Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘আপনি কেন ভালো আছেন, আমি তাই অসুখী’

বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন জাতীয় দলে গত ডিসেম্বরে যুক্ত হওয়ার পর গত আট মাসে মুদ্রার দুটি পিঠই দেখে ফেলেছেন। জাতীয় দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সালাহ উদ্দীন সমালোচিত হয়েছেন। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্যে তিনি এত দিন শুধু প্রশংসা পেয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। এসব নিয়েই গতকাল মাস্কো ক্রিকেট একাডেমিতে সালাহ উদ্দীন কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২: ০১

প্রশ্ন: গত ৮ মাসে জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন: খুব বেশি পরিবর্তন হইনি। আমি আগের মতোই; যা ছিলাম, তা-ই আছি। এখন চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। আগে মানুষের প্রত্যাশা কম ছিল, এখন বেশি। এটা স্বাভাবিক এবং তা হবেই। যেহেতু অনেক দিন হয়ে গেছে, আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্টে ভালো করিনি। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রশ্ন: বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আপনাকে ডেকেছিলেন। তিনি কী বললেন?

সালাহ উদ্দীন: এসব আসলে প্রকাশ্যে বলা যাবে না। আমার মনে হয় একটা ভালো দিক, যেকোনো পরিস্থিতিতে বোর্ড আমাকে ভালো সহায়তা করছে, যেন কাজের দিকে বেশি মনোযোগ রাখি। খেলায় তিনটা পার্ট থাকে। ক্রিকেটাররা খেলে, ম্যানেজমেন্ট আছে আর কর্মকর্তা আছে। সবকিছুর ওপর নির্ভর করে, আমাদের সামগ্রিক ক্রিকেটটা কীভাবে এগোবে। সমন্বয়টা যদি ঠিকমতো হয়, তাহলে হয়তো আমাদের ক্রিকেট এগোবে। এসব নিয়েই কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি বুলবুল ভাই নিজেও ক্রিকেট প্লেয়ার ছিলেন। তিনি জানেন আসলে কী কী লাগবে। খুবই জ্ঞানী মানুষ। তাঁর ইচ্ছা আছে।

প্রশ্ন: বলা হচ্ছে, জাতীয় দলে আপনার মধুচন্দ্রিমা শেষ। এখন তাহলে আপনি কি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি?

সালাহ উদ্দীন: ওভাবে চিন্তা করাটা ভুল হবে। এই আট মাসে আমরা হয়তো কিছু সাফল্য পেয়েছি। কিছু জায়গায় বেশি খারাপ করে ফেলছি। নির্দিষ্টভাবে বললে অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে, আমরা কয়েক ঘণ্টা খারাপ খেলছি। তাতেই টেস্ট হেরে গেছি। আরব আমিরাতের সঙ্গে যে সিরিজটা হেরেছি, ওটা বড় ধাক্কা ছিল। এ ছাড়া আমরা প্রতিটি জায়গায় ভালো খেলেছি। কিছু ফল এসেছে। আরও কিছু ফল এলে দলের জন্য আরও ভালো হতো। তাতে দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ত। এর মধ্যে আমরা যেসব সিরিজ জিতেছি, সেগুলো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমার মনে হয়, ছেলেদের জেতার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, বড় টুর্নামেন্টে ভালো খেলি। সবাই সেভাবেই এগোচ্ছি।

প্রশ্ন: আরব আমিরাতে হারের পর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। আপনি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, গ্যালারি থেকে ছুটে আসা দর্শকদের তির্যক মন্তব্যে শামীম পাটোয়ারী তেড়ে গেলেন। এটা আপনার জন্য কতটা ধাক্কার? এই দর্শকই তো একসময় আপনাকে মাথায় তুলে রেখেছিল।

সালাহ উদ্দীন: এটা স্বাভাবিক। মানুষের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। আমাকে এটা মেনে নিতেই হবে। যখন এই দায়িত্বে এসেছি, তখন নিজেও জানতাম, এখানে সাফল্য পেলে আমাকে মাথায় তুলে নাচবে। আবার সাফল্য না পেলে মাথা থেকে নামিয়েও দেবে। সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে দলকে কীভাবে এগিয়ে নিতে পারছি, এটাই মূলকথা। ছেলেদের ভেতরে পরিবর্তন আসছে কি না, ছেলেরা শিখছে কি না ভালোভাবে—সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এক দিনেই তো সব পরিবর্তন করা যাবে না। প্রতিটি বিষয়ের ধাপ আছে। মনে হয়, দিন শেষে আমার কাছে মানুষ ফলটা চাইবে। যেহেতু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। যদি তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারি, বড় টুর্নামেন্টেও আমরা ভালো করব।

প্রশ্ন: অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার চলে গেছেন। দল কতটা গুছিয়ে নিতে পেরেছেন?

সালাহ উদ্দীন: টি-টোয়েন্টিতে কমবেশি ফল আসছে। আমাদের ছেলেরা নিজ নিজ দায়িত্ব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। কে কোন ভূমিকায় খেলবে। কোন পথে আমরা টি-টোয়েন্টিতে এগোব। আমরা এখানে কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গেছি। পরিষ্কার থাকাটাই বেশি জরুরি। ব্যাটার হোক বা বোলার—কার কী ভূমিকা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে একটা ভালো সেটআপের মধ্যে চলে আসছি। ওয়ানডেতে একটু সময় লাগবে। এখানে ভালো করতে অনেক অভিজ্ঞতা লাগে। আমরা বিশেষভাবে মিডল ওভারে কিছুটা সংগ্রাম করছি। এই জায়গাটা পূরণ হতে কিছুটা সময় লাগবে। এখানে এটাও খেয়াল রাখতে হবে, ছেলেদের কতটা সুযোগ আমরা দিচ্ছি। তারা কীভাবে গুছিয়ে উঠছে। সবচেয়ে বড় উন্নতিটা হয়েছে, আমাদের বোলাররা নিচে দারুণ ব্যাটিং করছে। আগে এটা ছিল না। আগে পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে আমরা শেষ! কিন্তু এখন ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছি। সাদা বলে ওপেনিংয়ে ভালো একটা জুটি দেখতে পাচ্ছি। এটা থিতু হওয়ার চান্স আছে।

প্রশ্ন: ফিনিশিং রোলে জাকের আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ভূমিকা আপনাকে কতটা আশাবাদী করছে?

সালাহ উদ্দীন: ওরা এসব জায়গায় নিয়মিতই খেলে। এখানে তারা অভ্যস্ত। কঠিন পরিস্থিতিতে বহুবার খেলেছে। নার্ভটা তারা ধরে রাখে। মনে হয়, তারা দিনে দিনে আরও পরিণত হবে। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে তারা হারা ম্যাচও এক হাতে জেতাবে।

প্রশ্ন: পাকিস্তান সিরিজ জিতলেও যে উইকেটে খেলেছেন, সেটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আপনার কি মনে হয়, এটা আদর্শ ছিল?

সালাহ উদ্দীন: ভুল আসলে দুই দলই করেছে। উইকেট এত খারাপ ছিল না, যতটা খারাপ বলা হচ্ছে। খেলা আসলে প্রথম ৬ ওভারেই শেষ! প্রথম ৬ ওভারেই তো অনেক সময় যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার ছিল, কোনো দলই সেভাবে করেনি। এটা আমরা ভুল করেছি। ওরাও ভুল করেছে। এখানেই খেলাটা শেষ হয়ে গেছে। এই উইকেটে দেখবেন, ৬ ওভার পর ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে পেরেছে। প্রতিটি ম্যাচেই দেখবেন, প্রথম দু-তিন ওভারে ৩-৪টা উইকেট পড়ে গেছে। ওই পরিস্থিতিতে যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা খেলিনি, ওরাও খেলেনি সেভাবে। আমরা একটা ম্যাচে খেলিনি। ওরা দুটি ম্যাচে খেলেনি। প্রথম দিকের ব্যাটাররাই ভুল করছে।

অনুশীলনে শেখ মেহেদী ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুশীলনে শেখ মেহেদী ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রশ্ন: এশিয়া কাপের আগেও কি এমন উইকেটে প্রস্তুতি সারতে চান?

সালাহ উদ্দীন: আমরা যে দুবাইয়ে খেলেছি, প্রায় একই ধরনের উইকেট মনে হয়েছে। উইকেটে স্পিন ধরে। হাই স্কোরিং ম্যাচ তেমন একটা হয় না কিন্তু। খুব বেশি যে কঠিন হবে বলে মনে হয় না। কারণ, মোটামুটি একই ধরনের।

প্রশ্ন: যদি বাংলাদেশের ম্যাচ আবুধাবিতে পড়ে?

সালাহ উদ্দীন: সেটা হয়তো ভিন্ন হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হবে। উইকেটে হেল্প থাকলে দলের জন্য কিছুটা উপকার আছে। সেটা যেখানেই খেলি। শুধু ফ্ল্যাট ট্র্যাকে খেলবেন, তা তো নয়। আপনাকে বিভিন্ন উইকেটে বিভিন্নভাবে মানিয়ে নিতে হবে।

প্রশ্ন: বিসিবি নেপাল-নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সারতে চাইছে। এটা আদর্শ হবে কি না।

সালাহ উদ্দীন: এখন তো আন্তর্জাতিক কোনো দল নেই। ছেলেরা যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে যেতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে। দিন শেষে আপনাকে খেলতে হবে। শুধু অনুশীলনই করবেন, তা তো নয়। ম্যাচ খেলার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো হয়তো ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে তিন অধিনায়ক তত্ত্ব কি সঠিক মনে করেন?

সালাহ উদ্দীন: আগে ছিলাম দলের বাইরে। তখন হয়তো চাইলে অনেক কথা বলতে পারতাম। এখন চাইলেও অনেক কথা বলতে পারব না। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বলতে পারি। বোর্ডের সঙ্গে বলতে পারি। তবে সেটা জনসমক্ষে বলতে পারব না। প্রতিষ্ঠান যা মনে করবে, সেই পলিসির সঙ্গে দ্বিমত করা যায় না। দ্বিমত করতে হলে অভ্যন্তরীণভাবে করব।

প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কা সফরের মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়া আপনাকে কতটা অবাক করেছে?

সালাহ উদ্দীন: ও (শান্ত) তো দায়িত্ব ছেড়ে দেয়নি। (টেস্ট) সিরিজটা সম্পূর্ণ করে তারপর করেছে। এমন নয় যে সে সিরিজের আগে বলেছে, আমি করব না (অধিনায়কত্ব)। তা তো নয়। সিরিজটা শেষ করে ভালোভাবেই করেছে (অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া)। আমার মতে, সবারই ব্যক্তিগত মতামত আছে। এটা তো আসলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মতো নয়। সবারই ব্যক্তিগত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সে (শান্ত) যদি মানসিকভাবে বিরক্ত থাকে, সে কিন্তু খেলতে পারবে না। দিন শেষে তাকে খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। তার যদি মনে হয়, এটা মানসিকভাবে খুবই ভোগাচ্ছে, তার সেই সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত।

প্রশ্ন: দলে আপনার অনেক প্রভাবের কথা শোনা যায়। কথাগুলো আপনাকে কতটা বিব্রত করে?

সালাহ উদ্দীন: বিব্রত হওয়ার মতো কিছু না। জানি, আগে থেকেই এখানে কিছু ঘটলে জবাবদিহি করতে হবে। কারণ, আমি দেশি মানুষ। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিদেশিদের সঙ্গে পার্থক্য করাও ঠিক নয়। তাহলে তাদের প্রতি অসম্মান করা হয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি। এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আমাদের নিয়মই হচ্ছে, আপনি কেন ভালো আছেন, আমি তাই খুব অসুখী! আমাদের সংস্কৃতির একটা দিক, ও কেন ভালো আছে। নিজে কেমন আছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। এটা মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নাই। তবে আমার মনে হয়, গঠনমূলক সমালোচনা করলে সবার জন্যই ভালো। আমি ব্যাটিং কোচ। দল ভালো করছে না। সেটা নিয়ে আপনি বলেন। কোনো সমস্যা নেই। সবকিছুই গঠনমূলক হলে সবার প্রতি সম্মান থাকে। কারও মোটিভ যদি প্রয়োগ করতে চান, ঠিক নয়। শুধু অন্যায়ভাবে না জেনে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। এখানে হেড কোচ, অধিনায়ক আছে। কোচিং স্টাফে অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় আছেন। আমি চাইলেও মুশতাক ভাইয়ের ওপর মাতব্বরি করতে পারব না। তাঁরাও অনেক হাই প্রোফাইল কোচ। বুঝেশুনে কথা বললে ভালো হয়।

প্রশ্ন: হুট করে শেখ মেহেদীকে সহ-অধিনায়ক করা, বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হয়েও মেহেদী হাসান মিরাজের টি-টোয়েন্টি দলে উপেক্ষিত থাকা ইত্যাদি বিষয় আপনার প্রভাবের উদাহরণ হিসেবে এসেছে।

সালাহ উদ্দীন: সব তো প্রকাশ্যে বলা যায় না। এতটুকু বলব, নির্বাচক, অধিনায়ক, প্রধান কোচ আছেন। এগুলো বুঝতে হবে। আমার মতামতেই যদি সব হতো, তাহলে আমারই দল চালালে ভালো হতো। এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। প্রতিটি বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে। দলে সাফল্য আসে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে।

প্রশ্ন: দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হচ্ছেন। আপনার কাজের পরিধি কমে যেতে পারে। কীভাবে দেখছেন?

সালাহ উদ্দীন: আমার দল যদি সামান্য লাভবান হয়, যেকোনো বিভাগে, আমি কেন ঈর্ষান্বিত হতে যাব। দল হিসেবে ভালো করলে সবারই ভালো লাগবে। আমি তো বলতে যাইনি, গত এক বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছি, আমাদের পাওয়ার হিটিং কোচ আনার দরকার নেই! আমার যদি মনে হয় দলের সামান্য উপকারেও যদি কেউ আসে, সেটা দলেরই হবে। দলটা পুরো বাংলাদেশের। এখানে ভিন্নভাবে দেখার কিছু নেই।

প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত সময়ে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ কতটা বদলে দিতে পারবেন?

সালাহ উদ্দীন: যদি কেউ একটা ধাপ এগিয়ে দিতে পারে, সেটা দলেরই লাভ। কী শিখবে, কী শেখাবে, জানি না। তবে কেউ যদি সামান্য নিতে পারে, তাতে দলই লাভবান। এখানে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কেউ গুরুত্বপূর্ণ নই, দল গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: অধিনায়ক লিটন দাস এই রানে আছেন তো এই নেই! তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?

সালাহ উদ্দীন: শুধু লিটন দাস নয়, ব্যাটিং কোচ হিসেবে আমার আরও কয়েকটা চ্যালেঞ্জ আছে। বোলাররা যেন ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তাতে ওপরের নাম্বার ছয়-সাতে যারা ব্যাটিং করে, তারা অনেক চাপে খেলে। ওরা ভাবে, আমার পরে আর কেউ নেই! আমরা অধারাবাহিক। এক ম্যাচে সবাই ভালো করল, পরের ম্যাচের সবাই একসঙ্গে খারাপ করল। শুধু লিটন নয়, এখানে সবাইকে উন্নতি করতে হবে। শ্রীলঙ্কার টেস্ট ব্যাটারদের গড় দেখুন, সবারই ৪০-এর ওপরে। আমাদের কারও নেই, ৩৬-৩৭ তারা যদি ৪০-৪২ গড়ে নিয়ে যায়, যারা ২৭-২৮ তারা যদি ৪০-এর কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে দল থিতু হয়ে যাবে। এই চ্যালেঞ্জ আছে সামনে। এখানে বেশি উন্নতি করা জরুরি।

প্রশ্ন: সাকিব-তামিমদের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মৌলিক পার্থক্য কী?

সালাহ উদ্দীন: পার্থক্য খুব বেশি নয়। তাদের সময়ে দলের চাহিদা কম ছিল। টেস্টে আমরা কখনো চিন্তা করতাম, যেন আড়াই দিনে যায়। আড়াই দিনে গেলে বেঁচে যাই! ওয়ানডেতে ২০০৮ সালের দিকে ২০০-২২০ করলে আমরা খুশি হয়ে যেতাম। জেমি (সিডন্স) মাঝে মাঝে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলত—সালাহ উদ্দীন, আজ আমরা ২২০ করেছি। তখন চাওয়া-পাওয়া অন্য রকম ছিল। এখন দলটা একটা ভালো পর্যায়ে গেছে। এখন জয়ের প্রত্যাশা বেশি। ছেলেদের এই মানসিকতা আছে, জয়ের ক্ষুধা আছে। এই পরিবর্তন যুগের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।

প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে শেষ কথা কবে?

সালাহ উদ্দীন: সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে।

প্রশ্ন: কী কথা হয়েছে ক্রিকেট নিয়ে?

সালাহ উদ্দীন: সাকিব আমাকে নিয়ে একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞেস করল, আপনি টেনশনে পড়ে গেছেন কি না। সে আমাকে ভালোভাবে চেনে। একটা ডায়ালগ দিয়েছিলাম ওকে, দেখ, জীবনে মাইনাস ৫০০ টাকা নিয়ে সংসার শুরু করেছিলাম। তুই আমাকে টেনশন দিয়ে কাবু করবি, আমি ওই মানুষ না। তখন বলে, রাখি! রাখি!

প্রশ্ন: ওর ক্রিকেট ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে, নিভৃতে শেষ?

সালাহ উদ্দীন: এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বোর্ডও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সরকারি নীতি, তাদের ওপর নির্ভর করে। বোর্ডেরও কিছু করার নেই। যখন সরকার মনে করবে, তখনই সে আসতে পারবে। না হলে আসলে...তাকে ক্রিকেট খেলতে দেশে আসতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। হয়তো সেভাবে সে মেনে নেবে। বা কখনো যদি সে ফিরে আসতে পারে, সবাই চাই আসুক। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে মাঠে বসে খেলা দেখবেন মেসি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৫
লিওনেল মেসি। ছবি: এক্স
লিওনেল মেসি। ছবি: এক্স

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।

ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।

ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’

লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’

নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বয়কট থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ইরান

ক্রীড়া ডেস্ক    
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ছবি: এক্স
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ছবি: এক্স

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।

বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।

গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।

ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফেকে টাকা দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৩
৪ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ছবি: বাফুফে
৪ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ছবি: বাফুফে

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপের আগে দলে বেশি পরিবর্তন চান না লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৭
লিটন দাস। ফাইল ছবি
লিটন দাস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।

লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’

বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত