
আকস্মিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কাল জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে মিরাজ শুধু টেস্ট জয় নয়, নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ-দর্শন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স ফিরে দেখেছেন। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস
রানা আব্বাস

প্রশ্ন: জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয়, সেটিও আবার বিদেশের মাঠে। পুরো জয়ের গল্পটা কীভাবে রচিত হলো, আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনতে চাই।
মেহেদী হাসান মিরাজ: আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাকে যখন এই সফরের আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেরকম প্রস্তুতি আমার ছিল না। শান্ত যখন চোটে পড়ল, হঠাৎ দায়িত্ব এল আমার কাঁধে। হুট করে দায়িত্ব নেওয়া সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। এটা তো জানেনই, দলের প্রয়োজনে সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। এর মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক ক্রিকেটার দলে ছিলেন না। তার আগে টানা চার টেস্টে হেরেছি। এই পরিস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ এসেছে। সফরের প্রথম টেস্ট আবার হেরে গেছি। প্রথম টেস্টের হার থেকে শিখে পরের টেস্টে কাজে লাগিয়েছি। কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি তো একা সিদ্ধান্ত নিইনি, দলের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই মিলে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটার মধ্যে একটা শক্তি থাকে। সবাই আমাকে সমর্থন করেছে, এটা ইতিবাচক দিক। দ্বিতীয় টেস্টে যখন ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গেলাম, দলের মনোবল যখন নিচে নেমে গেল; তখন একটা কথা বলেছি দলের সবাইকে, আমরা যদি ১৬৪ রানে অলআউট হই, যদি ৮১ রানে ৮ উইকেট পড়ে, তাহলে ওরাও সমস্যায় পড়বে। ওরা ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে (দ্বিতীয়) দিন শেষ করেছিল। বলেছিলাম ১০০ রানের মধ্যে ওদের ৯ উইকেট ফেলে দিতে পারি। অধিনায়ক হিসেবে এ বিশ্বাস আমি একা করলে হবে না, দলের সবাইকে করতে হবে। অধিনায়ক হিসেবে আমার বিশ্বাস আছে ওদের ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট করতে পারব, বিশ্বাস আছে ম্যাচটা জিততে পারব—এই বিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলেই আমরা ভালো করতে পারব। মাঠে যখন বোলাররা ভালো করল, নাহিদ রানা দুর্দান্ত বোলিং করল, ওদের ১৫০ রানে গুটিয়ে দিলাম; তখনই বিশ্বাস এল, না আমরা পারি। আবার যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলাম, তখন সৌরভ ভাই (মুমিনুল হক) অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন দুই দিন। সে কারণেই তিনি আটে নেমেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। তখন প্রশ্ন এল, সৌরভ ভাইয়ের জায়গায় কে নামবে? সিদ্ধান্ত হলো দিপু (শাহাদাত হোসেন) খেলবে সৌরভ ভাইয়ের জায়গায় আর আমি নামব দিপুর জায়গায়। দিপুর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল—এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছে, সেটাও আবার এই কন্ডিশনে। ওকে সাহস দিলাম। বললাম, বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলো, এখানে সেভাবেই খেলো। যদি মনে হয় প্রথম বল থেকেই মারা দরকার, মারবা। প্রতিপক্ষের বোলার কে, দেখার দরকার নেই। বল দেখবা আর হিট করবা। যদি আউট হও কেউ কিছু বলবে না, আমি দায়িত্ব নিলাম। এরপর তো দেখেছেন সে কী আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে, ওর ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস আমাদের মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে। আমিও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছি। সাদমান ইসলাম আর আমি যখন ব্যাটিং করেছি, দ্বাদশ খেলোয়াড়কে দিয়ে ড্রেসিং রুমে বার্তা পাঠালাম, উইকেট ভালো আছে। এখন টেস্টের প্রথাগত রক্ষণাত্মক ব্যাটিং না করে ইতিবাচক মানসিকতায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা জরুরি। যদি ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে ফেলি, চতুর্থ ইনিংসে বল ঘুরবে। ওদের জন্য সমস্যা হবে। খেলোয়াড়রা আমার কথা গ্রহণ করল এবং সাড়াও দিল ভালোভাবে। আমি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলাম, কিন্তু সবাই গ্রহণ করল না; তাহলে তো সফল হওয়া কঠিন। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত মেনে সবাই যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ওটা ভুল হলেও ভালো ফল আসার সম্ভাবনা থাকে। সবাই আমাকে বিশ্বাস করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এ কারণে আমরা সফল হয়েছি।
প্রশ্ন: জ্যামাইকা টেস্টে দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা, মনোভাবও অন্যরকম দেখা গেছে।
মিরাজ: দলের খেলোয়াড়দের পুরো স্বাধীনতা দিয়েছি। বলেছি, মাঠে পুরোপুরি উপভোগ কর। মাঠে দলের ভালোর জন্য যা দরকার, সেটা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা কর। আমি যেটা বলব, সেটাই শেষ কথা না। একেবারে তরুণ ক্রিকেটারের কাছ থেকেও ভালো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কাজে দিতে পারে। এভাবেই সবাই উজ্জীবিত হয়ে, সাহসী মনোভাবে খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার আমাদের প্রথম তিন ইনিংস আর শেষ ইনিংসের পার্থক্য নিশ্চয়ই বুঝেছেন। অ্যাপ্রোচে কিন্তু অনেক পার্থক্য। সবাই দেখেছে আমরা মেরে খেলেছি, কিন্তু কেন মেরে খেলেছি? এর চেয়ে ভালো উইকেটে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এবার সফল হলাম কেন? শুধুই মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছি। একটাই চিন্তা করেছি, এবার শুধু অ্যাটাক। একটা লিড পাওয়ার পর মেরে খেলে যদি একটা ভালো স্কোর দাঁড় করাতে পারি, চতুর্থ ইনিংসে তো ওদের ব্যাটিং করতে হবে।
প্রশ্ন: একটু ঝুঁকিপূর্ণও কি ছিল না?
মিরাজ: ঝুঁকি না নিলে কি সফল হওয়া যায়? সফল তো সে-ই হয়, যে সাহস আর ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যর্থতার ভয়ে ঝুঁকি না নিলে সফল হওয়া যায় না। আমরা ইতিবাচক চিন্তায় ঝুঁকি নিয়েছি বলেই সফল হয়েছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশ বিদেশে ৩ টেস্ট জয়ের বিপরীতে দেশে কোনো জয় নেই। দলের সাফল্যে এই অদ্ভুত বৈপরীত্য কীভাবে ঘটেছে?
মিরাজ: এটার ইতিবাচক দিক আছে। মানুষ অন্তত বিশ্বাস করতে শুরু করছে, বাংলাদেশ দেশের বাইরেও টেস্ট জিততে পারে। আমাকে নিয়েও কথা হয়েছে একসময়, আমি নাকি দেশের বাইরে উইকেট পাই না! টেস্টে আমার অর্ধেক উইকেটই দেশের বাইরে।
প্রশ্ন: পেসারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই কি বিদেশে বাংলাদেশের জয়ের হার বেড়েছে?
মিরাজ: ঠিক, কোনো দলে যদি ভালো মানের পেস আক্রমণ থাকে, তাহলে দেশের বাইরেও জিততে পারবেন। বিদেশে স্পিন আক্রমণ দিয়ে খুব একটা জেতা যায় না। স্পিনারদের খেলা টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে। প্রথম তিন দিন ব্যাটার আর পেসারদের খেলা। কিন্তু আপনাকে তো টেস্ট চার কিংবা পাঁচ দিনে নিতে হবে। আমরা তৃতীয় দিনেই হেরে যাই, প্রথম ইনিংসেই হেরে যাই। এখন আমাদের দলে দুর্দান্ত সব পেসার এসেছে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, শরীফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন...আগে উইকেট শিকারি পেসার আমাদের কম ছিল। এখন আমাদের একজন পেসার যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিতে পারে। আপনার দলে যদি ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি. গতিতে বল করার ফাস্ট বোলার থাকে, বিদেশে প্রতিপক্ষ আমাদের সবুজ উইকেট দিতে অনেক ভাববে। আমরা এখন দেশের বাইরে খেললে প্রতিপক্ষ ভাবে, ওদেরও তো তিন-চারটা ভালো মানের ফাস্ট বোলার আছে।
প্রশ্ন: যে তিনটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ, ব্যাটাররা মোটামুটি একটা রান করে দিতে পারলেই বোলাররা বাকি কাজ করে দিয়েছেন।
মিরাজ: ব্যাটাররা যেদিন বড় রান করেছি, ওইদিন বোলারদের কাজ সহজ হয়ে গেছে, ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে। খুব কমই আছে বড় স্কোর করার পরও বোলাররা ম্যাচ হারিয়েছে। পাকিস্তানে ৫০০+ রান হয়েছে, বোলাররা কিন্তু কোনো না কোনো ইনিংসে ধসিয়ে দিয়েছে। এখানেও (জ্যামাইকাতে) ওদের ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট করে দিয়েছি।
প্রশ্ন: নাহিদ রানার বোলিং অনেক প্রশংসিত হচ্ছে।
মিরাজ: আল্লাহর রহমতে ও (রানা) আমাদের দেশের একটা সম্পদ। আমাদের সবার উচিত ওর ভালোভাবে পরিচর্যা করা। দলের প্রত্যেক পেসার, প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই যত্ন করতে হবে। আপনি যত যত্ন করবেন, তত আপনাকে ফল দেবে। যত পানি দেবেন, ততই আপনাকে ফল দেবে। আপনার গাছ তো খাওয়ার দরকার নেই, ফল খেতে হবে।
প্রশ্ন: এই বছর টেস্টে আপনি বাংলাদেশের সেরা পারফরমার...।
মিরাজ: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে এখন পর্যন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মনে হয় আমার ওপরে কেউ নেই। এই চক্রে ১২ টেস্টে ৭০৭ রান আর ৩৯ উইকেট নিয়েছি।
প্রশ্ন: সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সে কতটা তৃপ্ত?
মিরাজ: আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো লাগছে। এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুব ভালো গেছে আমার। রান করতে পারছি, সবার যে আস্থা আছে, সেটার প্রতিদান দিতে পারছি। এটাকে আরও অনেক দূরে নিয়ে যেতে হবে। এখন আমার কাছ থেকে অনেক আশা করে দল।
প্রশ্ন: কোচ ফিল সিমন্সকে কেমন লাগছে?
মিরাজ: ভালো লাগছে। অনেক ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। সবাই খুব উপভোগ করছে ওর সঙ্গে কাজ করে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে তিনটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এখন কি মনে হয় লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করতে আপনি প্রস্তুত?
মিরাজ: যে পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছি গত তিন ম্যাচে, এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। হুট করে একটা দলকে পরিবর্তন করে দেওয়া যায় না। এটা সময়ের ব্যাপার। ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, ভালো কিছু করতে পারব, লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করে; তাহলে অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব, ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কোনো কিছু...শুধু আমি না; কোনো খেলোয়াড়, কোনো অধিনায়কই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভালো করতে পারবে না। সময় দিলে সে ভালো করতে পারবে। যেটা জানতে চাইলেন, আমি প্রস্তুত কি না? ৫১টি টেস্ট খেলে ফেলেছি, ৮ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলি। কী মনে হয়, আমি এখনো প্রস্তুত কি না? প্রস্তুত আছি, সব সময় প্রস্তুত আছি। তবে রেজাল্ট পেতে গেলে সময় দিতে হয়। হুটহাট রেজাল্ট আসে না। আমাকে যদি ওই সময়টা দেওয়া হয়, আশা করি অধিনায়ক হিসেবে ভালো করব।
প্রশ্ন: এবার সাদা বলের চ্যালেঞ্জ, ওয়ানডে সিরিজ জিততে কতটা আশাবাদী?
মিরাজ: ইনশাআল্লাহ...অবশ্যই সিরিজ জিতব।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয়, সেটিও আবার বিদেশের মাঠে। পুরো জয়ের গল্পটা কীভাবে রচিত হলো, আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনতে চাই।
মেহেদী হাসান মিরাজ: আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাকে যখন এই সফরের আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেরকম প্রস্তুতি আমার ছিল না। শান্ত যখন চোটে পড়ল, হঠাৎ দায়িত্ব এল আমার কাঁধে। হুট করে দায়িত্ব নেওয়া সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। এটা তো জানেনই, দলের প্রয়োজনে সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। এর মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক ক্রিকেটার দলে ছিলেন না। তার আগে টানা চার টেস্টে হেরেছি। এই পরিস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ এসেছে। সফরের প্রথম টেস্ট আবার হেরে গেছি। প্রথম টেস্টের হার থেকে শিখে পরের টেস্টে কাজে লাগিয়েছি। কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি তো একা সিদ্ধান্ত নিইনি, দলের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই মিলে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটার মধ্যে একটা শক্তি থাকে। সবাই আমাকে সমর্থন করেছে, এটা ইতিবাচক দিক। দ্বিতীয় টেস্টে যখন ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গেলাম, দলের মনোবল যখন নিচে নেমে গেল; তখন একটা কথা বলেছি দলের সবাইকে, আমরা যদি ১৬৪ রানে অলআউট হই, যদি ৮১ রানে ৮ উইকেট পড়ে, তাহলে ওরাও সমস্যায় পড়বে। ওরা ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে (দ্বিতীয়) দিন শেষ করেছিল। বলেছিলাম ১০০ রানের মধ্যে ওদের ৯ উইকেট ফেলে দিতে পারি। অধিনায়ক হিসেবে এ বিশ্বাস আমি একা করলে হবে না, দলের সবাইকে করতে হবে। অধিনায়ক হিসেবে আমার বিশ্বাস আছে ওদের ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট করতে পারব, বিশ্বাস আছে ম্যাচটা জিততে পারব—এই বিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলেই আমরা ভালো করতে পারব। মাঠে যখন বোলাররা ভালো করল, নাহিদ রানা দুর্দান্ত বোলিং করল, ওদের ১৫০ রানে গুটিয়ে দিলাম; তখনই বিশ্বাস এল, না আমরা পারি। আবার যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলাম, তখন সৌরভ ভাই (মুমিনুল হক) অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন দুই দিন। সে কারণেই তিনি আটে নেমেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। তখন প্রশ্ন এল, সৌরভ ভাইয়ের জায়গায় কে নামবে? সিদ্ধান্ত হলো দিপু (শাহাদাত হোসেন) খেলবে সৌরভ ভাইয়ের জায়গায় আর আমি নামব দিপুর জায়গায়। দিপুর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল—এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছে, সেটাও আবার এই কন্ডিশনে। ওকে সাহস দিলাম। বললাম, বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলো, এখানে সেভাবেই খেলো। যদি মনে হয় প্রথম বল থেকেই মারা দরকার, মারবা। প্রতিপক্ষের বোলার কে, দেখার দরকার নেই। বল দেখবা আর হিট করবা। যদি আউট হও কেউ কিছু বলবে না, আমি দায়িত্ব নিলাম। এরপর তো দেখেছেন সে কী আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে, ওর ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস আমাদের মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে। আমিও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছি। সাদমান ইসলাম আর আমি যখন ব্যাটিং করেছি, দ্বাদশ খেলোয়াড়কে দিয়ে ড্রেসিং রুমে বার্তা পাঠালাম, উইকেট ভালো আছে। এখন টেস্টের প্রথাগত রক্ষণাত্মক ব্যাটিং না করে ইতিবাচক মানসিকতায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা জরুরি। যদি ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে ফেলি, চতুর্থ ইনিংসে বল ঘুরবে। ওদের জন্য সমস্যা হবে। খেলোয়াড়রা আমার কথা গ্রহণ করল এবং সাড়াও দিল ভালোভাবে। আমি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলাম, কিন্তু সবাই গ্রহণ করল না; তাহলে তো সফল হওয়া কঠিন। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত মেনে সবাই যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ওটা ভুল হলেও ভালো ফল আসার সম্ভাবনা থাকে। সবাই আমাকে বিশ্বাস করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এ কারণে আমরা সফল হয়েছি।
প্রশ্ন: জ্যামাইকা টেস্টে দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা, মনোভাবও অন্যরকম দেখা গেছে।
মিরাজ: দলের খেলোয়াড়দের পুরো স্বাধীনতা দিয়েছি। বলেছি, মাঠে পুরোপুরি উপভোগ কর। মাঠে দলের ভালোর জন্য যা দরকার, সেটা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা কর। আমি যেটা বলব, সেটাই শেষ কথা না। একেবারে তরুণ ক্রিকেটারের কাছ থেকেও ভালো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কাজে দিতে পারে। এভাবেই সবাই উজ্জীবিত হয়ে, সাহসী মনোভাবে খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার আমাদের প্রথম তিন ইনিংস আর শেষ ইনিংসের পার্থক্য নিশ্চয়ই বুঝেছেন। অ্যাপ্রোচে কিন্তু অনেক পার্থক্য। সবাই দেখেছে আমরা মেরে খেলেছি, কিন্তু কেন মেরে খেলেছি? এর চেয়ে ভালো উইকেটে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এবার সফল হলাম কেন? শুধুই মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছি। একটাই চিন্তা করেছি, এবার শুধু অ্যাটাক। একটা লিড পাওয়ার পর মেরে খেলে যদি একটা ভালো স্কোর দাঁড় করাতে পারি, চতুর্থ ইনিংসে তো ওদের ব্যাটিং করতে হবে।
প্রশ্ন: একটু ঝুঁকিপূর্ণও কি ছিল না?
মিরাজ: ঝুঁকি না নিলে কি সফল হওয়া যায়? সফল তো সে-ই হয়, যে সাহস আর ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যর্থতার ভয়ে ঝুঁকি না নিলে সফল হওয়া যায় না। আমরা ইতিবাচক চিন্তায় ঝুঁকি নিয়েছি বলেই সফল হয়েছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশ বিদেশে ৩ টেস্ট জয়ের বিপরীতে দেশে কোনো জয় নেই। দলের সাফল্যে এই অদ্ভুত বৈপরীত্য কীভাবে ঘটেছে?
মিরাজ: এটার ইতিবাচক দিক আছে। মানুষ অন্তত বিশ্বাস করতে শুরু করছে, বাংলাদেশ দেশের বাইরেও টেস্ট জিততে পারে। আমাকে নিয়েও কথা হয়েছে একসময়, আমি নাকি দেশের বাইরে উইকেট পাই না! টেস্টে আমার অর্ধেক উইকেটই দেশের বাইরে।
প্রশ্ন: পেসারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই কি বিদেশে বাংলাদেশের জয়ের হার বেড়েছে?
মিরাজ: ঠিক, কোনো দলে যদি ভালো মানের পেস আক্রমণ থাকে, তাহলে দেশের বাইরেও জিততে পারবেন। বিদেশে স্পিন আক্রমণ দিয়ে খুব একটা জেতা যায় না। স্পিনারদের খেলা টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে। প্রথম তিন দিন ব্যাটার আর পেসারদের খেলা। কিন্তু আপনাকে তো টেস্ট চার কিংবা পাঁচ দিনে নিতে হবে। আমরা তৃতীয় দিনেই হেরে যাই, প্রথম ইনিংসেই হেরে যাই। এখন আমাদের দলে দুর্দান্ত সব পেসার এসেছে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, শরীফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন...আগে উইকেট শিকারি পেসার আমাদের কম ছিল। এখন আমাদের একজন পেসার যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিতে পারে। আপনার দলে যদি ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি. গতিতে বল করার ফাস্ট বোলার থাকে, বিদেশে প্রতিপক্ষ আমাদের সবুজ উইকেট দিতে অনেক ভাববে। আমরা এখন দেশের বাইরে খেললে প্রতিপক্ষ ভাবে, ওদেরও তো তিন-চারটা ভালো মানের ফাস্ট বোলার আছে।
প্রশ্ন: যে তিনটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ, ব্যাটাররা মোটামুটি একটা রান করে দিতে পারলেই বোলাররা বাকি কাজ করে দিয়েছেন।
মিরাজ: ব্যাটাররা যেদিন বড় রান করেছি, ওইদিন বোলারদের কাজ সহজ হয়ে গেছে, ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে। খুব কমই আছে বড় স্কোর করার পরও বোলাররা ম্যাচ হারিয়েছে। পাকিস্তানে ৫০০+ রান হয়েছে, বোলাররা কিন্তু কোনো না কোনো ইনিংসে ধসিয়ে দিয়েছে। এখানেও (জ্যামাইকাতে) ওদের ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট করে দিয়েছি।
প্রশ্ন: নাহিদ রানার বোলিং অনেক প্রশংসিত হচ্ছে।
মিরাজ: আল্লাহর রহমতে ও (রানা) আমাদের দেশের একটা সম্পদ। আমাদের সবার উচিত ওর ভালোভাবে পরিচর্যা করা। দলের প্রত্যেক পেসার, প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই যত্ন করতে হবে। আপনি যত যত্ন করবেন, তত আপনাকে ফল দেবে। যত পানি দেবেন, ততই আপনাকে ফল দেবে। আপনার গাছ তো খাওয়ার দরকার নেই, ফল খেতে হবে।
প্রশ্ন: এই বছর টেস্টে আপনি বাংলাদেশের সেরা পারফরমার...।
মিরাজ: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে এখন পর্যন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মনে হয় আমার ওপরে কেউ নেই। এই চক্রে ১২ টেস্টে ৭০৭ রান আর ৩৯ উইকেট নিয়েছি।
প্রশ্ন: সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সে কতটা তৃপ্ত?
মিরাজ: আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো লাগছে। এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুব ভালো গেছে আমার। রান করতে পারছি, সবার যে আস্থা আছে, সেটার প্রতিদান দিতে পারছি। এটাকে আরও অনেক দূরে নিয়ে যেতে হবে। এখন আমার কাছ থেকে অনেক আশা করে দল।
প্রশ্ন: কোচ ফিল সিমন্সকে কেমন লাগছে?
মিরাজ: ভালো লাগছে। অনেক ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। সবাই খুব উপভোগ করছে ওর সঙ্গে কাজ করে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে তিনটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এখন কি মনে হয় লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করতে আপনি প্রস্তুত?
মিরাজ: যে পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছি গত তিন ম্যাচে, এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। হুট করে একটা দলকে পরিবর্তন করে দেওয়া যায় না। এটা সময়ের ব্যাপার। ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, ভালো কিছু করতে পারব, লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করে; তাহলে অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব, ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কোনো কিছু...শুধু আমি না; কোনো খেলোয়াড়, কোনো অধিনায়কই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভালো করতে পারবে না। সময় দিলে সে ভালো করতে পারবে। যেটা জানতে চাইলেন, আমি প্রস্তুত কি না? ৫১টি টেস্ট খেলে ফেলেছি, ৮ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলি। কী মনে হয়, আমি এখনো প্রস্তুত কি না? প্রস্তুত আছি, সব সময় প্রস্তুত আছি। তবে রেজাল্ট পেতে গেলে সময় দিতে হয়। হুটহাট রেজাল্ট আসে না। আমাকে যদি ওই সময়টা দেওয়া হয়, আশা করি অধিনায়ক হিসেবে ভালো করব।
প্রশ্ন: এবার সাদা বলের চ্যালেঞ্জ, ওয়ানডে সিরিজ জিততে কতটা আশাবাদী?
মিরাজ: ইনশাআল্লাহ...অবশ্যই সিরিজ জিতব।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
২৩ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
১ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

আকস্মিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কাল জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে মিরাজ শুধু টেস্ট জয় নয়, নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ-দর্শন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স ফিরে দেখেছেন। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
২৩ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
১ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

আকস্মিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কাল জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে মিরাজ শুধু টেস্ট জয় নয়, নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ-দর্শন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স ফিরে দেখেছেন। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
১ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

আকস্মিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কাল জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে মিরাজ শুধু টেস্ট জয় নয়, নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ-দর্শন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স ফিরে দেখেছেন। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
২৩ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

আকস্মিকভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কাল জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে মিরাজ শুধু টেস্ট জয় নয়, নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ-দর্শন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স ফিরে দেখেছেন। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
২৩ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
১ ঘণ্টা আগে