
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি। এবার তিনি কোন লক্ষ্যে এগোবেন , গতকাল ইংল্যান্ড থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব বিষয় তুলে ধরলেন সিমন্স। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।
প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি। এবার তিনি কোন লক্ষ্যে এগোবেন , গতকাল ইংল্যান্ড থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব বিষয় তুলে ধরলেন সিমন্স। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।
প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।

সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২২ মিনিট আগে
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
১ ঘণ্টা আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অ্যাডিলেড ওভালে পরশু সিরিজের তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। বন্ডাই বিচে হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এক যৌথ বিবৃতিতে সিএ, ইসিবি বলেছে,‘বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রত্যেকেই ভীষণ শঙ্কিত। নিহতদের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষেরা খুবই হতাশাজনক সময় কাটাচ্ছেন। হামলার শিকার যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আপনাদের পাশে আছি আমরা।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের রক্তদান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অজি অধিনায়ক লিখেছেন, ‘গত রাতে বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে বিধ্বস্ত। নিহত-আহতদের পরিবার ও বন্ডির মানুষদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা। যদি আপনারা পারেন, রক্তদান করুন।’
অ্যাডিলেড ওভালে আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের ভেন্যুতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার মালিনস্কাস। আজ মালিনস্কাস বলেন, ‘বুধবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে একটি বড় ইভেন্ট। অ্যাডিলেড ওভালে গড়াচ্ছে অ্যাশেজ। অ্যাডিলেড ওভালে এমন একটা মেজর ইভেন্টে ঝুঁকি তো থাকলেই। সিডনিতে গতকাল যা ঘটেছে, অ্যাডিলেড ওভালে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। পূর্বসতর্কতা হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে যথেষ্ট নিরাপদ অবস্থায় আছি।’
পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টেই অজিরা ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছিল দুই দিনে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনে শেষ হয়েছিল। অ্যাডিলেড টেস্টের পর হবে বক্সিং ডে টেস্ট। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মাঠে গড়াবে চতুর্থ টেস্ট। পঞ্চম টেস্ট নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হবে।

সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অ্যাডিলেড ওভালে পরশু সিরিজের তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। বন্ডাই বিচে হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এক যৌথ বিবৃতিতে সিএ, ইসিবি বলেছে,‘বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রত্যেকেই ভীষণ শঙ্কিত। নিহতদের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষেরা খুবই হতাশাজনক সময় কাটাচ্ছেন। হামলার শিকার যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আপনাদের পাশে আছি আমরা।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের রক্তদান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অজি অধিনায়ক লিখেছেন, ‘গত রাতে বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে বিধ্বস্ত। নিহত-আহতদের পরিবার ও বন্ডির মানুষদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা। যদি আপনারা পারেন, রক্তদান করুন।’
অ্যাডিলেড ওভালে আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের ভেন্যুতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার মালিনস্কাস। আজ মালিনস্কাস বলেন, ‘বুধবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে একটি বড় ইভেন্ট। অ্যাডিলেড ওভালে গড়াচ্ছে অ্যাশেজ। অ্যাডিলেড ওভালে এমন একটা মেজর ইভেন্টে ঝুঁকি তো থাকলেই। সিডনিতে গতকাল যা ঘটেছে, অ্যাডিলেড ওভালে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। পূর্বসতর্কতা হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে যথেষ্ট নিরাপদ অবস্থায় আছি।’
পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টেই অজিরা ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছিল দুই দিনে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনে শেষ হয়েছিল। অ্যাডিলেড টেস্টের পর হবে বক্সিং ডে টেস্ট। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মাঠে গড়াবে চতুর্থ টেস্ট। পঞ্চম টেস্ট নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হবে।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
১ ঘণ্টা আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। ম্যাচ জিতে ব্যবধানে চারে নামিয়ে এনেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখল তারা। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিলেও পেনাল্টি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে রেফারিকে দিকে আঙুল তুলেছেন আলোনসো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমন একটি স্পর্শকাতর ফাউলের পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, রেফারিকে নিয়ে নয়। আমার মনে হয় এটা স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল। ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি কারণ রেফারি ভিএআরের সিদ্ধান্তও নেয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমাদের কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোনসোর তিক্ততার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আলোনসো, ‘এই দলের সবাই একতাবদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। আলাভেসের বিপক্ষে দল ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা ভালো করেছি আমরা এবং পরে শেষটাও ভালোভাবে করতে পেরেছি। একতাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’
ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না আলোনসো, ‘নিজেদের কাজের দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। দলে সবার মধ্যে বন্ধন অটুট আছে। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেই। আলাভেসের বিপক্ষে জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোটের কারণে আমরা স্কোয়াডের কয়েকজন সেরা ফুটবলারদের পায়নি।’

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। ম্যাচ জিতে ব্যবধানে চারে নামিয়ে এনেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখল তারা। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিলেও পেনাল্টি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে রেফারিকে দিকে আঙুল তুলেছেন আলোনসো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমন একটি স্পর্শকাতর ফাউলের পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না আলোনসো।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, রেফারিকে নিয়ে নয়। আমার মনে হয় এটা স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল। ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি কারণ রেফারি ভিএআরের সিদ্ধান্তও নেয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমাদের কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোনসোর তিক্ততার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আলোনসো, ‘এই দলের সবাই একতাবদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। আলাভেসের বিপক্ষে দল ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা ভালো করেছি আমরা এবং পরে শেষটাও ভালোভাবে করতে পেরেছি। একতাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’
ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না আলোনসো, ‘নিজেদের কাজের দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। দলে সবার মধ্যে বন্ধন অটুট আছে। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেই। আলাভেসের বিপক্ষে জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোটের কারণে আমরা স্কোয়াডের কয়েকজন সেরা ফুটবলারদের পায়নি।’

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২২ মিনিট আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।
কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে +১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও +১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।
কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২২ মিনিট আগে
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
১ ঘণ্টা আগে
মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার পথে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে পেছনে ফেলেছেন হারমার। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকেদের হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন হারমার। ২ টেস্টে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের প্রথম টেস্টে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৩০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচের ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন হারমার। গুয়াহাটি টেস্টে বল হাতে আরও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এ যাত্রায় ২ ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। ম্যাচটি সফরকারীরা জিতে নেয় ৪০৮ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন হারমার। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
মাসসেরার পুরস্কার জিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হারমার। ক্যারিয়ারে এটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি, ‘প্লেয়ার অভ দ্য মান্থ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমার স্বপ্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এরপর সঙ্গে যদি এমন স্বীকৃতি পাই তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
মাসসেরা পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘এই পুরস্কার সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। এটা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে দেয়।’

মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার পথে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে পেছনে ফেলেছেন হারমার। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকেদের হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন হারমার। ২ টেস্টে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের প্রথম টেস্টে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৩০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচের ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন হারমার। গুয়াহাটি টেস্টে বল হাতে আরও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এ যাত্রায় ২ ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। ম্যাচটি সফরকারীরা জিতে নেয় ৪০৮ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন হারমার। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
মাসসেরার পুরস্কার জিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হারমার। ক্যারিয়ারে এটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি, ‘প্লেয়ার অভ দ্য মান্থ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমার স্বপ্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এরপর সঙ্গে যদি এমন স্বীকৃতি পাই তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
মাসসেরা পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘এই পুরস্কার সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। এটা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে দেয়।’

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২২ মিনিট আগে
আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।
১ ঘণ্টা আগে
নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে