প্রিন্স রাসেল, ঢাকা

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কিছুই।
প্রশ্ন: অনেক ধকল পেরিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ, জটিল ভ্রমণ, এখন কোয়ারেন্টিন-জীবন—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা কেমন?
নিগার সুলতানা: আমরা জানতাম হয়তো দুই দিন লাগবে বাংলাদেশে আসতে। ওমানে এসে শুনলাম, আমাদের নাকি পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আসলে মিশ্র এক অনুভূতি। দেশে ফেরার উত্তেজনা কিংবা বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার আনন্দ—ওমানে সবার মন খারাপ হয়ে গেছে। এখন যদি বাসায় যেতে পারতাম বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম, অনেক ভালো লাগত।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এত বড় একটা অর্জনের অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্য রকম?
নিগার: সত্যি বলতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। জানতাম, আফ্রিকার অবস্থা ভালো নয় (করোনায়)। ভেবেছিলাম টুর্নামেন্ট বাতিল হবে কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে আমাদের অফিশিয়ালরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা যেমনই হোক, খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। সেদিন আমরা লাঞ্চ করছিলাম। যখন আমরা শুনলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না এটা সত্যি নাকি মজা হচ্ছে! হোটেলের লবিতে সবাই উত্তেজনায় চেঁচামেচি করছিল। এটার জন্য আমরা লম্বা অপেক্ষা করছিলাম। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে জেদ ছিল যে পরেরবার যখন বাছাই খেলতে যাব, যেন বাধা উতরে যেতে পারি। আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
প্রশ্ন: এবার আপনারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
নিগার: আমরা যখন ওখানে (জিম্বাবুয়ে) যাই, সবার মুখে একটাই কথা ছিল—সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। ভালো খেলার তাড়না ছিল সবার মধ্যে।
প্রশ্ন: এই সাফল্য পেতে নতুন এমন কিছু ছিল, যেটা আপনাদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হয়েছে?
নিগার: এবার সবাই অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর একটা লম্বা বিরতি ছিল (করোনার কারণে)। ওই সময়টায় সবাই নিজের ঘাটতি নিয়ে কাজ করেছে। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন করেছি। এ কারণে ওখানে গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল।
প্রশ্ন: বড় দল পাকিস্তানকে হারানোর পর ড্রেসিংরুমের চিত্রটা কেমন হয়েছিল, আরেকবার শুনতে চাই।
নিগার: আমাদের লক্ষ্য ছিল বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাব। কেন যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একটু বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী মেজাজে থাকি। সব ম্যাচেই থাকি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে একটু বেশিই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারটা আমরা মানতে পারি না। আমরা জেতার পর কাঁদি, হারার পরও কাঁদি। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ যখন জিতবেন, তখন ওই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও ভালো করতে পারবেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের ক্রিকেটে আগেও বড় সাফল্য এসেছে। এবারও এল। এটা দিয়ে কি আপনাদের নতুন একটা শুরু হলো?
নিগার: অবশ্যই। আমাদের বিশ্বকাপে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আইসিসি আমাদের চার বছরের একটা ক্যালেন্ডার দেবে। আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারব। যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তখন ক্রিকেট বোর্ডও চাইবে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতি হোক। দলের পাইপলাইনে আরও খেলোয়াড় আসবে। আমাদের ক্ষোভ ছিল, আমরা বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাই না। যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব, তত শিখব।
প্রশ্ন: সুযোগ-সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী দলের ব্যবধান নিয়ে আলোচনাটা পুরোনো। এই ব্যবধান এখন কতটা কমেছে?
নিগার: ২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট শুরু হয়, ওই সময়ের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বা আর্থিক বিষয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ এশিয়া কাপের (চ্যাম্পিয়ন) পর থেকে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সব সময়ই বিসিবির প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এখানে তুলনার কিছু নেই যে ছেলেদের ক্রিকেট কী করছে, কোথায় যাচ্ছে...।

প্রশ্ন: তুলনার কারণ, আপনারা সীমিত সুযোগের মধ্যেই বড় দুটি সাফল্য পেয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আরও ভালো করার সুযোগ বাড়ত কি না?
নিগার: তা তো অবশ্যই। দেখেন, এ পর্যন্ত আমাদের যতটুকু সাফল্য এসেছে, ততটুকুর জন্য বিসিবি সুযোগ-সুবিধা দিয়েই আসছে। হয়তো-বা কম আছে। কিন্তু তারা চেষ্টা করে। আমাদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হয় না এবং আমরা যে প্রিমিয়ার লিগ খেলি, তা থেকে অত টাকা পাই না। ক্রিকেট বোর্ডকে দায়ী করলে হবে না। কারণ, আমাদের পৃষ্ঠপোষক নেই। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পৃষ্ঠপোষক পেতে অনেক চেষ্টা করে। আমাদের কোনো লিগে বা খেলায় পৃষ্ঠপোষকেরা আগ্রহ দেখায় না। এমনকি সংবাদমাধ্যমও আমাদের খেলা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিতও নই। আমরা দিনে দিনে ভালো করায় এটা (বৈষম্য) কমে এসেছে এবং আরও কমবে। আপনারা ভালোই জানেন, আমাদের ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির বেতন কত আর ছেলেদের কত। সত্যি বলতে, তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে মনে হয়, কর্মই ফল।
প্রশ্ন: মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেট তো এখনো বলার মতো এগোল না।
নিগার: দুই বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা জাতীয় দলে খেলছি, আর যারা বাইরে (লিগে) খেলছে, তারা হয়তো আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে পারছে। সবাই কিন্তু সচ্ছল পরিবার থেকে আসে না। তাদের জন্য প্রিমিয়ার লিগটা খুব জরুরি। আগে আমাদের তিনটা টুর্নামেন্ট হতো। জেলা ক্রিকেট, বিভাগীয় ক্রিকেট এবং প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। অনেক বছর ধরে জেলা ক্রিকেট হচ্ছে না। আমি নিজে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে বিভাগে এসে প্রিমিয়ার লিগ খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। হয়তো আমার মতো এমন আরও অনেকে আসতে পারে। এই টুর্নামেন্টগুলো যত হবে, ততই জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে।
প্রশ্ন: সামনে কমনওয়েলথ গেমস বাছাই, এরপর বিশ্বকাপ। দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী থাকবে?
নিগার: প্রত্যেকের প্রথম লক্ষ্য, ফিট থাকা। আপনি খেলতে পারবেন কি না, এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমরা ইভেন্ট ধরে ধরে চিন্তা করছি। সামনে কমনওয়েলথ গেমসে কীভাবে পরিকল্পনা করলে আমরা ইতিবাচক ফল পাব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। ওটা ঠিকঠাকভাবে হলে এরপর আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা। কমনওয়েলথে আমরা অবশ্যই কোয়ালিফাই করতে চাই। আর আমরা ইতিমধ্যে একটা ধাপ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপেও ভালো করা। ওটা এমন একটা মঞ্চ, আমরা ভালো করলে অন্যরা আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইবে। আমরা বেশি বেশি ম্যাচ পাব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলও টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। আপনাদের মধ্যে টেস্ট খেলার মানসিকতা কতটা গড়ে উঠেছে?
নিগার: যখন আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই, ওই মুহূর্তে আমরা অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। সাদা পোশাকের চেয়ে সুন্দর ফরম্যাট আর নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট খুব পছন্দ করি। ইচ্ছে আছে খেলার। যখন সুযোগ হবে, তখন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নেব এবং চিন্তা করব।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সাফল্যে আপনাদের ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
নিগার: আমরা ক্রিকেটের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। যখন আপনি মন অন্য দিকে দেবেন তখন মূল জায়গা থেকে সরে আসবেন। আমরা এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। এতে পারফর্ম করতে সুবিধা হয় এবং বাড়তি চাপ আসে না। বিষয়গুলো মাথায় আনলেই চাপ বাড়তে থাকে। তখন আপনার মন এবং লক্ষ্য স্থরি থাকে না। পরে দুটোর কিছুই হয় না। এগুলো মাথায় নেওয়া উচিত না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলকে অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন এখন আপনার অধীনে খেলছে। এই অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন আর এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
নিগার: আমার মনে হয়, আমার কাজটা অনেক সহজ। দলে যখন সিনিয়ররা থাকবেন, যাঁরা সাবেক অধিনায়ক এবং অনেক অভিজ্ঞ, তাঁরা জানেন, তাঁদের কাজটা কী। যখন দলের খেলোয়াড়েরা আলাদাভাবেই জানে, কার কোন ভূমিকা রাখা দরকার, তখন আপনার কাজটা সহজ হয়ে যায়। যদি তাদের বল দিই, তাদের বলতে হবে না এই পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় কী। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়াটা সহজ হয়ে যায়। আসলে নেতৃত্ব বিষয় না, একজন খেলোয়াড় আরেকজন খেলোয়াড়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দল নিয়ে আপনার স্বপ্নটা কী?
নিগার: বাংলাদেশকে সেরা তিন-চারে দেখতে চাই। যেন বাংলাদেশকে কখনো বাছাইপর্ব খেলতে না হয়।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কিছুই।
প্রশ্ন: অনেক ধকল পেরিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ, জটিল ভ্রমণ, এখন কোয়ারেন্টিন-জীবন—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা কেমন?
নিগার সুলতানা: আমরা জানতাম হয়তো দুই দিন লাগবে বাংলাদেশে আসতে। ওমানে এসে শুনলাম, আমাদের নাকি পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আসলে মিশ্র এক অনুভূতি। দেশে ফেরার উত্তেজনা কিংবা বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার আনন্দ—ওমানে সবার মন খারাপ হয়ে গেছে। এখন যদি বাসায় যেতে পারতাম বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম, অনেক ভালো লাগত।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এত বড় একটা অর্জনের অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্য রকম?
নিগার: সত্যি বলতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। জানতাম, আফ্রিকার অবস্থা ভালো নয় (করোনায়)। ভেবেছিলাম টুর্নামেন্ট বাতিল হবে কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে আমাদের অফিশিয়ালরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা যেমনই হোক, খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। সেদিন আমরা লাঞ্চ করছিলাম। যখন আমরা শুনলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না এটা সত্যি নাকি মজা হচ্ছে! হোটেলের লবিতে সবাই উত্তেজনায় চেঁচামেচি করছিল। এটার জন্য আমরা লম্বা অপেক্ষা করছিলাম। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে জেদ ছিল যে পরেরবার যখন বাছাই খেলতে যাব, যেন বাধা উতরে যেতে পারি। আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
প্রশ্ন: এবার আপনারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
নিগার: আমরা যখন ওখানে (জিম্বাবুয়ে) যাই, সবার মুখে একটাই কথা ছিল—সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। ভালো খেলার তাড়না ছিল সবার মধ্যে।
প্রশ্ন: এই সাফল্য পেতে নতুন এমন কিছু ছিল, যেটা আপনাদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হয়েছে?
নিগার: এবার সবাই অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর একটা লম্বা বিরতি ছিল (করোনার কারণে)। ওই সময়টায় সবাই নিজের ঘাটতি নিয়ে কাজ করেছে। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন করেছি। এ কারণে ওখানে গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল।
প্রশ্ন: বড় দল পাকিস্তানকে হারানোর পর ড্রেসিংরুমের চিত্রটা কেমন হয়েছিল, আরেকবার শুনতে চাই।
নিগার: আমাদের লক্ষ্য ছিল বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাব। কেন যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একটু বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী মেজাজে থাকি। সব ম্যাচেই থাকি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে একটু বেশিই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারটা আমরা মানতে পারি না। আমরা জেতার পর কাঁদি, হারার পরও কাঁদি। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ যখন জিতবেন, তখন ওই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও ভালো করতে পারবেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের ক্রিকেটে আগেও বড় সাফল্য এসেছে। এবারও এল। এটা দিয়ে কি আপনাদের নতুন একটা শুরু হলো?
নিগার: অবশ্যই। আমাদের বিশ্বকাপে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আইসিসি আমাদের চার বছরের একটা ক্যালেন্ডার দেবে। আমরা অনেক ম্যাচ খেলতে পারব। যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তখন ক্রিকেট বোর্ডও চাইবে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতি হোক। দলের পাইপলাইনে আরও খেলোয়াড় আসবে। আমাদের ক্ষোভ ছিল, আমরা বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাই না। যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব, তত শিখব।
প্রশ্ন: সুযোগ-সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী দলের ব্যবধান নিয়ে আলোচনাটা পুরোনো। এই ব্যবধান এখন কতটা কমেছে?
নিগার: ২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট শুরু হয়, ওই সময়ের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বা আর্থিক বিষয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ এশিয়া কাপের (চ্যাম্পিয়ন) পর থেকে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সব সময়ই বিসিবির প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এখানে তুলনার কিছু নেই যে ছেলেদের ক্রিকেট কী করছে, কোথায় যাচ্ছে...।

প্রশ্ন: তুলনার কারণ, আপনারা সীমিত সুযোগের মধ্যেই বড় দুটি সাফল্য পেয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আরও ভালো করার সুযোগ বাড়ত কি না?
নিগার: তা তো অবশ্যই। দেখেন, এ পর্যন্ত আমাদের যতটুকু সাফল্য এসেছে, ততটুকুর জন্য বিসিবি সুযোগ-সুবিধা দিয়েই আসছে। হয়তো-বা কম আছে। কিন্তু তারা চেষ্টা করে। আমাদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হয় না এবং আমরা যে প্রিমিয়ার লিগ খেলি, তা থেকে অত টাকা পাই না। ক্রিকেট বোর্ডকে দায়ী করলে হবে না। কারণ, আমাদের পৃষ্ঠপোষক নেই। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পৃষ্ঠপোষক পেতে অনেক চেষ্টা করে। আমাদের কোনো লিগে বা খেলায় পৃষ্ঠপোষকেরা আগ্রহ দেখায় না। এমনকি সংবাদমাধ্যমও আমাদের খেলা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিতও নই। আমরা দিনে দিনে ভালো করায় এটা (বৈষম্য) কমে এসেছে এবং আরও কমবে। আপনারা ভালোই জানেন, আমাদের ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির বেতন কত আর ছেলেদের কত। সত্যি বলতে, তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে মনে হয়, কর্মই ফল।
প্রশ্ন: মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেট তো এখনো বলার মতো এগোল না।
নিগার: দুই বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমরা জাতীয় দলে খেলছি, আর যারা বাইরে (লিগে) খেলছে, তারা হয়তো আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে পারছে। সবাই কিন্তু সচ্ছল পরিবার থেকে আসে না। তাদের জন্য প্রিমিয়ার লিগটা খুব জরুরি। আগে আমাদের তিনটা টুর্নামেন্ট হতো। জেলা ক্রিকেট, বিভাগীয় ক্রিকেট এবং প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। অনেক বছর ধরে জেলা ক্রিকেট হচ্ছে না। আমি নিজে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে বিভাগে এসে প্রিমিয়ার লিগ খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। হয়তো আমার মতো এমন আরও অনেকে আসতে পারে। এই টুর্নামেন্টগুলো যত হবে, ততই জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে।
প্রশ্ন: সামনে কমনওয়েলথ গেমস বাছাই, এরপর বিশ্বকাপ। দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী থাকবে?
নিগার: প্রত্যেকের প্রথম লক্ষ্য, ফিট থাকা। আপনি খেলতে পারবেন কি না, এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমরা ইভেন্ট ধরে ধরে চিন্তা করছি। সামনে কমনওয়েলথ গেমসে কীভাবে পরিকল্পনা করলে আমরা ইতিবাচক ফল পাব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। ওটা ঠিকঠাকভাবে হলে এরপর আমাদের প্রধান লক্ষ্য, বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা। কমনওয়েলথে আমরা অবশ্যই কোয়ালিফাই করতে চাই। আর আমরা ইতিমধ্যে একটা ধাপ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপেও ভালো করা। ওটা এমন একটা মঞ্চ, আমরা ভালো করলে অন্যরা আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইবে। আমরা বেশি বেশি ম্যাচ পাব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলও টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। আপনাদের মধ্যে টেস্ট খেলার মানসিকতা কতটা গড়ে উঠেছে?
নিগার: যখন আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই, ওই মুহূর্তে আমরা অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। সাদা পোশাকের চেয়ে সুন্দর ফরম্যাট আর নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট খুব পছন্দ করি। ইচ্ছে আছে খেলার। যখন সুযোগ হবে, তখন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নেব এবং চিন্তা করব।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সাফল্যে আপনাদের ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
নিগার: আমরা ক্রিকেটের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। যখন আপনি মন অন্য দিকে দেবেন তখন মূল জায়গা থেকে সরে আসবেন। আমরা এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। এতে পারফর্ম করতে সুবিধা হয় এবং বাড়তি চাপ আসে না। বিষয়গুলো মাথায় আনলেই চাপ বাড়তে থাকে। তখন আপনার মন এবং লক্ষ্য স্থরি থাকে না। পরে দুটোর কিছুই হয় না। এগুলো মাথায় নেওয়া উচিত না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলকে অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন এখন আপনার অধীনে খেলছে। এই অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন আর এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
নিগার: আমার মনে হয়, আমার কাজটা অনেক সহজ। দলে যখন সিনিয়ররা থাকবেন, যাঁরা সাবেক অধিনায়ক এবং অনেক অভিজ্ঞ, তাঁরা জানেন, তাঁদের কাজটা কী। যখন দলের খেলোয়াড়েরা আলাদাভাবেই জানে, কার কোন ভূমিকা রাখা দরকার, তখন আপনার কাজটা সহজ হয়ে যায়। যদি তাদের বল দিই, তাদের বলতে হবে না এই পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় কী। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়াটা সহজ হয়ে যায়। আসলে নেতৃত্ব বিষয় না, একজন খেলোয়াড় আরেকজন খেলোয়াড়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দল নিয়ে আপনার স্বপ্নটা কী?
নিগার: বাংলাদেশকে সেরা তিন-চারে দেখতে চাই। যেন বাংলাদেশকে কখনো বাছাইপর্ব খেলতে না হয়।

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
১ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
১ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন মিচেল স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা লাগাতার ব্যর্থ হলেও রুটই নিয়মিত রান করছেন। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন মিচেল স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা লাগাতার ব্যর্থ হলেও রুটই নিয়মিত রান করছেন। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
১ ঘণ্টা আগে
রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের...
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগ ম্যাচে আজ বিহার খেলছে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে। সূর্যবংশী, সাকিব দুজনেই খেলছেন বিহারের হয়ে। রাঁচিতে আজ সকালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। সূর্যবংশীরটাকে যদি ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সাকিবেরটা টর্নেডো, সুনামি বললেও ভুল কিছু হবে না। ৩২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বিহার অধিনায়ক সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। সূর্যবংশী, সাকিবের তাণ্ডবে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে বিহার ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান করেছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই কীর্তিটা ছিল তামিলনাড়ুর। বিজয় হাজারে ট্রফির ২০২২-২৩ মৌসুমে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল।
অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে আজ বিহারের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন। ৮৪ বলে ১৬ চার ও ১৫ ছক্কায় সূর্যবংশী করেন ১৯০ রান। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি এখন ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটারের। দলের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেও এসেছে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় সাকিব ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আয়ুশ লোকারুকা করেছেন ১১৬ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৮ ছক্কা মেরেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৮ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড টা ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী পেছনে ফেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ৫৪ বলে ১৫০ রান করে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড গড়লেন সূর্যবংশী। এই রেকর্ডটা ১০ বছর অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার। সেবার তিনি ৬৬ বলে ১৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ২৯ বলে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখানে ডি ভিলিয়ার্সের আরেক রেকর্ড পেছনে পড়ে গেছে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ৩২ বলে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড সাকিবুল গনির। ৩৩ ও ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে চতুর্থ ও পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ইশান কিশান ও আনমোলপ্রীত সিংয়ের। ২০২৪ বিজয় হাজারে ট্রফিতে আনমোলপ্রীত পাঞ্জাবের হয়ে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে করেছিলেন। ২০২৫ বিজয় হাজারে ট্রফিতে ইশান ঝাড়খন্ডের হয়ে কর্ণাটকের বিপক্ষে করেছেন।
৩৬ বলে সেঞ্চুরিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে যৌথভাবে ষষ্ঠ সূর্যবংশী, কোরি অ্যান্ডারসন ও গ্রাহাম রোজ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। এর আগে ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্যাংক ট্রফিতে সমারসেটের হয়ে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রাহাম রোজ। ৩৫ বছর আগে সেই ম্যাচে রোজের প্রতিপক্ষ ছিল ডেভন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ তিন দলীয় ইনিংস
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
৫৭৪/৬ বিহার অরুণাচল প্রদেশ ২০২৫
৫০৬/২ তামিলনাড়ু অরুণাচল প্রদেশ ২০২২
৪৯৮/৪ ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডস ২০২২

রাঁচিতে আজ যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। সকালে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন। ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা গড়েছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর সেই রেকর্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগ ম্যাচে আজ বিহার খেলছে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে। সূর্যবংশী, সাকিব দুজনেই খেলছেন বিহারের হয়ে। রাঁচিতে আজ সকালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। সূর্যবংশীরটাকে যদি ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সাকিবেরটা টর্নেডো, সুনামি বললেও ভুল কিছু হবে না। ৩২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বিহার অধিনায়ক সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। সূর্যবংশী, সাকিবের তাণ্ডবে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে বিহার ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান করেছে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই কীর্তিটা ছিল তামিলনাড়ুর। বিজয় হাজারে ট্রফির ২০২২-২৩ মৌসুমে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল।
অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে আজ বিহারের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন। ৮৪ বলে ১৬ চার ও ১৫ ছক্কায় সূর্যবংশী করেন ১৯০ রান। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি এখন ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটারের। দলের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেও এসেছে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় সাকিব ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আয়ুশ লোকারুকা করেছেন ১১৬ রান। ৫৬ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৮ ছক্কা মেরেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৮ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড টা ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সূর্যবংশী পেছনে ফেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ৫৪ বলে ১৫০ রান করে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড গড়লেন সূর্যবংশী। এই রেকর্ডটা ১০ বছর অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৫০ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার। সেবার তিনি ৬৬ বলে ১৭ চার ও ৮ ছক্কায় ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ২৯ বলে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখানে ডি ভিলিয়ার্সের আরেক রেকর্ড পেছনে পড়ে গেছে। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ৩২ বলে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড সাকিবুল গনির। ৩৩ ও ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে চতুর্থ ও পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ইশান কিশান ও আনমোলপ্রীত সিংয়ের। ২০২৪ বিজয় হাজারে ট্রফিতে আনমোলপ্রীত পাঞ্জাবের হয়ে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে করেছিলেন। ২০২৫ বিজয় হাজারে ট্রফিতে ইশান ঝাড়খন্ডের হয়ে কর্ণাটকের বিপক্ষে করেছেন।
৩৬ বলে সেঞ্চুরিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে যৌথভাবে ষষ্ঠ সূর্যবংশী, কোরি অ্যান্ডারসন ও গ্রাহাম রোজ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। এর আগে ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্যাংক ট্রফিতে সমারসেটের হয়ে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রাহাম রোজ। ৩৫ বছর আগে সেই ম্যাচে রোজের প্রতিপক্ষ ছিল ডেভন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ তিন দলীয় ইনিংস
স্কোর দল প্রতিপক্ষ সাল
৫৭৪/৬ বিহার অরুণাচল প্রদেশ ২০২৫
৫০৬/২ তামিলনাড়ু অরুণাচল প্রদেশ ২০২২
৪৯৮/৪ ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডস ২০২২

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ। জিম্বাবুয়ে থেকে জটিল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হতেই আবার করোনার হানা—অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত পরশু রোববার
০৭ ডিসেম্বর ২০২১
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
১ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩ ঘণ্টা আগে