Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

তারাও আমাকে স্যালুট দেবে

তারাও আমাকে স্যালুট দেবে

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে আলোচনার কেন্দ্রে ইবাদত হোসেন। ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার পাওয়া এই পেসারের সঙ্গে গতকাল ফোনে কথা বলেন রানা আব্বাস। কথা হয়েছে তাঁর পারফরম্যান্স, তাঁকে নিয়ে সমালোচনা, ‘স্যালুট’ উদযাপনসহ নানা বিষয়ে।

রানা আব্বাস
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৪

প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম জয়, আর সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচসেরা হওয়া—অনুমিত প্রশ্ন, এই মুহূর্তটা কাটছে কেমন? 
ইবাদত হোসেন: অবশ্যই ভালো লাগছে। দেখুন ক্যারিয়ারটা এমনভাবে আমার শুরু হয়েছে...চাই না আমার মতো ক্যারিয়ার আর কারও হোক।

প্রশ্ন: কেন এমন উপলব্ধি হচ্ছে? 
ইবাদত: দেশের হয়ে যারা খেলবে, তাদের ক্যারিয়ার আমার চেয়েও ভালো হোক। অভিষেকেই ৫ উইকেট, ৭ উইকেট, ১০ উইকেট মারবে। সেটা অনেক বেশি ভালো লাগবে। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে কী, ছোট ছোট সাফল্য যেমন—অনেক কষ্ট করে এক-দুইটা করে উইকেট পাওয়া, এটা অনেক আনন্দের। আজ (গতকাল) এটা নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাঁকে বলছিলাম, আমি একটা উইকেটও সহজে পাইনি। তিনি আমাকে বলছেন, ওয়েলকাম টু টেস্ট ক্রিকেট। ফলে এটা মোটেও সহজ ছিল না।

প্রশ্ন: আপনাকে লম্বা সময় একটা ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হলো। ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট এসে অবশেষে দুর্দান্ত ইবাদতকে দেখা গেল। 
ইবাদত: এ কারণেই বেশি আনন্দ লাগছে। ১০-১২টা ম্যাচের পর আপনি যখন সফল হবেন, তখন বুঝলেন, শিখতে শিখতেই আপনি পেলেন। এসেই যদি ইনিংসে ৫-৭ উইকেট পেয়ে যেতাম, তাহলে মনে হতো আমার পুরোপুরি শেখা হয়নি। ছোট ছোট ধাপে শিখতে শিখতে আজ এ পর্যায়ে এলাম, তাতে মনে হচ্ছে, কিছু শিখে এটা পেয়েছি। চেষ্টা করব, এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। 

প্রশ্ন: গত তিন বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে সমালোচনাই বেশি সইতে হয়েছে আপনাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কত ট্রলিং হয়েছে। এ সময় মানসিকভাবে শক্ত থেকে নিজের কাজ করে যাওয়া কতটা কঠিন? 
ইবাদত: প্রথমে চিন্তা করতে হবে, আপনাকে নিয়ে যে কথা বলছে, সে কে? সে কি ওই বিষয়ে ভালো জানে? কতটা জানে? এসব পরিমাপ করতে হবে। এসব আমি কানে নিই না। শুধু আমি কেন, আমার সতীর্থদের কেউই এসব নেয় না। ক্রিকেট বোর্ডও নেয় না। ক্রিকেট বোর্ড যদি কানে নিত, তাহলে আমাকে দলে রাখত না। নির্বাচক প্যানেলে যাঁরা আছেন, সবাই ক্রিকেট খেলে এসেছেন। যিনি টিম ডিরেক্টর, তিনিও ক্রিকেট খেলে এসেছেন। তাঁরা তাই ভালো জানেন। যারা ভালো বুঝবে, তারা অহেতুক সমালোচনা করবে না। অজ্ঞরাই শুধু করবে। আমাকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলছে, তাই বোঝার চেষ্টা করি, সে বিষয়টা কতটা জানে। আরেকটি বিষয়, দেশ বা পরিবারকে বাইরে কীভাবে উপস্থাপন করবেন, এটা আপনার ব্যাপার। আমি আমার দেশ বা খেলোয়াড়দের নিজের পরিবারের সদস্য মনে করি। সেই সদস্যদের যদি অহেতুক হেয় করতে চাই, করতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি তা পারি না। 

প্রশ্ন: এই টেস্টে আপনার বোলিংটা নিয়ে যদি জানতে চাই, কোন সূত্র ধরে এই সাফল্য পাওয়া? 
ইবাদত: সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ), মুশফিক ভাই, আমাদের অধিনায়ক (মুমিনুল হক) যেভাবে আমাদের দলটা এক সুতোয় গেঁথেছেন—দুর্দান্ত। এখানে আসার পর সুজন স্যার প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, সর্বশেষ ১১ বছর কেউ (এশিয়ার) এখানে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও বলেছি। আমার ভাঙা ইংরেজি সবাই কতটা বুঝতে পেরেছে, কে জানে (হাসি)! তবে মনের অনুভূতিটা বলার চেষ্টা করেছি। যেটা বলছিলাম, এখানে সর্বশেষ ১১ বছর (কোনো এশিয়ার দল) জেতেনি। এখানে আসার পর টিম ডিরেক্টর বলছেন, আমরা সবাই হাত ওঠাব। কাউকে না কাউকে জিততে হবে। আগে কেউ জেতেনি বলে কখনোই জিতব না? সবাই হাত তোলো, প্রতিজ্ঞা করো, আমরা এই দল নিউজিল্যান্ডকে হারাব। আমরাই ইতিহাস সৃষ্টি করব। বিশ্বাস করুন, এই কথাটা ভেতরে এমনভাবে স্পর্শ করেছে। তখন মনে হয়েছে, হয় এটাই আমার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলব, তবু দলকে জিতিয়েই ছাড়ব। বিশ্বাস করুন, লাঞ্চের আগে দলকে জিতিয়েই ফিরেছি। 

প্রশ্ন: সত্যি শিহরণ জাগানো বিষয়...। 
ইবাদত: এই টেস্টে প্রতিটি সেশন, প্রতিটা দিনের খেলা দেখুন। আমরা যারা খেলেছি, যারা একাদশের বাইরে ছিল—প্রত্যেকের চেষ্টা ছিল। সবার বিশ্বাস ছিল, এই টেস্ট ম্যাচটা আমরা জিতব...এটা শুরু মাত্র। আপনার সব সহকর্মীকে বলে দিতে পারেন, যেদিন দেশের ১৬ কোটি মানুষ একসঙ্গে বিশ্বাস করবে—বাংলাদেশ দল জিতবে, সেদিন আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা ম্যাচ জিতব। প্রতিটা ম্যাচ জিতব। আমাদের নিয়ে যারা মজা করে, তাদেরও বলে দিতে পারেন। বিষয়টা দেখুন, ওরা (নিউজিল্যান্ড) টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী দল। ওদেরকে ওদের মাটিতে হারানো, ইটজ নট আ জোক। আমরা যদি ওদের মাটিতে হারাতে পারি; তাহলে ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের মাটিতেও জিততে পারব ইনশা আল্লাহ। এই বিশ্বাসটা শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যেই নয়, দেশের সবার মধ্যেই থাকতে হবে। যেদিন ১৬ কোটি মানুষ একসঙ্গে বিশ্বাস করবে, বাংলাদেশ সবাইকে হারাতে পারে, সেদিন আমরা সবাইকে হারাতে পারব। বাংলাদেশের ক্রিকেট ধারাবাহিক জিতবেই ইনশা আল্লাহ। 

প্রশ্ন: উইকেট পেলেই স্যালুট দেন, আপনার ট্রেডমার্ক উদযাপনের বিষয়টা শুনতে চাই। 
ইবাদত: আমাকে যারা আপনারা চেনেন, জানেন, আমি বিমানবাহিনীর একজন সদস্য। গর্ববোধ করি এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে। একটু আগে চিফ অব এয়ার স্টাফের সঙ্গে কথা হলো। তিনি অনেক প্রশংসা করলেন। আসলে বিমানবাহিনী থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রতিনিধিত্ব করা—দুটোই আমার জন্য অনেক আনন্দের আর গর্বের বিষয়। এটা ভাষায় বোঝাতে পারব না। বিমানবাহিনী আমাকে ট্রেনিং করিয়েছে। নিখুঁতভাবে কীভাবে স্যালুট দিতে হয়, আমি সেটা জানি। এটা বিমানবাহিনীর জন্যও অনেক গৌরবের ব্যাপার। 

প্রশ্ন: এখন তো সবাই আপনাকে স্যালুট দিচ্ছে! 
ইবাদত: (হেসে) ম্যাচের পর সতীর্থরা আমাকে বলছে, তারাও আমাকে স্যালুট দেবে। ফেসবুকে এমন একটা ছবি পোস্ট করার পর এখন অনেকেই দেখি স্যালুট দিচ্ছে! এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। 

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে নিয়মিত স্যালুট দেখতে চাইবে বাংলাদেশ দল। এ ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? 
ইবাদত: যেটা বলেছি, যত দিন ১৬ কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, আমাদের কেউ হারাতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিএলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছেন মোস্তারি

কারিমুল ইসলাম, ঢাকা
সবশেষ বিসিএলে চার ফিফটিতে ২৫৯ রান করেছেন মোস্তারি। ছবি: বিসিবি
সবশেষ বিসিএলে চার ফিফটিতে ২৫৯ রান করেছেন মোস্তারি। ছবি: বিসিবি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে কদিন পর। আপাতত কোনো ব্যস্ততা না থাকায় বাকি সতীর্থদের মতো সোবহানা মোস্তারির সময়টাও কাটছে নিজের মতো করেই; অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। সদ্য শেষ হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) নির্ভার ব্যাটিংয়ে দারুণ সফল উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক। রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন এই ব্যাটার। সবশেষ টি-টোয়েন্টি নারী বিসিএল তাঁকে দিয়েছে দুহাত ভরে।

চার দল নিয়ে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিসিএলে মোস্তারির নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে উত্তরাঞ্চল। এর আগেও বিভিন্ন সময় ঘরোয়া লিগে অধিনায়কত্বের ভার ছিল ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাঁধে। কখনো অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। অবশেষে ফুরিয়েছে সে অপেক্ষা। বিসিএলে অধিনায়কত্বের মতো ব্যাট হাতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকেই। ৬ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ১২৬.৩৪ স্ট্রাইকরেটে করেছেন সর্বোচ্চ ২৫৯ রান। এই পরিসংখ্যানই সাক্ষ্য দিচ্ছে, বিসিএলটা কেমন গেছে মোস্তারির।

পঞ্চম রাউন্ড শেষে উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল সমান ৮ পয়েন্ট। শেষ রাউন্ড তাই দুই দলের জন্য অলিখিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়ায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির মধ্যাঞ্চল। তাদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে উত্তরাঞ্চল। সে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার দরকার হয়নি মোস্তারির।

চ্যাম্পিয়ন হলেও বিসিএলে উত্তরাঞ্চলের শুরুটা ছিল হার দিয়ে। সকালের সূর্য যে সব সময় বাকি দিনের পূর্বাভাস দেয় না, সেটাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শিরোপা নিজেদের করে নেয় দলটি। এটা সম্ভব হয়েছে মোস্তারির চওড়া ব্যাটের কল্যাণে। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে শেষ রাউন্ডের আগে পাওয়া চারটি জয়েই টানা ফিফটি হাঁকান মোস্তারি। সবগুলো ম্যাচেই জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। মোস্তারি নিজেই বিসিএলে এমন পারফরম্যান্স আশা করেননি।

ব্যাট হাতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও ভালোই গেছে এই ব্যাটারের। করেন ১৯১ রান। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাট হাতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও ভালোই গেছে এই ব্যাটারের। করেন ১৯১ রান। ছবি: সংগৃহীত

বিসিএলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মোস্তারি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ খেলার পর আমি হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ি। এরপর খেলা চালিয়ে যাব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পরে সতীর্থরা সাহস দেওয়ায় আমি খেলা চালিয়ে গেছি। আমি এই বিসিএল থেকে যা আশা করেছিলাম তার থেকেও বেশি পেয়েছি। আমার জন্য ম্যাচ জেতানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেটা আমি মাঠে থেকেই করতে পেরেছি।’

অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতায় একটু বেশিই খুশি মোস্তারি, ‘৩-৪ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছি। সব সময় ইচ্ছা ছিল অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতার। সেটা হচ্ছিল না। তাই আমার প্রথম ইচ্ছা ছিল অধিনায়ক হিসেবে বিসিএলে শিরোপা জেতার। আর ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলেন, বিসিএল শুরুর করার আগে আমি আসলে চিন্তা করতে পারিনি যে এতটা দুর্দান্ত হবে।’

বিসিএলের দারুণ ব্যাটিং এবং অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা সামনের দিনগুলোতে কাজে লাগাতে চান মোস্তারি, ‘একজন ব্যাটার কখনো কখনো অফফর্মে চলে যায়। আমি বিসিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো নাও খেলতে পারি। পরের সিরিজে ভালো রানখরাতেও ভুগতে পারি। কিন্তু বিসিএল থেকে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা আমার জন্য সত্যিই অন্যরকম। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছি। এটা কোনো এক মসয় ঠিকই আমার জন্য কাজে দেবে।’

আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। নিশ্চয় মোস্তারি চাইবেন দলের জন্য ভালো কিছু করতে। ছবি: ক্রিকবাজ
আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। নিশ্চয় মোস্তারি চাইবেন দলের জন্য ভালো কিছু করতে। ছবি: ক্রিকবাজ

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি ফিফটিতে ১৯১ রান করেন মোস্তারি। বিশ্বমঞ্চের ফর্ম বিসিএলে বাড়তি সাহস জুগিয়েছে এই ব্যাটারকে। তিনি বলেন, ‘সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে যে সাহস নিয়ে ব্যাটিং করেছি সেটা আমাকে বিসিএলে আমার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। যেহেতু বিসিএল ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট ছিল, তাই পরবর্তীতে আমাদের যে খেলাগুলো আছে, যেমন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব বা বিশ্বকাপের মূল পর্বে এভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।’

২০১৮ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন মোস্তারি। এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছিলেন না। তবে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সেরা ছন্দে আছেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দুটি ফিফটিতে করেন ১৯১ রান। বিশ্বকাপকে তাই নিজের ক্যারিয়ারের জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন মোস্তারি। বিশ্বকাপের ফর্ম কাজে লাগিয়ে বিসিএলে বাজিমাত করেছেন তিনি।

মোস্তারি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি ওয়ানডে বিশ্বকাপটা টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। যদিও সেটা ৫০ ওভারের খেলা ছিল। আর সবশেষ বিসিএলে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলছি। দুইটার সঙ্গে পার্থক্য করা যাবে না। কিন্তু ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতার দিক থেকে বলা হলে–যেমন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা, উইকেটে টিকে যাওয়া, কিছু বিষয় বোঝার দিক থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা আমার জন্য টার্নিং পয়েন্ট।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনে বোলিংয়ে তাসকিনদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৬
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পেয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ। ঠিক তার পরের দিনই জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানি এই পেসার। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল চট্টগ্রাম রয়্যালস। ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানি পেসারের নাম উঠে গেল বিপিএলের এক রেকর্ড বইয়ে।

বিপিএলে এক ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নেওয়া তৃতীয় পেসার হয়ে গেলেন ফাহিম আশরাফ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ৩.৫ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এবার ফাহিম ৫ উইকেট নিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতে ফরচুন বরিশালের হয়ে এমন কীর্তি গড়েছিলেন পাকিস্তানি তারকা অলরাউন্ডার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩.১ ওভারে ৫ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ফাহিমের আগে তাসকিন আহমেদ, থিসারা পেরেরার বিপিএলে এক ইনিংসে দুইবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।

তাসকিন, পেরেরাও এমন কীর্তি গড়েন দুটি আলাদা দলের হয়ে। এ বছরের জানুয়ারিতে মিরপুরে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাঁর এই বোলিং বিপিএল ইতিহাসেই সেরা। এর আগে ২০১৬ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। সেবার তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল রাজশাহী কিংস। থিসারা পেরেরা ২০১৫ ও ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পেরেরা খেলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

সিলেটে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের স্কোর হয়ে এক পর্যায়ে ছিল ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান। তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শেখকে বোল্ড করে চট্টগ্রামের ইনিংসে ভাঙনের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাঈম করেন ৩৯ রান। ৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন ফাহিম আশরাফ। মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ, শেখ মেহেদী হাসান, আবু হায়দার রনি. শরীফুল ইসলাম—এই পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফাহিম আশরাফ।

বিপিএলে এক ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি
নামইনিংসে ৫ উইকেট কতবারদল
ফাহিম আশরাফফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স
তাসকিন আহমেদদুর্বার রাজশাহী, চিটাগং ভাইকিংস
থিসারা পেরেরারংপুর রাইডার্স, ঢাকা প্লাটুন
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত

খেলোয়াড়ি জীবনে শোয়েব আখতার ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম। তাঁর গতিময় বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হতো বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। এমন কথাও প্রচলিত আছে, সাবেক পেসারের সামনে ব্যাট করতে পা কাঁপতো অনেকের। শোয়েবের গতি সামাল দিতে না পেরে মাঠেই বড় ধরনের আঘাত পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার।

যাঁকে নিয়ে ব্যাটারদের এত ভয় ছিল, সেই শোয়েব আখতারও একজনকে ভীষণ ভয় পেতেন। তিনি সাবেক পেসারের মা হামিদা আওয়ান। ভয় পাওয়ার পাশাপাশি মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন শোয়েব। তাই সব সময় মায়ের হুকুম মেনে চলতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হামিদা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন শোয়েব।

আরও আগেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন শোয়েব। বিদায় বললেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই তিনি। কখনো টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষক আবার কখনো পরামর্শ হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিকেট নিয়ে সমসাময়িক আলোচনা-সমালোচনা করেন। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হন শোয়েব। সেখানেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রয়াত মায়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

শোয়েব বলেন, ‘আমি আমার মাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম। আমি তাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম এবং সবচেয়ে বেশি ভয়ও পেতাম। যখনই তিনি আমাকে কিছু করতে বলতেন, কখনোই না বলতে পারতাম না। তাই সবসময় তাঁর কথা শুনতাম এবং নিশ্চিত করতাম যে কখনো যেন মাকে না বলতে না হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সবসময় তাঁর কথা শুনেছি। মাকে যতটা ভয় পেতাম, তার চেয়েও বেশি ভয় পাই আল্লাহকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে ‘ঘর’ মনে করেন শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো

আগেও বহুবার বাংলাদেশের প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। আরও একবার তেমন কিছুরই পুনরাবৃত্তি করলেন সাবেক এই গতি তারকা। জানালেন, জন্মভূমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তিনি।

নিজের ইউটিউবে দেওয়া এক ভিডিওতে শোয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশে যাচ্ছি। আমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশে বেশি ভালোবাসি। আমি সবসময় বলেছি যে, বাংলাদেশীরা আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষদের মধ্যে অন্যতম। বাঙালিদের দেখলে আমার খুব গর্ব হয়। সেটা হোক বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি।’

বাংলাদেশিদের প্রশংসায় শোয়েব আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, যারা সবচেয়ে বুদ্ধিমান, তারাই সবচেয়ে বড় এবং সাহসী। অনেকেই এটা বুঝতে পারে না। কিন্তু আমি বুঝতে পারি কারণ আমি বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তুমি সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের চেনো, আমি তাদের জন্য শুভকামনা জানাই। আমি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। কিছুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বেশকিছু কার্যক্রমে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর ফিরেও যান। মাঠের লড়াই শুরু হতেই আরও একদফা বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে কাজ করছেন শোয়েব। মেন্টর হিসেবে তাঁর কাজ হবে ঢাকার বোলারদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা, আত্মবিশ্বাস যোগানো এবং ম্যাচ জেতার কৌশল শেখানো। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন শোয়েব। বিষয়টি এর আগেও জানিয়েছেন তিনি। বিপিএলে ঢাকার স্কোয়াডেই আছেন তাসকিন। তাই শোয়েবের কাছ থেকে শেখার সুযোগ থাকছে এই পেসারের জন্য। তাসকিন ছাড়াও ঢাকার স্কোয়াডে আছেন জিয়া উর রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, দাসুন শানাকা, মারুফ মৃধাদের মতো পেসাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত