Ajker Patrika

আমি খুব সুদর্শন, মানুষ তাই আমাকে নিয়ে কথা বলে

আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, ১১: ৫৭
আমি খুব সুদর্শন, মানুষ তাই আমাকে নিয়ে কথা বলে

সুনীল ছেত্রী শুধু ভারতেরই নয়, দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলেই বড় তারকা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯২ গোল করা ভারতীয় মহাতারকাকে ধরা যাচ্ছিল না কিছুতেই। অবশেষে তাঁকে পাওয়া গেল বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের মিক্সড জোনে। কুয়েতের সঙ্গে গোল করে সাফে মালদ্বীপের আলী আশফাকের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৩ গোলের মালিক হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা। গতকাল বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দেখে দাঁড়ালেন কিছুক্ষণ। বললেন নিজের জীবন, ফুটবল আর কিছুটা বাংলাদেশকে নিয়েও ৷ সেখানে ছিলেন আজকের পত্রিকার নাজিম আল শমষের

প্রশ্ন: ভক্তদের মুখে ‘ইম্মোরটাল নাম্বার ইলেভেন’ বাক্যটা শুনে কেমন অনুভূতি হয়? 
সুনীল: বিষয়টি আমি মোটেও সেভাবে নিই না। এটা আমার ঘরের মাঠ। এখানে তো বটেই, সারা দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পাচ্ছি, আমি কৃতজ্ঞ। মাঠে আমার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করি। তাদের এই ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। তবে আবারও বলছি, আমি এসব বিষয়কে মোটেও বড় করে দেখি না। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কী বলবেন? 
সুনীল: আমরা শুধু বাংলাদেশের কয়েকটি ভিডিওর ক্লিপিংস দেখেছি। কারণ তারা আমাদের গ্রুপে নেই। তাদের ম্যাচও আমাদের খুব বেশি দেখা হয়নি। লেবানন ম্যাচের প্রথমার্ধটাই শুধু আমরা দেখেছি। বাংলাদেশ তখন খুব ভালো খেলছিল। এরপর আর খুব বেশি দেখা হয়নি। 

প্রশ্ন: ৩৮ বছর বয়সে ১৮ বছর বয়সী তরুণদের মতো খেলে যাচ্ছেন। এখনো আপনি দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়। গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন...৷ 
সুনীল: ৩৮ বছর বয়স বলেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায় ৷ কারণ, আপনি জানেন আপনার সামনে কী অপেক্ষা করে আছে, কী ক্ষতি করতে পারে। তখন মনটা ঠিক থাকবে। আপনি অনেক ধীরস্থির হয়ে যাবেন। ৩৮ বছর বয়সী একটা মানুষের জন্য কাজটা অনেক সহজ। 

প্রশ্ন: গত সাফে আপনারা বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিলেন। এবার যদি দেখা হয় তাহলে কী লক্ষ্য থাকবে আপনাদের? 
সুনীল: আগেই বলেছি, বাংলাদেশের খেলা আমরা বেশি দেখিনি ৷ কারণ ওরা আমাদের গ্রুপে নেই। আমরা যতটুকু শুনেছি ও জেনেছি, তারা অনেক শক্ত একটা দল, অনেক উন্নতি করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা জানি না আগামীকাল কী ফল হতে যাচ্ছে। আমরা জানি না কে আমাদের প্রতিপক্ষ হবে। এবং যখন আমাদের প্রতিপক্ষ ঠিক হবে, তখন আমরা তাদের অনেক ভিডিও দেখব, তাদের সম্পর্কে জানব। এর আগ পর্যন্ত বলতে চাই, বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলছে। 

প্রশ্ন: আলী আশফাকের সঙ্গে এখন আপনি সাফের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৩ গোল)। এই অর্জনে আপনার অনুভূতি কী? 
সুনীল: আমি বিষয়টা একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছি না...৷ 

প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক খেলোয়াড় আপনাকে অনুসরণ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার একজন কিংবদন্তি। তাঁদের প্রতি আপনার বার্তাটা কী হবে? 
সুনীল: নিজের আরও উন্নতি করুন এবং ফুটবলটাকে উপভোগ করুন। আমরা যারা আমাদের দেশের জন্য খেলি, আর এ কারণে আমাদের একটা বড় দায়িত্ব হচ্ছে দেশের মানুষদের একজন আদর্শ হওয়া। সুতরাং চেষ্টা করুন। নিজের এবং দলের আরও উন্নতি করুন। 

প্রশ্ন: ভারতীয় ফুটবল খুব দ্রুত উন্নতি করছে। এই উন্নতিতে আইএসএলের ভূমিকা কতটা? 
সুনীল: যে কটা টুর্নামেন্ট ভারতে জোর আলোচনা তৈরি করেছে, আএইসএল সেগুলোর একটি। আইএসএল গত আট বছরে দারুণ করেছে। ভারতে এগিয়ে নিতে এটি সম্মুখসারির একটি টুর্নামেন্ট, যেটি অর্থ ও সুনাম অর্জনেই শুধু আসেনি, আইএসএল ফুটবলকে বহু দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিচ্ছে। আর উন্নতিটাও আপনাদের চোখে পড়েছে। আইএসএলও এখন বেশ উন্নতি করছে। 

কুয়েতের বিপক্ষে গোল করে মালদ্বীপের আলী আশফাকের সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৩ গোলের মালিক সুনীল (ডানে)প্রশ্ন: বাংলাদেশে আপনার অনেক ভক্ত আছে। তাদের প্রতি আপনার বার্তা কী? 
সুনীল: ভালো থাকবেন। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়াড়ের কথা বলতে গেলে আপনার মাথায় যার নাম আসবে? 
সুনীল: পুরো বাংলাদেশ দল। তারা আসলেই ভালো খেলছে। 

প্রশ্ন: বলা হয়ে থাকে, সুনীলকে ছাড়া ভারতকে গোল পেতে সংগ্রাম করতে হয়। তো আগামী দিনে কে আপনার উত্তরসূরি হবে? 
সুনীল: আমাকে ছাড়া দল ভালো করে না, আমি মনে করি এ কথা সত্য নয়। আমাকে ছাড়াও দল ভালো করেছে অতীতে। সুনীল ছেত্রীই সব নয়, ভবিষ্যতে যারা আসবে, তাদের অনেকে আমার চেয়ে ভালো হবে। এই মুহূর্তে যারা আছে, তাদের অনেকে ভালো খেলছে ৷ আমি খুব সুদর্শন, মানুষ তাই সব সময় আমাকে নিয়ে কথা বলে! 

প্রশ্ন: এ নিয়ে আপনার আন্তর্জাতিক গোল হলো ৯২টি, সেঞ্চুরি পূরণে কতটা আশাবাদী? 
সুনীল: আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি না। আমি অহংকারী বা অন্য কিছু হতে চাই না। এ বিষয়গুলোয় কখনোই বেশি মনোযোগ দিই না। চার, পাঁচ বা ছয় বছর পর যখন থামব, তখন হাতে পানীয় নিয়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত