রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
‘এখনো রঙ্গনা ভয়ংকর’—কথাটা যখন তিনি বলছিলেন, তখন লিটন দাস নেটে বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শকের এক দুর্দান্ত আর্মারে। ‘ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করা ফ্লাইট কিংবা ড্রিফট, হেরাথকে চাইলে বাংলাদেশ কাল (আজ) খেলিয়ে দিতে পারে’—লঙ্কান ভদ্রলোকের রসিকতা।
গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পেয়ে শ্রীলঙ্কান সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন সিংহলিজ ভাষায়। লঙ্কান সংবাদকর্মীরা যতটা মন খুলে প্রশ্ন করতে পারলেন বাংলাদেশ কোচকে, হাথুরুকে ততটা স্বচ্ছন্দ মনে হলো না। মাতৃভাষার সঙ্গে যথেষ্ট ইংরেজির মিশ্রণ ছিল তাঁর কথায়। পরিবার নিয়ে সিডনিতে দীর্ঘ সময় থিতু হয়ে যাওয়ায় নিজের ভাষাটা আগের মতো অনর্গল বলতে হাথুরুকে বোধ হয় একটু বেগই পেতে হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় এ নিয়ে নিজেই একচোট হাসলেন।
কলম্বোয় আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হাথুরু-হেরাথকে সব চেষ্টাই করতে হবে। পেশাদার জীবনে সাফল্যই যেখানে শেষ কথা, আবেগের সেখানে কি আর ঠাঁই হয়? হাথুরু অবশ্য বরাবরই আবেগশূন্য থাকার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ স্বদেশিদের ‘অপ্রিয়’ কাজ অবলীলায় করতে হবে হাথুরু আর তাঁর সহকর্মী হেরাথকে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরুকে ঠিক বিপরীত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তখন তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। বাংলাদেশ থেকে কদিন আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে এসে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত। ঠিক এ সময় বাংলাদেশ হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ বছর আগে হাথুরুর জন্য সেটি তিক্ত স্মৃতি হলেও বাংলাদেশের কাছে তা ছিল মধুর স্মৃতি। সেই স্মৃতি গতকাল মনে করিয়ে দিতে হাথুরু বললেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে সেবার খুব ভালো খেলেছিল। সেটা অন্য সংস্করণ ছিল (টি-টোয়েন্টি)। তবে মনে হয় না, সেখান থেকে এখন আর কিছু নেওয়ার আছে।’
সময়ের সঙ্গে প্রেক্ষাপট বদলেছে। কিন্তু বদলে যায়নি এক পরিসংখ্যান। টি-টোয়েন্টি জিতলেও কলম্বোর এই মাঠে বাংলাদেশ ১১ ওয়ানডে খেলে জিততে পারেনি ১টিতেও। এবার শুধু বিবর্ণ এই পরিসংখ্যান পরিবর্তনেই নয়, ফাইনালের আশা টিকিয়ে থাকতে হলে ভিন্ন কিছু করতেই হবে বাংলাদেশকে। আর সেটি করতে হলে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে। হাথুরু বলছেন, ‘আমরা জানি, নিকট অতীতে কী ঘটেছে। আমরাও ভালো খেলছি। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে সর্বশেষ দু-তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা কতটা সক্ষম বা করে দেখাতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কথাও বলেছি। ভালো কিছু করে দেখাতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
প্রেমাদাসায় বিবর্ণ পরিসংখ্যান আর লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বোয় ফেরা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি পরিসংখ্যান কিছুটা ‘হুংকার’ই দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা টানা নিজেদের সর্বশেষ ১২টি ওয়ানডে জিতেছে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে হাথুরু বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা ভালো খেলছে। টানা ১২ ম্যাচ জিতেছে। কিছু জিতেছে সহযোগী দেশের বিপক্ষে (পাঁচটি, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে)। তবে হ্যাঁ, তারা ভালো খেলছে।’
শ্রীলঙ্কাকে প্রশংসার সঙ্গে একটু খোঁচাও যেন থাকল হাথুরুর কথায়। এটাই পেশাদার কোচের পরিচয়, যে দলের হয়ে কাজ করবেন, তাদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। আজ প্রেমাদাসার গ্যালারিভর্তি স্টেডিয়ামে তিনি একই লক্ষ্যে থাকবেন বাংলাদেশের ডাগআউটে।

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
‘এখনো রঙ্গনা ভয়ংকর’—কথাটা যখন তিনি বলছিলেন, তখন লিটন দাস নেটে বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শকের এক দুর্দান্ত আর্মারে। ‘ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করা ফ্লাইট কিংবা ড্রিফট, হেরাথকে চাইলে বাংলাদেশ কাল (আজ) খেলিয়ে দিতে পারে’—লঙ্কান ভদ্রলোকের রসিকতা।
গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পেয়ে শ্রীলঙ্কান সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন সিংহলিজ ভাষায়। লঙ্কান সংবাদকর্মীরা যতটা মন খুলে প্রশ্ন করতে পারলেন বাংলাদেশ কোচকে, হাথুরুকে ততটা স্বচ্ছন্দ মনে হলো না। মাতৃভাষার সঙ্গে যথেষ্ট ইংরেজির মিশ্রণ ছিল তাঁর কথায়। পরিবার নিয়ে সিডনিতে দীর্ঘ সময় থিতু হয়ে যাওয়ায় নিজের ভাষাটা আগের মতো অনর্গল বলতে হাথুরুকে বোধ হয় একটু বেগই পেতে হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় এ নিয়ে নিজেই একচোট হাসলেন।
কলম্বোয় আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হাথুরু-হেরাথকে সব চেষ্টাই করতে হবে। পেশাদার জীবনে সাফল্যই যেখানে শেষ কথা, আবেগের সেখানে কি আর ঠাঁই হয়? হাথুরু অবশ্য বরাবরই আবেগশূন্য থাকার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ স্বদেশিদের ‘অপ্রিয়’ কাজ অবলীলায় করতে হবে হাথুরু আর তাঁর সহকর্মী হেরাথকে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরুকে ঠিক বিপরীত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তখন তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। বাংলাদেশ থেকে কদিন আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে এসে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত। ঠিক এ সময় বাংলাদেশ হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ বছর আগে হাথুরুর জন্য সেটি তিক্ত স্মৃতি হলেও বাংলাদেশের কাছে তা ছিল মধুর স্মৃতি। সেই স্মৃতি গতকাল মনে করিয়ে দিতে হাথুরু বললেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে সেবার খুব ভালো খেলেছিল। সেটা অন্য সংস্করণ ছিল (টি-টোয়েন্টি)। তবে মনে হয় না, সেখান থেকে এখন আর কিছু নেওয়ার আছে।’
সময়ের সঙ্গে প্রেক্ষাপট বদলেছে। কিন্তু বদলে যায়নি এক পরিসংখ্যান। টি-টোয়েন্টি জিতলেও কলম্বোর এই মাঠে বাংলাদেশ ১১ ওয়ানডে খেলে জিততে পারেনি ১টিতেও। এবার শুধু বিবর্ণ এই পরিসংখ্যান পরিবর্তনেই নয়, ফাইনালের আশা টিকিয়ে থাকতে হলে ভিন্ন কিছু করতেই হবে বাংলাদেশকে। আর সেটি করতে হলে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে। হাথুরু বলছেন, ‘আমরা জানি, নিকট অতীতে কী ঘটেছে। আমরাও ভালো খেলছি। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে সর্বশেষ দু-তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা কতটা সক্ষম বা করে দেখাতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কথাও বলেছি। ভালো কিছু করে দেখাতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
প্রেমাদাসায় বিবর্ণ পরিসংখ্যান আর লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বোয় ফেরা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি পরিসংখ্যান কিছুটা ‘হুংকার’ই দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা টানা নিজেদের সর্বশেষ ১২টি ওয়ানডে জিতেছে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে হাথুরু বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা ভালো খেলছে। টানা ১২ ম্যাচ জিতেছে। কিছু জিতেছে সহযোগী দেশের বিপক্ষে (পাঁচটি, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে)। তবে হ্যাঁ, তারা ভালো খেলছে।’
শ্রীলঙ্কাকে প্রশংসার সঙ্গে একটু খোঁচাও যেন থাকল হাথুরুর কথায়। এটাই পেশাদার কোচের পরিচয়, যে দলের হয়ে কাজ করবেন, তাদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। আজ প্রেমাদাসার গ্যালারিভর্তি স্টেডিয়ামে তিনি একই লক্ষ্যে থাকবেন বাংলাদেশের ডাগআউটে।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১০ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১০ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৮ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১০ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১০ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে