ইফতেখার নিলয়, ঢাকা

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
এসবে অবশ্য মাথা ঘামানোর সময় নেই, দলের নামটাই মুখ্য বাংলাদেশের কাছে। টি-টোয়েন্টির মলিন পরিসংখ্যানটা বদলে দিতে এই দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় রাখবে কার্যকরী ভূমিকা। অস্ট্রেলিয়ার যাঁরা বাংলাদেশ সফরে আসেননি, তাঁরা এলেও যে বাংলাদেশকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হতো, সেটা নয়। গা-ছাড়া ভাব কোনো দলের সঙ্গেই চলে না পেশাদার ক্রিকেটে।
এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন ছিল। অস্ট্রেলিয়া দলটা ভরপুর ছিল নবাগতদের ভিড়ে। যাঁদের নিয়ে বাংলাদেশের ছিল না খুব একটা ধারণা। যাঁদের নিয়ে কারোরই কিছু জানা নেই, তাঁদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করা একটু কঠিনই। দুর্বলতার দিক কিংবা শক্তির জায়গা নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান-পরিকল্পনা তৈরিতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমন অচেনাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে একটু বেগ পেতেই হয়।
অনেকের কাছেই এই সিরিজ মিচেল স্টার্ক বনাম মোস্তাফিজুর রহমান হলেও আমার কাছে ছিল দুই দলের তরুণদের লড়াই। যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের তরুণেরাই এগিয়ে আছেন। স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইও যে হয়নি, সেটাও না। স্টার্কও এ পর্যন্ত ফিজের চেয়ে ২ উইকেটে পিছিয়ে, যেভাবে অজিরা সিরিজটা পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। খাদের কিনারা থেকে উঠতে তাই সিরিজের সূচির মাঝে একেবারে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইয়ের চিত্র বলছে, চেনা উইকেটের পূর্ণ ফায়দা নিতে ভুল করেননি মোস্তাফিজ। কাটারের ভেলকিতে ভ্যাবাচেকা খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। স্লগে তাঁর চমৎকার পরিণত বোলিং আর অন্য প্রান্ত থেকে তরুণ শরিফুলের যোগ্য সঙ্গ ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে রাখতে সহায়তা করেছে। এতেই লম্বা সময় ধরে চলা টি-টোয়েন্টিতে অফ-ফর্মের ধারা এখনো কাটিয়ে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের রোমাঞ্চকর লড়াইটা দেখা যাবে আরও তিন ম্যাচ। তবে আবারও বলতে হচ্ছে, এই সিরিজটা আসলে তরুণদের মেলে ধরার মঞ্চ। এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণে কিছুটা ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ছবিটা ঠিক উল্টো।
বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই জিতেছে তরুণদের হাত ধরে। আর উইন্ডিজ সফর থেকেই নিষ্প্রভ অজি তরুণেরা। যে আশায় ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে নতুনদের, সে আস্থার প্রতিদান এখনো সেভাবে তাঁরা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ সাকিব-মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই গত ম্যাচটা বেশ কঠিন করেই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মাঝেও আছে কিছু আক্ষেপের গল্প। সৌম্যের আত্মঘাতী শট খেলার অভ্যাস এখনো কাটেনি। হাতে পর্যাপ্ত শটের অভাবে শট নির্বাচনের ভুল কাটিয়ে উঠতে সময় নিচ্ছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। তবু আফিফ হোসেন আর নুরুল হাসান সোহানের পরিণত ব্যাটিং দেখাচ্ছে নতুন স্বপ্ন।
সোহান, আফিফ, মেহেদী, নাসুমের হাত ধরে চলছে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবযাত্রা। এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ছন্দ তাঁদের ধরে রাখতে হবে। বাকি তিন ম্যাচেও সমর্থকদের অপেক্ষা তরুণদের নতুন ঝলক দেখার। মুশফিক ও তামিমের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডার নড়বড়ে হলেও তরুণেরা কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে জয়ের প্রান্তে নেওয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখুন। আগামীর কান্ডারিরা এই ধারা অব্যাহত রাখবেন। এটিই প্রত্যাশা।
লেখক: ক্রিকেট সমালোচক, সাংবাদিক

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
এসবে অবশ্য মাথা ঘামানোর সময় নেই, দলের নামটাই মুখ্য বাংলাদেশের কাছে। টি-টোয়েন্টির মলিন পরিসংখ্যানটা বদলে দিতে এই দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় রাখবে কার্যকরী ভূমিকা। অস্ট্রেলিয়ার যাঁরা বাংলাদেশ সফরে আসেননি, তাঁরা এলেও যে বাংলাদেশকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হতো, সেটা নয়। গা-ছাড়া ভাব কোনো দলের সঙ্গেই চলে না পেশাদার ক্রিকেটে।
এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন ছিল। অস্ট্রেলিয়া দলটা ভরপুর ছিল নবাগতদের ভিড়ে। যাঁদের নিয়ে বাংলাদেশের ছিল না খুব একটা ধারণা। যাঁদের নিয়ে কারোরই কিছু জানা নেই, তাঁদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করা একটু কঠিনই। দুর্বলতার দিক কিংবা শক্তির জায়গা নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান-পরিকল্পনা তৈরিতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমন অচেনাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে একটু বেগ পেতেই হয়।
অনেকের কাছেই এই সিরিজ মিচেল স্টার্ক বনাম মোস্তাফিজুর রহমান হলেও আমার কাছে ছিল দুই দলের তরুণদের লড়াই। যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের তরুণেরাই এগিয়ে আছেন। স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইও যে হয়নি, সেটাও না। স্টার্কও এ পর্যন্ত ফিজের চেয়ে ২ উইকেটে পিছিয়ে, যেভাবে অজিরা সিরিজটা পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। খাদের কিনারা থেকে উঠতে তাই সিরিজের সূচির মাঝে একেবারে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইয়ের চিত্র বলছে, চেনা উইকেটের পূর্ণ ফায়দা নিতে ভুল করেননি মোস্তাফিজ। কাটারের ভেলকিতে ভ্যাবাচেকা খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। স্লগে তাঁর চমৎকার পরিণত বোলিং আর অন্য প্রান্ত থেকে তরুণ শরিফুলের যোগ্য সঙ্গ ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে রাখতে সহায়তা করেছে। এতেই লম্বা সময় ধরে চলা টি-টোয়েন্টিতে অফ-ফর্মের ধারা এখনো কাটিয়ে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের রোমাঞ্চকর লড়াইটা দেখা যাবে আরও তিন ম্যাচ। তবে আবারও বলতে হচ্ছে, এই সিরিজটা আসলে তরুণদের মেলে ধরার মঞ্চ। এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণে কিছুটা ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ছবিটা ঠিক উল্টো।
বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই জিতেছে তরুণদের হাত ধরে। আর উইন্ডিজ সফর থেকেই নিষ্প্রভ অজি তরুণেরা। যে আশায় ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে নতুনদের, সে আস্থার প্রতিদান এখনো সেভাবে তাঁরা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ সাকিব-মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই গত ম্যাচটা বেশ কঠিন করেই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মাঝেও আছে কিছু আক্ষেপের গল্প। সৌম্যের আত্মঘাতী শট খেলার অভ্যাস এখনো কাটেনি। হাতে পর্যাপ্ত শটের অভাবে শট নির্বাচনের ভুল কাটিয়ে উঠতে সময় নিচ্ছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। তবু আফিফ হোসেন আর নুরুল হাসান সোহানের পরিণত ব্যাটিং দেখাচ্ছে নতুন স্বপ্ন।
সোহান, আফিফ, মেহেদী, নাসুমের হাত ধরে চলছে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবযাত্রা। এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ছন্দ তাঁদের ধরে রাখতে হবে। বাকি তিন ম্যাচেও সমর্থকদের অপেক্ষা তরুণদের নতুন ঝলক দেখার। মুশফিক ও তামিমের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডার নড়বড়ে হলেও তরুণেরা কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে জয়ের প্রান্তে নেওয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখুন। আগামীর কান্ডারিরা এই ধারা অব্যাহত রাখবেন। এটিই প্রত্যাশা।
লেখক: ক্রিকেট সমালোচক, সাংবাদিক
ইফতেখার নিলয়, ঢাকা

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
এসবে অবশ্য মাথা ঘামানোর সময় নেই, দলের নামটাই মুখ্য বাংলাদেশের কাছে। টি-টোয়েন্টির মলিন পরিসংখ্যানটা বদলে দিতে এই দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় রাখবে কার্যকরী ভূমিকা। অস্ট্রেলিয়ার যাঁরা বাংলাদেশ সফরে আসেননি, তাঁরা এলেও যে বাংলাদেশকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হতো, সেটা নয়। গা-ছাড়া ভাব কোনো দলের সঙ্গেই চলে না পেশাদার ক্রিকেটে।
এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন ছিল। অস্ট্রেলিয়া দলটা ভরপুর ছিল নবাগতদের ভিড়ে। যাঁদের নিয়ে বাংলাদেশের ছিল না খুব একটা ধারণা। যাঁদের নিয়ে কারোরই কিছু জানা নেই, তাঁদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করা একটু কঠিনই। দুর্বলতার দিক কিংবা শক্তির জায়গা নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান-পরিকল্পনা তৈরিতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমন অচেনাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে একটু বেগ পেতেই হয়।
অনেকের কাছেই এই সিরিজ মিচেল স্টার্ক বনাম মোস্তাফিজুর রহমান হলেও আমার কাছে ছিল দুই দলের তরুণদের লড়াই। যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের তরুণেরাই এগিয়ে আছেন। স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইও যে হয়নি, সেটাও না। স্টার্কও এ পর্যন্ত ফিজের চেয়ে ২ উইকেটে পিছিয়ে, যেভাবে অজিরা সিরিজটা পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। খাদের কিনারা থেকে উঠতে তাই সিরিজের সূচির মাঝে একেবারে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইয়ের চিত্র বলছে, চেনা উইকেটের পূর্ণ ফায়দা নিতে ভুল করেননি মোস্তাফিজ। কাটারের ভেলকিতে ভ্যাবাচেকা খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। স্লগে তাঁর চমৎকার পরিণত বোলিং আর অন্য প্রান্ত থেকে তরুণ শরিফুলের যোগ্য সঙ্গ ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে রাখতে সহায়তা করেছে। এতেই লম্বা সময় ধরে চলা টি-টোয়েন্টিতে অফ-ফর্মের ধারা এখনো কাটিয়ে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের রোমাঞ্চকর লড়াইটা দেখা যাবে আরও তিন ম্যাচ। তবে আবারও বলতে হচ্ছে, এই সিরিজটা আসলে তরুণদের মেলে ধরার মঞ্চ। এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণে কিছুটা ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ছবিটা ঠিক উল্টো।
বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই জিতেছে তরুণদের হাত ধরে। আর উইন্ডিজ সফর থেকেই নিষ্প্রভ অজি তরুণেরা। যে আশায় ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে নতুনদের, সে আস্থার প্রতিদান এখনো সেভাবে তাঁরা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ সাকিব-মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই গত ম্যাচটা বেশ কঠিন করেই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মাঝেও আছে কিছু আক্ষেপের গল্প। সৌম্যের আত্মঘাতী শট খেলার অভ্যাস এখনো কাটেনি। হাতে পর্যাপ্ত শটের অভাবে শট নির্বাচনের ভুল কাটিয়ে উঠতে সময় নিচ্ছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। তবু আফিফ হোসেন আর নুরুল হাসান সোহানের পরিণত ব্যাটিং দেখাচ্ছে নতুন স্বপ্ন।
সোহান, আফিফ, মেহেদী, নাসুমের হাত ধরে চলছে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবযাত্রা। এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ছন্দ তাঁদের ধরে রাখতে হবে। বাকি তিন ম্যাচেও সমর্থকদের অপেক্ষা তরুণদের নতুন ঝলক দেখার। মুশফিক ও তামিমের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডার নড়বড়ে হলেও তরুণেরা কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে জয়ের প্রান্তে নেওয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখুন। আগামীর কান্ডারিরা এই ধারা অব্যাহত রাখবেন। এটিই প্রত্যাশা।
লেখক: ক্রিকেট সমালোচক, সাংবাদিক

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
এসবে অবশ্য মাথা ঘামানোর সময় নেই, দলের নামটাই মুখ্য বাংলাদেশের কাছে। টি-টোয়েন্টির মলিন পরিসংখ্যানটা বদলে দিতে এই দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় রাখবে কার্যকরী ভূমিকা। অস্ট্রেলিয়ার যাঁরা বাংলাদেশ সফরে আসেননি, তাঁরা এলেও যে বাংলাদেশকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হতো, সেটা নয়। গা-ছাড়া ভাব কোনো দলের সঙ্গেই চলে না পেশাদার ক্রিকেটে।
এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন ছিল। অস্ট্রেলিয়া দলটা ভরপুর ছিল নবাগতদের ভিড়ে। যাঁদের নিয়ে বাংলাদেশের ছিল না খুব একটা ধারণা। যাঁদের নিয়ে কারোরই কিছু জানা নেই, তাঁদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করা একটু কঠিনই। দুর্বলতার দিক কিংবা শক্তির জায়গা নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান-পরিকল্পনা তৈরিতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমন অচেনাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে একটু বেগ পেতেই হয়।
অনেকের কাছেই এই সিরিজ মিচেল স্টার্ক বনাম মোস্তাফিজুর রহমান হলেও আমার কাছে ছিল দুই দলের তরুণদের লড়াই। যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের তরুণেরাই এগিয়ে আছেন। স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইও যে হয়নি, সেটাও না। স্টার্কও এ পর্যন্ত ফিজের চেয়ে ২ উইকেটে পিছিয়ে, যেভাবে অজিরা সিরিজটা পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। খাদের কিনারা থেকে উঠতে তাই সিরিজের সূচির মাঝে একেবারে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের লড়াইয়ের চিত্র বলছে, চেনা উইকেটের পূর্ণ ফায়দা নিতে ভুল করেননি মোস্তাফিজ। কাটারের ভেলকিতে ভ্যাবাচেকা খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। স্লগে তাঁর চমৎকার পরিণত বোলিং আর অন্য প্রান্ত থেকে তরুণ শরিফুলের যোগ্য সঙ্গ ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে রাখতে সহায়তা করেছে। এতেই লম্বা সময় ধরে চলা টি-টোয়েন্টিতে অফ-ফর্মের ধারা এখনো কাটিয়ে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া।
স্টার্ক আর মোস্তাফিজের রোমাঞ্চকর লড়াইটা দেখা যাবে আরও তিন ম্যাচ। তবে আবারও বলতে হচ্ছে, এই সিরিজটা আসলে তরুণদের মেলে ধরার মঞ্চ। এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণে কিছুটা ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ছবিটা ঠিক উল্টো।
বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই জিতেছে তরুণদের হাত ধরে। আর উইন্ডিজ সফর থেকেই নিষ্প্রভ অজি তরুণেরা। যে আশায় ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে নতুনদের, সে আস্থার প্রতিদান এখনো সেভাবে তাঁরা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ সাকিব-মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই গত ম্যাচটা বেশ কঠিন করেই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মাঝেও আছে কিছু আক্ষেপের গল্প। সৌম্যের আত্মঘাতী শট খেলার অভ্যাস এখনো কাটেনি। হাতে পর্যাপ্ত শটের অভাবে শট নির্বাচনের ভুল কাটিয়ে উঠতে সময় নিচ্ছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। তবু আফিফ হোসেন আর নুরুল হাসান সোহানের পরিণত ব্যাটিং দেখাচ্ছে নতুন স্বপ্ন।
সোহান, আফিফ, মেহেদী, নাসুমের হাত ধরে চলছে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবযাত্রা। এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ছন্দ তাঁদের ধরে রাখতে হবে। বাকি তিন ম্যাচেও সমর্থকদের অপেক্ষা তরুণদের নতুন ঝলক দেখার। মুশফিক ও তামিমের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডার নড়বড়ে হলেও তরুণেরা কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে জয়ের প্রান্তে নেওয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখুন। আগামীর কান্ডারিরা এই ধারা অব্যাহত রাখবেন। এটিই প্রত্যাশা।
লেখক: ক্রিকেট সমালোচক, সাংবাদিক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
০৬ আগস্ট ২০২১
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
০৬ আগস্ট ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
০৬ আগস্ট ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে বড় কোনো নাম নেই। বড় নামগুলো আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসে এখন সম্ভবত বারবার কপাল চাপড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!
০৬ আগস্ট ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে