Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বিশ্বকাপে ভালো খেলতে চাই

যুব বিশ্বকাপে নিজেকে নিংড়ে দিতে পান জাওয়াদ আবরার। ছবি: বিসিবি

শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন জাওয়াদ আবরার। দুটি সেঞ্চুরিসহ সিরিজে সর্বোচ্চ ৩০২ রান করেছেন। হয়েছেন সিরিজসেরাও। মাত্রই শেষ হওয়া এই সিরিজে সাফল্যের গল্প, নিজেকে গড়ে তোলার পেছনে অধ্যবসায় আর সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ
আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ১৩: ৫৯

প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় যুব সিরিজে দুটি সেঞ্চুরিতে আলো ছড়িয়েছেন। দুটি ম্যাচে ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন। এমন পারফরম্যান্সে তো আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকার কথা...

জাওয়াদ আবরার: হ্যাঁ, এই সিরিজটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলাম, যদিও সিরিজের জন্য শেষ করতে পারিনি। তবে ডিপিএলের শেষ দিকে যে ছন্দটা পেয়েছিলাম, সেটাই এই সিরিজের শুরু থেকে কাজে লেগেছে। দুটি সেঞ্চুরি করতে পেরেছি; ভালো লাগছে, অবশ্যই। তবে আমার কাছে সেঞ্চুরি বড় কিছু নয়; দল জিতেছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।

প্রশ্ন: সিরিজের আগে প্রস্তুতিতে বিশেষ কোনো অনুশীলন করেছিলেন?

জাওয়াদ: বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার খুব একটা সুযোগ ছিল না। ডিপিএল চলছিল, সেখান থেকেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে ব্যাটিং টেম্পো ও শট নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছি। আমার মূল লক্ষ্য ছিল ইনিংস গড়া, শুধু দ্রুত রান নয়। ইনিংসটা যেন বড় হয়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি।

প্রশ্ন: দুই সেঞ্চুরির কোনটি আপনার কাছে স্পেশাল?

জাওয়াদ: আমার কাছে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিটি একটু আলাদা। প্রথম ম্যাচে রান পাইনি, দল হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলতে পারায় দল জিতেছে। ওখান থেকেই মনে হয়েছে, আমরা সিরিজে ফিরতে পারব। সেই আত্মবিশ্বাসটাই অনেক দূর নিয়ে গেছে।

প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দলে ছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। হতাশা কাজ করেছিল?

জাওয়াদ: একটু হতাশা তো ছিলই, যেহেতু খেলতে পারিনি। তবে ম্যাচ খেলা না খেলা আমার হাতে ছিল না। এটিকে আমি শেখার সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। সিনিয়রদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। মনে হয়েছে, সামনে সুযোগ পেলে সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি, সে জন্য আমাকে আরও প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রশ্ন: প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তরুণদের নিয়ে গড়া দলের হয়ে এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

জাওয়াদ: এটা আমার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ। শুরুতে একটু চাপ ছিল, তবে চাপ কাটিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। এই লিগ থেকেই শিখেছি, কীভাবে চাপের মধ্যে স্থির থাকতে হয়।

প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ জয় এবং ভালো খেলার অভিজ্ঞতা কেমন?

জাওয়াদ: বিদেশে গিয়ে জেতা সব সময়ই বিশেষ কিছু। কন্ডিশন একেবারেই আলাদা ছিল, আর্দ্রতা বেশি ছিল, বল ঘুরছিল। এজন্য প্রথম ম্যাচে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। তবে পরের ম্যাচ থেকে ধৈর্য ধরে খেলেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই রান করতে পেরেছি।

প্রশ্ন: ব্যাটিংয়ের কোন দিকটাকে নিজের শক্তি বলে মনে করেন? কোথায় উন্নতি করা দরকার?

জাওয়াদ: ইনিংস গড়ে খেলার সক্ষমতাকে নিজের শক্তি মনে করি। লো স্কোরেও চেষ্টা করি ম্যাচে টিকে থাকার। তবে মিডল ওভারে রোটেশন এবং স্পিনারদের বিপক্ষে আরও আগ্রাসী হওয়া নিয়ে এখনো কাজ করছি।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন ব্যাটার হিসেবে দেখতে চান?

জাওয়াদ: ভারসাম্য রাখতে চাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরে খেলা, আবার শেষ দিকে দলের প্রয়োজনে পাওয়ার হিটার হিসেবেও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চাই।

প্রশ্ন: আগামী এক-দুই বছরে লক্ষ্য কী?

জাওয়াদ: আপাতত লক্ষ্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ধারাবাহিক পারফর্ম করা। সামনে বিশ্বকাপ আছে, সেখানে ভালো খেলতে চাই। জাতীয় দলে সুযোগ অবশ্যই চাই, তবে ধাপে ধাপে এগোতে চাই।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপে দলগত লক্ষ্য কী?

জাওয়াদ: আমাদের সামনে বেশ কিছু সিরিজ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। আমাদের দলে এখন অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু সম্ভব।

প্রশ্ন: ফিটনেস ও মানসিকভাবে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেন?

জাওয়াদ: নিয়ম মেনে জিম, কার্ডিও ব্যায়াম করি। মানসিকভাবে ফোকাসড থাকতে চেষ্টা করি। অনুশীলনে ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করি, যেন মাঠে সহজ মনে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত