Ajker Patrika

টেস্টে ২০-২২ বছর ধরে একই জায়গায় বাংলাদেশ, বলছেন শান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: বিসিবি
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলছে প্রায় দুই যুগ ধরে। ২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক অভিষেকের পর প্রথম জয় পেতে সময় লেগেছিল চার বছরের বেশি। এই দীর্ঘ পথচলায় টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো বড় দলকে হারানোর কিছু সাফল্য এসেছে বটে, তবে সে জয়গুলোও এসেছে দীর্ঘ বিরতিতে। মাঝের ২০-২২ বছরে অনেক সিরিজে একটি ড্র কিংবা লড়াকু পারফরম্যান্সই বাংলাদেশের কাছে গৌরবগাথা হয়ে থেকেছে। তবে এবার সে স্থবিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চান নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সিলেট টেস্ট। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি অধিনায়ক হিসেবে শুরু থেকেই যেটা ভাব, প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। নিরাপদ ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা আমাদের কারও নেই। আমরা সাহসী কিছু করতে চাই, নতুন কিছু চেষ্টা করতে চাই এবং সেই চেষ্টা শুরু হবে আগামীকাল থেকেই। আমি মনে করি, এই মানসিকতা ও প্রস্তুতি এখন দলের ভেতর তৈরি হচ্ছে। ক্রিকেটাররাও সেটা নিচ্ছে। পাশাপাশি আমি আশা করব, ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডে যারা আছেন, তারাও আমাদের এই জায়গায় সহযোগিতা করবেন। আমি বিশ্বাস করি, টেস্ট ক্রিকেটে গত ২০-২২ বছর ধরে আমরা একই জায়গায় রয়ে গেছি। খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এই জায়গায় পরিবর্তন দরকার, আর সেই পরিবর্তনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি, এই পরিবর্তন আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য কাজে আসবে।’

তবে শান্ত যে ক্রিকেটারদের নিয়ে এই পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। বাস্তবতা বলছে তাঁদের অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে রানের জন্য হাপিত্যেশ করছেন। কেন ব্যাটার তো ১০-১২ এমনি ১৫ ইনিংসেই ফিফটি নেই। তারপরও নেতৃত্বের দায়িত্বে থেকে সতীর্থদের ওপর আস্থা রাখতে চান তিনি। শান্ত বলেন, ‘ধারাবাহিকতা টেস্ট ক্রিকেটে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেই গত বছর ১৩-১৪টি ইনিংসে থিতু হয়েও আউট হয়েছি। ৩০,৪০ বা ৪৫ রানে থেমে গেছি। এই ফরম্যাটে এমন ইনিংস কাম্য নয়। কারণ আপনি যখন কঠিন সময়টা পার করে ফেলেন, তখন সেই ইনিংসটা বড় করা দরকার। আমি নিজের ভুল নিয়ে কাজ করছি, করবও। লক্ষ্য থাকবে এই বছর যেন দলের জন্য বড় অবদান রাখতে পারি।’

শান্ত বলেন, ‘যদি সামগ্রিকভাবে বলি, হ্যাঁ আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা প্রত্যাশিত মানের পারফরম্যান্স দিতে পারছে না। তবে তারা চেষ্টা করছে, কষ্ট করছে কীভাবে দলে অবদান রাখা যায়। প্রত্যেকে নিজের মতো করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, যেহেতু তাদের মধ্যে সম্ভাবনা আছে, তাদের বারবার সুযোগ দেওয়া উচিত। এটা ঠিক যে, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা আন্তর্জাতিক মানের চ্যালেঞ্জ পাই না। ফলে এখান থেকে উঠে আসা ব্যাটারদের অনেক সময় লাগে মানিয়ে নিতে। কিন্তু যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক সুযোগ দেওয়া যায়, তাহলে তারা ফল করা শুরু করবে এটা আমি বিশ্বাস করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে ‘ঘর’ মনে করেন শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো

আগেও বহুবার বাংলাদেশের প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। আরও একবার তেমন কিছুরই পুনরাবৃত্তি করলেন সাবেক এই গতি তারকা। জানালেন, জন্মভূমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তিনি।

নিজের ইউটিউবে দেওয়া এক ভিডিওতে শোয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশে যাচ্ছি। আমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশে বেশি ভালোবাসি। আমি সবসময় বলেছি যে, বাংলাদেশীরা আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষদের মধ্যে অন্যতম। বাঙালিদের দেখলে আমার খুব গর্ব হয়। সেটা হোক বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি।’

বাংলাদেশিদের প্রশংসায় শোয়েব আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, যারা সবচেয়ে বুদ্ধিমান, তারাই সবচেয়ে বড় এবং সাহসী। অনেকেই এটা বুঝতে পারে না। কিন্তু আমি বুঝতে পারি কারণ আমি বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তুমি সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের চেনো, আমি তাদের জন্য শুভকামনা জানাই। আমি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। কিছুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বেশকিছু কার্যক্রমে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর ফিরেও যান। মাঠের লড়াই শুরু হতেই আরও একদফা বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে কাজ করছেন শোয়েব। মেন্টর হিসেবে তাঁর কাজ হবে ঢাকার বোলারদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা, আত্মবিশ্বাস যোগানো এবং ম্যাচ জেতার কৌশল শেখানো। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন শোয়েব। বিষয়টি এর আগেও জানিয়েছেন তিনি। বিপিএলে ঢাকার স্কোয়াডেই আছেন তাসকিন। তাই শোয়েবের কাছ থেকে শেখার সুযোগ থাকছে এই পেসারের জন্য। তাসকিন ছাড়াও ঢাকার স্কোয়াডে আছেন জিয়া উর রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, দাসুন শানাকা, মারুফ মৃধাদের মতো পেসাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে তাঁরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপে তারকা ক্রিকেটারদের চান অস্ট্রেলিয়ার কোচ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপে তারকা ক্রিকেটারদের চান অস্ট্রেলিয়ার কোচ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার চিন্তার নাম চোট। চোটের কারণে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, টিম ডেভিডদের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু শঙ্কা উড়িয়ে এই তিনজনকে রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন অজিদের কোচ ও নির্বাচক অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।

গত জুলাইয়ে পিঠে চোট পান কামিন্স। চলতি অ্যাশেজের অ্যাডিলেড টেস্ট দিয়ে বাইশ গজে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। সে ম্যাচ খেলে আবার এই বোলিং অলরাউন্ডারকে বিশ্রাম দেয় অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজলউড ভুগছেন হ্যামস্ট্রিং ও অ্যাকিলিসের সমস্যায়। সম্প্রতি বিগ ব্যাশে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েছেন ডেভিড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ২ জানুয়ারি অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। সেই সুযোগটাই নিতে অস্ট্রেলিয়া। জানুয়ারির শেষদিকে কামিন্সের আরেকটি স্ক্যান করাবে তারা। রিপোর্ট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ’ ১৫ সদস্যের দলে কামিন্সকে রাখা হবে। চার সপ্তাহ পর ওর আরেকটি স্ক্যান করানো হবে। তখনই আমরা বুঝতে পারব যে সে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না। সবকিছু বুঝে-শুনে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

হ্যাজলউড ও ডেভিডকে নিয়ে অজি কোচ বলেন, ‘সে (হ্যাজলউড) বোলিংয়ে ফিরছে। আশা করছি যথা সময়ের মধ্যেই সে ভালো অবস্থায় থাকবে। টিমের (টিম ডেভিড) চোট সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। চোট যেমন ধরনেরই হোক, আশা করছি আমরা ওকে বিশ্বকাপে পাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোটের কাছে হার মেনে ক্রিকেট ছাড়লেন ব্রেসওয়েল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এই পেসার। ছবি: এনজেডসি
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এই পেসার। ছবি: এনজেডসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন ২০১১ সালের অক্টোবরে। লম্বা সময় চলে গেলেও নিউজিল্যান্ড দলে নিয়মিত হতে পারেননি ডগ ব্রেসওয়েল। এর পেছনে প্রধান বাধা ছিল চোট। বিভিন্ন সময়ে চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠলেন না। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন এই কিউই পেসার।

ব্রেসওয়েলের ক্যারিয়ার থামল ২৮ টেস্ট, ২১ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি খেলে। ৩ সংস্করণে নিয়েছেন মোট ১২০ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে তাঁকে সবশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালের মার্চে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্ট। সবশেষ গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এসেক্সের হয়ে খেলতে দেখা গেছে ব্রেসওয়েলকে। চোটের কারণে চলতি বছর চারটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বললেন এই বোলার।

নিউজিল্যান্ডের একটি স্মরণীয় জয়ের নায়ক ব্রেসওয়েল। ২০১১ সালে হোবার্ট টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপরা। সেটা ছিল অজিদের মাঠে ২৬ বছরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়। সে ম্যাচের দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ব্রেসওয়েল।

অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে ব্রেসওয়েল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের এক গর্বের অধ্যায়। ক্রিকেট শুরুর পর থেকেই আমি এমন কিছুর স্বপ্ন দেখতাম। ক্রিকেট আমাকে যে সুযোগগুলো দিয়েছে, তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। নিজের দেশের হয়ে খেলার সুযোগ, পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য বিশেষ সম্মানের। প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সত্যিই এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলতে পারা এবং উপভোগ করতে পারার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে মেয়েদের ভরসা ঘরোয়া লিগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৬
আজ মাঠে গড়াচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। ছবি: বাফুফে
আজ মাঠে গড়াচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। ছবি: বাফুফে

দেড় বছরের বেশি সময় পর অবশেষে আজ মাঠে গড়াচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রথম দিন রয়েছে দুটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে বেলা সাড়ে ৩টায় আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের মুখোমুখি হবে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিকেএসপির বিপক্ষে খেলবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি।

এবারই প্রথম লিগ হচ্ছে ১১ দল নিয়ে। নতুন রাজশাহী স্টার্সের ওপরই নজর সবার। ঋতুপর্ণা চাকমা, আফঈদা খন্দকার, রুপনা চাকমাদের নিয়ে তারকাবহুল দল গড়েছে তারা। শিরোপা লড়াইয়ে তাদের টেক্কা দিতে ভালো দল গড়েছে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবও। মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, দুই শামসুন্নাহার, তহুরা খাতুনকে ভিড়িয়েছে তারা।

সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানীরা নেই লিগে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের হয়ে সাফ ফুটসাল খেলবেন তাঁরা। অন্যদের মধ্যে সানজিদা আক্তার ও সাগরিকা খেলবেন পুলিশের হয়ে। বেশির ভাগ ক্লাবই একাডেমির ফুটবলারদের নিয়ে দল গড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এশিয়ান কাপে যাওয়ার আগে লিগ কতটা কাজে দেবে ফুটবলারদের।

ভুটানের লিগে ঋতুপর্ণাদের খেলা নিয়ে সব সময় সমালোচনা করে আসছেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। সেই লিগের খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না তাঁর কাছে। অথচ বাংলাদেশের লিগের মানও প্রায় একই রকম। শক্তিশালী দল গড়ার সামর্থ্য থাকে শুধু এক-দুটি দলের। রেলিগেশন না থাকায় বাকিদের কাছে অংশগ্রহণই মূল কথা। বাটলারের শিষ্যরা কতটুকু প্রস্তুত রাখতে পারবেন নিজেদের; কতটুকুই-বা পরীক্ষায় ফেলতে পারবেন—এ প্রশ্ন এসেই যাচ্ছে।

ভুটান লিগে খেলা কয়েকজন ফুটবলারের ফিটনেসে ঘাটতি চোখে পড়েছিল সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ড ম্যাচে। মার্চে এশিয়ান কাপের মাত্র এক মাস আগে ঘরোয়া লিগ শেষ হবে। ফলে ফিটনেস-পারফরম্যান্স অনেক কিছুই শঙ্কার মধ্যে।

ভুটানের লিগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বাটলার কদিন আগে অনুষ্ঠিত সাফ ক্লাব কাপে নাসরিন একাডেমির তারকা ফুটবলারদের ছাড়েননি। তখন তাঁর যুক্তি ছিল, অন্য কোচের অধীনে খেলতে পারবেন না ঋতুপর্ণা-আফঈদারা। অথচ ঘরোয়া লিগে ঠিকই ছেড়েছেন। বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ গতকাল বলেন, ‘এখন এলে পিটারকে জিজ্ঞেস করব। অন্য কোচের অধীনে এখন গেল, আগে দেওয়া হয়নি কেন?’

ভুটানের ক্লাবগুলোর আলাদা ভেন্যু থাকলেও বাংলাদেশের লিগ হবে এক ভেন্যুতেই। ম্যাচগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস কিরণের, ‘লিগটা মূলত করা হয়েছে এশিয়ান কাপ সামনে রেখে। যেহেতু এই সময়টায় ফিফা উইন্ডো নেই, অনুশীলন নেই, মেয়েরা যাতে ম্যাচের ভেতরে থাকে, সে কারণেই লিগটা করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যে উদ্দেশ্যে লিগের এমন কম্বিনেশন করেছি, সেটা সফল হবে।’

দলবদলই শেষ হয়েছে পরশু। আজ শুরু হচ্ছে মাঠের খেলা। টানা সূচির কারণে ক্লাবগুলো পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় পায়নি। এবার পুলিশের কোচ হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ওয়ালী ফয়সাল। প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে মোটেও বিচলিত নন তিনি, ‘এখানে অনেকে অভ্যস্ত। এতটুকু বলতে পারি, আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে কখনোই চাপ নিয়ে খেলতাম না। যেকোনো কাজে সবাইকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। আমরা ফুটবলাররাও তা-ই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত