Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

ভারতের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই

ভারতের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই

সময়টা দারুণ যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতির। কদিন আগে মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১২৪ গড়ে ৬ ইনিংসে করেছেন ২৪৮ রান। সফল নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদকে, হয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যোতি। কদিন আগে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্তারিত বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, দেশের নারী ক্রিকেটকে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা

লাইছ ত্বোহা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪১

প্রশ্ন: মেয়েদের প্রিমিয়ারে শক্তিশালী মোহামেডানকে অলিখিত ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রূপালী ব্যাংক। সেই ম্যাচে আপনাদের স্কোরও বড় ছিল না। ম্যাচটা জিততে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেদিন?

নিগার সুলতানা জ্যোতি: এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই আমরা দাপট দেখিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দুটো ম্যাচ কিন্তু পরিত্যক্ত হয়েছে, যেগুলো লো-স্কোরিং ম্যাচ ছিল, আমরা অনায়াসে জিততাম। এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল। ম্যাচে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে জিততে পারব এই আত্মবিশ্বাস ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা যারা প্রতি ম্যাচে রান করি, সেই ম্যাচে (ফাইনালে) দ্রুত আউট হয়ে যাই। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, ১৮০-১৯০ রান করতে পারলে ভালো লড়াই হবে। জিততে কষ্ট হবে, কিন্তু আমরা জিতব। এসব গুরুত্বপূর্ণ, চাপের ম্যাচে কম স্কোর হয়। এসব ম্যাচে স্নায়ু সামলে রাখতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, আমি সেটাই করেছি। পরিকল্পনা করে খেলেছি, জিতেছি।

প্রশ্ন: অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আপনার উন্নতি চোখে পড়ার মতো...। 

জ্যোতি: আমার মনে হয় মানসিকতা। অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলছি। এটা খেয়াল করেছি, আমরা কেন পিছিয়ে আছি, বের করার চেষ্টা করেছি, কেন আমরা ম্যাচগুলো জিতি না, ভালো ম্যাচগুলোয় কেন পিছিয়ে পড়ি। কারণ হচ্ছে, মোমেন্টাম আমাদের দিকে ধরতে পারি না। দেখা যাচ্ছে আমরা ধীরে ব্যাটিং করি। বড় দলগুলোর তিন-চারটি উইকেট পড়লেও তারা কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রেখে স্ট্রাইরেট, ওভারপিছু প্রয়োজনীয় রানরেট বুঝেই ব্যাটিং করে। আমরা কেন করব না? পরিস্থিতি যা-ই হোক না, আমাদের যদি জেতার জন্য যেতে হয়, অবশ্যই আমাদের ওই সময় ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে হবে। আপনি তো টেলএন্ডারের ওপর চাপ দিতে পারেন না। আমরা যদি শুরুতে দুই-তিনজন ব্যাটার ভালো রান করে যাই, তাহলে কিন্তু আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার সিরিজেও এটা ছিল। আমি চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম ধরে রাখতে। ম্যাচ জিতব কি হারব, এটা মাথায় ছিল না। ছন্দ যদি ধরে রাখি, অন্তত আমি যদি আউট হই, অন্য কেউ এসে যেন স্ট্রাগল না করে। এটাই এখন আমার মাথায় কাজ করছে। সেখান থেকে একটা পরিবর্তন। দ্বিতীয় হচ্ছে অধিনায়ক যদি ভালো খেলে, তখন পুরো দলই ভালো খেলে। আমি ভালো শুরু এনে দিলে অন্য ব্যাটাররাও ভালো খেলবে। নিজের ব্যাটিং স্টাইলটা পরিবর্তন করা। 

প্রশ্ন: আগামী তিন-চার বছরে মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?

জ্যোতি: আমরা এখন যেভাবে ম্যাচ খেলা শুরু করেছি—নিউজিল্যান্ডে গিয়েছি, শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি—এভাবে আমরা প্রচুর ম্যাচ খেলব আগামী দুই বছরে। যত ম্যাচ খেলব, দল তত আত্মবিশ্বাসী হবে জিততে। কীভাবে সিরিজ জিততে হবে, সেটা এখন চিন্তা করা উচিত। আমার মনে হয়, যত বেশি ম্যাচ খেলব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তত দক্ষতা তৈরি হবে। সামনে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে (২০২৪ সালে)। অবশ্যই আমরা চাই দেশের মাঠে বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে। আমরা এত বছর যেটা পারিনি, সেটা যেন করতে পারি। অন্তত আমরা ম্যাচ জিততে চাই। সেমিফাইনালের কথা অনেক পরে, কিন্তু ম্যাচ জিততে চাই। কাছাকাছি গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছি। আসলে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা কম। আরেকটা লক্ষ্য থাকবে, আমরা যেন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ে ধারাবাহিক হতে হবে।

প্রশ্ন: আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অন্তত এক-দুইটা ম্যাচ জেতার আশা করা যায়?

জ্যোতি: ক্রিকেট খেলায় কী হবে, কেউ কখনো বলতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সব সময় কঠিন হয়। ওদের ক্রিকেটীয় স্ট্রাকচার অনেক শক্তিশালী। ওরা ঘরোয়া লিগে কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলে, ওরা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে। ওয়ানডেতে আমরা ভালো দল। ১১ বছর পর হোম অব ক্রিকেটে (মিরপুরে) ক্রিকেট খেলব। দলগতভাবে অবশ্যই চাইব ম্যাচ জিততে। ভালো ক্রিকেট খেললে হয়তো সিরিজ জেতারও সম্ভাবনা থাকবে। টি-টোয়েন্টিতেও ছোট ছোট বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। বিশ্বকাপে কিন্তু এগুলোর জন্য হেরেছি। এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাও অসম্ভব কিছু হবে না। কারণ ওদের শক্তি আর আমাদের শক্তি একই।

প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি—এটা কীভাবে দেখছেন। যদিও কয়েকটি দেশে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের বেতন সমান। আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে কখনো এটা সম্ভব?

জ্যোতি: অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যত কিছু আছে, সবই সম্ভব। আমরা যতটুকু আশা করেছি, এর চেয়েও বেশি দিয়েছে বিসিবি। এর জন্য ধন্যবাদ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমাদের নারী ক্রিকেট দলের যেহেতু সে রকম পৃষ্ঠপোষক নেই, বোর্ডের কারণেই টিকে আছে। ম্যাচ ফিও বেড়েছে একেবারে অপ্রত্যাশিত হারে। এটা নারী ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রেরণা।  

প্রশ্ন: দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাঁদের বিকল্প খোঁজার কাছে বাংলাদেশ কতটা এগোতে পেরেছে? 

জ্যোতি: সিনিয়রদের বিকল্প...এভাবে বলা ঠিক হবে না। এখানে নির্দিষ্ট একটা সিরিজে হয়তো চিন্তা করেছে যে তাঁদের জায়গায় অন্য কাউকে নিলে ভালো হবে। তাঁরা হয়তো সম্প্রতি অফ ফর্মে আছেন। তাঁদের অনেক বড় বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তাঁরা কীভাবে আরেকটু ভালোভাবে ফিরতে পারেন, সেটা আমাদের করা উচিত। তাঁদের জায়গায় যারা এসেছে, তারাও ভালো করেছে। এখন কিন্তু সিনিয়র-জুনিয়রের হিসাব থাকে না কোনো দলে। যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, তারাই দলে খেলবে। এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।

প্রশ্ন: পুরুষ দলের মতো নারী দলেও একাধিক নির্বাচক প্যানেল থাকলে ভালো হয় কি না?

জ্যোতি: সব সময় দেখেছি, আমাদের নির্বাচক একজন ছিলেন। অবশ্যই অনেক সময় একজনের সমস্যা থাকতে পারে, মানুষমাত্রই ভুল করে। যখন দুজন (একাধিক) থাকবে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘বিশেষ ব্যবস্থা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা (বিসিসিআই)। সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকেরা তো বটেই, ডেল স্টেইন-রবিন উথাপ্পারাও ধুয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইকে। লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থা নিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা (ইউপিসিএ)।

লক্ষ্ণৌতে পরশু রাতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বাতিল হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের অনেকেই টিকিটের টাকা ফেরত চেয়েছেন। এবার তাঁদের সুখবর দিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। কোন উপায়ে দর্শকেরা টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন, সেই ব্যবস্থাও বাতলে দিল ইউপিসিএ। সংস্থাটির সচিব প্রেম মনোহর বলেন, ‘যেসব ভক্ত-সমর্থকেরা অনলাইনে টিকিট বুকিং দিয়েছেন, তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন, পুরোটাই ফেরত দেওয়া হবে। টিকিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নোটিফিকেশন যাবে ইমেইলে। আপডেট পেতে যেন তাঁরা নিয়মিত ইমেইল খেয়াল রাখেন।’

অনলাইনে টিকিট না কেটে যাঁরা স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট কেটেছেন, তাঁরাও টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন মনোহর। ইউপিসিএ’র সচিব বলেন, ‘যাঁরা অফলাইনে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের অবশ্যই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্রয়কৃত টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সময় পরশু সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন শীতকালের কারণে ঘন কুয়াশা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌতে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক বদলাল শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০২৫ এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর থেকেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক পরিবর্তনের কথা ভাবছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। সেটাই এবার বাস্তবায়ন করল সংস্থাটি। চারিথ আসালাঙ্কাকে সরিয়ে দাসুন শানাকাকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটের নেতৃত্বভার দিয়েছে এসএলসির নতুন নির্বাচক প্যানেল।

গত বছরের জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পান আসালাঙ্কা। তাঁর অধীনে প্রত্যাশিত ফল পায়নি লঙ্কানরা। ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে মাত্র ১১ টিতে। বিপরীতে হেরেছে ১২ ম্যাচ। অধিনায়ক থাকাকালীন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি আসালাঙ্কা। ২৫ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ৩৬৮ রান। ব্যাটিং গড় ১৯.৩৬। স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২৯। ফিফটি করেছেন মাত্র একটি। চলতি বছর ১৫.৬০ গড়ে করেছেন ১৫৬ রান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছে এসএলসি। অধিনায়কত্ব হারালেও সে দলে আছেন আসালাঙ্কা। আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজ দিয়ে নেতৃত্ব বুঝে নেবেন শানাকা।

গত মাসে পাকিস্তানের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানার্সআপ হয় শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক ছিলেন শানাকা। আসালাঙ্কা অসুস্থ হয়ে পড়লে নেতৃত্ব পান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকভেলা, জানিথ লিয়ানাগে, চারিথ আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, পবন রত্নায়েকে, সাহান আরাচিগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুনিত ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্ত, ট্রাভিন ম্যাথু, বিজয়াকান্ত বিশ্বকান্ত, দুশমন্ত চামিরা, নুয়ান থুসারা, মাথিশা পাতিরানা, এসান মালিঙ্গা, প্রমোদ মাদুশান, দিলশান মাদুশঙ্কা, মিলান রত্নায়েকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কী হবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও বাংলাদেশের অবস্থা ভালো নয়। ছবি: এসিসি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ, সকালে বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। অবশেষে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় এই ম্যাচ। এদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনাল এখনো শুরুই হয়নি।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে ভারত উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭ ওভারে ২ উইকেটে ২৬ রান করেছে। অধিনায়ক তামিম করেছেন ১ রান। কালাম সিদ্দিকী ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত