রিফাত বিন জামাল

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
যে দেশে পাওয়ার হিটারের বড্ড অভাব, সে দেশে যাঁদের পাওয়ার হিটার ভাবা হয়, তাঁদের একজন শামীম পাটোয়ারী। কোচ, ম্যানেজমেন্ট থেকেও সব সময় বলা হয়েছে, তাকে ফিনিশারের ভূমিকাতেই দেখা হচ্ছে। সেই শামীমকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নামিয়ে দেওয়া হলো তিন নম্বরে! যেকোনো ফরম্যাটেই, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি। একজন লেট-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আর তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য! তাহলে এটি কোন পরিকল্পনার অংশ হলো?
এর আগেও টপ অর্ডারে খেলে আসা ব্যাটসম্যানদেরও ‘ফিনিশার’ বানানোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে বাংলাদেশ দলে। ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৩৮টি। এতে তিনে খেলেছেন আট ব্যাটসম্যান, যেখানে ১০ ম্যাচের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুই সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।
ডমিঙ্গোর অধীনে চারে খেলেছেন ১০ ব্যাটার, সেই পজিশনে দশের বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই। পাঁচে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন ২২ ম্যাচে। তবে সে ভূমিকায় তাঁকে ছাড়াও খেলতে হয়েছে আরও পাঁচজনকে। লেট-মিডল অর্ডার বর্তমানে মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও সব মিলিয়ে ছয় নম্বরে খেলেছেন ১০ ক্রিকেটার, আর সাত ও আটে ৯ জন।
ডমিঙ্গোর কাছে ‘প্রতিভার ভান্ডার’ নেই ঠিক, তবে দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও তাঁর খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে ‘অদল-বদল’ করার কথাই যে বলছে ওপরের পরিসংখ্যানগুলো। এতে চোট কিংবা ‘পাওয়া-না পাওয়া’র ব্যাপারও যেমন আছে, এই সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই, ছন্দ হারিয়ে ফেলাও একটা কারণ।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেওয়ার পর দলের কোনো একটা নির্বাচন নিয়ে একটুও আলোচনা তৈরি হয়নি। কারণ, বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরা আলোচনার মতো কিছুই যে করেননি। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সেই বাইরে থাকারা আগে-পরে সাড়া জাগানোর মতো কিছুই করেননি। দলে থাকা খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটাই অনেককে সুযোগ দিয়ে দিয়েছে। এবং পাকিস্তান সিরিজে অনুমিত ফলটাই হয়েছে, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ। তবু এই সিরিজে প্রাপ্তির খাতায় একেবারেই যে চিহ্ন পড়েনি, তা নয়।
ডমিঙ্গোর সময়ে একমাত্র আফিফ হোসেন সব টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে তাঁকেও চার থেকে সাত নম্বর, সব পজিশনেই খেলতে হয়েছে। নিয়মিত না হলেও আফিফ মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন। অবশ্য আফিফ কি তাঁর খেলাটা খেলার সুযোগ পান, সেও এক প্রশ্ন। গিয়েই মারকাটারি ব্যাটিং আফিফ করেন না। বরং সময় নিয়ে ইনিংস গড়াটাই তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। পাকিস্তান সিরিজে চারে তাঁকে ডমিঙ্গো সুযোগ দিলে সেখানে তিনি তিন ম্যাচে ৭৬ রান করতে পেরেছেন। যে সিরিজে সব মিলিয়ে ব্যাটিং গড় ছিল ১৬, আফিফ সেখানে ২৫.৩৩ গড়ে রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যাচ্ছে।
শান্ত-শামীমও এই সিরিজে দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখার সাহস করা যায়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ঢেলে সাজানোর গুঞ্জন দেশের ক্রিকেটে থাকলেও আসল পরিবর্তন যেখানে প্রয়োজন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির বদলে ক্ষতে ‘সাময়িক’ প্রলেপ দেওয়াতেই মনোযোগ। উঠতি তরুণদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তাই গড়ে ওঠার জায়গা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক আঙিনায় চলাফেরা করেই তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গড়ে উঠতে হবে। সে জন্য দরকার আস্থা, বিশ্বাস, সুযোগ আর সময়।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ধারাবাহিক সাফল্য কারও অজানা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই সাফল্যের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন, তিনি পরিবর্তনে কম বিশ্বাসী, বরং একজন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখেন অনেক বেশি। সঙ্গে যাঁর যাঁর দায়িত্ব আগেভাগে বুঝিয়ে দেওয়াটার ব্যাপারও আছে। আর বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গোর অস্থিরতা বলে দেয়, তিনি একটু বেশিই ‘দেখাদেখি’ করছেন! কে কোথায় খেলবে, কার কী দায়িত্ব, সেটা জানা জরুরি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদলও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ভূমিকা বদলালে সাফল্যের সম্ভাবনাটা কমে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। দরকার দলে জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও। দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার না হলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করা কঠিন। যাদের নেওয়া হবে, তাদের লম্বা সময়ের সুযোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় বিশেষ প্রয়োজন।
সবশেষে এ প্রশ্নও তো উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, ডমিঙ্গো নিজেই কি পারছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে?

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
যে দেশে পাওয়ার হিটারের বড্ড অভাব, সে দেশে যাঁদের পাওয়ার হিটার ভাবা হয়, তাঁদের একজন শামীম পাটোয়ারী। কোচ, ম্যানেজমেন্ট থেকেও সব সময় বলা হয়েছে, তাকে ফিনিশারের ভূমিকাতেই দেখা হচ্ছে। সেই শামীমকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নামিয়ে দেওয়া হলো তিন নম্বরে! যেকোনো ফরম্যাটেই, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি। একজন লেট-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আর তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য! তাহলে এটি কোন পরিকল্পনার অংশ হলো?
এর আগেও টপ অর্ডারে খেলে আসা ব্যাটসম্যানদেরও ‘ফিনিশার’ বানানোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে বাংলাদেশ দলে। ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৩৮টি। এতে তিনে খেলেছেন আট ব্যাটসম্যান, যেখানে ১০ ম্যাচের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুই সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।
ডমিঙ্গোর অধীনে চারে খেলেছেন ১০ ব্যাটার, সেই পজিশনে দশের বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই। পাঁচে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন ২২ ম্যাচে। তবে সে ভূমিকায় তাঁকে ছাড়াও খেলতে হয়েছে আরও পাঁচজনকে। লেট-মিডল অর্ডার বর্তমানে মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও সব মিলিয়ে ছয় নম্বরে খেলেছেন ১০ ক্রিকেটার, আর সাত ও আটে ৯ জন।
ডমিঙ্গোর কাছে ‘প্রতিভার ভান্ডার’ নেই ঠিক, তবে দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও তাঁর খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে ‘অদল-বদল’ করার কথাই যে বলছে ওপরের পরিসংখ্যানগুলো। এতে চোট কিংবা ‘পাওয়া-না পাওয়া’র ব্যাপারও যেমন আছে, এই সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই, ছন্দ হারিয়ে ফেলাও একটা কারণ।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেওয়ার পর দলের কোনো একটা নির্বাচন নিয়ে একটুও আলোচনা তৈরি হয়নি। কারণ, বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরা আলোচনার মতো কিছুই যে করেননি। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সেই বাইরে থাকারা আগে-পরে সাড়া জাগানোর মতো কিছুই করেননি। দলে থাকা খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটাই অনেককে সুযোগ দিয়ে দিয়েছে। এবং পাকিস্তান সিরিজে অনুমিত ফলটাই হয়েছে, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ। তবু এই সিরিজে প্রাপ্তির খাতায় একেবারেই যে চিহ্ন পড়েনি, তা নয়।
ডমিঙ্গোর সময়ে একমাত্র আফিফ হোসেন সব টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে তাঁকেও চার থেকে সাত নম্বর, সব পজিশনেই খেলতে হয়েছে। নিয়মিত না হলেও আফিফ মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন। অবশ্য আফিফ কি তাঁর খেলাটা খেলার সুযোগ পান, সেও এক প্রশ্ন। গিয়েই মারকাটারি ব্যাটিং আফিফ করেন না। বরং সময় নিয়ে ইনিংস গড়াটাই তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। পাকিস্তান সিরিজে চারে তাঁকে ডমিঙ্গো সুযোগ দিলে সেখানে তিনি তিন ম্যাচে ৭৬ রান করতে পেরেছেন। যে সিরিজে সব মিলিয়ে ব্যাটিং গড় ছিল ১৬, আফিফ সেখানে ২৫.৩৩ গড়ে রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যাচ্ছে।
শান্ত-শামীমও এই সিরিজে দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখার সাহস করা যায়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ঢেলে সাজানোর গুঞ্জন দেশের ক্রিকেটে থাকলেও আসল পরিবর্তন যেখানে প্রয়োজন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির বদলে ক্ষতে ‘সাময়িক’ প্রলেপ দেওয়াতেই মনোযোগ। উঠতি তরুণদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তাই গড়ে ওঠার জায়গা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক আঙিনায় চলাফেরা করেই তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গড়ে উঠতে হবে। সে জন্য দরকার আস্থা, বিশ্বাস, সুযোগ আর সময়।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ধারাবাহিক সাফল্য কারও অজানা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই সাফল্যের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন, তিনি পরিবর্তনে কম বিশ্বাসী, বরং একজন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখেন অনেক বেশি। সঙ্গে যাঁর যাঁর দায়িত্ব আগেভাগে বুঝিয়ে দেওয়াটার ব্যাপারও আছে। আর বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গোর অস্থিরতা বলে দেয়, তিনি একটু বেশিই ‘দেখাদেখি’ করছেন! কে কোথায় খেলবে, কার কী দায়িত্ব, সেটা জানা জরুরি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদলও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ভূমিকা বদলালে সাফল্যের সম্ভাবনাটা কমে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। দরকার দলে জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও। দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার না হলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করা কঠিন। যাদের নেওয়া হবে, তাদের লম্বা সময়ের সুযোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় বিশেষ প্রয়োজন।
সবশেষে এ প্রশ্নও তো উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, ডমিঙ্গো নিজেই কি পারছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে?
রিফাত বিন জামাল

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
যে দেশে পাওয়ার হিটারের বড্ড অভাব, সে দেশে যাঁদের পাওয়ার হিটার ভাবা হয়, তাঁদের একজন শামীম পাটোয়ারী। কোচ, ম্যানেজমেন্ট থেকেও সব সময় বলা হয়েছে, তাকে ফিনিশারের ভূমিকাতেই দেখা হচ্ছে। সেই শামীমকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নামিয়ে দেওয়া হলো তিন নম্বরে! যেকোনো ফরম্যাটেই, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি। একজন লেট-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আর তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য! তাহলে এটি কোন পরিকল্পনার অংশ হলো?
এর আগেও টপ অর্ডারে খেলে আসা ব্যাটসম্যানদেরও ‘ফিনিশার’ বানানোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে বাংলাদেশ দলে। ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৩৮টি। এতে তিনে খেলেছেন আট ব্যাটসম্যান, যেখানে ১০ ম্যাচের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুই সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।
ডমিঙ্গোর অধীনে চারে খেলেছেন ১০ ব্যাটার, সেই পজিশনে দশের বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই। পাঁচে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন ২২ ম্যাচে। তবে সে ভূমিকায় তাঁকে ছাড়াও খেলতে হয়েছে আরও পাঁচজনকে। লেট-মিডল অর্ডার বর্তমানে মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও সব মিলিয়ে ছয় নম্বরে খেলেছেন ১০ ক্রিকেটার, আর সাত ও আটে ৯ জন।
ডমিঙ্গোর কাছে ‘প্রতিভার ভান্ডার’ নেই ঠিক, তবে দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও তাঁর খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে ‘অদল-বদল’ করার কথাই যে বলছে ওপরের পরিসংখ্যানগুলো। এতে চোট কিংবা ‘পাওয়া-না পাওয়া’র ব্যাপারও যেমন আছে, এই সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই, ছন্দ হারিয়ে ফেলাও একটা কারণ।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেওয়ার পর দলের কোনো একটা নির্বাচন নিয়ে একটুও আলোচনা তৈরি হয়নি। কারণ, বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরা আলোচনার মতো কিছুই যে করেননি। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সেই বাইরে থাকারা আগে-পরে সাড়া জাগানোর মতো কিছুই করেননি। দলে থাকা খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটাই অনেককে সুযোগ দিয়ে দিয়েছে। এবং পাকিস্তান সিরিজে অনুমিত ফলটাই হয়েছে, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ। তবু এই সিরিজে প্রাপ্তির খাতায় একেবারেই যে চিহ্ন পড়েনি, তা নয়।
ডমিঙ্গোর সময়ে একমাত্র আফিফ হোসেন সব টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে তাঁকেও চার থেকে সাত নম্বর, সব পজিশনেই খেলতে হয়েছে। নিয়মিত না হলেও আফিফ মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন। অবশ্য আফিফ কি তাঁর খেলাটা খেলার সুযোগ পান, সেও এক প্রশ্ন। গিয়েই মারকাটারি ব্যাটিং আফিফ করেন না। বরং সময় নিয়ে ইনিংস গড়াটাই তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। পাকিস্তান সিরিজে চারে তাঁকে ডমিঙ্গো সুযোগ দিলে সেখানে তিনি তিন ম্যাচে ৭৬ রান করতে পেরেছেন। যে সিরিজে সব মিলিয়ে ব্যাটিং গড় ছিল ১৬, আফিফ সেখানে ২৫.৩৩ গড়ে রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যাচ্ছে।
শান্ত-শামীমও এই সিরিজে দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখার সাহস করা যায়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ঢেলে সাজানোর গুঞ্জন দেশের ক্রিকেটে থাকলেও আসল পরিবর্তন যেখানে প্রয়োজন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির বদলে ক্ষতে ‘সাময়িক’ প্রলেপ দেওয়াতেই মনোযোগ। উঠতি তরুণদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তাই গড়ে ওঠার জায়গা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক আঙিনায় চলাফেরা করেই তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গড়ে উঠতে হবে। সে জন্য দরকার আস্থা, বিশ্বাস, সুযোগ আর সময়।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ধারাবাহিক সাফল্য কারও অজানা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই সাফল্যের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন, তিনি পরিবর্তনে কম বিশ্বাসী, বরং একজন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখেন অনেক বেশি। সঙ্গে যাঁর যাঁর দায়িত্ব আগেভাগে বুঝিয়ে দেওয়াটার ব্যাপারও আছে। আর বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গোর অস্থিরতা বলে দেয়, তিনি একটু বেশিই ‘দেখাদেখি’ করছেন! কে কোথায় খেলবে, কার কী দায়িত্ব, সেটা জানা জরুরি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদলও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ভূমিকা বদলালে সাফল্যের সম্ভাবনাটা কমে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। দরকার দলে জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও। দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার না হলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করা কঠিন। যাদের নেওয়া হবে, তাদের লম্বা সময়ের সুযোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় বিশেষ প্রয়োজন।
সবশেষে এ প্রশ্নও তো উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, ডমিঙ্গো নিজেই কি পারছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে?

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
যে দেশে পাওয়ার হিটারের বড্ড অভাব, সে দেশে যাঁদের পাওয়ার হিটার ভাবা হয়, তাঁদের একজন শামীম পাটোয়ারী। কোচ, ম্যানেজমেন্ট থেকেও সব সময় বলা হয়েছে, তাকে ফিনিশারের ভূমিকাতেই দেখা হচ্ছে। সেই শামীমকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নামিয়ে দেওয়া হলো তিন নম্বরে! যেকোনো ফরম্যাটেই, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি। একজন লেট-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আর তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য! তাহলে এটি কোন পরিকল্পনার অংশ হলো?
এর আগেও টপ অর্ডারে খেলে আসা ব্যাটসম্যানদেরও ‘ফিনিশার’ বানানোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে বাংলাদেশ দলে। ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৩৮টি। এতে তিনে খেলেছেন আট ব্যাটসম্যান, যেখানে ১০ ম্যাচের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুই সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।
ডমিঙ্গোর অধীনে চারে খেলেছেন ১০ ব্যাটার, সেই পজিশনে দশের বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই। পাঁচে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন ২২ ম্যাচে। তবে সে ভূমিকায় তাঁকে ছাড়াও খেলতে হয়েছে আরও পাঁচজনকে। লেট-মিডল অর্ডার বর্তমানে মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও সব মিলিয়ে ছয় নম্বরে খেলেছেন ১০ ক্রিকেটার, আর সাত ও আটে ৯ জন।
ডমিঙ্গোর কাছে ‘প্রতিভার ভান্ডার’ নেই ঠিক, তবে দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও তাঁর খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে ‘অদল-বদল’ করার কথাই যে বলছে ওপরের পরিসংখ্যানগুলো। এতে চোট কিংবা ‘পাওয়া-না পাওয়া’র ব্যাপারও যেমন আছে, এই সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই, ছন্দ হারিয়ে ফেলাও একটা কারণ।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেওয়ার পর দলের কোনো একটা নির্বাচন নিয়ে একটুও আলোচনা তৈরি হয়নি। কারণ, বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরা আলোচনার মতো কিছুই যে করেননি। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সেই বাইরে থাকারা আগে-পরে সাড়া জাগানোর মতো কিছুই করেননি। দলে থাকা খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটাই অনেককে সুযোগ দিয়ে দিয়েছে। এবং পাকিস্তান সিরিজে অনুমিত ফলটাই হয়েছে, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ। তবু এই সিরিজে প্রাপ্তির খাতায় একেবারেই যে চিহ্ন পড়েনি, তা নয়।
ডমিঙ্গোর সময়ে একমাত্র আফিফ হোসেন সব টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে তাঁকেও চার থেকে সাত নম্বর, সব পজিশনেই খেলতে হয়েছে। নিয়মিত না হলেও আফিফ মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন। অবশ্য আফিফ কি তাঁর খেলাটা খেলার সুযোগ পান, সেও এক প্রশ্ন। গিয়েই মারকাটারি ব্যাটিং আফিফ করেন না। বরং সময় নিয়ে ইনিংস গড়াটাই তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। পাকিস্তান সিরিজে চারে তাঁকে ডমিঙ্গো সুযোগ দিলে সেখানে তিনি তিন ম্যাচে ৭৬ রান করতে পেরেছেন। যে সিরিজে সব মিলিয়ে ব্যাটিং গড় ছিল ১৬, আফিফ সেখানে ২৫.৩৩ গড়ে রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যাচ্ছে।
শান্ত-শামীমও এই সিরিজে দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখার সাহস করা যায়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ঢেলে সাজানোর গুঞ্জন দেশের ক্রিকেটে থাকলেও আসল পরিবর্তন যেখানে প্রয়োজন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির বদলে ক্ষতে ‘সাময়িক’ প্রলেপ দেওয়াতেই মনোযোগ। উঠতি তরুণদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তাই গড়ে ওঠার জায়গা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক আঙিনায় চলাফেরা করেই তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গড়ে উঠতে হবে। সে জন্য দরকার আস্থা, বিশ্বাস, সুযোগ আর সময়।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ধারাবাহিক সাফল্য কারও অজানা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই সাফল্যের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন, তিনি পরিবর্তনে কম বিশ্বাসী, বরং একজন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখেন অনেক বেশি। সঙ্গে যাঁর যাঁর দায়িত্ব আগেভাগে বুঝিয়ে দেওয়াটার ব্যাপারও আছে। আর বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গোর অস্থিরতা বলে দেয়, তিনি একটু বেশিই ‘দেখাদেখি’ করছেন! কে কোথায় খেলবে, কার কী দায়িত্ব, সেটা জানা জরুরি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদলও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ভূমিকা বদলালে সাফল্যের সম্ভাবনাটা কমে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। দরকার দলে জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও। দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার না হলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করা কঠিন। যাদের নেওয়া হবে, তাদের লম্বা সময়ের সুযোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় বিশেষ প্রয়োজন।
সবশেষে এ প্রশ্নও তো উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, ডমিঙ্গো নিজেই কি পারছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে?

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
২৪ নভেম্বর ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
২৪ নভেম্বর ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?
২৪ নভেম্বর ২০২১
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে