Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

ভারতের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই

ভারতের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই

সময়টা দারুণ যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতির। কদিন আগে মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১২৪ গড়ে ৬ ইনিংসে করেছেন ২৪৮ রান। সফল নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদকে, হয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যোতি। কদিন আগে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্তারিত বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, দেশের নারী ক্রিকেটকে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা

লাইছ ত্বোহা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪১

প্রশ্ন: মেয়েদের প্রিমিয়ারে শক্তিশালী মোহামেডানকে অলিখিত ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রূপালী ব্যাংক। সেই ম্যাচে আপনাদের স্কোরও বড় ছিল না। ম্যাচটা জিততে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেদিন?

নিগার সুলতানা জ্যোতি: এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো-স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব এই আত্মবিশ্বাস ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা যারা প্রতি ম্যাচে রান করি, সেই ম্যাচে (ফাইনালে) দ্রুত আউট হয়ে যাই। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, ১৮০-১৯০ রান করতে পারলে ভালো লড়াই হবে। জিততে কষ্ট হবে, কিন্তু আমরা জিতব। এসব গুরুত্বপূর্ণ, চাপের ম্যাচে কম স্কোর হয়। এসব ম্যাচে স্নায়ু সামলে রাখতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, আমি সেটাই করেছি। পরিকল্পনা করে খেলেছি, জিতেছি।

প্রশ্ন: অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আপনার উন্নতি চোখে পড়ার মতো...। 

জ্যোতি: আমার মনে হয় মানসিকতা। অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলছি। এটা খেয়াল করেছি, আমরা কেন পিছিয়ে আছি, বের করার চেষ্টা করেছি, কেন আমরা ম্যাচগুলো জিতি না, ভালো ম্যাচগুলোয় কেন পিছিয়ে পড়ি। কারণ হচ্ছে, মোমেন্টাম আমাদের দিকে ধরতে পারি না। দেখা যাচ্ছে আমরা ধীরে ব্যাটিং করি। বড় দলগুলোর তিন-চারটি উইকেট পড়লেও তারা কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রেখে স্ট্রাইরেট, ওভারপিছু প্রয়োজনীয় রানরেট বুঝেই ব্যাটিং করে। আমরা কেন করব না? পরিস্থিতি যা-ই হোক না, আমাদের যদি জেতার জন্য যেতে হয়, অবশ্যই আমাদের ওই সময় ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে হবে। আপনি তো টেলএন্ডারের ওপর চাপ দিতে পারেন না। আমরা যদি শুরুতে দুই-তিনজন ব্যাটার ভালো রান করে যাই, তাহলে কিন্তু আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার সিরিজেও এটা ছিল। আমি চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম ধরে রাখতে। ম্যাচ জিতব কি হারব, এটা মাথায় ছিল না। ছন্দ যদি ধরে রাখি, অন্তত আমি যদি আউট হই, অন্য কেউ এসে যেন স্ট্রাগল না করে। এটাই এখন আমার মাথায় কাজ করছে। সেখান থেকে একটা পরিবর্তন। দ্বিতীয় হচ্ছে অধিনায়ক যদি ভালো খেলে, তখন পুরো দলই ভালো খেলে। আমি ভালো শুরু এনে দিলে অন্য ব্যাটাররাও ভালো খেলবে। নিজের ব্যাটিং স্টাইলটা পরিবর্তন করা। 

প্রশ্ন: আগামী তিন-চার বছরে মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?

জ্যোতি: আমরা এখন যেভাবে ম্যাচ খেলা শুরু করেছি—নিউজিল্যান্ডে গিয়েছি, শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি—এভাবে আমরা প্রচুর ম্যাচ খেলব আগামী দুই বছরে। যত ম্যাচ খেলব, দল তত আত্মবিশ্বাসী হবে জিততে। কীভাবে সিরিজ জিততে হবে, সেটা এখন চিন্তা করা উচিত। আমার মনে হয়, যত বেশি ম্যাচ খেলব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তত দক্ষতা তৈরি হবে। সামনে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে (২০২৪ সালে)। অবশ্যই আমরা চাই দেশের মাঠে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে। আমরা এত বছর যেটা পারিনি, সেটা যেন করতে পারি। অন্তত আমরা ম্যাচ জিততে চাই। সেমিফাইনালের কথা অনেক পরে, কিন্তু ম্যাচ জিততে চাই। কাছাকাছি গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছি। আসলে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা কম। আরেকটা লক্ষ্য থাকবে, আমরা যেন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ে ধারাবাহিক হতে হবে।

প্রশ্ন: আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অন্তত এক-দুইটা ম্যাচ জেতার আশা করা যায়?

জ্যোতি: ক্রিকেট খেলায় কী হবে, কেউ কখনো বলতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সব সময় কঠিন হয়। ওদের ক্রিকেটীয় স্ট্রাকচার অনেক শক্তিশালী। ওরা ঘরোয়া লিগে কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলে, ওরা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে। ওয়ানডেতে আমরা ভালো দল। ১১ বছর পর হোম অব ক্রিকেটে (মিরপুরে) ক্রিকেট খেলব। দলগতভাবে অবশ্যই চাইব ম্যাচ জিততে। ভালো ক্রিকেট খেললে হয়তো সিরিজ জেতারও সম্ভাবনা থাকবে। টি-টোয়েন্টিতেও ছোট ছোট বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। বিশ্বকাপে কিন্তু এগুলোর জন্য হেরেছি। এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাও অসম্ভব কিছু হবে না। কারণ ওদের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই।

প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি—এটা কীভাবে দেখছেন। যদিও কয়েকটি দেশে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের বেতন সমান। আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে কখনো এটা সম্ভব?

জ্যোতি: অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যত কিছু আছে, সবই সম্ভব। আমরা যতটুকু আশা করেছি, এর চেয়েও বেশি দিয়েছে বিসিবি। এর জন্য ধন্যবাদ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমাদের নারী ক্রিকেট দলের যেহেতু সে রকম পৃষ্ঠপোষক নেই, বোর্ডের কারণেই টিকে আছে। ম্যাচ ফিও বেড়েছে একেবারে অপ্রত্যাশিত হারে। এটা নারী ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রেরণা।  

প্রশ্ন: দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাঁদের বিকল্প খোঁজার কাছে বাংলাদেশ কতটা এগোতে পেরেছে? 

জ্যোতি: সিনিয়রদের বিকল্প...এভাবে বলা ঠিক হবে না। এখানে নির্দিষ্ট একটা সিরিজে হয়তো চিন্তা করেছে যে তাঁদের জায়গায় অন্য কাউকে নিলে ভালো হবে। তাঁরা হয়তো সম্প্রতি অফ ফর্মে আছেন। তাঁদের অনেক বড় বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তাঁরা কীভাবে আরেকটু ভালোভাবে ফিরতে পারেন, সেটা আমাদের করা উচিত। তাঁদের জায়গায় যারা এসেছে, তারাও ভালো করেছে। এখন কিন্তু সিনিয়র-জুনিয়রের হিসাব থাকে না কোনো দলে। যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, তারাই দলে খেলবে। এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।

প্রশ্ন: পুরুষ দলের মতো নারী দলেও একাধিক নির্বাচক প্যানেল থাকলে ভালো হয় কি না?

জ্যোতি: সব সময় দেখেছি, আমাদের নির্বাচক একজন ছিলেন। অবশ্যই অনেক সময় একজনের সমস্যা থাকতে পারে, মানুষমাত্রই ভুল করে। যখন দুজন (একাধিক) থাকবে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত