Ajker Patrika

‘অস্থির’ ডমিঙ্গো কি পারছেন নিজের কাজ ঠিকঠাক করতে

রিফাত বিন জামাল
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৫৭
‘অস্থির’ ডমিঙ্গো কি পারছেন নিজের কাজ ঠিকঠাক করতে

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ রকমই টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে আনা হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে এগিয়ে রেখেছিল। দুই বছর পেরিয়ে এখন সেই ডমিঙ্গোর নানা সিদ্ধান্ত এই প্রশ্ন তুলতেও বাধ্য করছে, আদৌ কি তাঁর কোনো পরিকল্পনা আছে?

যে দেশে পাওয়ার হিটারের বড্ড অভাব, সে দেশে যাঁদের পাওয়ার হিটার ভাবা হয়, তাঁদের একজন শামীম পাটোয়ারী। কোচ, ম্যানেজমেন্ট থেকেও সব সময় বলা হয়েছে, তাকে ফিনিশারের ভূমিকাতেই দেখা হচ্ছে। সেই শামীমকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নামিয়ে দেওয়া হলো তিন নম্বরে! যেকোনো ফরম্যাটেই, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি। একজন লেট-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আর তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য! তাহলে এটি কোন পরিকল্পনার অংশ হলো? 

এর আগেও টপ অর্ডারে খেলে আসা ব্যাটসম্যানদেরও ‘ফিনিশার’ বানানোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে বাংলাদেশ দলে। ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৩৮টি। এতে তিনে খেলেছেন আট ব্যাটসম্যান, যেখানে ১০ ম্যাচের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুই সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। 

ডমিঙ্গোর অধীনে চারে খেলেছেন ১০ ব্যাটার, সেই পজিশনে দশের বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই। পাঁচে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করেছেন ২২ ম্যাচে। তবে সে ভূমিকায় তাঁকে ছাড়াও খেলতে হয়েছে আরও পাঁচজনকে। লেট-মিডল অর্ডার বর্তমানে মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও সব মিলিয়ে ছয় নম্বরে খেলেছেন ১০ ক্রিকেটার, আর সাত ও আটে ৯ জন। 

ডমিঙ্গোর কাছে ‘প্রতিভার ভান্ডার’ নেই ঠিক, তবে দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও তাঁর খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে ‘অদল-বদল’ করার কথাই যে বলছে ওপরের পরিসংখ্যানগুলো। এতে চোট কিংবা ‘পাওয়া-না পাওয়া’র ব্যাপারও যেমন আছে, এই সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই, ছন্দ হারিয়ে ফেলাও একটা কারণ। 

বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেওয়ার পর দলের কোনো একটা নির্বাচন নিয়ে একটুও আলোচনা তৈরি হয়নি। কারণ, বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরা আলোচনার মতো কিছুই যে করেননি। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সেই বাইরে থাকারা আগে-পরে সাড়া জাগানোর মতো কিছুই করেননি। দলে থাকা খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটাই অনেককে সুযোগ দিয়ে দিয়েছে। এবং পাকিস্তান সিরিজে অনুমিত ফলটাই হয়েছে, বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ। তবু এই সিরিজে প্রাপ্তির খাতায় একেবারেই যে চিহ্ন পড়েনি, তা নয়। 

ডমিঙ্গোর সময়ে একমাত্র আফিফ হোসেন সব টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে তাঁকেও চার থেকে সাত নম্বর, সব পজিশনেই খেলতে হয়েছে। নিয়মিত না হলেও আফিফ মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন। অবশ্য আফিফ কি তাঁর খেলাটা খেলার সুযোগ পান, সেও এক প্রশ্ন। গিয়েই মারকাটারি ব্যাটিং আফিফ করেন না। বরং সময় নিয়ে ইনিংস গড়াটাই তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। পাকিস্তান সিরিজে চারে তাঁকে ডমিঙ্গো সুযোগ দিলে সেখানে তিনি তিন ম্যাচে ৭৬ রান করতে পেরেছেন। যে সিরিজে সব মিলিয়ে ব্যাটিং গড় ছিল ১৬, আফিফ সেখানে ২৫.৩৩ গড়ে রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যাচ্ছে। 

দলের ব্যর্থতায় ছাঁটাই হওয়ার শঙ্কায় আছেন ডমিঙ্গোশান্ত-শামীমও এই সিরিজে দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখার সাহস করা যায়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ঢেলে সাজানোর গুঞ্জন দেশের ক্রিকেটে থাকলেও আসল পরিবর্তন যেখানে প্রয়োজন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির বদলে ক্ষতে ‘সাময়িক’ প্রলেপ দেওয়াতেই মনোযোগ। উঠতি তরুণদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট তাই গড়ে ওঠার জায়গা বলা যায় না। আন্তর্জাতিক আঙিনায় চলাফেরা করেই তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গড়ে উঠতে হবে। সে জন্য দরকার আস্থা, বিশ্বাস, সুযোগ আর সময়। 

আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ধারাবাহিক সাফল্য কারও অজানা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির এই সাফল্যের রহস্য খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন, তিনি পরিবর্তনে কম বিশ্বাসী, বরং একজন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখেন অনেক বেশি। সঙ্গে যাঁর যাঁর দায়িত্ব আগেভাগে বুঝিয়ে দেওয়াটার ব্যাপারও আছে। আর বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গোর অস্থিরতা বলে দেয়, তিনি একটু বেশিই ‘দেখাদেখি’ করছেন! কে কোথায় খেলবে, কার কী দায়িত্ব, সেটা জানা জরুরি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদলও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ঘন ঘন ভূমিকা বদলালে সাফল্যের সম্ভাবনাটা কমে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। দরকার দলে জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও। দলে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার না হলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করা কঠিন। যাদের নেওয়া হবে, তাদের লম্বা সময়ের সুযোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় বিশেষ প্রয়োজন।

সবশেষে এ প্রশ্নও তো উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, ডমিঙ্গো নিজেই কি পারছেন নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোনালদো জাদুতে আল নাসরের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
আল আখদুদের বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ানো করেছেন জোড়া গোল। ইতিহাস গড়েছে আল নাসর। ছবি: ফেসবুক
আল আখদুদের বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ানো করেছেন জোড়া গোল। ইতিহাস গড়েছে আল নাসর। ছবি: ফেসবুক

৪০ পেরোনো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছুটছেন দুর্দান্ত গতিতে। গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করাচ্ছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যে আল নাসরও হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। এবার দলটি গড়ল নতুন এক ইতিহাস।

রিয়াদের আল আওয়াল পার্কে গত রাতে সৌদি প্রো লিগে আল আখদুদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। রোনালদোর জোড়া গোলের ম্যাচে ২০২৫-২৬ মৌসুমের সৌদি প্রো লিগে টানা ১০ জয় পেয়েছে আল নাসর। সৌদি প্রো লিগে হয়ে গেল নতুন এক রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল আল হিলালের। ২০১৮-১৯ মৌসুমের সৌদি প্রো লিগে আল হিলাল টানা ৯ ম্যাচ জিতেছিল। সেবার দলটির কোচ ছিলেন হোর্হে জেজুস। এবার তাঁর অধীনে গত রাতে রেকর্ডটা নিজেদের করে নিল আল নাসর।

আল আখদুদের বিপক্ষে প্রথমার্ধের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। এই দুটি গোলই করেছেন রোনালদো। ৩১ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্স কর্নার থেকে পাস দিলে প্রথমে সেটা রিসিভ করেন আনহেলো গ্যাব্রিয়েল। গ্যাব্রিয়েল এরপর হেড দিলে রোনালদো ব্যাকহিল পাসে গোল করেছেন। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ফের রোনালদো জাদু। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩ মিনিটে মার্সেলো ব্রোজোভিচের পাস থেকে ফ্লিকে গোল করেন রোনালদো। ম্যাচ শেষ হওয়ার অন্তিম মুহূর্তে তৃতীয় গোলের দেখা পায় আল নাসর। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৪ মিনিটে এই গোলটি করেছেন ফেলিক্স। ম্যাচ শেষে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আল নাসরের উদযাপনের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘কঠোর পরিশ্রমই সফলতার একমাত্র উপায়।’

চলতি মৌসুমে আল নাসরের হয়ে সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন রোনালদো। অ্যাসিস্ট করেছেন ৩ গোলে। ১৩ গোলের মধ্যে ১২ গোলই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড করেছেন সৌদি প্রো লিগে। ১০ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমের সৌদি প্রো লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আল নাসর। দুই ও তিনে থাকা আল হিলাল ও আল তাওউনের পয়েন্ট ২৬ ও ২৫। প্রত্যেকেই দশটি করে ম্যাচ খেলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের কাছে নোয়াখালী কোথায় হারল, অঙ্কনের ব্যাখ্যা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৪
সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও না জেতায় আক্ষেপ নোয়াখালী এক্সপ্রেসের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। ছবি: ফেসবুক
সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও না জেতায় আক্ষেপ নোয়াখালী এক্সপ্রেসের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। ছবি: ফেসবুক

সিলেট টাইটান্সের ম্যাচটা একেবারে হাতের নাগালেই ছিল। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ১৫ বলে ১৯ রানের সমীকরণ জটিল কিছু তো নয়। কিন্তু মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকে ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ম্যাচটা শেষ বল পর্যন্ত নিলেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ইনিংসের ১৮তম ওভারের সময় বোলিংয়ে আসেন রানা। ওভারের চতুর্থ বলে সিলেট অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে (৩৩) ফেরান রানা। সেট ব্যাটার মিরাজের উইকেট নেওয়ার পর শেষ দুই বলে রানা ফিরিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদকেও। রানার হ্যাটট্রিকে ২ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে সিলেট টাইটান্স। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ বলের রোমাঞ্চে ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।

সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে হারের পর নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ মুহূর্তে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পরও ম্যাচ জিততে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। সংবাদ সম্মেলনে ২৬ বছর বয়সী এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘এমন কন্ডিশনে নতুন ব্যাটারের জন্য খেলা কঠিন ছিল। সব সময় বিশ্বাস ছিল ব্রেক থ্রু এনে দিলে ভালো করতে পারব। তবে কিছুটা দুর্ভাগা যে ম্যাচটা জিততে পারিনি।’

টস হেরে গতকাল আগে ব্যাটিং পেয়ে ১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯ রানে পরিণত হয় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। পাঁচ নম্বরে নামা অঙ্কন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। ৫১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নোয়াখালীর স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান হওয়ার পেছনে অঙ্কনের এই ইনিংসটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সিলেটের কাছে হারের পর অঙ্কন বলেন, ‘এমন কন্ডিশনে প্রথম ৩-৪ ওভার একটু কঠিন। বল বেশি মুভ করে।’

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে না পারায় একজন ফিল্ডারকে বৃত্তের মধ্যে আনতে হয়েছিল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের। এটাও তাদের ম্যাচ হারার কারণ বলে মনে করেন অঙ্কন। সিলেটের কাছে ১ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওভাররেটে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তাই বাড়তি ফিল্ডার ভেতরে আনতে হয়েছে। শিশিরের জন্য বোলারদের জন্যও কঠিন ছিল। ম্যাচ জিততে পারব বলে বিশ্বাস ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পারিনি।’

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে হাতে ২ উইকেট নিয়ে সিলেট টাইটান্স গতকাল ১৩ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতেও দল আশা হারায়নি বলে জানিয়েছেন সিলেটের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। নোয়াখালীর বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে খালেদ বলেন, ‘আমাদের ইথান ব্রুকস ছিল আর তাদের (নোয়াখালী) সাব্বির হোসেন ছাড়া বিকল্প ছিল না। আমরা তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’ ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন খালেদ। যার মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর দুই টপ অর্ডার ব্যাটার হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীর উইকেট। নবাগত নোয়াখালী দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাঙ্গাকারার টোটকাতেই সাকিবের বাজিমাত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আবারও কিপ্টে বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: ক্রিকইনফো
আবারও কিপ্টে বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: ক্রিকইনফো

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ১৪ মাস দূরে থাকলেও সাকিব আল হাসানকে দেখে কি সেটা বোঝার উপায় আছে! পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিসহ (আইএল টি-টোয়েন্টি) ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে সাকিব এখনো দুর্দান্ত। কখনো ব্যাটিংয়ে, কখনোবা বাঁহাতের ঘূর্ণিতে ব্যাটারদের পরাস্ত করছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।

আইএল টি-টোয়েন্টিতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সাকিবের এমআই এমিরেটস খেলেছে দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে এমআই এমিরেটস ২০ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া দুবাই ক্যাপিটালস যে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২২ রান করেছে, তাতে সাকিবের কিপ্টে বোলিংয়ের অবদান অনেক বেশি। ৪ ওভারে ১১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ছন্দে থাকা দুবাই ক্যাপিটালসের ব্যাটার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১৭) ফিরিয়েছেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার ১৫টা ডট বল দিয়েছেন। কোনো চার-ছক্কা হজম করেননি।

এমআই এমিরেটস-দুবাই ক্যাপিটালস ম্যাচের আগে আইএল টি-টোয়েন্টির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সাকিবকে নিয়ে ২ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সেখানে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার কথা উল্লেখ করেছেন। সাকিব বলেন, ‘নেটে আমি অনেক সময় দিচ্ছি। শরীরের কার্যকারিতা বেশি কমে গেলে বেশি অনুশীলনের প্রয়োজন হয়।সাঙ্গাকারা তিন বছর আগে এটা বলেছিলেন আমাকে। সেটা আমি এখন বুঝতে পারছি।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটেও সাকিব অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন। মাঝে ব্রেক পড়লেও যখন তিনি ফেরেন, তখন ফেরেন চ্যাম্পিয়নের মতো। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করার সুযোগ না পেলেও তাঁর বোলিংটা হচ্ছে দুর্দান্ত। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৫.৮৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ২১ ডিসেম্বর ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন। আইএল টি-টোয়েন্টির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সাকিব বলেন, ‘আমার ভেতর ক্ষুধাটা এখনও রয়েছে। তা না হলে ক্রিকেট চালিয়ে যেতাম না। এখনো খেলাটা অনেক ভালোবাসি। ব্যাটাররা ম্যাচ তৈরি করলেও ম্যাচ জেতানোর দায়িত্বটা বোলারদের নিতে হয়। বোলিং ভালো না হলে অনেক ভালো ব্যাটিং করেও লাভ নেই। বোলিংটাও তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গত রাতে ৮ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এমআই এমিরেটসের রহস্যময়ী স্পিনার মোহাম্মদ গজনফার। ৪ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাতে সেরা দুইয়ে থেকে আইএল টি-টোয়েন্টিতে থাকা নিশ্চিত করেছে এমআই এমিরেটস। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে ডেজার্ট ভাইপার্স। দুইয়ে থাকা এমআই এমিরেটসের পয়েন্ট ১৪। আজ রাতে আবুধাবি নাইট রাইডার্স-গালফ জায়ান্টস ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে লিগ পর্ব। প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরশু মুখোমুখি হবে ডেজার্ট ভাইপার্স-এমআই এমিরেটস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৃথা গেল মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৫
হ্যাটট্রিক করেও নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে জেতাতে পারলেন না মেহেদী হাসান রানা। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিক করেও নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে জেতাতে পারলেন না মেহেদী হাসান রানা। ছবি: বিসিবি

হার দিয়ে বিপিএল শুরু করা দুই দলের লড়াইয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে সিলেট টাইটানস। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকের পরও সিলেট জিতেছে ১ উইকেটে। গতকাল সিলেটে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে নোয়াখালী। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। দলীয় ৩৪ রানে সিলেট হারিয়ে ফেলে তিন ব্যাটারকে। এরপরই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে পারভেজ হোসেন ইমনের প্রতিরোধ। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। যখন তাঁরা উইকেটে ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৪১ বলে ৬০ রান করে ইমন আউট হয়ে যান। এরপর মিরাজ, নাসুম (০) ও খালেদ আহমেদকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মেহেদী হাসান রানা। বিপিএলের ইতিহাসে নবম হ্যাটট্রিক, সিলেটের মাটিতে প্রথম।

রানার হ্যাটট্রিকের পর জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে নোয়াখালীর দিকে। কিন্তু শেষ দিকে ১৩ বলে ইথান ব্রুকস ১৬ রান করে দলকে জয়ের দুয়ারে ঠেলে দেন। লেগবাই থেকে আসে সিলেটের জয়সূচক রান।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করে নোয়াখালী ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। দলীয় ৯ রানে মাজ শাদাকাত, হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীকে হারিয়ে দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর। তিনজনের কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের প্রতিরোধ। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সৈকত আলী (২৪), সাব্বির হোসেন (১৫) ও জাকের আলী অনিককে (২৯) নিয়ে ৩২, ২৯ ও ৬৬ রানের জুটি গড়েন। এক প্রান্ত আগলে রেখে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। সিলেটের হয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি খেলেছেন জাকের; ৪টি চারে ১৭ বলে করেছেন ২৯ রান। স্ট্রাইকরেট—১৭০.৫৮।

বল হাতে সবচেয়ে সফল পেসার খালেদ আহমেদ; ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত