Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আফগানদের কাছে হার বড় কোনো আঘাত নয়

চোটে পড়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারেননি তানজিম সাকিব। ছবি: এএফপি

তানজিম হাসান সাকিব চোটে পড়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না। চোট কাটিয়ে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে ফিরতে ৭০-৮০ ভাগ গতিতে বোলিং শুরু করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে পুরো গতিতে বোলিং করবেন। এ মাসেই খেলতে যাবেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। গতকাল মিরপুর একাডেমিতে তাঁর সাম্প্রতিক হালহকিকত শুনলেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২২

প্রশ্ন: আপনার চোট থেকে সেরে ওঠার অগ্রগতি কতদূর?

তানজিম সাকিব: আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনেকটা ভালো। চিকিৎসক ও ফিজিওর পরামর্শে নিয়মিত জিম করছি। থেরাপি নিচ্ছি। মাঠে ফিরতে আর কিছুদিন সময় লাগবে, কিন্তু এ সময়ে ফিটনেস ও শক্তি ধরে রাখতে হালকা অনুশীলন ও জিম করছি। বোলিং শুরু করেছি। ৭০-৮০ ভাগ গতিতে বোলিং শুরু করছি। কোনো ব্যথা নেই। ইনশা আল্লাহ, আগামী সপ্তাহে পুরোপুরি বোলিং শুরু করতে পারব।

প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তুতি কবে থেকে শুরু করবেন?

তানজিম: একজন ক্রিকেটার কখনই চায় না চোটে পড়ে সিরিজ মিস করুক। আমার কাছে প্রথম খারাপ লেগেছে। চোট কারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এটা মেনে নিতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছি। আশা করছি, পুরোপুরি ফিট হয়ে সময়মতো খেলতে পারব। দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চাই এবং ভালো করে সিরিজে অবদান রাখতে চাই।

প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরই বিপিএল, এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বড় দুটি টুর্নামেন্ট নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

তানজিম: বিপিএলে সিলেট শক্তিশালী দলই গড়েছে এবং আমরা শিরোপা জিততে প্রস্তুতি নিচ্ছি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিতে চাই। এসব মঞ্চে খেলে নিজের দক্ষতা বাড়াতে চাই। আমি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকব, তখন হয়তো শুরু হয়ে যাবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। যদি দেশে ফিরে সুযোগ থাকে এই টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার চেষ্টা করব। আমি এ টুর্নামেন্ট বিপিএলের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছি। বিপিএলের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে নিতে পারি। বিপিএলে যেহেতু আমার দু-তিন বছরের খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে, এবার চেষ্টা করব আমার দল সিলেটটাকে ফাইনালে তুলতে।

প্রশ্ন: ভারত সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পেসাররা একেবারে ভালো করতে পারেননি। আপনি উইকেট পেলেও বেশ রান দিয়ে ফেলেছিলেন। ভারত সফরটা যদি ফিরে দেখেন, ভুল কোথায় হয়েছে বেশি?

তানজিম: বোলাদের জন্য উইকেট আসলে চ্যালেঞ্জিং ছিল। বল একটু সোজা চলে যাচ্ছিল, আর ব্যাটাররা ব্যাকফুটে খেলে রান তুলছিল। কিছু রান দিয়েছি, তবে উইকেট নেওয়াই ছিল প্রধান লক্ষ্য। কখনো কখনো খুব ভালো বলেও ব্যাটাররা রান করে ফেলে; কিন্তু এটা ক্রিকেটের একটি অংশ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সময়টা খারাপ যাচ্ছে। সাফল্য সেভাবে ধরা দিচ্ছে না; বরং ব্যর্থই হচ্ছে বেশি।

তানজিম: হ্যাঁ, আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আসলে প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। ক্রিকেটে খারাপ-ভালো সময় আসে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয় কঠিন হলেও, আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিটি ম্যাচে দলীয় পারফরম্যান্স উন্নত করা। আফগানিস্তানের সঙ্গে হার কিছুটা হতাশার হলেও, এটা আমাদের জন্য বড় কোনো আঘাত নয়। এই সিরিজে আমাদের নিজেদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পেরেছি। এটা কাটিয়ে উঠতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদিও খারাপ সময় যাচ্ছে, কিন্তু দলের মনোভাব শক্তশালীই আছে। আমরা জানি, একসঙ্গে কাজ করলে আমরা ফিরে আসতে পারব। শুধু সময়ের ব্যাপার, আমরা নিজেদের সেরা রূপে ফিরতে পারব।

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছর হয়ে গেছে। এ সময়ে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

তানজিম: মিশ্র অভিজ্ঞতা ছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা আমার ভালো গেছে। নিজেই খুব ভালো উপভোগ করেছি। জাতীয় দলের প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা এখনো অনেক কিছু শিখছি। আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। কীভাবে লম্বা সময় দেশকে সার্ভিস দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। গত এক বছরে কিছু ভালো করতে পেরেছি, তবে কিছু জায়গায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আমি নিজে আরও ধারাবাহিক ভালো করতে চাই। এ লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: বোলিংয়ে নতুন কোনো বৈচিত্র্য যোগ করেছেন?

তানজিম: চেষ্টা করি স্লোয়ার, নাকাল বল করার। তবে এখন চেষ্টা করছি অ্যাকশন ঠিক রেখে জোরের ওপর স্লোয়ার বল করার। এটা ব্যাটারদের কিছুটা বিভ্রান্ত করবে, যদি ঠিকঠাক আয়ত্ত করতে পারি। তবে আমার বোলিংয়ের মূল শক্তিই হচ্ছে ইন-সুইং, এটা যেন ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখছি।

প্রশ্ন: দলের লাল বলের পর সাদা বলে নাহিদ রানার অভিষেক হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ তো আছেনই। ইবাদত হোসেনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরার অপেক্ষায়। পেসারদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আবার বেড়েছে, চ্যালেঞ্জও কি বেড়ে গেল আপনার?

তানজিম: খুবই ভালো। নিজেদের মধ্যে এ প্রতিযোগিতা খুবই উপভোগ্য। এটিই হওয়া উচিত। একটি দেশের পেস বোলিংয়ের পাইপলাইন যত বেশি সমৃদ্ধ হবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, তত বেশি বোলারের কঠোর পরিশ্রমের প্রবণতা বাড়বে। কারণ, যে জানে তার প্রতিযোগী আছে দলে, সে যদি তার জায়গায় সেরা না হতে পারে, তাকে পেছনে ফেলে ওই জায়গায় আরেকজন ঠিকই চলে আসবে। আমাদের প্রতিযোগিতা আসলে কারও সঙ্গে নয়। আমাদের প্রতিযোগিতা নিজেদের সক্ষমতা এবং সামর্থ্যের সঙ্গে। আমি নিজেকে কতটুকু উন্নত করে অন্যদের ছাড়িয়ে যেতে পারছি, এটিই প্রতিযোগিতা। এখন যদি দেখা যায়, শরীফুল ভাই, ইবাদত ভাই যদি উন্নতি করে আবার ফিরে আসেন, তাহলে আমিসহ বাকিদেরও সেরাটা দেওয়ার তাগিদ তৈরি হবে।

প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, সেটিও গায়ানার হয়ে। সুযোগটা কীভাবে এল?

তানজিম: গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিত। এটি একটি বড় সুযোগ এবং এখানে ভালো পারফর্ম করতে পারলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হবে। আশা করছি, এর মাধ্যমে নিজেকে আরও উন্নত করতে পারব। এই লিগে খেলার প্রস্তাব আমাকে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ভাই। তিনি আমার নাম্বার ম্যানেজ করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিশ্বকাপে আমার বোলিং দেখেছেন। আমার বোলিং নাকি তাঁর ভালো লেগেছে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি ফ্রি আছি কি না? আমি বলেছিলাম, ফ্রি আছি। এরপর আমার এজেন্টের সঙ্গে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

প্রশ্ন: গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর দল থাকবে। দেশের কোনো দলের হয়ে না খেলতে পেরে কি আফসোস আছে?

তানজিম: পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি যে দলের হয়ে খেলব, সেখানে সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব। দেশের কোনো দলের হয়ে খেলতে পারলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ একটু সহায়ক হতো। যেহেতু সুযোগ হয়নি, যে দলে আছি, ওটাতেই মনোযোগ রাখব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুয়া-কাণ্ডে তুরস্কের ২৯ ফুটবলারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৯
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। তাঁদের মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।

অভিযুক্ত ফুটবলাররা কোন ক্লাবের, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগের একটি ম্যাচে বাজি-কাণ্ডে জড়ায় দুটি ক্লাব। বাজি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন খোদ ওই দুটি ক্লাবের সভাপতি।

প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আদেশে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করেছে। পাঁচজন বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৭ জন তাঁদের নিজস্ব দলের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত।

তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মেতেহান বালতাচি, যিনি বর্তমান তুর্কি চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের হয়ে খেলছেন। এই মাসের শুরুতে বাজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ৯ মাসের জন্য বরখাস্ত করেছিল তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যাচটি সহজে তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে আসে। কারণ, সেই ম্যাচে কোনো দলই গোল করার জন্য ন্যূনতম চেষ্টা করেনি। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকে পুরো তদন্ত শুরু হয়েছিল।

প্রসিকিউটররা তাঁদের নিজস্ব দলের সঙ্গে বাজি ধরার সন্দেহে থাকা অন্য ২৬ জন খেলোয়াড়কে শনাক্ত করতে পারেননি। তবে বলেছেন, ইস্তাম্বুলের আরেকটি প্রধান ক্লাব ফেনারবাচের হয়ে খেলা মের্ট হাকান ইয়ান্দাস অন্য কারও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাজি ধরেছিলেন।

এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি তুর্কি খেলোয়াড়কে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ। এর মধ্যে দেশটির সুপার লিগের ২৫ জন ফুটবলার আছেন। তাঁদের ৪৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ৯০০ জনের বেশি ফুটবলার তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের। বাজি-কাণ্ডে গত অক্টোবরে প্রায় ১৫০ জন রেফারিকে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবারও কিংসের বড় জয়, রাকিবের হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি

মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের দল।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কিংসকে ৪১ মিনিটের বেশি সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। রাকিব হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ডানপ্রান্ত ত্রাস সৃষ্টি করা এই উইঙ্গার পেয়েছেন হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টের স্বাদ। যদিও গোলের দেখা পাননি। দোরিয়েলতনকে দিয়ে প্রথম গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো ক্রস দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে জালে পাঠান দোরিয়েলতন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দোরিয়েলতনের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

বিরতির পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে কিংস। ৫০ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাক থেকে বার ঘেঁষে গোল আদায় করেন এমানুয়েল সানডে। চার মিনিট পর আবারও রাকিবের অ্যাসিস্ট। এবার তাঁর ব্যাকপাসে ডিফ্লেক্টেড শটে বল জালে পাঠান সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের লং পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দোরিয়েলতন। ৯০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান কমান ব্রাদার্সের মোজাম্মেল হোসেন নীরা।

৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল কিংস।  দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ব্রাদার্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদায়ী ম্যাচের আগে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন মেসির সতীর্থ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।

এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’

২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’

ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।

মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন হরভজন

ক্রীড়া ডেস্ক    
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।

সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’

দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত