আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল

আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।

চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।

সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল

আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।

চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।

সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল

আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।

চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।

সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর খুঁজেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক—হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ আশরাফুল

আমাদের অনেক রান করতে হবে
বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। বাংলাদেশের গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী। অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটে কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না, যারা ভালো এ সংস্করণে। তবে বাংলাদেশ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশের কাছে ফ্ল্যাট উইকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। যে উইকেটে বোলারদের সুবিধা থাকে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, ভারতে যে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে, অনেক রান হচ্ছে। ফল নিজেদের দিকে আনতে চাইলে বাংলাদেশকে অনেক রান করতে হবে।
দলে লিটন দাস থাকলে ভালো হতো। সে আইসিসি ইভেন্টে ভালো খেলে। আমরা লিটনের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারতাম। এখানে অভিজ্ঞতার আলাদা দাম থাকে।
যাহোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব ভালো। দলের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, তারা পারবে। তাদের সে সামর্থ্য রয়েছে। আমরা যদি কোথাও খেলতে যাই, তখন যদি আমরা নিজেদের ছোট ভাবি, খেলায় আত্মবিশ্বাস কম থাকে, তাহলে খেলার আগেই আমরা হেরে গেছি। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত, আমরা জিতব। প্রতিপক্ষ বোলিং-ব্যাটিংয়ে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আনা গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এই মানসিকতা আনতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে হারাব।

চ্যাম্পিয়ন হতে অন্তত ৪ ম্যাচ জেতা লাগবে
বাংলাদেশ দল নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বেশি না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া সব দলই শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে—গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সেমিফাইনাল। তবে ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে মাঠের পারফরম্যান্সই আসল। কাগজ-কলমে যতই শক্তিশালী হোক, জয় নির্ধারিত হবে মাঠের খেলায়।
প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতোই হতে পারে, যেখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। যদিও দুবাইয়ের উইকেট কিছুটা ধীরগতির, তবু বর্তমান সময়ে ৩০০ রান স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলছে, এটা তাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে টি-টোয়েন্টি, যা প্রস্তুতির দিক থেকে আদর্শ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা এক্সপ্রেস পেসার, বাকিদের খুব বেশি গতি নেই ও বৈচিত্র্যপূর্ণও নয়। অথচ প্রতিপক্ষের সব দলের স্কোয়াডেই চার-পাঁচটি বিশ্বমানের বোলার থাকবে। তারা ৩০০ বলের মধ্যে অন্তত ৬০টি ডেলিভারি নিখুঁত জায়গায় করতে পারবে। আমাদের বোলাররা কতটি সঠিক জায়গায় ফেলতে পারবে? এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবে।

সেমিতে উঠতে দুই দলকে হারাতেই হবে
বাংলাদেশের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিশ্বাস না থাকে, তাহলে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে। প্রতিপক্ষ কে, কোথায় খেলা হচ্ছে—এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে অর্ধেক সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু এটি ছোট পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট এবং সেরা দলগুলোই অংশ নিচ্ছে, তাই সবাই ভুল কম করবে। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে, যখন সুযোগ আসবে, তখন তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে।
দলটি আমার ভালোই মনে হয়েছে, বিকল্প খুব বেশি ছিল না। বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন। ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, তখন কেউ সেটা কল্পনাও করেনি। একটি ম্যাচ জিতে এবং একটি ম্যাচ ড্র করে দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। এবারও তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা বলা কঠিন। তবে সেমিফাইনালে যেতে হলে বড় তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতেই হবে।
বাংলাদেশের গ্রুপটা কঠিন। তবে কঠিন কাজকে যদি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভেবে সহজ করে নেওয়া যায়, তাহলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সেই পথ তৈরি করতে হবে।

চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
১৪ মিনিট আগে
দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের গ্রুপ পর্বের নাইজেরিয়া-উগান্ডা ম্যাচ গতকাল হয়েছে ফেজ স্টেডিয়ামে। প্রথমার্ধে গোল হজম করা ছাড়া আর কোনো বিপদে পড়েনি উগান্ডা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই উগান্ডার গোলরক্ষক পরিবর্তনের ঘটনা ঘটতে থাকে। ৪৬ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন উগান্ডার ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক ডেনিস ওনিয়াঙ্গো। তাঁর পরিবর্তে নামেন আরেক গোলরক্ষক সালিম মাগুলা। ৫৬ মিনিটে বক্সের অনেক বাইরে গিয়ে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমেনের শট ঠেকাতে গিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মাগুলা। তখন মাঠে নামেন উগান্ডার তৃতীয় গোলরক্ষক নাফিয়ান আলিওনজি। তিনি ফেরায় মাঠ ছেড়েছেন উগান্ডার মিডফিল্ডার বাবা আল হাসান।
ফেজ স্টেডিয়ামে উগান্ডার বিপক্ষে ২৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড পল ওনুয়াচুর। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে নাইজেরিয়া। ৬২ ও ৬৭ মিনিটে মিডফিল্ডার রাফায়েল ওনেয়দিকার জোড়া গোলে নাইজেরিয়া ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে রজার্স মাতোর গোলে ব্যবধান কমায় উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত উগান্ডাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাইজেরিয়া। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট পেয়েছে ওসিমেনের নাইজেরিয়া।
১ পয়েন্ট নিয়ে উগান্ডা এবারের আফকন শেষ করেছে ‘সি’ গ্রুপের তলানিতে থেকে। ৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ২ ম্যাচ ও ১ ম্যাচ ড্র করেছে দলটি। ৪ ও ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠেছে তিউনিসিয়া-তানজানিয়া। প্রিন্স আবদেল্লাহ স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করেছে তিউনিসিয়া-তানজানিয়া। ৪৩ মিনিটে ইসমাইল ঘারবি পেনাল্টি থেকে গোল করে তিউনিসিয়াকে এগিয়ে নেন। ৪৮ মিনিটে ফয়সাল সালামের গোলে সমতায় ফেরে তানজানিয়া। গ্রুপগুলোর তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটা হিসেবে ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে উঠেছে তানজানিয়া। নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথম আফকনের শেষ ষোলোতে উঠেছে তানজানিয়া। নকআউট পর্বে তারা খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে।
টাঙ্গিয়ার স্টেডিয়ামে গতকাল ‘ডি’ গ্রুপে বেনিনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে সেনেগাল। দুইয়ে থাকা ডিআর কঙ্গোর পয়েন্ট ৭ হলেও গোল ব্যবধানের কারণে দুইয়ে এই দলটি। বতসোয়ানাকে ৩-০ গোলে।
ডিআর কঙ্গো। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠেছে বেনিন। শেষ ষোলোতে মিসরের বিপক্ষে খেলবে বেনিন। প্রতিপক্ষ মিসর।

চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের গ্রুপ পর্বের নাইজেরিয়া-উগান্ডা ম্যাচ গতকাল হয়েছে ফেজ স্টেডিয়ামে। প্রথমার্ধে গোল হজম করা ছাড়া আর কোনো বিপদে পড়েনি উগান্ডা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই উগান্ডার গোলরক্ষক পরিবর্তনের ঘটনা ঘটতে থাকে। ৪৬ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন উগান্ডার ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক ডেনিস ওনিয়াঙ্গো। তাঁর পরিবর্তে নামেন আরেক গোলরক্ষক সালিম মাগুলা। ৫৬ মিনিটে বক্সের অনেক বাইরে গিয়ে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমেনের শট ঠেকাতে গিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মাগুলা। তখন মাঠে নামেন উগান্ডার তৃতীয় গোলরক্ষক নাফিয়ান আলিওনজি। তিনি ফেরায় মাঠ ছেড়েছেন উগান্ডার মিডফিল্ডার বাবা আল হাসান।
ফেজ স্টেডিয়ামে উগান্ডার বিপক্ষে ২৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড পল ওনুয়াচুর। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে নাইজেরিয়া। ৬২ ও ৬৭ মিনিটে মিডফিল্ডার রাফায়েল ওনেয়দিকার জোড়া গোলে নাইজেরিয়া ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে রজার্স মাতোর গোলে ব্যবধান কমায় উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত উগান্ডাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাইজেরিয়া। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট পেয়েছে ওসিমেনের নাইজেরিয়া।
১ পয়েন্ট নিয়ে উগান্ডা এবারের আফকন শেষ করেছে ‘সি’ গ্রুপের তলানিতে থেকে। ৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ২ ম্যাচ ও ১ ম্যাচ ড্র করেছে দলটি। ৪ ও ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠেছে তিউনিসিয়া-তানজানিয়া। প্রিন্স আবদেল্লাহ স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করেছে তিউনিসিয়া-তানজানিয়া। ৪৩ মিনিটে ইসমাইল ঘারবি পেনাল্টি থেকে গোল করে তিউনিসিয়াকে এগিয়ে নেন। ৪৮ মিনিটে ফয়সাল সালামের গোলে সমতায় ফেরে তানজানিয়া। গ্রুপগুলোর তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটা হিসেবে ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে উঠেছে তানজানিয়া। নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথম আফকনের শেষ ষোলোতে উঠেছে তানজানিয়া। নকআউট পর্বে তারা খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে।
টাঙ্গিয়ার স্টেডিয়ামে গতকাল ‘ডি’ গ্রুপে বেনিনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে সেনেগাল। দুইয়ে থাকা ডিআর কঙ্গোর পয়েন্ট ৭ হলেও গোল ব্যবধানের কারণে দুইয়ে এই দলটি। বতসোয়ানাকে ৩-০ গোলে।
ডিআর কঙ্গো। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠেছে বেনিন। শেষ ষোলোতে মিসরের বিপক্ষে খেলবে বেনিন। প্রতিপক্ষ মিসর।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর...
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
ফুটবলে বিশেষ করে নারী ফুটবলে বিদায়ী এ বছরটা সাফল্যের আঁচড় কেটেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। প্রথমবারের মতো এএফসি মেয়েদের এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়েছেন আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে দেশের ফুটবলে জাগরণের জোয়ার এনেছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরী। যে জোয়ারে ভেসে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররাও এসে জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। মাঠের ফলাফল যেমনই হোক—এসব প্রবাসী ফুটবলারের আগমনে ফুটবল নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

শুধু কি ফুটবল! প্রথমবারের মতো জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রফি জিতে এসেছে বাংলাদেশ। যুব এই হকি প্রতিযোগিতায় কোরিয়ার মতো দলকে হারিয়ে দেওয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। বিচ্ছিন্নভাবে সাফল্য এসেছে এশিয়ান কাপ আর্চারি কিংবা ইসলামি সলিডারিটি গেমস টিটিতে।

কিন্তু যে খেলাটা নিয়ে দেশের মানুষের বড় আশা ছিল, সেই ক্রিকেটই হতাশ বেশি করেছে। গত কয়েক বছরের সাফল্যের সূত্র, মনে করা হয় ওয়ানডে ক্রিকেটই বাংলাদেশের প্রিয় সংস্করণ। সেই সংস্করণে নেই সাফল্যের আলো। এ বছর ১১টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার ৭টিতেই হার। ৩টিতে জয়। আর একটি ম্যাচ হয়েছে টাই। সাফল্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে টেস্ট ক্রিকেট। ছয়টি টেস্ট খেলে ৩টিতে জয়। ২টিতে হার, ১টিতে ড্র। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ততম বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। খেলেছে ৩০ ম্যাচ। এর ১৬টি জিতেছেন লিটন-মোস্তাফিজরা। ১৪টিতে পরাজয়। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
নারী ক্রিকেটে পারফরম্যান্সটা আরও শোচনীয়। ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে সব কটিতেই হেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর ১৫টি ওয়ানডে খেলে জয় ৫টিতে। ৯টিতে হার, ১টিতে ফল হয়নি।
তবে এই ব্যর্থতায় মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। মনীষীরা বলেন, ব্যর্থতাই সাফল্যের ভিত গড়ে! সে বিশ্বাস নিয়েই বিদায় জানাতে হচ্ছে ২০২৫ সালকে।

দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
ফুটবলে বিশেষ করে নারী ফুটবলে বিদায়ী এ বছরটা সাফল্যের আঁচড় কেটেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। প্রথমবারের মতো এএফসি মেয়েদের এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়েছেন আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে দেশের ফুটবলে জাগরণের জোয়ার এনেছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরী। যে জোয়ারে ভেসে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররাও এসে জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। মাঠের ফলাফল যেমনই হোক—এসব প্রবাসী ফুটবলারের আগমনে ফুটবল নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

শুধু কি ফুটবল! প্রথমবারের মতো জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রফি জিতে এসেছে বাংলাদেশ। যুব এই হকি প্রতিযোগিতায় কোরিয়ার মতো দলকে হারিয়ে দেওয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। বিচ্ছিন্নভাবে সাফল্য এসেছে এশিয়ান কাপ আর্চারি কিংবা ইসলামি সলিডারিটি গেমস টিটিতে।

কিন্তু যে খেলাটা নিয়ে দেশের মানুষের বড় আশা ছিল, সেই ক্রিকেটই হতাশ বেশি করেছে। গত কয়েক বছরের সাফল্যের সূত্র, মনে করা হয় ওয়ানডে ক্রিকেটই বাংলাদেশের প্রিয় সংস্করণ। সেই সংস্করণে নেই সাফল্যের আলো। এ বছর ১১টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার ৭টিতেই হার। ৩টিতে জয়। আর একটি ম্যাচ হয়েছে টাই। সাফল্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে টেস্ট ক্রিকেট। ছয়টি টেস্ট খেলে ৩টিতে জয়। ২টিতে হার, ১টিতে ড্র। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ততম বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। খেলেছে ৩০ ম্যাচ। এর ১৬টি জিতেছেন লিটন-মোস্তাফিজরা। ১৪টিতে পরাজয়। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
নারী ক্রিকেটে পারফরম্যান্সটা আরও শোচনীয়। ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে সব কটিতেই হেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর ১৫টি ওয়ানডে খেলে জয় ৫টিতে। ৯টিতে হার, ১টিতে ফল হয়নি।
তবে এই ব্যর্থতায় মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। মনীষীরা বলেন, ব্যর্থতাই সাফল্যের ভিত গড়ে! সে বিশ্বাস নিয়েই বিদায় জানাতে হচ্ছে ২০২৫ সালকে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর...
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
১৪ মিনিট আগে
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেও দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। তখন আসলে কী ঘটেছিল, সেই ঘটনা নিয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাকে সরাসরি ক্রীড়া উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। আমি প্লেনে উঠেছি। বিসিবি থেকে আমাকে পুরো নিশ্চিত করা হয়েছে। (যুক্তরাষ্ট্র থেকে) তারপর আমি প্লেনে উঠেছি। দুবাইয়ে নামার পর তাদের সব জায়গা থেকে আবার বলছে, না, তাদের নাকি ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যদি না আসি, তাহলে ভালো হয়। আমি আর যাইনি।’
ঘরের মাঠে টেস্ট তো দূরে থাক, গত ১৪ মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) খেলতে পারেননি সাকিব। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে ফেরার আশা কতটুকু রয়েছে—এই প্রশ্নের উত্তরে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখানে রাষ্ট্র, সরকার—এগুলো আসা মানেই তো ক্রিকেট বোর্ডেও স্বচ্ছতা নেই। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এগুলো তো বোঝাই যায়। আপনাদের আসলে প্রশ্নগুলো করা উচিত ঠিক জায়গায়, ঠিকভাবে। ভয় না পেয়ে! আপনারাও ওই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করেন দেখে তারা ওই ঘুরিয়ে উত্তর দিতে পারে। এ প্রশ্ন আমাকে তো করার বিষয় নয়। জিজ্ঞেস করবেন সরকারকে। সরকার আর ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি হয়ে।’
ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) পর্যন্ত যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘কথা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্কই থাকার কথা নয়। আর ক্রিকেট বোর্ড যদি সরকারের ওপর চাপিয়ে দেয়, এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এর অর্থ হলো, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত। তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত (হাসি)! আসলে ওই সাবজেক্টেই যাওয়া উচিত নয়। আমাকে যদি ক্রিকেট বোর্ড ফেরত না নিতে পারে (দেশে), এটা তাদের ব্যর্থতা। ঠিক না? আমার কী করার আছে এখানে?’
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফরের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। খেলে যেতে চেয়েছিলেন ওয়ানডে ও টেস্ট। তবে গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের হয়ে একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে গত বছরের অক্টোবরে টেস্ট ম্যাচটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের সবশেষ কোনো ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে না পারলেও বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলছেন সাকিব। গত রাতে তাঁর দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেও দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। তখন আসলে কী ঘটেছিল, সেই ঘটনা নিয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাকে সরাসরি ক্রীড়া উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। আমি প্লেনে উঠেছি। বিসিবি থেকে আমাকে পুরো নিশ্চিত করা হয়েছে। (যুক্তরাষ্ট্র থেকে) তারপর আমি প্লেনে উঠেছি। দুবাইয়ে নামার পর তাদের সব জায়গা থেকে আবার বলছে, না, তাদের নাকি ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যদি না আসি, তাহলে ভালো হয়। আমি আর যাইনি।’
ঘরের মাঠে টেস্ট তো দূরে থাক, গত ১৪ মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) খেলতে পারেননি সাকিব। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে ফেরার আশা কতটুকু রয়েছে—এই প্রশ্নের উত্তরে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখানে রাষ্ট্র, সরকার—এগুলো আসা মানেই তো ক্রিকেট বোর্ডেও স্বচ্ছতা নেই। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এগুলো তো বোঝাই যায়। আপনাদের আসলে প্রশ্নগুলো করা উচিত ঠিক জায়গায়, ঠিকভাবে। ভয় না পেয়ে! আপনারাও ওই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করেন দেখে তারা ওই ঘুরিয়ে উত্তর দিতে পারে। এ প্রশ্ন আমাকে তো করার বিষয় নয়। জিজ্ঞেস করবেন সরকারকে। সরকার আর ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি হয়ে।’
ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) পর্যন্ত যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘কথা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্কই থাকার কথা নয়। আর ক্রিকেট বোর্ড যদি সরকারের ওপর চাপিয়ে দেয়, এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এর অর্থ হলো, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত। তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত (হাসি)! আসলে ওই সাবজেক্টেই যাওয়া উচিত নয়। আমাকে যদি ক্রিকেট বোর্ড ফেরত না নিতে পারে (দেশে), এটা তাদের ব্যর্থতা। ঠিক না? আমার কী করার আছে এখানে?’
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফরের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। খেলে যেতে চেয়েছিলেন ওয়ানডে ও টেস্ট। তবে গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের হয়ে একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে গত বছরের অক্টোবরে টেস্ট ম্যাচটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের সবশেষ কোনো ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে না পারলেও বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলছেন সাকিব। গত রাতে তাঁর দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর...
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
১৪ মিনিট আগে
দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
১ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম গতকাল ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত লঙ্কান ধারাভাষ্যকার রোশন অভয়সিংহে বলেন, ‘এই মাত্র আকশু ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর পেলাম। তাঁর ক্যারিয়ার ছিল দারুণ সম্ভাবনাময়। তবে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁর ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছে। ভদ্র, হাসিখুশি ও সবার ছিল সে। তার স্কুল ও রাগামা ক্লাবের দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার ছিল। তাকে আমরা চিরদিন মনে রাখব।’
২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়ায় অনুশীলন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ফার্নান্দো। তখন তিনি ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এক রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে (২০১৮-এর ১৪ ডিসেম্বর) রাগামা ক্লাবের হয়ে ১০২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ফার্নান্দো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল মুরস ক্রিকেট ক্লাব। অবশেষে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় থাকার পর গতকাল হার মানলেন তিনি।
অল্প সময়েই সম্ভাবনাময় এক ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন ফার্নান্দো। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৮ বলে ৫২ রান করেছিলেন। প্রাণপণ লড়াই করেও শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হেরে গিয়েছিল অজিদের কাছে। শেষ পর্যন্ত সেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করতেন ফার্নান্দো। সিনিয়র ক্রিকেটে সাতটি ফিফটি করেছিলেন তিনি। ৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে ফার্নান্দো কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ান্স, রাগামা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিলেন। লঙ্কান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন ফার্নান্দো।

মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম গতকাল ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত লঙ্কান ধারাভাষ্যকার রোশন অভয়সিংহে বলেন, ‘এই মাত্র আকশু ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর পেলাম। তাঁর ক্যারিয়ার ছিল দারুণ সম্ভাবনাময়। তবে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁর ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছে। ভদ্র, হাসিখুশি ও সবার ছিল সে। তার স্কুল ও রাগামা ক্লাবের দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার ছিল। তাকে আমরা চিরদিন মনে রাখব।’
২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়ায় অনুশীলন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ফার্নান্দো। তখন তিনি ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এক রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে (২০১৮-এর ১৪ ডিসেম্বর) রাগামা ক্লাবের হয়ে ১০২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ফার্নান্দো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল মুরস ক্রিকেট ক্লাব। অবশেষে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় থাকার পর গতকাল হার মানলেন তিনি।
অল্প সময়েই সম্ভাবনাময় এক ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন ফার্নান্দো। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৮ বলে ৫২ রান করেছিলেন। প্রাণপণ লড়াই করেও শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হেরে গিয়েছিল অজিদের কাছে। শেষ পর্যন্ত সেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করতেন ফার্নান্দো। সিনিয়র ক্রিকেটে সাতটি ফিফটি করেছিলেন তিনি। ৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে ফার্নান্দো কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ান্স, রাগামা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিলেন। লঙ্কান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন ফার্নান্দো।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন দুবাইয়ে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া! সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টে ওটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সত্যি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে এই দল? উত্তর...
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চোটে পড়লে বা কৌশলগত কারণে ফুটবলার পরিবর্তন অহরহ হলেও গোলরক্ষক বদলানো খু্ব একটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘটনাই গতকাল ঘটাল উগান্ডা। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলরক্ষক নিয়ে খেলেছে উগান্ডা। যদিও একগাদা গোলরক্ষক খেলিয়েও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি উগান্ডা।
১৪ মিনিট আগে
দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।
২ ঘণ্টা আগে