Ajker Patrika

ধবলধোলাইয়ের ক্ষত মোছার লক্ষ্যে ভারতে মাহমুদউল্লাহরা

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৫৭
ধবলধোলাইয়ের ক্ষত মোছার লক্ষ্যে ভারতে মাহমুদউল্লাহরা

ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে হতাশ করেছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ কিছু করে লাল বলের হতাশা ঘোচানোর সুযোগ তাদের সামনে। আগামী রোববার থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরই মধ্যে আজ ভারত পৌঁছালেন টি-টোয়েন্টি দলের বাকি ১০ ক্রিকেটারও।

স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ক্রিকেটাররা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দারুণ প্রস্তুতিও সেরে গেছেন। ভারতের উড়ানে চড়ার আগে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব বললেন, ‘আমরা এখানে অনেক দিন ধরে অনুশীলন করছি। প্রস্তুতির দিক থেকে ভালো অবস্থানে আছি আমরা। সবাই সবার জায়গা থেকে একদম সেরা অবস্থায় আছে বলব। যার যে শক্তি ও দুর্বলতা সেটা নিয়ে কাজ করেছে।’

সর্বশেষে বিশ্বকাপের পর ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিম সাকিব। ভারতের বিপক্ষে সেই ছন্দে ধরে রাখার প্রত্যয় এই পেসারের, ‘আমি চেষ্টা করি যখনই যেখানে খেলব, একদম সেরাটা যেন খেলতে পারি। সামনে ভারত সিরিজ আছে, ওই জায়গায় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। অতীতে কী হয়েছে সেটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দেবে অবশ্যই। কিন্তু এটা আমি ও রকম মনে রাখতে চাই না। ভবিষ্যতে কী আছে সেটাতে আমি বেশি ফোকাস করতে চাই। ভারত সিরিজে চেষ্টা করব যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি।’

আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি, বাকি দুই ম্যাচ হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রাকিবুল হাসান নিতে চান চ্যালেঞ্জ, ‘চ্যালেঞ্জ সব সময় থাকে, এখন এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটা আমি ভালোবাসি খেলতে। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে, কীভাবে ভালো করা যায় সেটাই বড় লক্ষ্য থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত

খেলোয়াড়ি জীবনে শোয়েব আখতার ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম। তাঁর গতিময় বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হতো বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। এমন কথাও প্রচলিত আছে, সাবেক পেসারের সামনে ব্যাট করতে পা কাঁপতো অনেকের। শোয়েবের গতি সামাল দিতে না পেরে মাঠেই বড় ধরনের আঘাত পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার।

যাঁকে নিয়ে ব্যাটারদের এত ভয় ছিল, সেই শোয়েব আখতারও একজনকে ভীষণ ভয় পেতেন। তিনি সাবেক পেসারের মা হামিদা আওয়ান। ভয় পাওয়ার পাশাপাশি মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন শোয়েব। তাই সব সময় মায়ের হুকুম মেনে চলতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হামিদা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন শোয়েব।

আরও আগেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন শোয়েব। বিদায় বললেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই তিনি। কখনো টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষক আবার কখনো পরামর্শ হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিকেট নিয়ে সমসাময়িক আলোচনা-সমালোচনা করেন। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হন শোয়েব। সেখানেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রয়াত মায়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

শোয়েব বলেন, ‘আমি আমার মাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম। আমি তাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম এবং সবচেয়ে বেশি ভয়ও পেতাম। যখনই তিনি আমাকে কিছু করতে বলতেন, কখনোই না বলতে পারতাম না। তাই সবসময় তাঁর কথা শুনতাম এবং নিশ্চিত করতাম যে কখনো যেন মাকে না বলতে না হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সবসময় তাঁর কথা শুনেছি। মাকে যতটা ভয় পেতাম, তার চেয়েও বেশি ভয় পাই আল্লাহকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে ‘ঘর’ মনে করেন শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের ভূমিকায় আছেন সাবেক পাকিস্তানি তারকা। ছবি: ক্রিকইনফো

আগেও বহুবার বাংলাদেশের প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। আরও একবার তেমন কিছুরই পুনরাবৃত্তি করলেন সাবেক এই গতি তারকা। জানালেন, জন্মভূমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তিনি।

নিজের ইউটিউবে দেওয়া এক ভিডিওতে শোয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশে যাচ্ছি। আমি পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশে বেশি ভালোবাসি। আমি সবসময় বলেছি যে, বাংলাদেশীরা আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষদের মধ্যে অন্যতম। বাঙালিদের দেখলে আমার খুব গর্ব হয়। সেটা হোক বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি।’

বাংলাদেশিদের প্রশংসায় শোয়েব আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, যারা সবচেয়ে বুদ্ধিমান, তারাই সবচেয়ে বড় এবং সাহসী। অনেকেই এটা বুঝতে পারে না। কিন্তু আমি বুঝতে পারি কারণ আমি বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তুমি সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের চেনো, আমি তাদের জন্য শুভকামনা জানাই। আমি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। কিছুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বেশকিছু কার্যক্রমে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর ফিরেও যান। মাঠের লড়াই শুরু হতেই আরও একদফা বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে কাজ করছেন শোয়েব। মেন্টর হিসেবে তাঁর কাজ হবে ঢাকার বোলারদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা, আত্মবিশ্বাস যোগানো এবং ম্যাচ জেতার কৌশল শেখানো। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন শোয়েব। বিষয়টি এর আগেও জানিয়েছেন তিনি। বিপিএলে ঢাকার স্কোয়াডেই আছেন তাসকিন। তাই শোয়েবের কাছ থেকে শেখার সুযোগ থাকছে এই পেসারের জন্য। তাসকিন ছাড়াও ঢাকার স্কোয়াডে আছেন জিয়া উর রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, দাসুন শানাকা, মারুফ মৃধাদের মতো পেসাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে তাঁরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপে তারকা ক্রিকেটারদের চান অস্ট্রেলিয়ার কোচ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপে তারকা ক্রিকেটারদের চান অস্ট্রেলিয়ার কোচ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার চিন্তার নাম চোট। চোটের কারণে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, টিম ডেভিডদের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু শঙ্কা উড়িয়ে এই তিনজনকে রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন অজিদের কোচ ও নির্বাচক অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।

গত জুলাইয়ে পিঠে চোট পান কামিন্স। চলতি অ্যাশেজের অ্যাডিলেড টেস্ট দিয়ে বাইশ গজে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। সে ম্যাচ খেলে আবার এই বোলিং অলরাউন্ডারকে বিশ্রাম দেয় অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজলউড ভুগছেন হ্যামস্ট্রিং ও অ্যাকিলিসের সমস্যায়। সম্প্রতি বিগ ব্যাশে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েছেন ডেভিড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ২ জানুয়ারি অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। সেই সুযোগটাই নিতে অস্ট্রেলিয়া। জানুয়ারির শেষদিকে কামিন্সের আরেকটি স্ক্যান করাবে তারা। রিপোর্ট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ’ ১৫ সদস্যের দলে কামিন্সকে রাখা হবে। চার সপ্তাহ পর ওর আরেকটি স্ক্যান করানো হবে। তখনই আমরা বুঝতে পারব যে সে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না। সবকিছু বুঝে-শুনে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

হ্যাজলউড ও ডেভিডকে নিয়ে অজি কোচ বলেন, ‘সে (হ্যাজলউড) বোলিংয়ে ফিরছে। আশা করছি যথা সময়ের মধ্যেই সে ভালো অবস্থায় থাকবে। টিমের (টিম ডেভিড) চোট সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। চোট যেমন ধরনেরই হোক, আশা করছি আমরা ওকে বিশ্বকাপে পাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোটের কাছে হার মেনে ক্রিকেট ছাড়লেন ব্রেসওয়েল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এই পেসার। ছবি: এনজেডসি
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এই পেসার। ছবি: এনজেডসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন ২০১১ সালের অক্টোবরে। লম্বা সময় চলে গেলেও নিউজিল্যান্ড দলে নিয়মিত হতে পারেননি ডগ ব্রেসওয়েল। এর পেছনে প্রধান বাধা ছিল চোট। বিভিন্ন সময়ে চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠলেন না। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন এই কিউই পেসার।

ব্রেসওয়েলের ক্যারিয়ার থামল ২৮ টেস্ট, ২১ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি খেলে। ৩ সংস্করণে নিয়েছেন মোট ১২০ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে তাঁকে সবশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালের মার্চে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্ট। সবশেষ গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এসেক্সের হয়ে খেলতে দেখা গেছে ব্রেসওয়েলকে। চোটের কারণে চলতি বছর চারটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বললেন এই বোলার।

নিউজিল্যান্ডের একটি স্মরণীয় জয়ের নায়ক ব্রেসওয়েল। ২০১১ সালে হোবার্ট টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপরা। সেটা ছিল অজিদের মাঠে ২৬ বছরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়। সে ম্যাচের দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ব্রেসওয়েল।

অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে ব্রেসওয়েল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের এক গর্বের অধ্যায়। ক্রিকেট শুরুর পর থেকেই আমি এমন কিছুর স্বপ্ন দেখতাম। ক্রিকেট আমাকে যে সুযোগগুলো দিয়েছে, তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। নিজের দেশের হয়ে খেলার সুযোগ, পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য বিশেষ সম্মানের। প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সত্যিই এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলতে পারা এবং উপভোগ করতে পারার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত