নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সময়টা বেশ দারুণ যাচ্ছে নাঈম শেখের। গত কয়েক মাসে তিন সংস্করণেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। গত ডিসেম্বরে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৩১৬ রান, চার দিনের জাতীয় লিগে ৪৭১ রান এবং সবশেষ বিপিএলে ৫১১ রান রান করেছিলেন তিনি। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন নাঈম।
নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের ওপর ভর করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব গড়েছে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর—৪২২ রান! এর আগে দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ছিল ৩৯৩, যা সাভারের বিকেএসপিতে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে করেছিল প্রাইম ব্যাংকই। এবার সেই পুরোনো রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ল দলটি।
আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন নাঈম। খেলেছেন ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ঝরিয়েছেন ছক্কা-চারের বৃষ্টি। ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১৮টি চার। ১৯০ মিনিট ব্যাটিং করে এমন একটি ইনিংসের পরও হয়তো তাঁর আক্ষেপ থাকতে পারে, কারণ সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (২০৮, সৌম্য সরকার, ২০১৯) ছোঁয়া হয়নি তাঁর। শেষ পর্যন্ত মিডিয়াম পেসার সালাউদ্দিন শাকিলের বলে এক্সট্রা কভারে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাঁকে।
নাঈমের আজকের ইনিংসটি শুধু ব্যক্তিগত রানের দিক থেকে নয়, দলের সামগ্রিক সাফল্যের ক্ষেত্রেও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভর করেই প্রাইম ব্যাংক ৪২২ রানের পাহাড় গড়ে। প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বোলাররা তাঁর সামনে ছিলেন একপ্রকার অসহায়।
নাঈমের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বদলে যাওয়ার গল্প বলে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুমে তিনটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় এত রান করা ব্যাটার খুব কমই আছেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে খেলা নাঈমকে নিয়ে দলটির কোচ তালহা জুবায়ের বলেছিলেন, ‘নাঈম এবার জাতীয় দলে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। গত এক বছরে ও খুব পরিশ্রম করেছে, নিজের দুর্বল দিক নিয়ে কাজ করেছে। নেটে অতিরিক্ত সময় ব্যাটিং করেছে। এখন সে অনেক বেশি পরিণত ব্যাটার।’
নাঈম নিজেও স্বীকার করেছেন, জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্য নিয়েই তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। ব্যাটিং কোচ সোহেল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবুল ও তালহা জুবায়েরের সঙ্গে কাজ করে নিজের দক্ষতা শাণিত করেছেন। যার প্রতিফলন মিলেছে জাতীয় লিগ, বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি সামনে। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, এরপর মে, জুন ও জুলাইতে একাধিক আন্তর্জাতিক সিরিজ। নাঈম তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের হয়তো জানিয়ে রাখলেন, তাঁকেও যেন বিবেচনা করা হয়। এখন দেখার বিষয়, তাঁর দুর্দান্ত ফর্ম জাতীয় দলে ফেরার পথ খুলে দেয় কি না!
বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পাঁচ ইনিংস
১. সৌম্য সরকার–২০৮ রান (২০১৯, প্রাইম ব্যাংক)
২. রাকিবুল হাসান–১৯০ রান (মোহামেডান)
৩. এনামুল হক বিজয়–১৮৯ রান (প্রাইম ব্যাংক)
৪. মুমিনুল হক–১৮২ রান (বাংলাদেশ ‘এ’ দল)
৫. নাঈম শেখ–১৭৬ রান (প্রাইম ব্যাংক, ২০২৫)

সময়টা বেশ দারুণ যাচ্ছে নাঈম শেখের। গত কয়েক মাসে তিন সংস্করণেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। গত ডিসেম্বরে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৩১৬ রান, চার দিনের জাতীয় লিগে ৪৭১ রান এবং সবশেষ বিপিএলে ৫১১ রান রান করেছিলেন তিনি। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন নাঈম।
নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের ওপর ভর করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব গড়েছে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর—৪২২ রান! এর আগে দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ছিল ৩৯৩, যা সাভারের বিকেএসপিতে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে করেছিল প্রাইম ব্যাংকই। এবার সেই পুরোনো রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ল দলটি।
আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন নাঈম। খেলেছেন ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ঝরিয়েছেন ছক্কা-চারের বৃষ্টি। ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১৮টি চার। ১৯০ মিনিট ব্যাটিং করে এমন একটি ইনিংসের পরও হয়তো তাঁর আক্ষেপ থাকতে পারে, কারণ সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (২০৮, সৌম্য সরকার, ২০১৯) ছোঁয়া হয়নি তাঁর। শেষ পর্যন্ত মিডিয়াম পেসার সালাউদ্দিন শাকিলের বলে এক্সট্রা কভারে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাঁকে।
নাঈমের আজকের ইনিংসটি শুধু ব্যক্তিগত রানের দিক থেকে নয়, দলের সামগ্রিক সাফল্যের ক্ষেত্রেও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভর করেই প্রাইম ব্যাংক ৪২২ রানের পাহাড় গড়ে। প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বোলাররা তাঁর সামনে ছিলেন একপ্রকার অসহায়।
নাঈমের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বদলে যাওয়ার গল্প বলে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুমে তিনটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় এত রান করা ব্যাটার খুব কমই আছেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে খেলা নাঈমকে নিয়ে দলটির কোচ তালহা জুবায়ের বলেছিলেন, ‘নাঈম এবার জাতীয় দলে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। গত এক বছরে ও খুব পরিশ্রম করেছে, নিজের দুর্বল দিক নিয়ে কাজ করেছে। নেটে অতিরিক্ত সময় ব্যাটিং করেছে। এখন সে অনেক বেশি পরিণত ব্যাটার।’
নাঈম নিজেও স্বীকার করেছেন, জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্য নিয়েই তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। ব্যাটিং কোচ সোহেল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবুল ও তালহা জুবায়েরের সঙ্গে কাজ করে নিজের দক্ষতা শাণিত করেছেন। যার প্রতিফলন মিলেছে জাতীয় লিগ, বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি সামনে। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, এরপর মে, জুন ও জুলাইতে একাধিক আন্তর্জাতিক সিরিজ। নাঈম তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের হয়তো জানিয়ে রাখলেন, তাঁকেও যেন বিবেচনা করা হয়। এখন দেখার বিষয়, তাঁর দুর্দান্ত ফর্ম জাতীয় দলে ফেরার পথ খুলে দেয় কি না!
বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পাঁচ ইনিংস
১. সৌম্য সরকার–২০৮ রান (২০১৯, প্রাইম ব্যাংক)
২. রাকিবুল হাসান–১৯০ রান (মোহামেডান)
৩. এনামুল হক বিজয়–১৮৯ রান (প্রাইম ব্যাংক)
৪. মুমিনুল হক–১৮২ রান (বাংলাদেশ ‘এ’ দল)
৫. নাঈম শেখ–১৭৬ রান (প্রাইম ব্যাংক, ২০২৫)

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানিস্তান। এই সংস্করণের বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্বেও আফগানরা শেষ চারে জায়গা করে নেবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং।
৪ ঘণ্টা আগে
ভাই হারালেন জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডারের ছোট ভাই মুহাম্মাদ মাহদি। এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (এনজেডসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
তিন ভেন্যুতে ২০২৬ বিপিএল হওয়ার কথা থাকলেও এবার সেটা দুই ভেন্যুতে করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের নাম বিপিএলের ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে না পারায় বিসিবির পাশাপাশি সাবেক ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে দায়ী করেন এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস
৯ ঘণ্টা আগে