Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

কেউ আমার বল সহজে খেলবে, মানতে পারি না

২০২৫ সালটা দারুণভাবে রাঙাতে চান তানজিম সাকিব। ছবি: এএফপি

কেউ আমাকে সহজে খেলবে, মানতে পারি না বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তানজিম হাসান সাকিব। আক্রমণাত্মক বোলিং ও মনোভাব দিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন তানজিম। তবে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাঁর ভালো যায়নি, ছিলেন উইকেটশূন্য। চোট কাটিয়ে পুনর্বাসন এবং সামনের একাধিক সিরিজ খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুই দিন আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২২ বছর বয়সী পেসার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কেমন যাচ্ছে? লিগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

তানজিম হাসান সাকিব: প্রিমিয়ার লিগে আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব নিখুঁত বোলিং করা। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে, বাউন্সার, ইয়র্কার—সব দিক থেকেই চেষ্টা করছি নিখুঁত বোলিং করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই নিখুঁত বোলিং দিয়েই। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলতে চাই। প্রতিটি ম্যাচে নিজের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: গত বছর প্রথমবারের মতো গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগ, শ্রীলঙ্কার লিগ বা পিএসএলের মতো লিগে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে আপনার?

তানজিম: গত বছর গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছি। এখনো আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। যদি জাতীয় দলের কোনো ব্যস্ততা না থাকে, আবারও গায়ানার হয়ে খেলব। আমি তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেছি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট থেকেও কোনো অফার আসেনি। তবে একজন বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন আছে। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা হয় অনন্য। কাউন্টিতে খেলে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল উন্নত করতে পারে এবং নতুন কৌশল শিখতে পারে।

প্রশ্ন: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। এই ব্যস্ত সূচিতে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন? আপনাদের নিয়ে বিসিবির কী নির্দেশনা আছে?

তানজিম: টানা দুই ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচ বিশ্রাম নেব। তবে যদি কোনো ম্যাচে ওয়ার্কলোড কম থাকে, তাহলে হয়তো তৃতীয় ম্যাচেও খেলতে পারব। আর যদি পুরোপুরি ওয়ার্কলোড থাকে, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নেব।

প্রশ্ন: শুরু থেকেই আপনি নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনার বোলিং গতি কমতে দেখা গেল (১৩৩–১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল)। চোটে পড়ায় বোলিংয়ের ছন্দ পেতে কি সমস্যা হচ্ছে?

তানজিম: সব সময় সর্বোচ্চটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমার কোচ নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে বাড়তি কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি আগের গতিতে বল করতে। তিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালো বোঝেন এবং আমার বোলিং নিয়ে দারুণ কাজ করেন। বিপিএলে চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। তবে এখন জিমে আরও মনোযোগী হয়ে নিজেকে ঠিক করছি এবং আগের মতো জোরে বল করার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগির আমার আগের ছন্দ ফিরে পাব।

প্রশ্ন: এ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

তানজিম: আমার লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো সার্ভিস দেওয়া। সেটা হোক বোলার হিসেবে কিংবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। আমি যে ম্যাচেই খেলি না কেন, দলকে জেতানোয় অবদান রাখতে চাই। যে দুই সংস্করণে আমার অভিষেক হয়েছে, দুটিতেই দল জিতেছে। ম্যাচে নিজেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। প্রতিটি ম্যাচ আমি অভিষেক ম্যাচ ভেবে খেলি এবং নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এখনো সেই চেষ্টাটাই করছি যেন প্রতিটি মুহূর্তে দলে অবদান রাখতে পারি।

প্রশ্ন: আক্রমণাত্মক মনোভাব আপনাকে বিশেষভাবে চিনিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর সব সময় চড়াও হ পছন্দ করেন?

তানজিম: প্রতিপক্ষ আমার কাছে সব সময়ই প্রতিপক্ষ। কেউ আমার বল সহজে খেলবে, সেটা মেনে নিতে পারি না। মাঠে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকে, তবে খেলার মজাও নেই। এটা আমার পেশা, তবে তার চেয়েও বেশি, এটি আমার আবেগ। মাঠে নামলে আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হার আমি একবারেই পছন্দ করি না। ম্যাচ শেষে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিই। প্রতিপক্ষ যাতে সহজে খেলতে না পারে, চাপে রাখতে আক্রমণাত্মক মনোভাব কাজ করে। বল করার সময় আমার প্রতিশ্রুতি থাকে, সহজে যেন আমার বল খেলতে না পারে। এই কারণেই আমার মধ্যে সেই আগ্রাসন চলে আসে। এটা আমাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখে, প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলে।

প্রশ্ন: খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে না পারাটা কতটা দুঃখজনক দেশের ক্রিকেটের জন্য?

তানজিম: তাঁদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। তাঁরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। যদি মাঠ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের সবার ভালো লাগত। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় আমরা মাঠেই ছিলাম, ওটা ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। তাঁকে মাঠে বিদায় দিতে পেরে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। প্রত্যেকের বিদায়ের ধরন আলাদা হয়। হয়তো এটাই ছিল তাঁদের নিয়তি। খুব বেশি সময় তাঁদের সঙ্গে খেলতে পারিনি, কিন্তু ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে তাঁদের নির্দেশনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

রুমান আহমেদ, সিলেট
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৪
মাহবুব আলী জাকি। ছবি: বিসিবি
মাহবুব আলী জাকি। ছবি: বিসিবি

বিপিএল উৎসবের মধ্যেই এল বিষাদের খবর। ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচের আগমুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দলটির সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দিনের প্রথম ম্যাচে আজ রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ঢাকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপরই আসে জাকির অসুস্থতার খবর।

হার্ট অ্যাটাক করলে মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর কাল বিলম্ব না করে হাসপাতালে নেওয়া হয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটর পরিচিতি এই কোচকে। কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

বিপিএল সামনে রেখে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাকি। সেখানে বেশ সাবলীলভাবেই কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে। এই কোচের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশের ক্রিকেটে, শোকাবহ পরিবেশ বিপিএলেও। জাকির চলে যাওয়ায় বিপিএল উৎসব যেন এই মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে।

লম্বা সময় ধরেই বিসিবির সঙ্গে কাজ করছেন জাকি। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ জয়ী সে দলের কোচিং প্যানেলে ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। দেশের অনেক নামকরা পেসারদের পরিচর্যা করেছেন জাকি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হালের মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। বিশেষ করে তাসকিনের কথা না বললেই নয়।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই গতি তারকার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে আইসিসি। এরপর জাকির সঙ্গে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেন তাসকিন। পরে পরীক্ষা দিয়ে অ্যাকশনের বৈধতা পান। তাসকিন, মোস্তাফিজ ছাড়াও আরও অনেক পেসারের সাফল্যের পেছনের নায়ক জাকি।

বিস্তারিত আসছে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ঢাকার কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৮
অধিনায়ক মিঠুনের সঙ্গে ঢাকার সহকারী কোচ। ছবি: বিসিবি
অধিনায়ক মিঠুনের সঙ্গে ঢাকার সহকারী কোচ। ছবি: বিসিবি

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। মাঠে নামার আগেই একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জ্যাকি। এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ক্যাপিটালস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপরই আসে জাকির অসুস্থতার খবর।

তাৎক্ষণিকভাবে জাকিকে সিপিআর দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জাকির অসুস্থ হওয়া নিয়ে এক বিবৃতিতে ঢাকা জানিয়েছে, অনুশীলনের সময় সহকারী কোচ মাহবুবু আলী জাকি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত সিপিআর দেওয়া হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তীতে আরও তথ্য জানানো হবে।’

বিপিএল সামনে রেখে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাকি। সেখানে বেশ সাবলীলভাবেই কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে। ম্যাচ শুরুর আগে জাকির অসুস্থ হওয়ার ঘটনা কিছুটা হলেও ধাক্কা হয়ে এসেছে ঢাকা শিবিরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ বছরের অপেক্ষা ফুরাল ইংল্যান্ডের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৩
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতল ইংলিশরা। ছবি: ক্রিকইনফো
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতল ইংলিশরা। ছবি: ক্রিকইনফো

অ্যাশেজ জয়ের ভাবনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গিয়ে ব্যর্থতার চক্রে আটকা পড়েছিল ইংল্যান্ড। টানা ৩ হারে আগেই ছাইদানি হাতছাড়া করেছে সফরকারী দল। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল তারা। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্টে অজিদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেন স্টোকসের দল।

এই জয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অ্যাশেজের কোনো ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। এর আগে সবশেষ ২০১০-১১ মৌসুমে তাসমান পাড়ের দেশটিতে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতেছিল ইংলিশরা। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সবশেষ তিনটি অ্যাশেজে কোনো ম্যাচ জিতেত পারেনি দলটি। অবশেষে ফুরাল সে অপেক্ষা। পার্থ, ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে ব্যর্থতার পর চলমান অ্যাশেজে প্রথমবারের মতো স্বস্তির দেখা পেল অতিথিরা। অ্যাশেজ হারের পরের ম্যাচেই সান্ত্বনা খুঁজে পেল ইংল্যান্ড। ১৮ ম্যাচের অপেক্ষা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় জয়ের দেখা পল তারা।

বোলারদের দাপটে মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনই ২০ উইকেট পড়েছে। দুইবার ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তাই ম্যাচটি যে দ্রুত শেষ হবে সেটা প্রথম দিনের খেলা শেষেই বোঝাই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত দুই দিনেই শেষ হলো মেলবোর্ন টেস্ট। ব্যতিক্রম কেবল চতুর্থ ইনিংস। আগের তিন ইনিংসে ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও এবার আর মুখ থুবড়ে পড়েনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দল।

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান এনে দেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। অন্তত এই টেস্টের ব্যাটারদের দুর্দশার বিপরীতে এমন জুটিতে ভালো বলতেই হয়। ভালো শুরুর পরও জয়ের পথটা সহজ ছিল না ইংল্যান্ডের। ব্রাইডন কার্স, জো রুট, স্টোকসরা আউট হয়ে দলকে চাপের মুখে ফেলেন। তবে চলতি অ্যাশেজে হতাশার গল্পটা আর দীর্ঘ হয়নি ইংল্যান্ডের। ছোট এবং মাঝারি মানের কয়েকটি ইনিংসে ভর করে এবারের অ্যাশেজের প্রথম জয়ের দেখা পায় স্টোকসরা।

৩৪ রান করা ডাকেটকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। দলীয় ৬৫ রানে ৬ রান করা কার্স ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। স্বাভাবিকভাবেই তখন চলতি টেস্টে ব্যাটারদের ব্যর্থতার বিষয়টি সামনে চলে আসছিল। তৃতীয় উইকেটে জ্যাকব বেথেলের সঙ্গে ৪৭ রানের মূল্যবান জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ক্রলি। ৩৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। জ্যাকব বেথেল আউট হন ৪০ রান করে। জয় থেকে তখন ৩৮ রান দূরে ইংল্যান্ড। এরপর জো রুট (১৫ রান) ও স্টোকস (২ রান) ফিরলেও আর কোনো বিপদে পড়তে হয়নি তাদের। হ্যারি ব্রুক ১৮ ও জেমি স্মিথ ৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্ত হতে পারলেন না রিকেলটন

ক্রীড়া ডেস্ক    
১১৩ রানের ইনিংস খেলেন রিকেলটন। ছবি: ক্রিকইনফো
১১৩ রানের ইনিংস খেলেন রিকেলটন। ছবি: ক্রিকইনফো

সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।

বিপিএলের মতো গতকাল মাঠে গড়িয়েছে এসএ টি–টোয়েন্টির নতুন পর্ব। উদ্বোধনী ম্যাচে ডারবান সুপারজায়ান্টসের কাছে ১৫ রানে হেরেছে এমআই কেপটাউন। ডারবানের করা ২৩২ রানের জবাবে ২১৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসের পরই ম্যাচের ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিল সবাই। কিন্তু ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন রিকেলটন। মুলত তাঁর ব্যাটেই পাহাড়সম রান টপকানোর স্বপ্ন দেখছিল কেপটাউন।

ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন রিকেলটন। ইথান বশের বলে ইভান জোন্সের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১১৩ রান। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৬৩ বলের ইনিংস। এক জেসন স্মিথ ছাড়া আর কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৪ বলে ৪১ রান এনে দেন স্মিথ। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৯২.৮৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস। রেজা হেনরিকস করেন ২৮ রান। তাঁর ২১ বলের ইনিংসটি পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে পারেনি। ডারবানের হয়ে ৪ উইকেট নেন ইথান। ৪ ওভারে এই পেসারের খরচ ৪৬ রান।

এর আগে দলীয় প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় ডারবান। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ডেভন কনওয়ে। কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এছাড়া এইডেন মার্করাম ৩৫, জোন্স ৩৩ ও হেনরিখ ক্লাসেন করেন ২২ রান। ৪৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত