Ajker Patrika

উপমহাদেশে হওয়া এবারের বিশ্বকাপে যা ঘটল ‘প্রথমবার’ 

উপমহাদেশে হওয়া এবারের বিশ্বকাপে যা ঘটল ‘প্রথমবার’ 

১৯৮৭,১৯৯৬, ২০১১,২০২৩-এ নিয়ে চার বিশ্বকাপ হচ্ছে উপমহাদেশে। স্বাভাবিকভাবেই এশিয়ার দলগুলোর দাপুটে পারফরম্যান্স দেখা যায়। আগের তিন বিশ্বকাপের মতো এবারও এশিয়ার দলের দাপট দেখা যাচ্ছে। 

উপমহাদেশে হওয়া চার বিশ্বকাপের মধ্যে মিল যেমন রয়েছে, তেমনি ২০২৩ বিশ্বকাপ এক দিক থেকে ব্যতিক্রম। মিল হচ্ছে চার বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে কোনো না কোনো দল সেমিতে উঠেছে। ১৯৮৭ তে ভারত ও পাকিস্তানে আয়োজিত বিশ্বকাপের দুই দলই সেমিফাইনালে উঠেছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুটো দলই খেলেছে সেমিফাইনালে। সবচেয়ে বেশি এশিয়ার তিন দল সেমিতে উঠেছিল ২০১১ বিশ্বকাপে। সেবার সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। অপর সেমিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর অল এশিয়ান ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। উপমহাদেশের প্রথম তিন বিশ্বকাপ থেকে ২০২৩ ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ হচ্ছে এশিয়া থেকে একটা দলই উঠেছে সেমিফাইনালে। এশিয়ার একমাত্র দলটা হচ্ছে ভারত। বাকি তিন দল হচ্ছে: নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 
 
তবে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দশ দলের অর্ধেকই ছিল এশিয়ার। বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান-এশিয়ার এই পাঁচ দল খেলেছে এবারের বিশ্বকাপ। ভারতের পর এশিয়ার থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এই দুই দলের সেমিতে খেলার সম্ভাবনা ছিল তুলনামূলক বেশি। আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপরই খেই হারানো শুরু করে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান-গুনে গুনে টানা ৬ ম্যাচ হারে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাজে ব্যবধানে হারায় নেট রানরেটেরও বেহাল দশা হতে থাকে সাকিব আল হাসানের দলের। যার মধ্যে নেদারল্যান্ডসের কাছে বাংলাদেশ হেরে যায় ৮৭ রানে। পুরো বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২ ম্যাচ ও হেরেছে ৭ ম্যাচ। ৩২৮ রান করে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সমান ১০টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরীফুল ইসলাম। 

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতঅন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা দারুণ করেছিল পাকিস্তান। যেখানে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান, আব্দুল্লাহ শফিক পাকিস্তানের দুই ব্যাটার করেন সেঞ্চুরি। এরপর টানা ৪ ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে থাকে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্ভাবনা জাগিয়েও ১ উইকেটে হারতে হয়েছে বাবর আজমের দলকে। 

টানা চার ম্যাচ হারা পাকিস্তান এরপর বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আবার সেমির লড়াইয়ে ফিরেছিল। যেখানে বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৪০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের ইনিংস ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রানে থেমে যায়। বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জিতে যায় বাবরের দল। এরপর পাকিস্তান চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। তবে নিউজিল্যান্ড বড় ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারানোয় পাকিস্তান পড়ে যায় অবাস্তব এক সমীকরণের সামনে। তবে গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ২৮৭ রানে জয় বা ৪০ বলে ৩৩৮ রানের সমীকরণ-কোনোটাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলাতে পারেনি পাকিস্তান। 

বাংলাদেশ, পাকিস্তান-দুই প্রতিবেশী দেশের চেয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেছে ভারত। নিজেদের ৮ ম্যাচের ৮ টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক দল। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৫ ও ৮৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে ভারত। এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ১ ও ৪ নম্বরে আছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ২ সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড করেন কোহলি। বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা নিয়েছেন ১৬ ও ১৫ উইকেট। বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় শামি নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। 

এবারের বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তানশ্রীলঙ্কার জন্য এবারের বিশ্বকাপ ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই। ৯ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচ।-১.৪১৯ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে আছে লঙ্কানরা। কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা ব্যাটিংয়ে ছিলেন দারুণ ছন্দে। দিলশান মাদুশঙ্ক ২১ উইকেট নিলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্টেই লঙ্কান বোলাররা মুক্তহস্তে রান বিলিয়েছেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে পাকিস্তান, ভারত করেছিল ৩৪৫ ও ৩৫৭ রান। বড় সাফল্য বলতে ইংল্যান্ডকে হারানো। নেদারল্যান্ডসকে হারাতেও তুলনামূলক কষ্ট হয়েছে শ্রীলঙ্কার। যেখানে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে বাংলাদেশের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছিল লঙ্কানরা। আফগানিস্তানের কাছেও হারতে হয়েছে লঙ্কানদের। 

তবে সেমিফাইনালে না উঠলেও মনে রাখার মতো বিশ্বকাপ এবার খেলেছে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে আফগানরা। এরপর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমির সম্ভাবনা জাগিয়েছিল আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে হারলেও দাপট দেখিয়েছিল আফগানিস্তান। এরপর সব সমীকরণ ওলটপালট করে দেয় শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। যার ফলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪৩৮ রানের ব্যবধানে জিততে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৫ উইকেটে আফগানরা হারলেও প্রথমে ব্যাটিং করে ২৪৪ রান করেছিল। বিশ্বকাপে আফগানদের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান হয়েছিলেন এবারই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত