তাসনীম হাসান, ঢাকা

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ? মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা ভূমিকা দলের সবকিছু বদলে দেয়। সেই কাজটি বহু বছর ধরে দারুণভাবেই করে গিয়েছিলেন বলেই তো মহেন্দ্র সিং ধোনিতে এখনো অনেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ঘিরে অনেকের অনিঃশেষ মুগ্ধতা।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও কি হবেন এমন এক নেতা, যাঁর নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিখে রাখবে সোনার হরফে? মাহমুদউল্লাহর এবারের চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই হচ্ছে একটি কারণে। অতীতে বাংলাদেশের কোনো অধিনায়ক ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরে সেভাবে সাফল্য বয়ে আনতে পারেননি। যদিও ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর সেই ম্যাচে অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সামনে থেকে। সেই ম্যাচে ২৭ বলে করেছিলেন ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এটুকুই। শুরুর সেই আলো মিলিয়ে গেছে দ্রুতই। এরপর ওই বিশ্বকাপের বাকি চার ম্যাচেই হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আশরাফুলের দলকে। ওই চার ম্যাচে আশরাফুল করেন সাকল্য ২৬ রান।
দুই বছর পর ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপটা তো অধিনায়ক আশরাফুলের জন্য আরও হতাশাজনক অধ্যায় হয়ে আছে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের দৌড় থেমে যায় দুই ম্যাচেই। ব্যাট হাতেও অধিনায়ক আশরাফুল ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পরে হারাতে হয় নেতৃত্বও।
২০১০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিক ছাপ রেখে গেলেও নেতৃত্বে সাফল্য দেখাতে পারেননি বাঁহাতি অলরাউন্ডার। দুই ম্যাচের দুটিতে হেরেই দেশে ফেরে বাংলাদেশ। অবশ্য সাকিব ৭৫ রানের সঙ্গে শিকার করেন ৪ উইকেট।
এর পরের দুটি বিশ্বকাপেই অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০১২ বিশ্বকাপেও অতীতের মলিন পরিসংখ্যান বদলাতে পারেনি বাংলাদেশ। দুটিতেই হেরে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। মুশফিকও ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। অবশ্য ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ও নেপালকে মুশফিকের দল হারালেও আবার বড় অঘটনের জন্ম দেয় হংকংয়ের কাছে হেরে। সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরে নকআউটের আগেই দর্শক হয়ে যায় বাংলাদেশ।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেই দলই কিনা পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এবারও সাত ম্যাচের বিপরীতে জয় দুটি। পুরো টুর্নামেন্টে মাশরাফির অবদান ৩১ রান ও ৩ উইকেট। এটিই শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়ে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের কাছে।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের জন্য যেন অপেক্ষা করে দুঃস্বপ্ন আর হতাশা! বিশ্বকাপের প্রতিটি পর্বে অংশ নিলেও এখনো নকআউটের বৈতরণিই পার হতে পারেনি বাংলাদেশ দল। চার-ছক্কার এই খেলায় বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা এতটাই মলিন যে টেস্টের সেরা ১০ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারেই তলানিতে। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ খেলে ১৯টিতেই হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর জয় যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি, সেখানে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২০.৮৩ শতাংশ।
এবার সেই ধূসর পরিসংখ্যান মোছার বড় চ্যালেঞ্জটা মাহমুদউল্লাহর সামনে।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবার বাংলাদেশের দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। সেদিক দিয়ে সম্ভাবনা খুব ভালো। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সেভাবে ভালো দল হয়ে ওঠেনি। সেই দিক চিন্তা করলে একটু ভয় তো আছেই।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। মাহমুদউল্লাহ কি সেই রীতি ভাঙতে পারবেন—এমন প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলও এখনো সেভাবে সাফল্য পায়নি, একটা বিশ্বকাপও জেতেনি। সেখানে তো বাংলাদেশ অনেক দূরে। আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেও দারুণ ব্যাটার। ফর্মেও আছে। আশা করছি, তার নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাব বিশ্বকাপে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম দুঃসময়ে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিকবার দলের দায়িত্বের ভার মাহমুদউল্লাহর কাঁধে উঠলেও পাকাপাকিভাবে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব পান ২০১৯ সালের অক্টোবরে। সাকিব আল হাসান আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়লে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকেই ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের অধিনায়ক বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বড় কঠিন সময়ে দায়িত্বভার পেলেও গত দুই বছরে দলকে তিনি নিজের মতো গুছিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগও পেয়েছেন।
এই সময়ে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে দারুণ সাফল্যও পেয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর অধীনে ২৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের হারটাও বাংলাদেশের যেকোনো অধিনায়কের চেয়ে বেশি—৪৮.১৪। কিন্তু এই জয়ের ৯টিই যে এসেছে ঘরের মাঠে। এখানেই মাহমুদউল্লাহর চ্যালেঞ্জটা। সেই চ্যালেঞ্জটা যে একটু কঠিনই হচ্ছে, এর মধ্যেই আঁচ পেয়েছে বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের দুটিতেই হার বুঝিয়ে দিল, পরীক্ষাটা সহজ হবে না মাহমুদউল্লাহদের। বাছাইপর্ব পেরিয়েই যেতে হবে সুপার টুয়েলভসে। পথটা বেশ কণ্টকাকীর্ণই বটে।
অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী মাহমুদউল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার আইসিসির প্রশ্নোত্তর পর্বে এবারের বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা যতটা সম্ভব নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। সুপার টুয়েলভসে ওঠাই প্রাথমিক লক্ষ্য। সুপার টুয়েলভসে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এখানে আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই।’
নিজেদের সেরা খেলাটা কীভাবে খেলতে হবে, সেটি অধিনায়ককেই আগে করে দেখাতে হবে। সতীর্থদের পথ দেখিয়ে দিতে, অনুপ্রাণিত করতে পারফরম্যান্সের চেয়ে সেরা উপায় কী হতে পারে! আর সেটি হলেই ব্যর্থতার পুরোনো বৃত্তটা ভাঙা যাবে অনায়াসে।

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ? মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা ভূমিকা দলের সবকিছু বদলে দেয়। সেই কাজটি বহু বছর ধরে দারুণভাবেই করে গিয়েছিলেন বলেই তো মহেন্দ্র সিং ধোনিতে এখনো অনেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ঘিরে অনেকের অনিঃশেষ মুগ্ধতা।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও কি হবেন এমন এক নেতা, যাঁর নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিখে রাখবে সোনার হরফে? মাহমুদউল্লাহর এবারের চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই হচ্ছে একটি কারণে। অতীতে বাংলাদেশের কোনো অধিনায়ক ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরে সেভাবে সাফল্য বয়ে আনতে পারেননি। যদিও ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর সেই ম্যাচে অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সামনে থেকে। সেই ম্যাচে ২৭ বলে করেছিলেন ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এটুকুই। শুরুর সেই আলো মিলিয়ে গেছে দ্রুতই। এরপর ওই বিশ্বকাপের বাকি চার ম্যাচেই হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আশরাফুলের দলকে। ওই চার ম্যাচে আশরাফুল করেন সাকল্য ২৬ রান।
দুই বছর পর ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপটা তো অধিনায়ক আশরাফুলের জন্য আরও হতাশাজনক অধ্যায় হয়ে আছে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের দৌড় থেমে যায় দুই ম্যাচেই। ব্যাট হাতেও অধিনায়ক আশরাফুল ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পরে হারাতে হয় নেতৃত্বও।
২০১০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিক ছাপ রেখে গেলেও নেতৃত্বে সাফল্য দেখাতে পারেননি বাঁহাতি অলরাউন্ডার। দুই ম্যাচের দুটিতে হেরেই দেশে ফেরে বাংলাদেশ। অবশ্য সাকিব ৭৫ রানের সঙ্গে শিকার করেন ৪ উইকেট।
এর পরের দুটি বিশ্বকাপেই অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০১২ বিশ্বকাপেও অতীতের মলিন পরিসংখ্যান বদলাতে পারেনি বাংলাদেশ। দুটিতেই হেরে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। মুশফিকও ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। অবশ্য ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ও নেপালকে মুশফিকের দল হারালেও আবার বড় অঘটনের জন্ম দেয় হংকংয়ের কাছে হেরে। সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরে নকআউটের আগেই দর্শক হয়ে যায় বাংলাদেশ।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেই দলই কিনা পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এবারও সাত ম্যাচের বিপরীতে জয় দুটি। পুরো টুর্নামেন্টে মাশরাফির অবদান ৩১ রান ও ৩ উইকেট। এটিই শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়ে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের কাছে।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের জন্য যেন অপেক্ষা করে দুঃস্বপ্ন আর হতাশা! বিশ্বকাপের প্রতিটি পর্বে অংশ নিলেও এখনো নকআউটের বৈতরণিই পার হতে পারেনি বাংলাদেশ দল। চার-ছক্কার এই খেলায় বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা এতটাই মলিন যে টেস্টের সেরা ১০ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারেই তলানিতে। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ খেলে ১৯টিতেই হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর জয় যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি, সেখানে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২০.৮৩ শতাংশ।
এবার সেই ধূসর পরিসংখ্যান মোছার বড় চ্যালেঞ্জটা মাহমুদউল্লাহর সামনে।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবার বাংলাদেশের দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। সেদিক দিয়ে সম্ভাবনা খুব ভালো। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সেভাবে ভালো দল হয়ে ওঠেনি। সেই দিক চিন্তা করলে একটু ভয় তো আছেই।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। মাহমুদউল্লাহ কি সেই রীতি ভাঙতে পারবেন—এমন প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলও এখনো সেভাবে সাফল্য পায়নি, একটা বিশ্বকাপও জেতেনি। সেখানে তো বাংলাদেশ অনেক দূরে। আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেও দারুণ ব্যাটার। ফর্মেও আছে। আশা করছি, তার নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাব বিশ্বকাপে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম দুঃসময়ে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিকবার দলের দায়িত্বের ভার মাহমুদউল্লাহর কাঁধে উঠলেও পাকাপাকিভাবে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব পান ২০১৯ সালের অক্টোবরে। সাকিব আল হাসান আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়লে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকেই ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের অধিনায়ক বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বড় কঠিন সময়ে দায়িত্বভার পেলেও গত দুই বছরে দলকে তিনি নিজের মতো গুছিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগও পেয়েছেন।
এই সময়ে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে দারুণ সাফল্যও পেয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর অধীনে ২৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের হারটাও বাংলাদেশের যেকোনো অধিনায়কের চেয়ে বেশি—৪৮.১৪। কিন্তু এই জয়ের ৯টিই যে এসেছে ঘরের মাঠে। এখানেই মাহমুদউল্লাহর চ্যালেঞ্জটা। সেই চ্যালেঞ্জটা যে একটু কঠিনই হচ্ছে, এর মধ্যেই আঁচ পেয়েছে বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের দুটিতেই হার বুঝিয়ে দিল, পরীক্ষাটা সহজ হবে না মাহমুদউল্লাহদের। বাছাইপর্ব পেরিয়েই যেতে হবে সুপার টুয়েলভসে। পথটা বেশ কণ্টকাকীর্ণই বটে।
অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী মাহমুদউল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার আইসিসির প্রশ্নোত্তর পর্বে এবারের বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা যতটা সম্ভব নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। সুপার টুয়েলভসে ওঠাই প্রাথমিক লক্ষ্য। সুপার টুয়েলভসে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এখানে আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই।’
নিজেদের সেরা খেলাটা কীভাবে খেলতে হবে, সেটি অধিনায়ককেই আগে করে দেখাতে হবে। সতীর্থদের পথ দেখিয়ে দিতে, অনুপ্রাণিত করতে পারফরম্যান্সের চেয়ে সেরা উপায় কী হতে পারে! আর সেটি হলেই ব্যর্থতার পুরোনো বৃত্তটা ভাঙা যাবে অনায়াসে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩০ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ, মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা
১৭ অক্টোবর ২০২১
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩০ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ, মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা
১৭ অক্টোবর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ, মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা
১৭ অক্টোবর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩০ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

ফুটবলে কোচই সবকিছু। ক্রিকেট সেখানে অধিনায়কের খেলা। অধিনায়কের একটা সিদ্ধান্তে দল যেমন সাফল্যের আকাশে উড়তে পারে, আবার একটু ভুলেই হতে পারে সর্বনাশ! শুধু কি মাঠ, মাঠের বাইরেও একজন অধিনায়কের প্রভাব কিংবা
১৭ অক্টোবর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩০ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে