Ajker Patrika

আদৌ কি পারছেন না সৌম্য–মিঠুনরা

মাহফুজ সিদ্দিকি হিমালয়
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১১: ৩৯
আদৌ কি পারছেন না সৌম্য–মিঠুনরা

২৩ মার্চ ২০২১, নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বাংলাদেশ শেষ ৫৭ বলে ৯৩ রান তোলে, যেটির পেছনে বড় অবদান মোহাম্মদ মিঠুনের ১২৮ স্ট্রাইকরেটে ৫৭ বলে ৭৩ রানের। সেই ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন, সবাই একমত হবেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে দলীয় রান অন্তত ২৫-৩০ কম হয়েছে। অথচ মাত্র দুই ইনিংস পরেই সেই মিঠুন একাদশের বাইরে—বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় যা অবিশ্বাস্য!  

ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ ইনিংসের মধ্যে বিদেশের মাটিতে টেস্টে ১৫০+ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড ছিল না কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের। ২৫০–এর বেশি বল খেলার দৃষ্টান্তও কম (তামিম ইকবাল মাত্র দুবার, সাকিব আল হাসান একবার ও মুশফিক পাঁচবার)। নাজমুল হোসেন শান্ত সেই অসাধারণ কীর্তি (১২ ইনিংসের মধ্যে ১৫০+ রানের ইনিংস) করার পরও যতটা প্রশংসা; সেটির চেয়ে বেশি ট্রলিং, ব্যাটিং টেকনিকের সমালোচনার শিকারই বেশি হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

৪০ ম্যাচ খেলেছেন–এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট সৌম্য সরকারের। এই তালিকার দুইয়ে লিটন দাস। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর গত ২১ বছরে বাংলাদেশ শুধু একটি টুর্নামেন্টে (দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে) শিরোপা জিততে পেরেছে, সেটি ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ফাইনালে ২৪ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১০ রান। সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ আর শেষে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭ বলে ৫২ রানের সৌজন্যেই বাংলাদেশ প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতে। এই সাফল্যের পরও এই ব্যাটসম্যানরা একটু ব্যর্থ হলেই একের পর এক সমালোচনার তির ছুটে গেছে তাঁদের দিকে।

বাংলাদেশ মূলত ওয়ানডে সংস্করণে ভালো দল। টেস্ট আর টি–টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। গত ৩৫ বছরে খেলা ৩৮৫ ওয়ানডের ২৩৫টিই খেলেছে ওপরের সারির দলের বিপক্ষে, জিতেছে ৩৮ টি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের হার ১৬ শতাংশ। বাকি ১৫০টি আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুইয়ে, আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য সহযোগী দলের বিপক্ষে। সেখানে জয় ৯৫ টি। শুধু জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ৭৫ ম্যাচ খেলে জয় ৪৭ টিতে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য কম, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পরিসংখ্যানে আস্থা রেখেই বলতে হচ্ছে, নিচের সারির দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়া থেকেই যাবতীয় মিথের সূত্রপাত। প্রশ্ন হলো, সামর্থ্য কম, এটা মেনে নিয়েই খেলা চালিয়ে যাব, নাকি সীমিত সামর্থ্য নিয়েই শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস দেখাব?

উদাহরণ হিসেবে আফগানিস্তানকে সামনে আনা যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা হারে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে। পরের পাঁচ বছরে তারা বাংলাদেশকে টি–টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে, ওয়ানডেতে দুবার হারিয়েছে। এমনকি নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হোম কন্ডিশনে খেলতে এসেও দাপটের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা সরাসরি অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশকে সেখানে স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার সঙ্গে খেলতে হবে বাছাইপর্ব! শোনা যায়, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে প্রায়ই প্রস্তাব দেয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার। বিসিবি নিয়মিত আগ্রহ দেখায় না এই প্রস্তাবে। কারণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে হারের ভয়টা বেশি থাকে! বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে রশিদ খান, মুজিব–উর–রহমানরা কতটা ‘আতঙ্কে’র নাম, সেটি দুই দলের সিরিজ এলেই দেখা যায়! দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম পর্যন্ত স্ট্রাইক নিতে চান না মুজিব ইনিংসের শুরুতে আক্রমণে এলে।

এই অল্প সময়ে কীভাবে আফগানিস্তান বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করল? আপনি তাদের যেকোনো ক্রিকেটারের কাছে শুনুন। বলবে, আমরা জিততে চাই! ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা সব ম্যাচে হেরেছে। তবু তাদের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই!’ আমাদের কোচ-অধিনায়ক-বোর্ড কর্তাদের মুখে কখনো শুনেছেন এমন কথা? ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছিলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে চাই।’ ২০২১ সালের অধিনায়ক তামিম ইকবালও এই ‘ভালো খেলতে চাওয়া’র বলয় থেকে বের হতে পারেননি।
ক্রিকেটে তিনটি ফল হবে—জয়, পরাজয় আর টাই। ‘ভালো খেলা’ বলতে কিছুর অস্তিত্বই নেই ক্রিকেট অভিধানে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্রিকেটার-সমর্থকদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘ভালো খেলা’ নামের দরিদ্র মানসিকতার ফলটি। এর স্বরূপটা কেমন?

আকরাম খানরা যখন খেলতেন ৫০ ওভার ব্যাটিং করা এবং প্রতিপক্ষের দুই-একজন তারকা ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলতে পারাটাই ছিল ‘ভালো খেলা’। আশরাফুল-হাবিবুলদের যুগে সেটি হয় ২০০–এর সামান্য বেশি রান তোলা কিংবা প্রতিপক্ষকে অলআউট করা। তামিম-সাকিবদের যুগে সেই মানদণ্ডটা উঠেছে ২৪০-২৫০ রান এবং সেই রান তুলতে সংগত কারণেই প্রতিপক্ষের ৫-৬ উইকেট নিতে হবে। কিংবা প্রতিপক্ষ ৩০০ করলে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে সেই রানের যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাওয়া। টি–টোয়েন্টির যুগে ২৪০-২৫০ রান যে বড় কোনো স্কোরই নয়! দর্শকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের ম্যাচ দেখতে পারলেই খুশি কিংবা হেরে যাওয়া ম্যাচে এক–দুজন ব্যাটসম্যান ৮০ বলে ৫৩ রান করেছে—সেটিকেই বিশাল কৃতিত্ব হিসেবে দেখানো হয়।

 মূলত এখানেই আটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্ম। জাভেদ ওমর বা খালেদ মাসুদ পাইলটরা ছিলেন টেস্টপূর্ব যুগের খেলোয়াড়, তামিম-সাকিবদের সঙ্গে তাদের মান ও মানসিকতার পার্থক্য সাদা চোখেই ধরা পড়ত। আর এখন সৌম্য-লিটন-মোসাদ্দেকদের প্রজন্ম সাকিবদের চেয়ে এগিয়ে খুবই সামান্য ব্যবধানে। যেটি সাকিবদের তারকাখ্যাতির বিপরীতে সহজেই উপেক্ষণীয়।

মিঠুন বাদে উত্তরপ্রজন্মের ক্রিকেটেরদের প্রত্যেকেই পূর্বসূরিদের তুলনায় এগিয়ে। তবু এটা যথেষ্ট নয়, যেহেতু বাংলাদেশ এখন হোম কন্ডিশনে জেতে (বিশেষ করে ওয়ানডেতে)। উত্তরপ্রজন্ম যে ২৮০ রানকে মানদণ্ড ধরবে সেই সুযোগ কোথায়? এমনকি আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের মতো পেছনের সারির দলেও টপ অর্ডারে স্ট্রোকমেকার থাকেন। তাঁরা নির্ভীক ব্যাটিং করেন, তাঁদের হারানোর কিছু নেই! শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গেও একই কথা প্রযোজ্য।

আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্ট্রোক খেলতে গিয়ে আউট হলে ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক, বোর্ড সভাপতি, ফেসবুক দর্শকেরা সম্মিলিতভাবে বলে ওঠেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন শট’! যে কারণে স্বার্থপর ব্যাটিং (যেমন ৯০ বলে ৬২ রান) করে একটা ফিফটি তোলাটাই দায়িত্বশীল ব্যাটিং বলে গণ্য হয়। সাকিব বাদে দেশের বাকি তিন তারকা ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট ৮০–এর নিচে—এই তথ্যটিই বলে দেয় স্বার্থপর ব্যাটিং দিয়ে দলে টিকে থাকার নীতি কীভাবে জেঁকে বসে আছে! প্রথম ছয়টা ব্যাটিং পজিশনের চারটাই ‘অটোমেটিক চয়েস’। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো বাকি দুই পজিশন নিয়ে লড়াই চলে। এ সময়ে সবচেয়ে সমালোচিত লিটন দাস আর সৌম্য সরকার—দুজন একসঙ্গে ওপেন করেছেন মাত্র একবার।

১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায়। নিয়মিত ওপেনার রোশান মহানামা আর গুরুসিংহে ওপেনিং পজিশন থেকে নিচে নেমে গিয়েছিলেন বিস্ফোরক জয়াসুরিয়া আর কালুভিতারানাকে জায়গা করে দিতে। এমনকি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সফলতম জুটি শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলীর জুটি ভেঙেছিলেন। সৌরভ নিচে নেমেছিলেন বিস্ফোরক শেবাগকে জায়গা করে দিতে। গত ১৫ বছরে যত ওপেনার ওয়ানডে খেলেছেন, এর মধ্যে তামিমের স্ট্রাইকরেট সর্বনিম্ন। তবু তিনি কি ওপেনিং স্লটে দুজন স্ট্রোকমেকার (সৌম্য-লিটনের জায়গায় অন্য যে কেউও হতে পারে) কে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নিজে তিন বা চারে নামার কথা চিন্তা করেছেন কখনো?

বিশ্বের যেকোনো মাঠে, বাংলাদেশ আগে অথবা পরে যখনই ব্যাটিং করুক, তামিমের একটাই ভাবনা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করা! এই ভাবনায় হয়তো নিজের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ হয়, দল কতটা ধারাবাহিক সফল হচ্ছে? একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিই—২০১৫ সালের পরে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২৭০ রানের বেশি তাড়া করা ম্যাচের একটিতেও তামিম-মুশফিক বা মাহমুদউল্লাহর ৮০ স্ট্রাইকরেট বা ফিফটি নেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮৬ তাড়া করা। যদিও সেটিতে তিনজনের ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি তাঁরা জেতার চেষ্টা করছেন!

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাওয়ার প্লের দারুণ ব্যবহারে ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের দিকে আনা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটই যে মোমেন্টাম–নির্ভর। গত ছয় বছরে এই পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান সংগ্রহের হার সর্বনিম্ন (গড়ে ৩৯)। গত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল সৌম্য সরকার শুরুতে লুঙ্গি এনগিডি আর কাগিসো রাবাদাকে আক্রমণ করায়। সেই কৃতিত্ব কি সৌম্যকে দেওয়া হয়েছে সেভাবে?

ধরা যাক, সৌম্য বা যেকোনো স্ট্রোকমেকার ওপেনার প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই আউট হলেন। তাতে সমস্যাটা কী, যদি তাঁরা পাঁচ ওভারে ৩০ রান তুলে দিতে পারেন। যদি টানা ১০ ম্যাচেই তাঁরা না পারেন, অন্য স্ট্রোকমেকার এনে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু শুরু থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করে আসলে প্রাপ্তিটা কী?
জিম্বাবুইয়ে বা নিচের সারির দলের বিপক্ষে জিততে অনেক মেহনতের প্রয়োজন নেই। আবার শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ২৫০ রানের মানসিকতা নিয়ে খেলে যে কিছুই সম্ভব নয়, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। তাহলে উপায়টা কী?

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের জয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছিলাম। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্য, বাংলাদেশের জয়গুলোর ৭০ ভাগই প্রতিপক্ষের হঠাৎ ব্যাটিংধসের কারণে। যদি কোনোভাবে প্রতিপক্ষ ২৭০ রান তুলতে পারে, অনেকটা চোখ বন্ধ করে বলা যায় সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হারবে। শক্তিশালী দলের ব্যাটিংয়ে ধস হয় মাঝেমধ্যে, বাংলাদেশেরও তাই জেতা হয় না নিয়মিত।
বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টিতে এখন যতটা বাজে খেলছে, এর চেয়ে বাজে খেলা অসম্ভব! সেখানে তারকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে আফিফ বা শেখ মেহেদীকে অধিনায়ক করে তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করে দুই-তিনটা সিরিজেও কি চেষ্টা করা হয়েছে? তবু কিসের ভিত্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্তরপ্রজন্ম ব্যর্থ?

প্রশ্ন হতে পারে, পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় মানে অনেক এগিয়ে থাকা ক্রিকেটার কেন পাচ্ছি না? সেই আলোচনা করতে গেলে পাতানো ম্যাচ, বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাসহ বহু অপ্রিয় প্রসঙ্গ উঠে আসবে। সেসব ধামাচাপা দিতেই কি তারকা ক্রিকেটার বনাম তরুণ ক্রিকেটারদের এক জনপ্রিয় দ্বৈরথ বানিয়ে রাখা হয়েছে?

লেখক: লেখক ও মানব বিশ্লেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএল খেলেই পাকিস্তানে পরিচিত পেয়েছেন নাফি

ক্রীড়া ডেস্ক    
চলতি বিপিএলে রংপুরের হয়ে খেলছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।  ছবি: সংগৃহীত
চলতি বিপিএলে রংপুরের হয়ে খেলছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। ছবি: সংগৃহীত

বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।

বিপিএলের গত পর্বে চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে খেলেছেন নাফি। ব্যাট হাতে ৫ ম্যাচে করেন ২০১ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে দরজা খুলে যায় তাঁর। দেশটির ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ, পিএসএল ও ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।

নাফি বলেন, ‘আমি আগেরবার বিপিএলের ভালো পারফর্ম করেছিলাম। এজন্য ক্রিকেটে সুযোগ পাই। বিপিএলে পারফর্ম করার পরই পাকিস্তানের মানুষ জানতে পারে যে নাফি নামেও একজন আছে। এরপরই আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি।’

বিপিএলের চলতি পর্বে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন নাফি। এর আগে সবশেষ গ্লোবাল সুপার লিগেও (জিএসএল) খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তিনি, ‘রংপুরের হয়ে আমি জিএসএল খেলেছি। এই দলটা আমার জন্য নতুন নয়। বিপিএলে রংপুর আমার জন্য নতুন দল। নতুন লক্ষ্য হলো গত বছর যেমন পারফর্ম করেছিলাম, রংপুর রাইডার্সের জন্যও তেমন পারফর্ম করার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।’

প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত নাফি। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। জাতীয় দলের খেলার জন্য এতদিন কষ্ট করেছি। অবশেষে সে সুযোগ এসেছে। একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্ত এবার ‘জবাব’ দিচ্ছে, বলছেন রাজশাহীর কোচ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এবারের বিপিএলে সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: ফেসবুক
এবারের বিপিএলে সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: ফেসবুক

পারফরম্যান্স একটু এদিক সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রুপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।

সবশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ১৪ ম্যাচ খেললেও শান্ত খেলেছিলেন ৫ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সাত মাস ধরে ব্রাত্য তিনি। বাংলাদেশ এ বছর ৩০ টি-টোয়েন্টি খেললেও শান্ত দেশের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলেছেন এক ম্যাচ। এবারের বিপিএলে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার পরই বদলে গেলেন তিনি। দুই ম্যাচ খেলে ১৩৮ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ব্যাটিং করেছেন ১৫৬.৮১ স্ট্রাইকরেটে। যার মধ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরশু সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

সিলেটে আগামীকাল শান্তর রাজশাহী ওয়ারিয়র্স খেলবে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ রাজিন সালেহ। সাংবাদিকদের রাজিন বলেন, ‘শান্ত আসলে তার যে স্বাভাবিক খেলাটা, তাকে নিয়ে যে সমালোচনা হয় সেটা নিতান্তই ভুল। শান্ত তা প্রমাণ করেছে। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা খেলেছে ও সে পারফর্ম করেছে।’

এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে রাজশাহী একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে। প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ১৯২ রান তাড়া করে ২ উইকেটে জিতেছে রাজশাহী। তবে গতকাল ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজশাহী। ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ১৩২ রান। যেখানে তানজিদ হাসান তামিম দুই ম্যাচেই ওপেনিং করেছেন। ১০ ও ২০ রান করে আউট হয়েছেন। তামিম পরের ম্যাচে জ্বলে উঠবেন বলে আশা রাজিনের। সিলেটে সাংবাদিকদের রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে একটু ধস নামছে। সেখান থেকে কিছু রান এলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের এখানে তামিম আছে। অবশ্যই সে পারফর্মার। সে পারফর্ম করবে। তার পারফরম্যান্স দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’

আকবর আলীর নেতৃত্বে এনসিএল চার দিনের ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট—দুই টুর্নামেন্টই জিতেছে রংপুর। তবে এবারের বিপিএলে দুই ম্যাচের কোনোটি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের একাদশে সুযোগ মেলেনি আকবরের। পারফর্মারের চেয়ে দলকে বেশি গুরুত্ব দেন রাজিন,‘আমাদের যারা বেঞ্চে বসে আছে, প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই পারফর্মার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবাই পারফর্মার। অবশ্যই আকবর আলী ভালো ক্রিকেটার। তবে সমন্বয়ের জন্য আমাদের যেরকম চিন্তাভাবনা করা হয়, সেভাবে আমাদের দল করা হয়। আমরা ক্রিকেটারের চিন্তা না করে দলের চিন্তা করি।’

সিলেটে পরশু প্রথম দুই ম্যাচেই লড়াই করার মতো রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে। কিন্তু গতকালের দুই ম্যাচ মিলিয়ে দিনের সর্বোচ্চ ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে সিলেট টাইটান্স। রাজিনের মতে দুই দিনে উইকেট ভিন্ন আচরণ করেছে। রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটার দিকে দেখুন। দুইটা ইনিংসেই ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। উইকেট অনেক ভালো ছিল বলে ব্যাটিং ভালো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটায় আমি মনে করি না যে উইকেট ভালো ছিল। তবে যদি গতকালের দুইটা ম্যাচই দেখেন, রান বেশি হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে শরীফুল, এখন কী অবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩১
হাসপাতালে যেতে হয়েছিল শরীফুল ইসলামকে। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে যেতে হয়েছিল শরীফুল ইসলামকে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দুই দিন খেলার পর আজ চলছে বিরতি। এই সময় ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে অনুশীলন করছেন। অনুশীলনের মাঝপথেই শরীফুল ইসলামকে যেতে হয় হাসপাতালে।

এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম রয়্যালসের হয়ে খেলছেন শরীফুল। অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পরামর্শক হাবিবুল বাশার সুমন। শরীফুলকে নিয়ে আজকের পত্রিকাকে সুমন বলেন, ‘আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন সে সুস্থ আছে। এখন সে ঘুমোচ্ছে।’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দেয়ে ট্রায়াঙ্গুলার সার্ভিস। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিয়েছে বিসিবি। মিজানুর রহমান বাবুলকে কোচ ও নাফিস ইকবালকে ম্যানেজার করা হয়েছে বিপিএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজির। সুমন প্রথমে টেকনিক্যাল কমিটির দায়িত্বে থাকলেও পরে এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের পরামর্শক পদে কাজ করার জন্য। সুমনের পরিবর্তে নান্নুকে নিয়ে আসা হয়েছে বিপিএলের টেকনিকাল কমিটিতে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরশু নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১২তম বিপিএল শুরু করে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ৬৫ রানের বিশাল জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে চট্টগ্রাম। নোয়াখালীর বিপক্ষে ৩ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন শরীফুল। আগামীকাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নামবে চট্টগ্রাম রয়্যালস। রংপুরের এটা এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ। চট্টগ্রামের জন্য এটা হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মোস্তাফিজ খুবই আন্ডাররেটেড’

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানকে আন্ডাররেটেড মনে করেন মঈন আলী। ছবি: ক্রিকইনফো
মোস্তাফিজুর রহমানকে আন্ডাররেটেড মনে করেন মঈন আলী। ছবি: ক্রিকইনফো

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পাশাপাশি বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এখন নিয়মিতই দেখা যায় মোস্তাফিজুর রহমানকে। আইপিএল, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল), আইএল টি-টোয়েন্টি—সব টুর্নামেন্টেই তিনি দেখাচ্ছেন তাঁর ভেলকি। মঈন আলী ও আদিল রশিদের মতে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারকে সব সময় সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টি খেলার সময়ই সুখবর পান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬ ডিসেম্বর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইপিএল নিলামে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে (বাংলাদেশি ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায়) কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার এখন তিনি। মঈন আলীর মতে মোস্তাফিজকে সঠিক দামেই কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে মঈন বলেন, ‘খুবই খুশি আমি। এটা (কলকাতার ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কেনা) তার প্রাপ্য। তবে সে খুবই আন্ডাররেটেড। সে দক্ষ হলেও আলোচনায় আসে কম।’

মঈন আলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) হয়ে মুস্তাফিজের সাথে খেলেছেন, তার সাবেক সতীর্থকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান। আসন্ন আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ কোটি ৩৪ লাখ) দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুস্তাফিজের এই মূল্যকে সঠিক বলছেন মঈন।

আইএল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ৮ ম্যাচে ৮.০৮ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুবাইকে জিতিয়ে এক ম্যাচে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। বিয়ার্ড বিফোর উইকেটে মোস্তাফিজকে নিয়ে মঈনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনান সময় তাঁর (মঈন) সুরে সুর মিলিয়েছেন আদিল রশিদও। মঈনের সঙ্গে সহমত পোষণ করে রশিদ বলেন, ‘তার এটা (কলকাতার ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কেনা) প্রাপ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সে দারুণ পারফরমার। তবে সে ভীষণ আন্ডাররেটেড।’

২০১৬ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আইপিএলে ৬০ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমিতে মোস্তাফিজ পেয়েছেন ৬৫ উইকেট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস—এই পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি। কলকাতা তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ দল। যার মধ্যে ২০২৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসে মোস্তাফিজ-মঈন ছিলেন সতীর্থ। গতকাল বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে দুই বছর আগের পুরোনো স্মৃতিচারণ করে মঈন বলেন, ‘চেন্নাই সুপার কিংসে তার জন্য আমার খারাপ লেগেছিল। সে শুরুতে ভালো বোলিং করেছিল। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি। তার বেশি খেলার সুযোগ হয়নি। সে দারুণ স্লোয়ার করতে পারে। অনেক বছর ধরেই করছে সেটা।’

সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিব ও তাসকিন খেলেছেন এমআই এমিরেটস ও শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তখন হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের একত্রিত হওয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিপিএল খেলতে মোস্তাফিজ যখন আজ সিলেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। সাকিব-তাসকিনদের বিপক্ষে আরব আমিরাতে খেলে কি বাংলাদেশের মতো পরিবেশ মনে হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফিজ বলেন, ‘সবাই থাকলে তো... জাতীয় দলের শুধু দুই-তিনজন ক্রিকেটার নয়। সব সময় আরো বেশি ক্রিকেটার বিদেশের লিগে থাকলে তো ভালোই লাগে।’

সাকিব এখনো এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলছেন। তবে তাসকিন, মোস্তাফিজ বিপিএল খেলতে ২৪ ডিসেম্বর আমিরাত থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগামীকাল চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিপিএল অভিযান শুরু করবে রংপুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত