছে, তারা যেন নিজের এলাকায় নিজেদের কাজটা করতে পারে। জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে যে কোচরা আছেন, তাঁদের কাজ দিয়ে দেওয়া যে খেলোয়াড়দের এভাবে তত্ত্বাবধান করবেন। ঠিক সময়ে প্র্যাকটিস কিংবা অন্যান্য কাজ কীভাবে করছে, সে সব ফলোআপ করা। এগুলো চাইলেই করা যায়। ভারতে দেখুন, রাজ্যভিত্তিক ক্রিকেটকাঠামো কত শক্তিশালী। রাজ্যভিত্তিক কত বড় টুর্নামেন্ট খেলে তাদের ক্রিকেটাররা। আমাদের সাতটা বিভাগের অধীনে কত জেলা। বিভাগীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নরা যদি জাতীয় পর্যায়ে আসে, তাহলে তো পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট অন্য উচ্চতায় চলে যায়। এই কাজগুলো বিসিবি ছাড়া আর কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
টেস্টে এখনো হোঁচট খাওয়া
একাধিকবার আমার হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হয়েছে। সেখানে বাবু ভাইয়ের (অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইকরাম বাবু) কাছেই থেকেছি। তাঁর ছেলেটা স্কুল ক্রিকেট খেলে। সেখানে দেখেছি, স্কুল ক্রিকেটেই বাচ্চারা দুই দিনের ম্যাচ খেলে। এই পর্যায়েই তারা সাদা ও লাল বলের ক্রিকেট খেলছে। স্কুল ক্রিকেট থেকেই তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘টেস্ট ক্রিকেটই হচ্ছে মাদার ক্রিকেট’। সেভাবেই একজন খুদে ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। তাহলে চিন্তা করুন, তারা কোথায় আর আমরা কোথায়।
তিন অধিনায়কের বাংলাদেশ
যে তিন অধিনায়ক এখন বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ দলই এখন আমরা। খেলোয়াড় ধরে ধরে যদি বয়সও দেখেন, তাদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দেখেন, এখন বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলই আমরা। একটা বড় শিরোপা জেতার এখনই সময়। আরও বড় দিকে এগোনোর সময়। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ২২ বছর কাটিয়ে দিয়েছি। ২২ বছরে এসে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত। এটা আসলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে ভালো করা কঠিন। আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই টেস্ট খেলতে চায় না। আমরা সেভাবে টেস্ট খেলোয়াড় তৈরি করতে পারছি না। ভালো মানের ব্যাটার, বোলার তৈরিই হবে লঙ্গার ভার্সন দিয়ে। যে টেস্ট ক্রিকেট ভালো খেলে, সে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও ভালো করবে। হ্যাঁ, এটা ঠিক, টি-টোয়েন্টি একটু ভিন্ন ধরনের খেলা। তবে ওয়ানডেতে ভালো করার সুযোগ বাড়বে। ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনিসের মতো বোলার তো আর এমনি এমনি জন্ম হয়নি। তাঁদের নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। যারা খেলোয়াড় তৈরি করছে, তাদের উৎস কতটা শক্তশালী, সেটা অনেক বড় ব্যাপার। বাংলাদেশের কয়টা কোচ বিশ্বমানের? আমাদের ভালো মানের ফিজিও নেই, ট্রেনার নেই, কোচ নেই। সংখ্যা বলছি না, বলছি মানের কথা।
খেলা বেড়েছে, ভালো মানের খেলোয়াড় কম
এক সাকিব আল হাসান, এক মুশফিকুর রহিম, এক তামিম ইকবাল, এক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে আর কত লিখবেন পত্রপত্রিকায়? এভাবে আর কত দিন চলবেন বিশ্ব ক্রিকেটে? পাইপলাইন তো সমৃদ্ধ হতে হবে। বর্তমানে যে সিরিজটা খেলছে বাংলাদেশ, এ ধরনের সিরিজ হারলে কী হয়, সামনে ধরুন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ আছে। এখানে হারলে বিপদ, মূল দলটা ওখানেও পাঠাবেন। এত ভয় থাকলে হবে না। ভারতকে দেখুন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গেল। যে সিরিজে ওদের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরা নেই। ওদের মিডিয়া কিংবা দর্শক তো আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তারা কীভাবে পাইপলাইনের খেলোয়াড়দের দিয়ে খেলানোর সাহস পায়? এবং এই দলটাই সিরিজ শেষ পর্যন্ত তাদের ২-২ হয়েছে। ভারত তো গত বছরেই দেখলাম একসঙ্গে দুটো জাতীয় দল করে দুই সংস্করণে ক্রিকেট খেলেছে। ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস সিরিজের দিকেই তাকান। ইংল্যান্ড টেস্ট খেলছে। আবার ওদের ওয়ানডে দল কতটা শক্তিশালী, ৪৯৮ রান করে ফেলে। তারা একসঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য দুটো দল করছে। এর পরও অনেক খেলোয়াড় স্কোয়াডের বাইরে আছে। তার মানে, তাদের সংস্করণ অনুযায়ী শক্তিশালী দল করে ফেলেছে। তারা কি এটা এক দিনে করেছে? ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানের (বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিল) দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমাদের দেশে এই ব্যর্থতার জন্য তাকে কী করা হতো? একবার ভাবুন। একটু ধৈর্যও ধরতে হবে আমাদের। এটা এমনি এমনি হবে না। তারা কিন্তু ওই ব্যর্থতার পর মরগানকে সরিয়ে দেয়নি। তার ওপর আস্থা রেখেছে। মরগান ঠিকই পরের বিশ্বকাপটা জিতেছে। মানুষের কথায় দল করা, নিজস্ব চিন্তায় যদি কিছু না করেন, আমাকে একবার বাংলাদেশ দলে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলো। কথা হচ্ছে, এটা কি আপনাদের মাথা থেকে আসছে? নাকি আইডিয়া চুরি করেছেন? নিজের বুদ্ধি দিয়ে কিছু করুন। সেটা হোক খারাপ। আপনার ভাবনা-পরিকল্পনা যদি বিকাশ না ঘটে, আপনার দলও বিকশিত হবে না। যারা খেলোয়াড় তৈরি করে, তারা যদি সেটআপে না থাকে, তখন ভালো মানের খেলোয়াড় আসবে না। এখানে যদি কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে দেখবেন সেই একইভাবে চলছে। বরং আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, সাকিব-তামিম-মুশফিক একে একে বিদায় নেবে এই সময়ে।
পাঁচ সিনিয়রের পর কী অপেক্ষা করছে
এই সময়ে জস বাটলারের চেয়ে আমাদের তামিমের রেকর্ড অনেক ভালো। তবু তামিমকে আমরা বড় খেলোয়াড় হিসেবে মানতে পারি না কেন জানেন? কারণ, আমরা একটা বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। আমরা একটা এশিয়া কাপ জিততে পারিনি। বড় বড় টুর্নামেন্ট জিততে পারিনি। কিন্তু বাটলাররা বড় টুর্নামেন্ট জিতেছে। এ কারণে ওদের একটি-দুটি ইনিংসও আমাদের চোখে লেগে থাকে। তামিমের পাঁচটা ভালো ইনিংস খেলার পর দুটো শূন্য রানে আউট হলে ওই দুটো শূন্য রানই আমাদের চোখে লেগে থাকে। দল ভালো না করলে এককভাবে কখনো বড় খেলোয়াড় হওয়া যায় না। সব মিলিয়ে একটা ভালো দল হতে হলে আপনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। না হলে নিউজিল্যান্ডে বা যে টেস্ট মাঝেমধ্যে জেতেন, সেই সব ফ্লুক হয়ে থাকবে।
লেখক: সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ক্রিকেট দল ও বর্তমানে সংসদ সদস্য

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
২ ঘণ্টা আগে
লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিন নম্বরে মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ভিড়ে তাঁর ব্যাটেই যা একটু রান আসছে। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিন নম্বরে মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ভিড়ে তাঁর ব্যাটেই যা একটু রান আসছে। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে।
২৭ জুন ২০২২
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
২ ঘণ্টা আগে
লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগ ম্যাচে আজ বিহার খেলছে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে। সূর্যবংশী, সাকিব দুজনেই খেলছেন বিহারের হয়ে। রাঁচিতে আজ সকালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। সূর্যবংশীরটাকে যদি ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সাকিবেরটা টর্নেডো, সুনামি বললেও ভুল কিছু হবে না। ৩২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বিহার অধিনায়ক সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। সূর্যবংশী, সাকিবের তাণ্ডবে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে বিহার ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান করেছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই কীর্তিটা ছিল তামিলনাড়ুর। বিজয় হাজারে ট্রফির ২০২২-২৩ মৌসুমে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল।
অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে আজ বিহারের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন। ৮৪ বলে ১৬ চার ও ১৫ ছক্কায় সূর্যবংশী করেন ১৯০ রান। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি এখন ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটারের। দলের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেও এসেছে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় সাকিব ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আয়ুশ লোকারুকা করেছেন ১১৬ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৮ ছক্কা মেরেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৮ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড টা ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী পেছনে ফেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ৫৪ বলে ১৫০ রান করে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড গড়লেন সূর্যবংশী। এই রেকর্ডটা ১০ বছর অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার। সেবার তিনি ৬৬ বলে ১৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ২৯ বলে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখানে ডি ভিলিয়ার্সের আরেক রেকর্ড পেছনে পড়ে গেছে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ৩৬ বলে সেঞ্চুরিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে যৌথভাবে ষষ্ঠ সূর্যবংশী, কোরি অ্যান্ডারসন ও গ্রাহাম রোজ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। এর আগে ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্যাংক ট্রফিতে সমারসেটের হয়ে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রাহাম রোজ। ৩৫ বছর আগে সেই ম্যাচে রোজের প্রতিপক্ষ ছিল ডেভন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ তিন দলীয় ইনিংস
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
৫৭৪/৬ বিহার অরুণাচল প্রদেশ ২০২৫
৫০৬/২ তামিলনাড়ু অরুণাচল প্রদেশ ২০২২
৪৯৮/৪ ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডস ২০২২

রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগ ম্যাচে আজ বিহার খেলছে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে। সূর্যবংশী, সাকিব দুজনেই খেলছেন বিহারের হয়ে। রাঁচিতে আজ সকালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। সূর্যবংশীরটাকে যদি ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সাকিবেরটা টর্নেডো, সুনামি বললেও ভুল কিছু হবে না। ৩২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বিহার অধিনায়ক সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। সূর্যবংশী, সাকিবের তাণ্ডবে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে বিহার ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান করেছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই কীর্তিটা ছিল তামিলনাড়ুর। বিজয় হাজারে ট্রফির ২০২২-২৩ মৌসুমে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল।
অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে আজ বিহারের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন। ৮৪ বলে ১৬ চার ও ১৫ ছক্কায় সূর্যবংশী করেন ১৯০ রান। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি এখন ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটারের। দলের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেও এসেছে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় সাকিব ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আয়ুশ লোকারুকা করেছেন ১১৬ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৮ ছক্কা মেরেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৮ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড টা ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী পেছনে ফেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ৫৪ বলে ১৫০ রান করে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড গড়লেন সূর্যবংশী। এই রেকর্ডটা ১০ বছর অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার। সেবার তিনি ৬৬ বলে ১৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ২৯ বলে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখানে ডি ভিলিয়ার্সের আরেক রেকর্ড পেছনে পড়ে গেছে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ৩৬ বলে সেঞ্চুরিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে যৌথভাবে ষষ্ঠ সূর্যবংশী, কোরি অ্যান্ডারসন ও গ্রাহাম রোজ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। এর আগে ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্যাংক ট্রফিতে সমারসেটের হয়ে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রাহাম রোজ। ৩৫ বছর আগে সেই ম্যাচে রোজের প্রতিপক্ষ ছিল ডেভন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ তিন দলীয় ইনিংস
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
৫৭৪/৬ বিহার অরুণাচল প্রদেশ ২০২৫
৫০৬/২ তামিলনাড়ু অরুণাচল প্রদেশ ২০২২
৪৯৮/৪ ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডস ২০২২

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে।
২৭ জুন ২০২২
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১ ঘণ্টা আগে
লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
এনরিকের অধীনে পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা পিএসজি জিতেছে এ বছরই। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ কাপ, লিগ ওয়ানেও শিরোপা জেতে প্যারিসিয়ানরা। তাঁর অধীনে পিএসজির এমন সাফল্যে ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা রীতিমতো মুগ্ধ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এনরিকের সঙ্গে ‘আজীবন চুক্তি’র চিন্তাভাবনা করছে ফরাসি ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলে সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ক্লাব তাদের কোচের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই চুক্তি শেষ হলে আবার নবায়ন করা হয়। তবে আজীবন চুক্তির ব্যাপার ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে আগে কখনো দেখা যায়নি। পিএসজির সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এনরিকের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে।
২০২৩ সালে কোচ হওয়ার পর এনরিকের অধীনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে পিএসজি খেলেছে ১৪৩ ম্যাচ। প্যারিসিয়ানরা ১০১ ম্যাচ জিতেছে। হেরেছে ১৯ ম্যাচ ও ২৩ ম্যাচ ড্র করেছে। কোচ হিসেবে পিএসজিকে এখন পর্যন্ত ৯টি শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর অধীনে দুইবার করে লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ, ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নসের শিরোপা জিতেছে প্যারিসিয়ানরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার করে। উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা প্যারিসিয়ানরা জিতেছে এ বছরই।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে কদিন আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা পিএসজি জিতেছে টটেনহামকে হারিয়ে। এ বছরের জুন-জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চেলসির কাছে হেরেছে পিএসজি। এই শিরোপা জিতলে পিএসজির কোচ হিসেবে অন্যতম সেরা সাফল্য পেতেন তিনি।
পিএসজির কোচ হওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেন জাতীয় দলের কোচ ছিলেন এনরিকে। কাতারে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। মরক্কোর কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশরা। এদিকে ২০২৩ সালে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পিএসজি। গালতিয়ের চলে গেলে পিএসজির কোচের পদে বসেন এনরিকে। তাঁর অধীনে প্যারিসিয়ানরা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে বলে তাঁকে আজীবন রেখে দিতে যাচ্ছে পিএসজি।

লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
এনরিকের অধীনে পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা পিএসজি জিতেছে এ বছরই। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ কাপ, লিগ ওয়ানেও শিরোপা জেতে প্যারিসিয়ানরা। তাঁর অধীনে পিএসজির এমন সাফল্যে ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা রীতিমতো মুগ্ধ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এনরিকের সঙ্গে ‘আজীবন চুক্তি’র চিন্তাভাবনা করছে ফরাসি ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলে সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ক্লাব তাদের কোচের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই চুক্তি শেষ হলে আবার নবায়ন করা হয়। তবে আজীবন চুক্তির ব্যাপার ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে আগে কখনো দেখা যায়নি। পিএসজির সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এনরিকের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে।
২০২৩ সালে কোচ হওয়ার পর এনরিকের অধীনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে পিএসজি খেলেছে ১৪৩ ম্যাচ। প্যারিসিয়ানরা ১০১ ম্যাচ জিতেছে। হেরেছে ১৯ ম্যাচ ও ২৩ ম্যাচ ড্র করেছে। কোচ হিসেবে পিএসজিকে এখন পর্যন্ত ৯টি শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর অধীনে দুইবার করে লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ, ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নসের শিরোপা জিতেছে প্যারিসিয়ানরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার করে। উয়েফা সুপার কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা প্যারিসিয়ানরা জিতেছে এ বছরই।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে কদিন আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা পিএসজি জিতেছে টটেনহামকে হারিয়ে। এ বছরের জুন-জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চেলসির কাছে হেরেছে পিএসজি। এই শিরোপা জিতলে পিএসজির কোচ হিসেবে অন্যতম সেরা সাফল্য পেতেন তিনি।
পিএসজির কোচ হওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেন জাতীয় দলের কোচ ছিলেন এনরিকে। কাতারে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। মরক্কোর কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশরা। এদিকে ২০২৩ সালে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পিএসজি। গালতিয়ের চলে গেলে পিএসজির কোচের পদে বসেন এনরিকে। তাঁর অধীনে প্যারিসিয়ানরা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে বলে তাঁকে আজীবন রেখে দিতে যাচ্ছে পিএসজি।

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে।
২৭ জুন ২০২২
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
২ ঘণ্টা আগে
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে। তাসকিনের শারজা হারলে নিশ্চিত বাদ। যদি আজ জেতে, তবু তাসকিনদের সামনে থাকবে অনেক সমীকরণ। বর্তমানে ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। একনজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
আইএল টি-টোয়েন্টি
দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স
রাত ৮টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। মোস্তাফিজের দুবাই এই ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে প্লে-অফে। তাসকিনের শারজা হারলে নিশ্চিত বাদ। যদি আজ জেতে, তবু তাসকিনদের সামনে থাকবে অনেক সমীকরণ। বর্তমানে ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। একনজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
আইএল টি-টোয়েন্টি
দুবাই ক্যাপিটালস-শারজা ওয়ারিয়র্স
রাত ৮টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

আমাদের একটা স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে হলে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। যদি সংক্ষেপে বলি, সবার আগে পেশাদার হতে হবে। খেলোয়াড়, অ্যাথলেটরা ভালো করছে। অনেক জায়গায় নারী ফুটবল ভালো করতে শুরু করেছে।
২৭ জুন ২০২২
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
২ ঘণ্টা আগে
লুইস এনরিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির ক্যাবিনেটে শিরোপার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একের পর এক সফলতার গল্প লিখে চলা এনরিকের সঙ্গে এবার ব্যতিক্রমী এক চুক্তি করতে যাচ্ছে পিএসজি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ধরনের চুক্তি হয় না বললেই চলে।
৩ ঘণ্টা আগে