Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

তারাও আমাকে স্যালুট দেবে

তারাও আমাকে স্যালুট দেবে

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে আলোচনার কেন্দ্রে ইবাদত হোসেন। ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার পাওয়া এই পেসারের সঙ্গে গতকাল ফোনে কথা বলেন রানা আব্বাস। কথা হয়েছে তাঁর পারফরম্যান্স, তাঁকে নিয়ে সমালোচনা, ‘স্যালুট’ উদযাপনসহ নানা বিষয়ে।

রানা আব্বাস
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৪

প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম জয়, আর সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচসেরা হওয়া—অনুমিত প্রশ্ন, এই মুহূর্তটা কাটছে কেমন? 
ইবাদত হোসেন: অবশ্যই ভালো লাগছে। দেখুন ক্যারিয়ারটা এমনভাবে আমার শুরু হয়েছে...চাই না আমার মতো ক্যারিয়ার আর কারও হোক।

প্রশ্ন: কেন এমন উপলব্ধি হচ্ছে? 
ইবাদত: দেশের হয়ে যারা খেলবে, তাদের ক্যারিয়ার আমার চেয়েও ভালো হোক। অভিষেকেই ৫ উইকেট, ৭ উইকেট, ১০ উইকেট মারবে। সেটা অনেক বেশি ভালো লাগবে। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে কী, ছোট ছোট সাফল্য যেমন—অনেক কষ্ট করে এক-দুইটা করে উইকেট পাওয়া, এটা অনেক আনন্দের। আজ (গতকাল) এটা নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাঁকে বলছিলাম, আমি একটা উইকেটও সহজে পাইনি। তিনি আমাকে বলছেন, ওয়েলকাম টু টেস্ট ক্রিকেট। ফলে এটা মোটেও সহজ ছিল না।

প্রশ্ন: আপনাকে লম্বা সময় একটা ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হলো। ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট এসে অবশেষে দুর্দান্ত ইবাদতকে দেখা গেল। 
ইবাদত: এ কারণেই বেশি আনন্দ লাগছে। ১০-১২টা ম্যাচের পর আপনি যখন সফল হবেন, তখন বুঝলেন, শিখতে শিখতেই আপনি পেলেন। এসেই যদি ইনিংসে ৫-৭ উইকেট পেয়ে যেতাম, তাহলে মনে হতো আমার পুরোপুরি শেখা হয়নি। ছোট ছোট ধাপে শিখতে শিখতে আজ এ পর্যায়ে এলাম, তাতে মনে হচ্ছে, কিছু শিখে এটা পেয়েছি। চেষ্টা করব, এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। 

প্রশ্ন: গত তিন বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে সমালোচনাই বেশি সইতে হয়েছে আপনাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কত ট্রলিং হয়েছে। এ সময় মানসিকভাবে শক্ত থেকে নিজের কাজ করে যাওয়া কতটা কঠিন? 
ইবাদত: প্রথমে চিন্তা করতে হবে, আপনাকে নিয়ে যে কথা বলছে, সে কে? সে কি ওই বিষয়ে ভালো জানে? কতটা জানে? এসব পরিমাপ করতে হবে। এসব আমি কানে নিই না। শুধু আমি কেন, আমার সতীর্থদের কেউই এসব নেয় না। ক্রিকেট বোর্ডও নেয় না। ক্রিকেট বোর্ড যদি কানে নিত, তাহলে আমাকে দলে রাখত না। নির্বাচক প্যানেলে যাঁরা আছেন, সবাই ক্রিকেট খেলে এসেছেন। যিনি টিম ডিরেক্টর, তিনিও ক্রিকেট খেলে এসেছেন। তাঁরা তাই ভালো জানেন। যারা ভালো বুঝবে, তারা অহেতুক সমালোচনা করবে না। অজ্ঞরাই শুধু করবে। আমাকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলছে, তাই বোঝার চেষ্টা করি, সে বিষয়টা কতটা জানে। আরেকটি বিষয়, দেশ বা পরিবারকে বাইরে কীভাবে উপস্থাপন করবেন, এটা আপনার ব্যাপার। আমি আমার দেশ বা খেলোয়াড়দের নিজের পরিবারের সদস্য মনে করি। সেই সদস্যদের যদি অহেতুক হেয় করতে চাই, করতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি তা পারি না। 

প্রশ্ন: এই টেস্টে আপনার বোলিংটা নিয়ে যদি জানতে চাই, কোন সূত্র ধরে এই সাফল্য পাওয়া? 
ইবাদত: সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ), মুশফিক ভাই, আমাদের অধিনায়ক (মুমিনুল হক) যেভাবে আমাদের দলটা এক সুতোয় গেঁথেছেন—দুর্দান্ত। এখানে আসার পর সুজন স্যার প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, সর্বশেষ ১১ বছর কেউ (এশিয়ার) এখানে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও বলেছি। আমার ভাঙা ইংরেজি সবাই কতটা বুঝতে পেরেছে, কে জানে (হাসি)! তবে মনের অনুভূতিটা বলার চেষ্টা করেছি। যেটা বলছিলাম, এখানে সর্বশেষ ১১ বছর (কোনো এশিয়ার দল) জেতেনি। এখানে আসার পর টিম ডিরেক্টর বলছেন, আমরা সবাই হাত ওঠাব। কাউকে না কাউকে জিততে হবে। আগে কেউ জেতেনি বলে কখনোই জিতব না? সবাই হাত তোলো, প্রতিজ্ঞা করো, আমরা এই দল নিউজিল্যান্ডকে হারাব। আমরাই ইতিহাস সৃষ্টি করব। বিশ্বাস করুন, এই কথাটা ভেতরে এমনভাবে স্পর্শ করেছে। তখন মনে হয়েছে, হয় এটাই আমার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলব, তবু দলকে জিতিয়েই ছাড়ব। বিশ্বাস করুন, লাঞ্চের আগে দলকে জিতিয়েই ফিরেছি। 

প্রশ্ন: সত্যি শিহরণ জাগানো বিষয়...। 
ইবাদত: এই টেস্টে প্রতিটি সেশন, প্রতিটা দিনের খেলা দেখুন। আমরা যারা খেলেছি, যারা একাদশের বাইরে ছিল—প্রত্যেকের চেষ্টা ছিল। সবার বিশ্বাস ছিল, এই টেস্ট ম্যাচটা আমরা জিতব...এটা শুরু মাত্র। আপনার সব সহকর্মীকে বলে দিতে পারেন, যেদিন দেশের ১৬ কোটি মানুষ একসঙ্গে বিশ্বাস করবে—বাংলাদেশ দল জিতবে, সেদিন আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা ম্যাচ জিতব। প্রতিটা ম্যাচ জিতব। আমাদের নিয়ে যারা মজা করে, তাদেরও বলে দিতে পারেন। বিষয়টা দেখুন, ওরা (নিউজিল্যান্ড) টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী দল। ওদেরকে ওদের মাটিতে হারানো, ইটজ নট আ জোক। আমরা যদি ওদের মাটিতে হারাতে পারি; তাহলে ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের মাটিতেও জিততে পারব ইনশা আল্লাহ। এই বিশ্বাসটা শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যেই নয়, দেশের সবার মধ্যেই থাকতে হবে। যেদিন ১৬ কোটি মানুষ একসঙ্গে বিশ্বাস করবে, বাংলাদেশ সবাইকে হারাতে পারে, সেদিন আমরা সবাইকে হারাতে পারব। বাংলাদেশের ক্রিকেট ধারাবাহিক জিতবেই ইনশা আল্লাহ। 

প্রশ্ন: উইকেট পেলেই স্যালুট দেন, আপনার ট্রেডমার্ক উদযাপনের বিষয়টা শুনতে চাই। 
ইবাদত: আমাকে যারা আপনারা চেনেন, জানেন, আমি বিমানবাহিনীর একজন সদস্য। গর্ববোধ করি এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে। একটু আগে চিফ অব এয়ার স্টাফের সঙ্গে কথা হলো। তিনি অনেক প্রশংসা করলেন। আসলে বিমানবাহিনী থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রতিনিধিত্ব করা—দুটোই আমার জন্য অনেক আনন্দের আর গর্বের বিষয়। এটা ভাষায় বোঝাতে পারব না। বিমানবাহিনী আমাকে ট্রেনিং করিয়েছে। নিখুঁতভাবে কীভাবে স্যালুট দিতে হয়, আমি সেটা জানি। এটা বিমানবাহিনীর জন্যও অনেক গৌরবের ব্যাপার। 

প্রশ্ন: এখন তো সবাই আপনাকে স্যালুট দিচ্ছে! 
ইবাদত: (হেসে) ম্যাচের পর সতীর্থরা আমাকে বলছে, তারাও আমাকে স্যালুট দেবে। ফেসবুকে এমন একটা ছবি পোস্ট করার পর এখন অনেকেই দেখি স্যালুট দিচ্ছে! এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। 

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে নিয়মিত স্যালুট দেখতে চাইবে বাংলাদেশ দল। এ ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? 
ইবাদত: যেটা বলেছি, যত দিন ১৬ কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, আমাদের কেউ হারাতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩ ফিফটিতে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৫
৪৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ছবি: ক্রিকইনফো
৪৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ছবি: ক্রিকইনফো

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনটাই হতে পারত অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বাদ সাধেন জো রুট। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের হার না মানা সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম দিনের লড়াই জমিয়ে তোলে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন আর স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে উঠলেন না ইংলিশরা। ৩ ফিফটিতে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্টিভ স্মিথের দল।

গ্যাবায় ৩২৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। এদিন নিজেদের সংগ্রহটা বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি বেন স্টোকসরা। ৩৩৪ রানে অলআউট হন তাঁরা। জফরা আর্চার ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বেন ডগেটের বলে আউট হলে থামে ইংল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। ৭৬ রান এনে দেন জ্যাক ক্রলি। হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। ৭৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মিচেল স্টার্ক।

জবাবে ৩৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট হাতে রেখে ৪৪ রানের লিড নিয়েছেন অজিরা। উইকেটে আসা সবাই দলকে ভরসা দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে নিয়ে ৭৭ রান তোলেন উসমান খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া ট্রাভিস হেড। ৩৩ রান করে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মারনাশ লাবুশেনকে নিয়ে ৬৯ রান যোগ করেন ওয়েদারাল্ড। তাঁর বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। আর্চারের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ার আগে ৭২ রান করেন ওয়েদারাল্ড। দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটারের হয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ওয়েদারাল্ডের পর ফিফটি তুলে নেন লাবুশেন ও স্মিথ। তাঁদের অবদান ৬৫ ও ৬১ রান। ফিফটির অপেক্ষায় আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৪৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাত্র ৫ রানের জন্য ফিফটিবঞ্চিত হন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ব্রাইডন কার্সের বলে বোল্ড হন তিনি। ক্যারির সঙ্গে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মাইকেল নেসার। ১৫ রানে অপরাজিত আছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ১১৩ রানে ৩ উইকেট নেন কার্স। স্টোকসের শিকার ২ উইকেট। ৯৩ রান খরচ করেন ইংলিশ দলপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুয়া-কাণ্ডে তুরস্কের ২৯ ফুটবলারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৯
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। তাঁদের মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।

অভিযুক্ত ফুটবলাররা কোন ক্লাবের, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগের একটি ম্যাচে বাজি-কাণ্ডে জড়ায় দুটি ক্লাব। বাজি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন খোদ ওই দুটি ক্লাবের সভাপতি।

প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আদেশে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করেছে। পাঁচজন বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৭ জন তাঁদের নিজস্ব দলের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত।

তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মেতেহান বালতাচি, যিনি বর্তমান তুর্কি চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের হয়ে খেলছেন। এই মাসের শুরুতে বাজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ৯ মাসের জন্য বরখাস্ত করেছিল তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যাচটি সহজে তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে আসে। কারণ, সেই ম্যাচে কোনো দলই গোল করার জন্য ন্যূনতম চেষ্টা করেনি। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকে পুরো তদন্ত শুরু হয়েছিল।

প্রসিকিউটররা তাঁদের নিজস্ব দলের সঙ্গে বাজি ধরার সন্দেহে থাকা অন্য ২৬ জন খেলোয়াড়কে শনাক্ত করতে পারেননি। তবে বলেছেন, ইস্তাম্বুলের আরেকটি প্রধান ক্লাব ফেনারবাচের হয়ে খেলা মের্ট হাকান ইয়ান্দাস অন্য কারও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাজি ধরেছিলেন।

এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি তুর্কি খেলোয়াড়কে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ। এর মধ্যে দেশটির সুপার লিগের ২৫ জন ফুটবলার আছেন। তাঁদের ৪৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ৯০০ জনের বেশি ফুটবলার তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের। বাজি-কাণ্ডে গত অক্টোবরে প্রায় ১৫০ জন রেফারিকে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবারও কিংসের বড় জয়, রাকিবের হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৯
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি

মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের দল।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কিংসকে ৪১ মিনিটের বেশি সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। রাকিব হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ডানপ্রান্ত ত্রাস সৃষ্টি করা এই উইঙ্গার পেয়েছেন হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টের স্বাদ। যদিও গোলের দেখা পাননি। দোরিয়েলতনকে দিয়ে প্রথম গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো ক্রস দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে জালে পাঠান দোরিয়েলতন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দোরিয়েলতনের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

বিরতির পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে কিংস। ৫০ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাক থেকে বার ঘেঁষে গোল আদায় করেন এমানুয়েল সানডে। চার মিনিট পর আবারও রাকিবের অ্যাসিস্ট। এবার তাঁর ব্যাকপাসে ডিফ্লেক্টেড শটে বল জালে পাঠান সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের লং পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দোরিয়েলতন। ৯০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান কমান ব্রাদার্সের মোজাম্মেল হোসেন নীরা।

৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল কিংস।  দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ব্রাদার্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদায়ী ম্যাচের আগে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন মেসির সতীর্থ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।

এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’

২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’

ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।

মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত