
‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান। দেশের ফুটবলের নবজাগরণ কাজে লাগিয়ে বিপণন জায়গায় নিজেদের পরিকল্পনা, লক্ষ্য নিয়ে কাল বিস্তারিত কথা বললেন ফাহাদ করিম। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ।
রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ

প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।
প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
জাকির মৃত্যুসংবাদ যখন আসে, তখন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট করছে রাজশাহী। ম্যাচ চলায় ক্রিকেটারদের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ ছিল না। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই ঢাকা ও রাজশাহীর ক্রিকেটাররা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অসুস্থ হওয়ার পর জাকিকে মাঠে কিছুক্ষণ সিপিআর দিয়ে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই আসে মৃত্যুসংবাদ। এরপর লাশ আনা হয় সিলেট স্টেডিয়ামে। জাকির চলে যাওয়ার দিনে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। দুই দলের ম্যাচ শেষে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় মুশফিককে। কেঁদেছেন শরিফুল ইসলামসহ অন্য ক্রিকেটাররাও। জাকির সঙ্গে মুশফিকের সম্পর্কটা ২৫ বছরের। অনূর্ধ্ব ১৯ দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), একাডেমি থেকে জাতীয় দল—সব জায়গাতেই প্রয়াত এই কোচ ছিলেন মুশফিকের অভিভাবকের মতো। দেশের নামকরা সব ক্রিকেটারের বিপদের দিনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জাকি। এবার তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।
জাকির মৃত্যুতে মাতম চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ঢাকা ক্যাপিটালস।
রাজশাহীর বিপক্ষে জয় জাকিকে উৎসর্গ করেছে ঢাকা। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের খবর। জাকি স্যার মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও দোয়া রইল। তবে একটি ভালো জয়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি। তিনি আমাদের কাছে অনেকটা বাবার মতো ছিলেন। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমরা যখনই কোনো ম্যাচ খেলি, জেতার জন্যই খেলি। এই জয় আমি জাকি স্যারকে উৎসর্গ করছি। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
জাকির মৃত্যুসংবাদ যখন আসে, তখন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট করছে রাজশাহী। ম্যাচ চলায় ক্রিকেটারদের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ ছিল না। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই ঢাকা ও রাজশাহীর ক্রিকেটাররা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অসুস্থ হওয়ার পর জাকিকে মাঠে কিছুক্ষণ সিপিআর দিয়ে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই আসে মৃত্যুসংবাদ। এরপর লাশ আনা হয় সিলেট স্টেডিয়ামে। জাকির চলে যাওয়ার দিনে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। দুই দলের ম্যাচ শেষে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় মুশফিককে। কেঁদেছেন শরিফুল ইসলামসহ অন্য ক্রিকেটাররাও। জাকির সঙ্গে মুশফিকের সম্পর্কটা ২৫ বছরের। অনূর্ধ্ব ১৯ দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), একাডেমি থেকে জাতীয় দল—সব জায়গাতেই প্রয়াত এই কোচ ছিলেন মুশফিকের অভিভাবকের মতো। দেশের নামকরা সব ক্রিকেটারের বিপদের দিনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জাকি। এবার তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।
জাকির মৃত্যুতে মাতম চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ঢাকা ক্যাপিটালস।
রাজশাহীর বিপক্ষে জয় জাকিকে উৎসর্গ করেছে ঢাকা। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের খবর। জাকি স্যার মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও দোয়া রইল। তবে একটি ভালো জয়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি। তিনি আমাদের কাছে অনেকটা বাবার মতো ছিলেন। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমরা যখনই কোনো ম্যাচ খেলি, জেতার জন্যই খেলি। এই জয় আমি জাকি স্যারকে উৎসর্গ করছি। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবুও মেলবোর্নে প্রচুর পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় প্রথম তিন দিনের। প্রথম দিনে রেকর্ড ৯৪,১৯৯ হাজার দর্শকের উপস্থিতির কারণে পুরো বক্সিং ডে টেস্টে দর্শকসংখ্যার নতুন রেকর্ড গড়ার আশা করা হয়েছিল । কিন্তু দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টও দুই দিনে শেষ হয়।তাতে প্রায় ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৪১ কোটি টাকা) ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এক দিনে ২০ উইকেট পড়ার ঘটনা বাড়াবাড়ি কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোট করে বললে, হ্যাঁ (বাড়াবাড়ি)। একজন ভক্ত হিসেবে এটি দেখতে যতটা মন্ত্রমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক ছিল, আমরা স্পষ্টতই চাই টেস্ট ক্রিকেট আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলুক।’
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘সহজভাবে বলতে চাই— ছোট টেস্ট ম্যাচ ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। এর চেয়ে সরাসরি কথা আর হতে পারে না। তাই আমি ব্যাট এবং বলের মধ্যে আরও ভারসাম্য দেখতে চাই। আমার মনে হয় গতকালের খেলায় বল কিছুটা সুবিধা পেয়েছে। এর জন্য ব্যাটারদেরও কিছুটা দায় আছে, সবকিছু পিচের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না; তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
সাবেক অনেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার প্রথম দিনে মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। বোলারদের জন্য অতি সহায়ক তা। সংক্ষিপ্ত টেস্ট এড়াতে পরবর্তী উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন গ্রিনবার্গ। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা উইকেট তৈরির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলি এবং মাঠকর্মী, আবহাওয়া ও মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই পিচ তৈরি হতে দিই। কিন্তু যখন খেলার ওপর—বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রভাব দেখবেন, তখন এতে জড়িয়ে না পড়াটা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’
গ্রিনবার্গ আরও বলেন, ‘আমি বলছি না যে আমরা গিয়ে মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব, তবে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে আমাদের প্রত্যাশা কী— সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতেই হবে। গত রাতে আমি ভালোভাবে ঘুমাইনি। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো— এই অভিজ্ঞতাগুলো যেন দিন দিন অব্যাহত রাখা যায়। সেটাই আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ।’

একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবুও মেলবোর্নে প্রচুর পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় প্রথম তিন দিনের। প্রথম দিনে রেকর্ড ৯৪,১৯৯ হাজার দর্শকের উপস্থিতির কারণে পুরো বক্সিং ডে টেস্টে দর্শকসংখ্যার নতুন রেকর্ড গড়ার আশা করা হয়েছিল । কিন্তু দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টও দুই দিনে শেষ হয়।তাতে প্রায় ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৪১ কোটি টাকা) ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এক দিনে ২০ উইকেট পড়ার ঘটনা বাড়াবাড়ি কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোট করে বললে, হ্যাঁ (বাড়াবাড়ি)। একজন ভক্ত হিসেবে এটি দেখতে যতটা মন্ত্রমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক ছিল, আমরা স্পষ্টতই চাই টেস্ট ক্রিকেট আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলুক।’
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘সহজভাবে বলতে চাই— ছোট টেস্ট ম্যাচ ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। এর চেয়ে সরাসরি কথা আর হতে পারে না। তাই আমি ব্যাট এবং বলের মধ্যে আরও ভারসাম্য দেখতে চাই। আমার মনে হয় গতকালের খেলায় বল কিছুটা সুবিধা পেয়েছে। এর জন্য ব্যাটারদেরও কিছুটা দায় আছে, সবকিছু পিচের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না; তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
সাবেক অনেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার প্রথম দিনে মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। বোলারদের জন্য অতি সহায়ক তা। সংক্ষিপ্ত টেস্ট এড়াতে পরবর্তী উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন গ্রিনবার্গ। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা উইকেট তৈরির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলি এবং মাঠকর্মী, আবহাওয়া ও মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই পিচ তৈরি হতে দিই। কিন্তু যখন খেলার ওপর—বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রভাব দেখবেন, তখন এতে জড়িয়ে না পড়াটা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’
গ্রিনবার্গ আরও বলেন, ‘আমি বলছি না যে আমরা গিয়ে মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব, তবে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে আমাদের প্রত্যাশা কী— সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতেই হবে। গত রাতে আমি ভালোভাবে ঘুমাইনি। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো— এই অভিজ্ঞতাগুলো যেন দিন দিন অব্যাহত রাখা যায়। সেটাই আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ।’

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পরিচিত কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বোলাররাই ঢাকার জয়ের ভীত গড়ে দেন। ইমাদ ওয়াসিম, সালমান মির্জাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজশাহী। সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৭ রানে শান্তকে থামান ইমাদ। দুটি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ বক্তিগত রান। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তানজিদ হাসান তামিমরা উইকেটে টিকে গেলেও বিধ্বংসী হতে পারেননি। রাজশাহীও পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। ১০০ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করেন নাওয়াজ। ১ বল কম খেলে ২৪ রান করেন মুশফিক। ১৫ বলে ২০ রান এনে দেন তামিম। ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ইমাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ মাত্র ১৬ রান। সমান ওভার বল করে ১৭ রানে ১ উইকেট নেন সালমান। ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন নাসির হোসেন।
জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে সাইফ হাসান ও উসমান খানকে হারায় তারা। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ৩৯ বল খেলা মামুনের অবদান ৪৫ রান। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তাঁর সঙ্গী শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ৫ নম্বরে নেমে ২২ বলে ১৯ রান করেন নাসির। তাঁর এই ইনিংসে কিছুটা চাপে পড়েছিল ঢাকা। কিন্তু চাপ সামলে শেষ হাসি হাসে ঢাকা।
বিপিএলের গত পর্বে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিল ঢাকা। কার্যত সেখানেই প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয় তাদের। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শুরুটা হলো ব্যতিক্রম। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে দারুণ কিছু করার বার্তাই যেন দিয়ে রাখল মিঠুনের দল।

ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পরিচিত কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বোলাররাই ঢাকার জয়ের ভীত গড়ে দেন। ইমাদ ওয়াসিম, সালমান মির্জাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজশাহী। সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৭ রানে শান্তকে থামান ইমাদ। দুটি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ বক্তিগত রান। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তানজিদ হাসান তামিমরা উইকেটে টিকে গেলেও বিধ্বংসী হতে পারেননি। রাজশাহীও পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। ১০০ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করেন নাওয়াজ। ১ বল কম খেলে ২৪ রান করেন মুশফিক। ১৫ বলে ২০ রান এনে দেন তামিম। ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ইমাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ মাত্র ১৬ রান। সমান ওভার বল করে ১৭ রানে ১ উইকেট নেন সালমান। ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন নাসির হোসেন।
জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে সাইফ হাসান ও উসমান খানকে হারায় তারা। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ৩৯ বল খেলা মামুনের অবদান ৪৫ রান। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তাঁর সঙ্গী শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ৫ নম্বরে নেমে ২২ বলে ১৯ রান করেন নাসির। তাঁর এই ইনিংসে কিছুটা চাপে পড়েছিল ঢাকা। কিন্তু চাপ সামলে শেষ হাসি হাসে ঢাকা।
বিপিএলের গত পর্বে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিল ঢাকা। কার্যত সেখানেই প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয় তাদের। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শুরুটা হলো ব্যতিক্রম। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে দারুণ কিছু করার বার্তাই যেন দিয়ে রাখল মিঠুনের দল।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
১ ঘণ্টা আগে
হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জাকির ছবি পোস্ট করে সাকিব লিখেছেন, ‘কোচ মাহবুব আলী জাকির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে চিনি এবং তার সাথে আলাপচারিতার মধুর স্মৃতি আমার মনে আছে। তাঁর শেষ মুহূর্তগুলো ছিল ক্রিকেট মাঠ। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
তাসকিন লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...ঢাকা ক্যাপিটালসের আমাদের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি আজ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ম্যাচের ঠিক আগে তিনি খেলোয়াড়দের সাথে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। কোচ, শান্তিতে ঘুমাও। তার পরিবার এবং পুরো ঢাকা ক্যাপিটালস পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।’
বিগ ব্যাশ খেলতে এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন রিশাদ। সেখান থেকেই জাকির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এই লেগস্পিনার। রিশাদ লিখেছেন, ‘সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে যখন শুনছি মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার আর আমাদের মাঝে নেই, অনেক কষ্ট অনুভব করছি। স্যারের সাথে আমাদের তৎকালীন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের একটা আলাদা ভালোবাসার যায়গা ছিলো। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুন। ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন। সত্যিই আমরা আল্লাহর। আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’
শোক জানাতে গিয়ে শরিফুল লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। খবরটা শুনে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না–আপনি আর আমাদের মাঝে নেই মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার। অনূর্ধ্ব-১৯ সময় থেকে আপনার হাত ধরেই আমাদের শেখা শুরু, এরপর বিশ্বকাপ জয়; প্রতিটি মুহূর্তে আপনি পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো। গত পরশু দিনও প্র্যাকটিসে আমরা কত হাসি-আড্ডা করেছি, ভাবতেই বুকটা ভার হয়ে আসে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন। আমিন।’
জাতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ রুবেল হোসেন লিখেছেন, ‘মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করলেন ঢাকার সহকারী কোচ, জাকি ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যু কতটা সত্য মৃত্যু কতটা অনিবার্য এই সংবাদটা খুবই হৃদয়বিদারক, আল্লাহতালা আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানটি নসিব করুন আমীন।’
দিনের প্রথম ম্যাচে আজ রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ঢাকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপরই আসে জাকির অসুস্থতার খবর।
হার্ট অ্যাটাক করলে মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর কাল বিলম্ব না করে হাসপাতালে নেওয়া হয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটর পরিচিতি এই কোচকে। কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নামকরা কোচ মাহবুব আলী জাকি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক বার্তা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।
ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জাকির ছবি পোস্ট করে সাকিব লিখেছেন, ‘কোচ মাহবুব আলী জাকির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে চিনি এবং তার সাথে আলাপচারিতার মধুর স্মৃতি আমার মনে আছে। তাঁর শেষ মুহূর্তগুলো ছিল ক্রিকেট মাঠ। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
তাসকিন লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...ঢাকা ক্যাপিটালসের আমাদের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি আজ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ম্যাচের ঠিক আগে তিনি খেলোয়াড়দের সাথে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। কোচ, শান্তিতে ঘুমাও। তার পরিবার এবং পুরো ঢাকা ক্যাপিটালস পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।’
বিগ ব্যাশ খেলতে এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন রিশাদ। সেখান থেকেই জাকির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এই লেগস্পিনার। রিশাদ লিখেছেন, ‘সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে যখন শুনছি মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার আর আমাদের মাঝে নেই, অনেক কষ্ট অনুভব করছি। স্যারের সাথে আমাদের তৎকালীন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের একটা আলাদা ভালোবাসার যায়গা ছিলো। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুন। ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন। সত্যিই আমরা আল্লাহর। আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’
শোক জানাতে গিয়ে শরিফুল লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। খবরটা শুনে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না–আপনি আর আমাদের মাঝে নেই মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার। অনূর্ধ্ব-১৯ সময় থেকে আপনার হাত ধরেই আমাদের শেখা শুরু, এরপর বিশ্বকাপ জয়; প্রতিটি মুহূর্তে আপনি পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো। গত পরশু দিনও প্র্যাকটিসে আমরা কত হাসি-আড্ডা করেছি, ভাবতেই বুকটা ভার হয়ে আসে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন। আমিন।’
জাতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ রুবেল হোসেন লিখেছেন, ‘মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করলেন ঢাকার সহকারী কোচ, জাকি ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যু কতটা সত্য মৃত্যু কতটা অনিবার্য এই সংবাদটা খুবই হৃদয়বিদারক, আল্লাহতালা আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানটি নসিব করুন আমীন।’
দিনের প্রথম ম্যাচে আজ রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ঢাকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপরই আসে জাকির অসুস্থতার খবর।
হার্ট অ্যাটাক করলে মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর কাল বিলম্ব না করে হাসপাতালে নেওয়া হয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটর পরিচিতি এই কোচকে। কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে