Ajker Patrika

দুর্দান্ত খেলেও স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু থেকে 
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩, ২১: ১০
দুর্দান্ত খেলেও স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের

ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে বসে পড়লেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। জার্সিতে মুখ ঢাকলেন রাকিব হোসেন। দুই বছর আগেও কেঁদেছিলেন রাকিব, আজও অশ্রু তাঁর চোখে। কুয়েতের সঙ্গে শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াইয়ের পর হারের বেদনায় নীল লাল-সবুজের দল। বিষণ্ন মুখে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে ভারতীয় সমর্থকদের ভালোবাসা সেই দুঃখ হয়তো কিছুটা প্রশমিত করতে পারে বাংলাদেশের যন্ত্রণা। 

আশা-শঙ্কার দোলাচল। র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৪১তম দল কুয়েতের বিপক্ষে খেলাটা একবার ঝুঁকল বাংলাদেশের দিকে, আবার কখনো প্রতিপক্ষের দিকে। কুয়েতের শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। বাংলাদেশের আক্রমণে কাঁপল কুয়েতও। লড়াকু মানসিকতায় কুয়েতের সঙ্গে লড়াইটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেল এই সাফে বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ১০৫ মিনিটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হৃদয় ভাঙল বাংলাদেশের। ১-০ গোলে হেরে ভাঙল ২০০৫ সালের পর ফাইনালে খেলার স্বপ্ন।

খেলায় অসংখ্য সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সেসব সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ হয়তো আছে, কিন্তু এই এক ম্যাচে বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিল নিজেদের পরিবর্তনটাও। হারলেও ভারতীয় সাংবাদিকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলে যে বাংলাদেশ তাদের হারানো জায়গা খুঁজে পাচ্ছে এবারের সাফ যেন ইঙ্গিত দিল সেটাই।

কুয়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারিক কাজীর ফেরাটা ছিল অবধারিত। হয়েছেও সেটাই। তারিক একাদশে ফেরায় সাইড বেঞ্চে ছিলেন ভুটান ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে কুয়েতের একাদশ ছিল চমকে সাজানো। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে যে দলটা খেলেছে শুরু থেকে সেই দলের মাত্র চারজন আজ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অর্থাৎ কুয়েত একাদশে পরিবর্তন ছিল সাতটি! 

ম্যাচ শুরু হতেই গোলের আক্ষেপে পুড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ২ মিনিটের মাথায় কুয়েত গোলরক্ষক আবদুল রাজ্জাককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি শেখ মোরসালিন। ডান প্রান্ত ধরে কুয়েতের রক্ষণ ভেঙে দারুণ এক বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। সেই পাস ধরে মোরসালিন কি না শট মারলেন গোলরক্ষকের গায়ে! 

প্রথম সুযোগে গোল পেতে পারত কুয়েতও। ৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে জটলা তৈরি হয় বাংলাদেশের বক্সে। হেড নিয়েছিলেন কুয়েতের সালমান মোহাম্মদ। সেই হেডে বলে জালে জড়ানোর আগে গোল লাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন ঈসা ফয়সাল।

কুয়েত এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখলেও সুযোগ পেলেই আক্রমণে গেছে বাংলাদেশ। ২৮ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শট নেন রাকিব হোসেন। সেই শট ঠেকান কুয়েত গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কুয়েত। ফরোয়ার্ড ঈদ আল রশিদির শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। 

প্রথমার্ধে সমান সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ-কুয়েত দুই দলই। ৩১ মিনিটে আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। এবার বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে বল বাড়ান মোরসালিন। বক্সে থাকা রাকিব বলে পা ছোঁয়াতে পারলে কুয়েতের বিপক্ষে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। 

৯ মিনিট পর কুয়েতের আক্রমণ। এবারও আক্রমণে ঈদ আল রশিদি। ৪০ মিনিটে তাঁর বাঁকানো মাটি কামড়ানো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান জিকো। প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। ভুটান ম্যাচের মতো এবারও নিয়েছিলেন ‘জিরো অ্যাঙ্গেল’ শট। তবে এবার আর বল জালে জড়াতে পারেননি রাকিব। 

৫৪ মিনিটে আবারও আক্রমণে রাকিব। মাঝমাঠ থেকে একের পর এক কুয়েত খেলোয়াড়দের কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট নেন রাকিব। বাংলাদেশের এবারও দুর্ভাগ্য, অল্পের জন্য বল খুঁজে পায়নি জাল। 

৬১ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার রাকিব। জামালের পাস ধরে মোরসালিনের বাড়ানো বলে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন রাকিব। নেন ডান পায়ের শট। সেই শট ক্রসবারে লেগে, এক লাফে মাঠের বাইরে।

৬৩ থেকে ৬৪ মিনিটে দুবার বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক জিকো। ৬৩ মিনিটে আহমেদ আলদেফারির ফ্রি কিক ফিস্ট করে ঠেকান জিকো। পরের মিনিটে আল রশিদির শটও ফেরান জিকো। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশকে প্রায় বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন কুয়েতের বদলি ফুটবলার আথবি সালেহ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে। 

৭০ মিনিটেও গোল না পাওয়ায় বাড়তে থাকে উত্তাপ। সেই উত্তাপ বাড়িয়ে তোলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ ফিজিও দাভিদ মাগান। রেফারিকে কটূক্তি করে লাল কার্ড দেখেন দাভিদ।

৮৮ মিনিটে আবারও সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলেন না রাকিব। ডান প্রান্ত ধরে বদলি ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে রাকিব বল মাথা ছোঁয়াতে পারলেই চলত। 

অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে শট নেন কুয়েতের বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। জোরের সঙ্গে বাঁকানো শটটা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ভাগ্য ভালো বাংলাদেশের।

৯৯ মিনিটে ম্যাচের সেরা সেভটা করলেন জিকো। বাংলাদেশ গোলরক্ষককে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ পরিস্থিতিতে পেয়ে যান কুয়েত ফরোয়ার্ড শাবাইব আল খালিদি। তাঁর শট ফিস্ট করে পোস্টের বাইরে পাঠান জিকো। পরের মিনিটে আল রশিদির শটও ঠেকান বাংলাদেশ গোলরক্ষক। 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতেই হলো জিকোকে। ১০৫ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের ভেতর থেকে মাটি কামড়ানো কোনাকুনি শট নেন কুয়েত ডিফেন্ডার আবদুল্লাহ আল ব্লাউসি। সেই শট তপু বর্মণের পায়ের দিয়ে বাঁ পোস্ট দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না জিকোর। 

১১২ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। ৩০ গজ দূর থেকে শট নেন পোস্টে। তবে সেই শট ঠেকান কুয়েত গোলরক্ষক। 

১১৭ মিনিটে সমতায় ফেরার শেষ সুযোগটা হারিয়েছেন রাকিব। বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়ানো বলে ডান প্রান্ত ধরে কোনাকুনি শট নেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড। রাকিবের শট ডান পায়ে ঠেকিয়ে বলকে জালে জড়াতে দেননি কুয়েত গোলরক্ষক আবদুল রহমান। 

ম্যাচ শেষ হতেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই দলের ফুটবলাররা। বাংলাদেশের সাফের শেষটা হলো উত্তাপে জড়ানো। উত্তাপ কমতেই হার মেনেও মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত