
কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য। চোট কাটিয়ে পুনর্বাসন এবং সামনের একাধিক সিরিজ খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুই দিন আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২২ বছর বয়সী পেসার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কেমন যাচ্ছে? লিগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম হাসান সাকিব: প্রিমিয়ার লিগে আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব নিখুঁত বোলিং করা। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে, বাউন্সার, ইয়র্কার—সব দিক থেকেই চেষ্টা করছি নিখুঁত বোলিং করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই নিখুঁত বোলিং দিয়েই। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলতে চাই। প্রতিটি ম্যাচে নিজের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: গত বছর প্রথমবারের মতো গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগ, শ্রীলঙ্কার লিগ বা পিএসএলের মতো লিগে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে আপনার?
তানজিম: গত বছর গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছি। এখনো আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। যদি জাতীয় দলের কোনো ব্যস্ততা না থাকে, আবারও গায়ানার হয়ে খেলব। আমি তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেছি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট থেকেও কোনো অফার আসেনি। তবে একজন বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন আছে। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা হয় অনন্য। কাউন্টিতে খেলে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল উন্নত করতে পারে এবং নতুন কৌশল শিখতে পারে।
প্রশ্ন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। এই ব্যস্ত সূচিতে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন? আপনাদের নিয়ে বিসিবির কী নির্দেশনা আছে?
তানজিম: টানা দুই ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচ বিশ্রাম নেব। তবে যদি কোনো ম্যাচে ওয়ার্কলোড কম থাকে, তাহলে হয়তো তৃতীয় ম্যাচেও খেলতে পারব। আর যদি পুরোপুরি ওয়ার্কলোড থাকে, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নেব।
প্রশ্ন: শুরু থেকেই আপনি নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনার বোলিং গতি কমতে দেখা গেল (১৩৩–১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল)। চোটে পড়ায় বোলিংয়ের ছন্দ পেতে কি সমস্যা হচ্ছে?
তানজিম: সব সময় সর্বোচ্চটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমার কোচ নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে বাড়তি কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি আগের গতিতে বল করতে। তিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালো বোঝেন এবং আমার বোলিং নিয়ে দারুণ কাজ করেন। বিপিএলে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। তবে এখন জিমে আরও মনোযোগী হয়ে নিজেকে ঠিক করছি এবং আগের মতো জোরে বল করার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগির আমার আগের ছন্দ ফিরে পাব।
প্রশ্ন: এ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম: আমার লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো সার্ভিস দেওয়া। সেটা হোক বোলার হিসেবে কিংবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। আমি যে ম্যাচেই খেলি না কেন, দলকে জেতানোয় অবদান রাখতে চাই। যে দুই সংস্করণে আমার অভিষেক হয়েছে, দুটিতেই দল জিতেছে। ম্যাচে নিজেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ম্যাচ আমি অভিষেক ম্যাচ ভেবে খেলি এবং নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এখনো সেই চেষ্টাটাই করছি যেন প্রতিটি মুহূর্তে দলে অবদান রাখতে পারি।
প্রশ্ন: আক্রমণাত্মক মনোভাব আপনাকে বিশেষভাবে চিনিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর সব সময় চড়াও হ পছন্দ করেন?
তানজিম: প্রতিপক্ষ আমার কাছে সব সময়ই প্রতিপক্ষ। কেউ আমার বল সহজে খেলবে, সেটা মেনে নিতে পারি না। মাঠে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকে, তবে খেলার মজাও নেই। এটা আমার পেশা, তবে তার চেয়েও বেশি, এটি আমার আবেগ। মাঠে নামলে আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হার আমি একবারেই পছন্দ করি না। ম্যাচ শেষে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিই। প্রতিপক্ষ যাতে সহজে খেলতে না পারে, চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মনোভাব কাজ করে। বল করার সময় আমার প্রতিশ্রুতি থাকে, সহজে যেন আমার বল খেলতে না পারে। এই কারণেই আমার মধ্যে সেই আগ্রাসন চলে আসে। এটা আমাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখে, প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলে।
প্রশ্ন: খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে না পারাটা কতটা দুঃখজনক দেশের ক্রিকেটের জন্য?
তানজিম: তাঁদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। তাঁরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। যদি মাঠ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের সবার ভালো লাগত। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় আমরা মাঠেই ছিলাম, ওটা ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। তাঁকে মাঠে বিদায় দিতে পেরে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। প্রত্যেকের বিদায়ের ধরন আলাদা হয়। হয়তো এটাই ছিল তাঁদের নিয়তি। খুব বেশি সময় তাঁদের সঙ্গে খেলতে পারিনি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে তাঁদের নির্দেশনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কেমন যাচ্ছে? লিগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম হাসান সাকিব: প্রিমিয়ার লিগে আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব নিখুঁত বোলিং করা। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে, বাউন্সার, ইয়র্কার—সব দিক থেকেই চেষ্টা করছি নিখুঁত বোলিং করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই নিখুঁত বোলিং দিয়েই। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলতে চাই। প্রতিটি ম্যাচে নিজের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: গত বছর প্রথমবারের মতো গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগ, শ্রীলঙ্কার লিগ বা পিএসএলের মতো লিগে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে আপনার?
তানজিম: গত বছর গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছি। এখনো আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। যদি জাতীয় দলের কোনো ব্যস্ততা না থাকে, আবারও গায়ানার হয়ে খেলব। আমি তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেছি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট থেকেও কোনো অফার আসেনি। তবে একজন বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন আছে। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা হয় অনন্য। কাউন্টিতে খেলে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল উন্নত করতে পারে এবং নতুন কৌশল শিখতে পারে।
প্রশ্ন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। এই ব্যস্ত সূচিতে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন? আপনাদের নিয়ে বিসিবির কী নির্দেশনা আছে?
তানজিম: টানা দুই ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচ বিশ্রাম নেব। তবে যদি কোনো ম্যাচে ওয়ার্কলোড কম থাকে, তাহলে হয়তো তৃতীয় ম্যাচেও খেলতে পারব। আর যদি পুরোপুরি ওয়ার্কলোড থাকে, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নেব।
প্রশ্ন: শুরু থেকেই আপনি নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনার বোলিং গতি কমতে দেখা গেল (১৩৩–১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল)। চোটে পড়ায় বোলিংয়ের ছন্দ পেতে কি সমস্যা হচ্ছে?
তানজিম: সব সময় সর্বোচ্চটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমার কোচ নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে বাড়তি কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি আগের গতিতে বল করতে। তিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালো বোঝেন এবং আমার বোলিং নিয়ে দারুণ কাজ করেন। বিপিএলে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। তবে এখন জিমে আরও মনোযোগী হয়ে নিজেকে ঠিক করছি এবং আগের মতো জোরে বল করার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগির আমার আগের ছন্দ ফিরে পাব।
প্রশ্ন: এ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম: আমার লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো সার্ভিস দেওয়া। সেটা হোক বোলার হিসেবে কিংবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। আমি যে ম্যাচেই খেলি না কেন, দলকে জেতানোয় অবদান রাখতে চাই। যে দুই সংস্করণে আমার অভিষেক হয়েছে, দুটিতেই দল জিতেছে। ম্যাচে নিজেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ম্যাচ আমি অভিষেক ম্যাচ ভেবে খেলি এবং নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এখনো সেই চেষ্টাটাই করছি যেন প্রতিটি মুহূর্তে দলে অবদান রাখতে পারি।
প্রশ্ন: আক্রমণাত্মক মনোভাব আপনাকে বিশেষভাবে চিনিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর সব সময় চড়াও হ পছন্দ করেন?
তানজিম: প্রতিপক্ষ আমার কাছে সব সময়ই প্রতিপক্ষ। কেউ আমার বল সহজে খেলবে, সেটা মেনে নিতে পারি না। মাঠে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকে, তবে খেলার মজাও নেই। এটা আমার পেশা, তবে তার চেয়েও বেশি, এটি আমার আবেগ। মাঠে নামলে আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হার আমি একবারেই পছন্দ করি না। ম্যাচ শেষে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিই। প্রতিপক্ষ যাতে সহজে খেলতে না পারে, চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মনোভাব কাজ করে। বল করার সময় আমার প্রতিশ্রুতি থাকে, সহজে যেন আমার বল খেলতে না পারে। এই কারণেই আমার মধ্যে সেই আগ্রাসন চলে আসে। এটা আমাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখে, প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলে।
প্রশ্ন: খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে না পারাটা কতটা দুঃখজনক দেশের ক্রিকেটের জন্য?
তানজিম: তাঁদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। তাঁরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। যদি মাঠ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের সবার ভালো লাগত। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় আমরা মাঠেই ছিলাম, ওটা ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। তাঁকে মাঠে বিদায় দিতে পেরে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। প্রত্যেকের বিদায়ের ধরন আলাদা হয়। হয়তো এটাই ছিল তাঁদের নিয়তি। খুব বেশি সময় তাঁদের সঙ্গে খেলতে পারিনি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে তাঁদের নির্দেশনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য। চোট কাটিয়ে পুনর্বাসন এবং সামনের একাধিক সিরিজ খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুই দিন আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২২ বছর বয়সী পেসার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কেমন যাচ্ছে? লিগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম হাসান সাকিব: প্রিমিয়ার লিগে আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব নিখুঁত বোলিং করা। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে, বাউন্সার, ইয়র্কার—সব দিক থেকেই চেষ্টা করছি নিখুঁত বোলিং করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই নিখুঁত বোলিং দিয়েই। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলতে চাই। প্রতিটি ম্যাচে নিজের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: গত বছর প্রথমবারের মতো গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগ, শ্রীলঙ্কার লিগ বা পিএসএলের মতো লিগে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে আপনার?
তানজিম: গত বছর গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছি। এখনো আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। যদি জাতীয় দলের কোনো ব্যস্ততা না থাকে, আবারও গায়ানার হয়ে খেলব। আমি তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেছি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট থেকেও কোনো অফার আসেনি। তবে একজন বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন আছে। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা হয় অনন্য। কাউন্টিতে খেলে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল উন্নত করতে পারে এবং নতুন কৌশল শিখতে পারে।
প্রশ্ন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। এই ব্যস্ত সূচিতে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন? আপনাদের নিয়ে বিসিবির কী নির্দেশনা আছে?
তানজিম: টানা দুই ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচ বিশ্রাম নেব। তবে যদি কোনো ম্যাচে ওয়ার্কলোড কম থাকে, তাহলে হয়তো তৃতীয় ম্যাচেও খেলতে পারব। আর যদি পুরোপুরি ওয়ার্কলোড থাকে, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নেব।
প্রশ্ন: শুরু থেকেই আপনি নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনার বোলিং গতি কমতে দেখা গেল (১৩৩–১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল)। চোটে পড়ায় বোলিংয়ের ছন্দ পেতে কি সমস্যা হচ্ছে?
তানজিম: সব সময় সর্বোচ্চটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমার কোচ নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে বাড়তি কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি আগের গতিতে বল করতে। তিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালো বোঝেন এবং আমার বোলিং নিয়ে দারুণ কাজ করেন। বিপিএলে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। তবে এখন জিমে আরও মনোযোগী হয়ে নিজেকে ঠিক করছি এবং আগের মতো জোরে বল করার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগির আমার আগের ছন্দ ফিরে পাব।
প্রশ্ন: এ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম: আমার লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো সার্ভিস দেওয়া। সেটা হোক বোলার হিসেবে কিংবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। আমি যে ম্যাচেই খেলি না কেন, দলকে জেতানোয় অবদান রাখতে চাই। যে দুই সংস্করণে আমার অভিষেক হয়েছে, দুটিতেই দল জিতেছে। ম্যাচে নিজেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ম্যাচ আমি অভিষেক ম্যাচ ভেবে খেলি এবং নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এখনো সেই চেষ্টাটাই করছি যেন প্রতিটি মুহূর্তে দলে অবদান রাখতে পারি।
প্রশ্ন: আক্রমণাত্মক মনোভাব আপনাকে বিশেষভাবে চিনিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর সব সময় চড়াও হ পছন্দ করেন?
তানজিম: প্রতিপক্ষ আমার কাছে সব সময়ই প্রতিপক্ষ। কেউ আমার বল সহজে খেলবে, সেটা মেনে নিতে পারি না। মাঠে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকে, তবে খেলার মজাও নেই। এটা আমার পেশা, তবে তার চেয়েও বেশি, এটি আমার আবেগ। মাঠে নামলে আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হার আমি একবারেই পছন্দ করি না। ম্যাচ শেষে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিই। প্রতিপক্ষ যাতে সহজে খেলতে না পারে, চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মনোভাব কাজ করে। বল করার সময় আমার প্রতিশ্রুতি থাকে, সহজে যেন আমার বল খেলতে না পারে। এই কারণেই আমার মধ্যে সেই আগ্রাসন চলে আসে। এটা আমাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখে, প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলে।
প্রশ্ন: খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে না পারাটা কতটা দুঃখজনক দেশের ক্রিকেটের জন্য?
তানজিম: তাঁদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। তাঁরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। যদি মাঠ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের সবার ভালো লাগত। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় আমরা মাঠেই ছিলাম, ওটা ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। তাঁকে মাঠে বিদায় দিতে পেরে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। প্রত্যেকের বিদায়ের ধরন আলাদা হয়। হয়তো এটাই ছিল তাঁদের নিয়তি। খুব বেশি সময় তাঁদের সঙ্গে খেলতে পারিনি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে তাঁদের নির্দেশনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কেমন যাচ্ছে? লিগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম হাসান সাকিব: প্রিমিয়ার লিগে আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব নিখুঁত বোলিং করা। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে, বাউন্সার, ইয়র্কার—সব দিক থেকেই চেষ্টা করছি নিখুঁত বোলিং করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই নিখুঁত বোলিং দিয়েই। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলতে চাই। প্রতিটি ম্যাচে নিজের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: গত বছর প্রথমবারের মতো গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগ, শ্রীলঙ্কার লিগ বা পিএসএলের মতো লিগে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে আপনার?
তানজিম: গত বছর গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছি। এখনো আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। যদি জাতীয় দলের কোনো ব্যস্ততা না থাকে, আবারও গায়ানার হয়ে খেলব। আমি তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেছি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট থেকেও কোনো অফার আসেনি। তবে একজন বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন আছে। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা হয় অনন্য। কাউন্টিতে খেলে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল উন্নত করতে পারে এবং নতুন কৌশল শিখতে পারে।
প্রশ্ন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। এই ব্যস্ত সূচিতে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন? আপনাদের নিয়ে বিসিবির কী নির্দেশনা আছে?
তানজিম: টানা দুই ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচ বিশ্রাম নেব। তবে যদি কোনো ম্যাচে ওয়ার্কলোড কম থাকে, তাহলে হয়তো তৃতীয় ম্যাচেও খেলতে পারব। আর যদি পুরোপুরি ওয়ার্কলোড থাকে, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নেব।
প্রশ্ন: শুরু থেকেই আপনি নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনার বোলিং গতি কমতে দেখা গেল (১৩৩–১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল)। চোটে পড়ায় বোলিংয়ের ছন্দ পেতে কি সমস্যা হচ্ছে?
তানজিম: সব সময় সর্বোচ্চটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমার কোচ নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে বাড়তি কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি আগের গতিতে বল করতে। তিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালো বোঝেন এবং আমার বোলিং নিয়ে দারুণ কাজ করেন। বিপিএলে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। তবে এখন জিমে আরও মনোযোগী হয়ে নিজেকে ঠিক করছি এবং আগের মতো জোরে বল করার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগির আমার আগের ছন্দ ফিরে পাব।
প্রশ্ন: এ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
তানজিম: আমার লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো সার্ভিস দেওয়া। সেটা হোক বোলার হিসেবে কিংবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। আমি যে ম্যাচেই খেলি না কেন, দলকে জেতানোয় অবদান রাখতে চাই। যে দুই সংস্করণে আমার অভিষেক হয়েছে, দুটিতেই দল জিতেছে। ম্যাচে নিজেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ম্যাচ আমি অভিষেক ম্যাচ ভেবে খেলি এবং নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এখনো সেই চেষ্টাটাই করছি যেন প্রতিটি মুহূর্তে দলে অবদান রাখতে পারি।
প্রশ্ন: আক্রমণাত্মক মনোভাব আপনাকে বিশেষভাবে চিনিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর সব সময় চড়াও হ পছন্দ করেন?
তানজিম: প্রতিপক্ষ আমার কাছে সব সময়ই প্রতিপক্ষ। কেউ আমার বল সহজে খেলবে, সেটা মেনে নিতে পারি না। মাঠে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকে, তবে খেলার মজাও নেই। এটা আমার পেশা, তবে তার চেয়েও বেশি, এটি আমার আবেগ। মাঠে নামলে আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হার আমি একবারেই পছন্দ করি না। ম্যাচ শেষে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিই। প্রতিপক্ষ যাতে সহজে খেলতে না পারে, চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মনোভাব কাজ করে। বল করার সময় আমার প্রতিশ্রুতি থাকে, সহজে যেন আমার বল খেলতে না পারে। এই কারণেই আমার মধ্যে সেই আগ্রাসন চলে আসে। এটা আমাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখে, প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলে।
প্রশ্ন: খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে না পারাটা কতটা দুঃখজনক দেশের ক্রিকেটের জন্য?
তানজিম: তাঁদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। তাঁরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। যদি মাঠ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের সবার ভালো লাগত। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় আমরা মাঠেই ছিলাম, ওটা ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। তাঁকে মাঠে বিদায় দিতে পেরে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। প্রত্যেকের বিদায়ের ধরন আলাদা হয়। হয়তো এটাই ছিল তাঁদের নিয়তি। খুব বেশি সময় তাঁদের সঙ্গে খেলতে পারিনি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে তাঁদের নির্দেশনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২২ মিনিট আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৩ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য।
১৭ মার্চ ২০২৫
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৩ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য।
১৭ মার্চ ২০২৫
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৩ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। এই ম্যাচ দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও তা কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। এএফ বক্সিং প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাঁরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন।
লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
সকাল ১০টা
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১
নারী বিগ ব্যাশ
মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স
বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ফুটবল খেলা সরাসরি
ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র
রাত ১১টা
সরাসরি
ফিফা+
বাংলাদেশ ফুটবল লিগ
ব্রাদার্স-বসুন্ধরা
বেলা ২টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। এই ম্যাচ দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও তা কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। এএফ বক্সিং প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাঁরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন।
লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
সকাল ১০টা
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১
নারী বিগ ব্যাশ
মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স
বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
ফুটবল খেলা সরাসরি
ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র
রাত ১১টা
সরাসরি
ফিফা+
বাংলাদেশ ফুটবল লিগ
ব্রাদার্স-বসুন্ধরা
বেলা ২টা ৩০ মিনিট
সরাসরি
টি স্পোর্টস

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য।
১৭ মার্চ ২০২৫
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২২ মিনিট আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
২ ঘণ্টা আগে
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য।
১৭ মার্চ ২০২৫
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২২ মিনিট আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।
৩ ঘণ্টা আগে