Ajker Patrika

সমস্যা গভীরে, খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুলে কী লাভ

রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ০৮
সমস্যা গভীরে, খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুলে কী লাভ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্যার ক্লাইভ লয়েড এসেছেন রেডিও ধারাভাষ্য দিতে। গত পরশু দুবাইয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার সময় তাঁকে পাওয়া গেল লিফটে। সাক্ষাৎকারের অনুরোধে মন না গললেও শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।

বাংলাদেশ দলের সমস্যা কোথায়– গাড়িতে উঠতে উঠতে লয়েড প্রশ্নটার উত্তর দিলেন অল্প কথায়, ‘কোনো সমস্যা নেই! আপনি কখনো ভালো খেলবেন, কখনো খারাপ।’ ফেরার তাড়া কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার ভাবনায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যে সরল উত্তরটা দিলেন লয়েড; বিষয়টা তত সহজ না। একটা দল প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসে আশার বেলুন ফুলিয়ে। আর ফেরে শূন্য হাতে। টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ওই মাঝেমধ্যে ‘ভালো’ খেলাটাও খেলতে দেখা যায়নি গত ১৪ বছরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আফগানিস্তানের একাধিক জয় আছে। এমনকি প্রথমবারের মতো এবার সুপার টুয়েলভে খেলা নামিবিয়াও জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে। আর বাংলাদেশ? দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বছরের পর বছর।

যেহেতু দলের ওপর প্রচারের সব আলো, তাই ব্যর্থ হলে বড় ঝড়টা যায় খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে। প্রাসঙ্গিকভাবে আসেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। এবার মাশরাফি বিন মুর্তজার ঝাঁজাল ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ডমিঙ্গো ও তাঁর সহকর্মীদের একটু বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্টের স্তর পেরিয়ে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ নির্বাচকেরাও। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অপসারণের দাবি তুলছেন কেউ কেউ।

গত পাঁচ বছর প্রধান নির্বাচকের পদে থাকা নান্নুর সময় বাংলাদেশ বড় মঞ্চে কী সাফল্য পেয়েছে—সেসব হিসাব-নিকাশ সামনে আসছে। আসছে ঘরের মাঠে সুবিধাজনক পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার প্রসঙ্গও।

ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এসব আলোচনার সঙ্গে দেশের দুর্বল ক্রিকেট অবকাঠামো আর প্রশাসনিক ব্যবস্থার কথাও সামনে আসা উচিত। শুধু খেলোয়াড়দের নিয়েই একটা দল নয়। দল হয় খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ক্রিকেট বোর্ড, দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শারজা, দুবাই, আবুধাবি—প্রত্যেকটি অঞ্চলের ক্রিকেট কাঠামো দেখে মনে হয়েছে, একটি সহযোগী দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো এত শক্তিশালী! রুক্ষ মরুতে কী সুসংগঠিতভাবে ক্রিকেট-বৃক্ষের পরিচর্যা করে চলেছে তারা। এত শক্ত কাঠামো থাকার পরও ক্রিকেটে দল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান এখনো তৃতীয় সারিতে। অথচ ভঙুর এক কাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ ২১ বছর ধরে টেস্ট খেলছে। এখানে টাকা-পয়সাই সব নয়। টাকার পাহাড়ে তো চড়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।

ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ভারতের মতো উন্নত ক্রিকেট কাঠামোর উদাহরণ বাদই দেওয়া গেল। বাকি টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর কারও কাঠামো কি এতটাই ক্লাবকেন্দ্রিক, যেটি বাংলাদেশে? একটা শহরের ১২টি ক্লাবের প্রতিনিধি ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন (২৩ জনের মধ্যে)। সারা দেশ থেকে আসে বাকি ১০ জন—এই স্পষ্ট অগণতান্ত্রিক ক্রিকেট ব্যবস্থা কটা দেশে আছে? দেশের ক্রিকেটে ঢাকার ক্লাবগুলোর অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এখানেও প্রশ্ন আছে, এত প্রাধান্য পেয়েও এত দিনে কেন ক্লাবগুলোর পরিপূর্ণ ক্রিকেট কাঠামো গড়ে ওঠেনি? প্রতি মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলতে সবাইকে কেন বিসিবির মাঠে এসে ভিড় জমাতে হয়?

মাঠের খেলার কথাই যদি ধরা হয়, ঢাকার চার স্তরের ক্রিকেটে যে খেলাটা হয়, সেটির মান-স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক আরও পুরোনো। উইকেট, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং, নির্দিষ্ট কিছু দলকে অগ্রহণযোগ্যভাবে সুবিধা দেওয়ার বিতর্ক হয় না—এমন কোনো মৌসুম কি আছে? আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলোয় বাংলাদেশের আম্পায়ার থাকে না কেন—কদিন আগে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক আম্পায়ার করুণ কণ্ঠে বলছিলেন, ‘অমুক দল, তমুক দল করতে করতে দেশের ক্রিকেট কোথায় নিয়ে যাচ্ছি, একবার ভেবেছেন? আল্লাহর ওয়াস্তে এবার ক্ষ্যামা দেন! আমাদের (আম্পায়ারদের) একটু স্বস্তিতে কাজ করতে দেন।’

ঘুণে ধরা ক্লাবকেন্দ্রিক ক্রিকেট সংস্কৃতির বাইরে বিভাগ-জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটের চিত্রটা আরও হতাশাজনক। যে ১০ প্রতিনিধি বিভিন্ন জেলা বা বিভাগ থেকে পরিচালক হয়ে আসছেন, নিজেদের অঞ্চলের ক্রিকেট উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কিংবা গত এক দশকে এমন কোনো কার্যক্রম দেখাতে পারবেন, যেটি সেই অঞ্চলের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে?

পরিচালনা পর্ষদের বাইরে বিসিবির আরেক বড় অংশীদার কাউন্সিলররা; যাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশের ক্রিকেট কাঠামো আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব, সারা দেশের জেলা ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭১। এই প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তাঁদের প্রয়োজনীয়তা যেন শুধুই নির্বাচনের সময়। অথচ তাঁদেরও ভূমিকা রাখার কথা ছিল ক্রিকেটের উন্নয়নে। জরিপ করলে দেখা যাবে অধিকাংশ কাউন্সিলরের সারা বছর সংশ্লিষ্টতা থাকে না ক্রিকেটের সঙ্গে।

গত এক দশকে দুটি আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করে কোষাগারে বিপুল অর্থ যোগ (৩১৬ কোটি টাকা), ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে পাওয়া প্রতি বছর বিপুল রাজস্ব (গত তিন বছরেই এসেছে ৩৬০ কোটি টাকা) আর টিভি স্বত্ব থেকে পাওয়া টাকায় ‘শর্টকাটে বড়লোক’ হতে পেরেছে বিসিবি। কোষাগারে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা নিয়ে বিসিবির কর্তাদের গর্বের শেষ নেই। সেটা তাঁরা করতেই পারেন। কিন্তু এই সময়ে দুর্বল ক্রিকেট-ব্যবস্থা আর ঘুণে ধরা ক্রিকেট সংস্কৃতির কতটা উন্নতি হয়েছে—এ প্রশ্নের মুখোমুখি তাঁদের হতে হবে।

সেটা যে হয়নি, তা বোঝাই যায় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে কিংবা দেশের বাইরে প্রতিকূল কন্ডিশনে খেলতে গেলে দলটির কঙ্কাল বেরিয়ে পড়তে দেখে। সামনের দিনগুলোও যদি এভাবে চলতে থাকে তবে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভিন্ন অধিনায়ক, ভিন্ন কোচিং স্টাফ নিয়ে গেলেও ভিন্ন ফল দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত