Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বড় একটা ইনিংস সামনে দেখতে পাবেন

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে। তবে নির্বাচকেরা মনে করেন, পাওয়ার প্লেতে তিনি আত্মবিশ্বাসী, সাবলীল ও ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিংয়ে বিশেষ দক্ষ। নির্বাচকদের এই আস্থার প্রতিদান দিতে ইমন কতটা তৈরি? সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে তাঁর সঙ্গে গতকাল কথা হলো আজকের পত্রিকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।

আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ডাক পাওয়ায় আপনি নাকি বেশ বিস্মিত হয়েছেন?

পারভেজ ইমন: সত্যিই জানি না, কী বলব! পুরোপুরি বিপিএলেই ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল আমার একমাত্র চিন্তা। কিন্তু আগের রাতে কয়েকজন এসে জানিয়েছেন, আমি দলে ডাক পেতে যাচ্ছি। এতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম।

প্রশ্ন: দলে সুযোগ পেয়েছেন, একাদশে থাকলে পারফর্ম করতেই হবে, আস্থার প্রতিদান দিতেই হবে—এমন কোনো চাপ অনুভব করছেন?

ইমন: দলে জায়গা পাওয়া সব সময় এক বিশাল সুযোগ। আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে ব্যবহার করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমি আমার শক্তির জায়গাগুলো কাজে লাগিয়ে অবদান রাখতে প্রস্তুত, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চাপ কমাতে পারি।

প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটে আপনি পাওয়ার হিটার হিসেবে পরিচিত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চেও আপনার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ একই থাকবে?

ইমন: পাওয়ার হিটিং আমার খেলার স্বাভাবিক অংশ। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে। বলের মান, পিচের অবস্থা এবং প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের ওপর নির্ভর করে স্ট্রাইক রোটেশন ও বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসা। আমি এখন এগুলো নিয়ে কাজ করছি। যদিও এখনো বড় রান পাইনি, কিন্তু প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে সুযোগ এলে প্রস্তুতি ও সুযোগ কাজে লাগানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কঠিন কঠিন সব বোলিং আক্রমণ সামলাতে হবে। সেটি ভাবনায় রেখে আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন কীভাবে?

ইমন: পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে গতি ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করছি। নেটে বেশি সময় ধরে বাউন্সি বল মোকাবিলা করছি। ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আমি অনুশীলন করছি, ভালো বল হিট করছি। এখনো বড় স্কোর পাইনি, এটা সত্য। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি ভালো ব্যাট করছি। মনে হচ্ছে, আমার বড় একটা ইনিংস সামনে দেখতে পাবেন।

প্রশ্ন: এ প্রসঙ্গেই আসতাম, চিটাগং কিংসের হয়ে এবারের বিপিএলে এখনো আলো ছড়াতে পারেননি। নিজেকে ফিরে পেতে বিশেষ কোনো কাজ করছেন?

ইমন: ইনিংস বড় হচ্ছে না, কিছুটা অস্বস্তি তো আছেই। তবে চেষ্টা করছি ইনিংস লম্বা করার। চট্টগ্রামে ভালো কিছু আশা করছি। সেখানে আমাদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। মোমেন্টাম পেয়ে যাব। তখন ইনশা আল্লাহ ভালো ব্যাটিং করতে পারি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে রানে ফিরতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

প্রশ্ন: উইকেটকিপিং করেন। দল থেকে আপনাকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে বললেও করবেন?

ইমন: আমি ওপেন করতে পছন্দ করি। তবে যদি সুযোগ আসে। সব সময় দলের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিই। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। তবে কম্বিনেশনে যদি মাঝামাঝি নামতে হয়, সেটাও হয়তো করা সম্ভব।

প্রশ্ন: আপনি যেহেতু একজন নতুন মুখ, তাই প্রতিপক্ষের জন্য আপনার ব্যাটিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা কিছুটা অজানা থাকবে। এটা কীভাবে কাজে লাগাতে চান?

ইমন: অবশ্যই, নতুন হওয়ায় প্রতিপক্ষের কাছে আমাকে নিয়ে বেশি ডেটা থাকবে না। তবে ডেটা থাকা না থাকা নির্ভর করে না। যদি না সে তার সঠিক চ্যানেলে বল করতে পারে। প্রতিপক্ষের কাজ প্রতিপক্ষ করবে। যদি একাদশে থাকার সুযোগ হয়, আমার কাজ আমি করব।

প্রশ্ন: ওয়ানডেতে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন, সেটিও আবার আইসিসির টুর্নামেন্টে। নিজের জন্য একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?

ইমন: এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি একটি বিশাল ইভেন্ট। ইনশা আল্লাহ, আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং দেশের জন্য ভালো কিছু করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত