বোরহান জাবেদ

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বোরহান জাবেদ

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: দেশ থেকে বলে গিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে চান। এই আত্মবিশ্বাসের রহস্য যদি বলতেন?
নিগার সুলতানা জ্যোতি: আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি। একসঙ্গে অনেক বছর খেলছি, সিনিয়ররা আছেন। দল হিসেবেও আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বাছাইপর্বের দলগুলোর মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিলাম। সে কারণেই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। যখন দল ভালো ছন্দে থাকে, সেটা অভিজ্ঞতা কিংবা পারফরম্যান্স—সে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নেওয়া কিংবা বলা অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: সবাইকে দেখিয়ে দিতে এবারের এশিয়া কাপ নিশ্চয়ই আরেকটা বড় সুযোগ?
জ্যোতি: প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রমাণের ব্যাপার রয়েছে। সেই সুযোগগুলো সামনে আসছে। আমরা যেহেতু এখন নিয়মিত খেলব, ব্যস্ত সূচি যখন থাকবে, আমরা যত ভালো করব, বিশ্ব ক্রিকেটে তত আমাদের কদর বাড়বে। ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে। প্রতিটি টুর্নামেন্ট, প্রতিটি সিরিজে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে এবং সুযোগও থাকবে নিজেদের সেরাটা দেখানোর। কারণ, আমাদের সম্ভাবনা আছে। সেটা যদি পারফর্মে রূপান্তরিত করতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরাই বেশি লাভবান হব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব, আমাদের সুযোগ তত বাড়তে থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। নিজেদের ফেবারিট মনে করছেন কি না?
জ্যোতি: কোন দল কোন অবস্থানে আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের দল যে ভালো অবস্থানে আছে, সবাই দলের জন্য ভালো করতে উন্মুখ। দেখা গেল একদিন কেউ ক্লিক করেনি, আরেকজন সেটা পুষিয়ে দিচ্ছে। দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধা থাকে। মানুষের প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের প্রতি এখন অনেক বেশি। একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের হাত ধরে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি...। এটা সম্ভব হবে, যদি আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি। এবং সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে পারে, সম্ভব। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারি, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, যারা রানের মধ্যে আছে তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, বোলাররা তো সব সময় দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দল হিসেবে খেললে ফাইনালের পথে এগোনো সহজ হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যাশার কথা বলছিলেন, এই মুহূর্তে সেটার চাপ কতটা অনুভব হচ্ছে?
জ্যোতি: সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ প্রত্যাশা করে, কারণ তারা আমাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী তাই। সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশাই আমাদের কাছে এখন শক্তি। মানুষ বুঝতে পারছে যে আমরা ভালো করতে পারি, আমাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায়। মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে। এটাকে আমরা আমাদের শক্তি ধরে নিয়ে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হলো। হাতে একেবারেই সময় নেই। টানা খেলার ক্লান্তি নিশ্চয়ই আছে?
জ্যোতি: দেখুন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। দল ও দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া। আসলে নিজেরাই চাইতাম আমরা যেন আরও বেশি ম্যাচ পাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করি। এখন সেটাই কিন্তু হচ্ছে। অবশ্যই শারীরিক সামর্থ্যের একটা বিষয় আছে। অনেক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তা ছাড়া পরিবার থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়। এর পরও কিন্তু আমরা দল হিসেবে খুব আনন্দিত। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলেছি। আগে আফসোস হতো, আমরা খুব বেশি ম্যাচ পাই না। সেই অভিযোগ আর থাকছে না। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত।
প্রশ্ন: দল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কোনো চিন্তার জায়গা রয়েছে বলে মনে হয়?
জ্যোতি: কোনো দলই তো পরিপূর্ণ হয় না, কোনো খেলোয়াড়ও পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যেভাবে খেলে এসেছি, সেমিফাইনালে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। ফাইনালে রান আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আমি নিজেও রান করতে পারিনি বা টপ অর্ডারে তেমন রান হয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফারজানা হক পিংকিকে মিস করেছি, জাহানার আপুর মতো খেলোয়াড় চোটে ছিল, ফাহিমা খাতুন ছিল না। কিন্তু এটাও সত্যি, যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু সবার খেলা লাগে না। তিন-চারজন ব্যাটার আর দু-তিনজন বোলার ভালো বোলিং করলে হয়ে যায়, আর পুরো দল যদি ভালো ফিল্ডিং করে। আমার কাছে মনে হয়, ভালোর কোনো শেষ নেই আসলে। বাছাইয়ে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটা থেকে যদি আমরা আর ১০-২০ শতাংশ ভালো ক্রিকেট এশিয়া কাপে খেলতে পারি, সব ম্যাচে আমাদের ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবে।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে মনে হচ্ছে হারানো কঠিন?
জ্যোতি: না। প্রতিপক্ষকে আগে থেকে এ রকম ভেবে ফেললে তো আগেই হেরে গেলেন।
প্রশ্ন: এফটিপিতে অনেক ম্যাচ আছে। সামনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই অনেক সহায়তা করবে উন্নতি করতে?
জ্যোতি: অবশ্যই। আমরা যখন (গত বছর) ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাই, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল পর্বে ওঠা। কারণ, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা মানেই আইসিসি এফটিপিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা। জানতাম, সেটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক ম্যাচ-সিরিজ পাব। এটা আমাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা যেমন বাড়াবে, দলের সবার মনোবল চাঙা করবে ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দেবে। আপনি যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, আপনার উন্নতিও (অবস্থানও) তত বেশি বুঝতে পারবেন। আর খেলোয়াড় হিসেবে যদি বলি, তাহলে কারও সামর্থ্য কিন্তু তিন ম্যাচেই বুঝতে পারবেন না। দেখা যাচ্ছে, তিন ম্যাচের দুটিতেই ক্লিক করছে না। হয়তো শেষ ম্যাচে গিয়ে ভালো করছে। এরপর আবার বিরতি। লম্বা সময় খেলা নেই। এতে করে কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই খেলোয়াড়ের নিজেকে মেলে ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন বেশি ম্যাচ থাকায় সবাই আরও বেশি সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। আমাদের দলে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, যারা যেকোনো পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলার জন্য আমরা আড়ালে পড়ে যাই এবং সুযোগ কম পাই। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের মধ্যে মানসিকতার বেশ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি দলে কেমন পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
জ্যোতি: আমার সবচেয়ে বড় ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, দলে সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকে যে কখন দলের জন্য পারফর্ম করব। আরেকটা বিষয়, প্রতিদিন কিন্তু একজন ভালো করবে না। চেষ্টা করি সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখার। চেষ্টা করি যে আজ আমার দিন নয়, তোমার দিন। তুমি ভালো খেলবা। যখন আপনার দলের কেউ এসে পিঠে হাত দিয়ে বলবে, এই আত্মবিশ্বাসের হাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩১ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩১ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩১ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

আমরা যখন বাছাইপর্ব খেলতে যাই, যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলি, তাদের চেয়ে নিঃসন্দেহে আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই যাই। সম্প্রতি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে এসেছি, সেখানে আমরা পারফর্ম করেছি...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩১ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে