Ajker Patrika

অনভিজ্ঞতায় কি ভরাডুবি বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ২৪
অনভিজ্ঞতায় কি ভরাডুবি বাংলাদেশের

টস জিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন পাল্লেকেলের অতীত রেকর্ড আর শুকনো উইকেট দেখে। এই উইকেটে টিকে গেলে বড় স্কোর না হওয়ার কোনো কারণই নেই। তবে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মেঘলা আবহাওয়াও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে যতটা ভাবা হচ্ছে, তত বড় স্কোর না-ও হতে পারে। হয়নি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা পারেননি বোলারদের লড়াইয়ের বিপক্ষে বড় পুঁজি এনে দিতে।

বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার ধাক্কা খেয়েছিল এশিয়া কাপের বেশ আগেই। প্রথমে চোটের কাছে হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম ইকবাল। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল লিটন দাসের দিকে। তামিমের পর এই পজিশনে তাঁর পরিসংখ্যানই সমৃদ্ধ। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়, জ্বরে দলের সঙ্গে এশিয়া কাপে রওনা দিতে পারেননি লিটন। তাঁর জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও জ্বর থেকে সেরে না ওঠায় বিকল্প ভাবতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। দুই অভিজ্ঞ ওপেনারের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই টের পেল বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপে গতকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একপ্রকার ধসেই পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের কোনো জবাবই যেন ছিল না সাকিব আল হাসানের দলের কাছে। সাত ব্যাটারের রান দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগে ফেরা বাংলাদেশের জরাজীর্ণ স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে লঙ্কান বোলারদের সামনে কতটা অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৮৯ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তাঁর ১২২ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। যদিও শান্ত আউট হতে পারতেন ব্যক্তিগত ২ রানে। পেসার কাসুন রাজিথার বলে মিড অনে তাঁর ক্যাচ মিস করেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শান্তর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। এর জন্য অবশ্য ৪১ বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। সর্বোচ্চ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চের মাঝে পার্থক্যই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ স্কোরকার্ডের আসল চিত্র।

 বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্ক পার করেছেন আর মাত্র দুজন। ওপেনার নাঈম শেখ ১৬ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। নাঈম এর আগে খেলেছেন মাত্র চারটি ওয়ানডে। আরেক ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম মাত্রই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রাখলেন। তাঁর শুরুটাও হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতো। লিটন দাসের পরিবর্তে তুলনামূলক অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে উড়িয়ে নেওয়া হলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি তাঁকে। বাংলাদেশের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ আর শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ—শেষ বিজয়টা অবশ্য লঙ্কানদের। এদিন কিছুটা নতুন সাজে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের একাদশ। তিন স্পিনারকে খেলাতে একাদশে জায়গা হয়নি আফিফ হোসেন কিংবা শামীম হোসেন পাটওয়ারীর। সাতে মেহেদী হাসান মিরাজের পর আটে জায়গা পান দুই বছর পর একাদশে ফেরা অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।

যদিও ফেরাটা রাঙাতে পারেননি মেহেদী। ১৬ বলে তাঁর রান ৬। ওপেনিংয়ের মতো লোয়ার মিডল অর্ডারের দুর্বলতাও ফুটে উঠেছে স্পষ্ট। অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপে লোয়ার মিডল অর্ডারে আফিফ কিংবা শামীমকে খেলানো যেত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দলটা হঠাৎ কেমন ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে এই হতশ্রী ব্যাটিংয়ে। ২০২৩ সালে চারটি ওয়ানডে সিরিজের দুটিই হেরেছে বাংলাদেশ। দুটিই ওয়ানডেতে দুর্গ বানিয়ে তোলা ঘরের মাঠে। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড এবং সর্বশেষ আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে কিছুটা পালাবদলের মধ্যে দিয়েও গেছে দল। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ইকবালের অবসর, ফিরে আসা, অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা, নতুন করে সাকিবের দায়িত্ব গ্রহণ—এ বিষয়গুলো দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিবর্ণ চেহারা কিছু বিষয় আবার নতুন করে সামনে আনছে, বিশ্বকাপের আগে যা মোটেও ভালো খবর নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত