Ajker Patrika

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুরো পরিবেশটাই ভয়ংকরভাবে কলুষিত করেছে তারা

নাজমুল আবেদীন ফাহিম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৪১
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুরো পরিবেশটাই ভয়ংকরভাবে কলুষিত করেছে তারা

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা। 

গত এক যুগ বা তার বেশি সময় ধরে আমাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। অন্য বোর্ডগুলোর সাধারণত লক্ষ্য থাকে, কী করে সারা দেশের ক্রিকেট কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়, সেটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের উন্নতি আরও কীভাবে করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকে সবার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই ছিল যে কীভাবে পরের নির্বাচনটা জেতা যায়। বোর্ড থেকে যেন আর যেতে না হয়। সেই লক্ষ্য পূরণে যে ম্যানিপুলেশন করার দরকার হয়, তাতে ঢাকার ক্রিকেট নষ্ট করে দিয়েছে! 

আমাদের সারা দেশে তো আর ক্রিকেট হয় না। ঢাকার যে ক্রিকেট হয়, সেটার ওপর পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যেন সব কাউন্সিলর তাদের হয়, সব দল তাদের হয়। খেলার চরিত্রটা কী হবে একবারও কেউ ভাবেনি। ফল কী হয়েছে? আমাদের ক্রিকেটারদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। আয়োজক, আম্পায়ারদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোচ বা এসংক্রান্ত সবারই চরিত্র নষ্ট হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেরও! এটা যদি আমাদের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তুলনা করি। পুলিশ বিভাগকে রাষ্ট্রে ব্যবহার করার জন্য, নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কলুষিত করেছে, সেই একই জিনিস আমাদের ক্রিকেটে দেখতে পাব। এখানে অনেক অযাচিত মানুষ আছে, যারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এটা কিন্তু বড় অপরাধ। 

অপরাধ কেন? কারণ, আমাদের অনেক কিছুই নেই ৷ এই মুহূর্তে আমাদের আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে। আরেকটা আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। আর বোধ হয় ক্রিকেট। ক্রিকেট ৫-৭-৮ বছর আগেও যেখানে ছিল, সম্ভাবনা ছিল ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। কিন্তু বললাম না যে গত এক যুগের এই কার্যক্রম ক্রিকেটকে ধীরে ধীরে কোথায় নামিয়ে এনেছে! এটা বোঝাই যায় যে গ্রাফটা কত নিচে। এখন আপনি নেপালের সঙ্গে খেলা হলে নিশ্চিত জিতবেন কি না। বুকটা কিন্তু দুরুদুরু করে ওঠে। কারণ, আপনি নিশ্চিত না নেপালের সঙ্গে জিততে পারব কি না! আমরা নিজেদের দল নিয়ে প্রচুর দ্বিধায় থাকি। দলে সাকিব থাকুক, তামিম, রিয়াদ থাকুক, মুশফিক থাকুক; যে-ই থাকুক না কেন, আমরা খুব শঙ্কায় থাকি। এই পর্যায়ে আমরা নেমে এসেছি। 

পুরো পরিবেশটাই এত ভয়ংকরভাবে কলুষিত হয়েছে, তাতে আমরা সেই চরিত্রটা হারিয়ে ফেলেছি। একটা পরিবেশে যখন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই গর্ব, কমিটমেন্ট, প্যাশন নিয়ে আসে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। সেই যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে পরিবেশটা তৈরি করেছি, সেটার মধ্যে এগুলোর কোনো কিছুই নেই। এখানে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়, কীভাবে পথ কাটিয়ে এদিক-ওদিক চলে যাওয়া যায়। যে ক্রিকেটারদের আমরা গালাগাল করি, তারা এই পরিবেশেরই ফসল। পরিবেশটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আরও নির্দিষ্ট করে বলি, সেই দায়টা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের। 

এটা পরিষ্কার করা দরকার যে কে কোথায় কী করেছে। এটা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে ওখানে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, সেটা হয়তো আমরা সহজেই বুঝতে পারব। কোথায় ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এটা বুঝতে পারব। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে। যেমন ঢাকা ক্রিকেট লিগটাকে যেভাবে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা যে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের, কল্পনাই করা যায় না। আমরা যেমন দেখেছি যে কাউন্সিলরশিপের জন্য কোয়ালিফাইং ক্রিকেটকে মাত্র দুই দলের একটা টুর্নামেন্টে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে আমার আর পার্টনারের দলটাই শুধু উঠতে পারে। এভাবে ৮-১০ বছরে প্রায় ১৮-২০টা দলকে ওপরে ওঠানো হয়েছে এবং এই প্রতিটা দলই তাদের। এখন তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলরশিপ আছে। এর মধ্য দিয়েই তারা আজীবন ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চেয়েছে। 

পুরো সিস্টেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকি স্কোরকার্ডও তারা এদিক-ওদিক করেছে। আম্পায়ারকে দিয়ে খেলা এদিক-ওদিক করেছে। মাঠ এদিক–সেদিক করেছে। এমনকি ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে! করেনি এমন কোনো কাজ নেই। এবং সেটা কে কী দেখল, কে কী ভাবল, তোয়াক্কা করেনি! খেলার মাঠে কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে, সেটা কেউ করতে দেয়নি। কেউ কিছু বলার নেই, কেউ কিছু বলতে পারবে না তাদের। তারা যা করেছে, জেনেশুনে করেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে থাকতে পারত, তার ধারেকাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নেই এই মানুষগুলোর জন্য। 

তাদের প্রতিটা কাজ এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যেখানেই আমরা দেখতে পাব যে বাজে উদ্দেশে নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাদের কী শাস্তি হবে, তা জানি না। সাধারণ মানুষের জানা উচিত যে এই লোকটা এই কাজ করেছে, যার জন্য ক্রিকেট এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার। বড় বড় পোস্টার করে সামনে আসা দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষের এত আকাঙ্ক্ষা ক্রিকেট ঘিরে, এত ইমোশন ক্রিকেটকে ঘিরে, সেখানে এরা কী করেছে, তা সবার জানা দরকার। সেটার বাইরে আরও অনেক শাস্তি হতে পারে। বড় শাস্তি হতে পারে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সত্যিকারের চেহারা তুলে ধরা দরকার। 

নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ক্রিকেট বিশ্লেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবাসী ফুটবলারদের জাত চেনানোর মঞ্চ এই লাতিন বাংলা সুপার কাপ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।

ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।

ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বের চোখ থাকবে যেখানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র হবে আজ। ছবি: এএফপি
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র হবে আজ। ছবি: এএফপি

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—

বিশ্বকাপের ফরম্যাট

প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।

যেভাবে হবে ড্র

  • ফিফার নীতি অনুযায়ী, ইউরোপ বাদে কোনো গ্রুপে একই কনফেডারেশনের একাধিক দল থাকতে পারবে না। যেহেতু ইউরোপ থেকে ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে খেলবে। তাই এই মহাদেশ থেকে সর্বোচ্চ দুটি দল থাকবে চার গ্রুপে।
  • এমনভাবে গ্রুপিং সাজানো হবে যে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা স্পেন ও দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনা ফাইনালের আগে মুখোমুখি হতে পারবে না। ঠিক একই নিয়ম তিন ও চারে থাকা ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের জন্যও প্রযোজ্য।
  • ৩ স্বাগতিক দেশ—মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রুপিং আগেই ঠিক করা। মেক্সিকো ‘এ ১’, কানাডা ‘বি ১’ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ডি ১’ হিসেবে থাকবে। গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্র ২ ম্যাচ লস অ্যাঞ্জেলেস ও এক ম্যাচ খেলবে সিয়াটলে। মেক্সিকো ২ ম্যাচ আসতেকা ও অন্য ম্যাচটি খেলবে গুয়াদালাহারায়। কানাডার এক ম্যাচ টরন্টো ও অন্য দুই ম্যাচ ভ্যানকুভারে।
  • ৪৮ দলকে চার পটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি পটে থাকছে ১২টি করে দল। স্বাগতিক দল বাদে অন্য দলগুলোকে র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে রাখা হয়েছে। পট ১-এর দলগুলো যে গ্রুপে পড়বে সেই গ্রুপের এক নম্বর দল হিসেবে বিবেচিত হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে পট ২, পট ৩ ও পট ৪ থেকে নাম তোলা হবে।
  • ৪৮ দলের মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ৪২টি দল। অন্য ৬ দল উঠে আসবে প্লে-অফ থেকে। তাই তাদের রাখা হয়েছে ৪ নম্বর পটে।

প্লে-অফে যারা

আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।

ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা

ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।

পটবিন্যাস

পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।

পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।

পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামের আগেই জানা গেল আইপিএলে কত ম্যাচ খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন জশ ইংলিস। ছবি: এএফপি
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন জশ ইংলিস। ছবি: এএফপি

২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।

১৩৫৫ ক্রিকেটার আইপিএল নিলামে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। নিলামে কী হয়, কাকে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কত দামে কেনে অথবা আদৌ তিনি দল পান কিনা সেটা জানা যাবে ১৬ ডিসেম্বর। তার আগে ক্রিকবাজের গত রাতের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৬ আইপিএলে পাঁচ ক্রিকেটারের কে কত ম্যাচ খেলবেন। সেই পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ইংলিস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৯তম আইপিএলে ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলতে চান। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে ১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্বে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি কমপক্ষে ১৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আগামী আইপিএলেও ঠিক তাই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আগামী বছর ইংলিস সর্বোচ্চ চার ম্যাচ খেলছেন।

ইংলিস বর্তমানে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে আছেন। এদিকে নিলামের আগে বিসিসিআইকে জানিয়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় ইংলিসের পাশাপাশি আছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো এবং আরও দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশটন অ্যাগার ও উইলিয়াম সাদারল্যান্ড। মিলনে ৯৫ শতাংশ, রুশো ২০ শতাংশ, অ্যাগার ৬৫ শতাংশ ও সাদারল্যান্ড ৮০ শতাংশ ম্যাচ পরবর্তী আইপিএলে খেলতে যাচ্ছেন। ইংলিসের মতো ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটার হলেন অ্যাগার, মিলনে ও রুশো। অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম সাদারল্যান্ডের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।

আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন ইংলিস। ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩০.৮৮ গড় ও ১৬২.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৭৮ রান। একটা ফিফটিও করেছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সতীর্থ অ্যাগার ও সাদারল্যান্ডের এখনো আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। রুশো সবশেষ আইপিএল খেলেছেন ২০২৪ সালে। মিলনে ২০২২ আইপিএলের পর টানা তিন মৌসুম অবিক্রীত ছিলেন। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের তালিকায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সাকিব আল হাসানের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।

এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৮ মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইপিএলে। একবার করে আইপিএলে শিরোপা জিতেছে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটান্স। বেঙ্গালুরু সবশেষ ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লিগ খেলতে আমিরাতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৩
আরব আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক
আরব আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক

স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও তিনি ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল, পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক। এবার তাঁর অভিষেক হচ্ছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। এই টুর্নামেন্টে তিনি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন। গতকাল রাতে তিনি আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন। বিমানে ওঠার পর একটি সেলফি তুলে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার লিখেছেন, ‘২০২৫ আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিচ্ছি। দুবাই ক্যাপিটালস পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে তর সইছে না।’

বিপিএল ছাড়া বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যেমন আইপিএল, পিএসএল, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলে তিনি পাঁচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। ৬০ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। ২০২৪ আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯.২৬ ইকোনমিতে বোলিং করলেও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। চেন্নাই তো তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল গত বছর। আর গতবার ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের পর অস্ট্রেলিয়ার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক খেলেননি। তাঁর পরিবর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস নিয়েছিল মোস্তাফিজকে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার আখ্যা দিয়ে কদিন আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ শন টেইট বলেছিলেন, ‘সে একটা দারুণ মাত্রা তৈরি করেছে। সব সময় ভালো পারফর্ম করে আসছে ও সেরা খেলোয়াড়রা এমনটাই করে থাকে। আইপিএল থেকে শুরু করে সবখানে তাকে চায়।’

দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে এ বছরের জুলাইয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে নিয়েছে এমআই এমিরেটস। যদিও গতকাল রাতে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ মেলেনি তাঁর। ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনে থাকা তিন দল হচ্ছে গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স ও ডেজার্ট ভাইপার্স। দুবাই ক্যাপিটালসকে মঙ্গলবার রাতে এবারের আইএল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত