বোরহান জাবেদ

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
বিপিএলের গত পর্বটা এককথায় দুর্দান্ত গেছে খুশদিলের। সেবার ১৭৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট হাতে করেন ২৯৮ রান। এছাড়া বল হাতে নেন ১৭ উইকেট। বিপিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর খুশদিলকে দলে ফেরায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। পাকিস্তানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেন ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এবারও রংপুরের জন্য দারুণ কিছু করতে মুখিয়ে তিনি।
খুশদিল বলেন, ‘আমি যখনই এখানে এসেছি, আল্লাহর শুকরিয়া যে পারফর্ম করেছি। যে দলের হয়েই খেলি না কেন পারফর্ম করেছি। আর এটা আমার জন্য অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ গত বছর বিপিএলে ভালো পারফর্ম করে আমি পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরেছিলাম। ইনশাআল্লাহ আমার এটাই চেষ্টা থাকবে যে এ বছরও ভালো পারফর্ম করি এবং নিজের দলকে জেতাই।’
বাংলাদেশে খেলতে আসতে ভালো লাগে খুশদিলের, ‘আমি গত ৮-৯ বছর ধরে এখানে খেলতে আসি। খুব ভালো লাগছে। ভালো না লাগলে তো আসতাম না। আমি যেখানেই যাই, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। আমি যে পজিশনেই খেলি না কেন, চেষ্টা থাকে যে যত দ্রুত সম্ভব দলের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং সেভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে রংপুর কর্তৃপক্ষ। অতীতেও বাংলাদেশে খেলতে এসে পারিশ্রমিক ইস্যুতে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি খুশদিলের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসা বাক্য শোনা গেল তাঁর মুখে, ‘আমি ৪-৫ বছর ধরে বিপিএল খেলছি। একবার ঢাকা লিগ খেলেছি। আলহামদুলিল্লাহ যখনই এসেছি পুরো পেমেন্ট পেয়েছি। এমনকি বোনাসও পেয়েছি।’

২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
বিপিএলের গত পর্বটা এককথায় দুর্দান্ত গেছে খুশদিলের। সেবার ১৭৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট হাতে করেন ২৯৮ রান। এছাড়া বল হাতে নেন ১৭ উইকেট। বিপিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর খুশদিলকে দলে ফেরায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। পাকিস্তানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেন ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এবারও রংপুরের জন্য দারুণ কিছু করতে মুখিয়ে তিনি।
খুশদিল বলেন, ‘আমি যখনই এখানে এসেছি, আল্লাহর শুকরিয়া যে পারফর্ম করেছি। যে দলের হয়েই খেলি না কেন পারফর্ম করেছি। আর এটা আমার জন্য অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ গত বছর বিপিএলে ভালো পারফর্ম করে আমি পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরেছিলাম। ইনশাআল্লাহ আমার এটাই চেষ্টা থাকবে যে এ বছরও ভালো পারফর্ম করি এবং নিজের দলকে জেতাই।’
বাংলাদেশে খেলতে আসতে ভালো লাগে খুশদিলের, ‘আমি গত ৮-৯ বছর ধরে এখানে খেলতে আসি। খুব ভালো লাগছে। ভালো না লাগলে তো আসতাম না। আমি যেখানেই যাই, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। আমি যে পজিশনেই খেলি না কেন, চেষ্টা থাকে যে যত দ্রুত সম্ভব দলের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং সেভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে রংপুর কর্তৃপক্ষ। অতীতেও বাংলাদেশে খেলতে এসে পারিশ্রমিক ইস্যুতে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি খুশদিলের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসা বাক্য শোনা গেল তাঁর মুখে, ‘আমি ৪-৫ বছর ধরে বিপিএল খেলছি। একবার ঢাকা লিগ খেলেছি। আলহামদুলিল্লাহ যখনই এসেছি পুরো পেমেন্ট পেয়েছি। এমনকি বোনাসও পেয়েছি।’

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ২৩ জানুয়ারি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে। তার চার দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের বিমানে চড়ার আগে বিপিএল খেলে নিজেকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুত ইমন।
এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে। ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারব। আশা করি ভালো করতে পারব।’
২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪২ বলে ১০০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ইমন। আরও একবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করতে চান তিনি, ‘কত বলে ... বল সুনির্দিষ্ট কিছু নেই। অবশ্যই সবাই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করতে চায়। তবে ওভাবে ভাবছি না। নিজের প্রক্রিয়া অনুযায়ী খেলার চেষ্টা এটা করব।’
বিপিএলে নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইমন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে। আমাদের অনুশীলন সেশনগুলো খুব ভালো হয়েছে। দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছে।’
উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছেন না ইমন, ‘রাজশাহীর দলটাও ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় ভালো একটা ম্যাচ হবে। সমর্থকদের বলব, সবাই মাঠে আসবেন, খেলাটা উপভোগ করবেন। আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দেব।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ২৩ জানুয়ারি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে। তার চার দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের বিমানে চড়ার আগে বিপিএল খেলে নিজেকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুত ইমন।
এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে। ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারব। আশা করি ভালো করতে পারব।’
২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪২ বলে ১০০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ইমন। আরও একবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করতে চান তিনি, ‘কত বলে ... বল সুনির্দিষ্ট কিছু নেই। অবশ্যই সবাই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করতে চায়। তবে ওভাবে ভাবছি না। নিজের প্রক্রিয়া অনুযায়ী খেলার চেষ্টা এটা করব।’
বিপিএলে নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইমন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে। আমাদের অনুশীলন সেশনগুলো খুব ভালো হয়েছে। দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছে।’
উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছেন না ইমন, ‘রাজশাহীর দলটাও ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় ভালো একটা ম্যাচ হবে। সমর্থকদের বলব, সবাই মাঠে আসবেন, খেলাটা উপভোগ করবেন। আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দেব।’

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে ফিরেছিলেন খুশদিল শাহ। ভালো লাগা থাকায় বছর ঘুরে আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে