আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য। তাসকিন, মোস্তাফিজ, রিশাদরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভারতীয় ব্যাটারদের কাজটাকে কঠিন করার চেষ্টা করেছেন বটে; কিন্তু ভারতকে কক্ষচ্যুত করা যায়নি! ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে গেছে তারা।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশ বোলারদের, যেমনটা ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশকে দিয়েছিল ৩৫ রানেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু তাসকিনরা তা পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে শুধু রোহিতকে হারিয়ে ভারত তুলে ফেলে ৬৯ রান। পরে কোহলি (২২), শ্রেয়াস আইয়ার (১৫), অক্ষর প্যাটেলও (৮) আউট হয়ে গেলেও আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যায় ভারত। অবশ্য বাংলাদেশ ফিল্ডাররা রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া এবং ক্যাচ ড্রপ না করলে আরও ২টি উইকেট পড়তে পারত ভারতের। কিন্তু হার এড়াতে পারতেন না শান্তরা।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতকে শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছন্ন ৮৭ রানের জুটি ভারতের জয় নিশ্চিত করে। ৪৭ বলে ৪১ রান করেন রাহুল। ম্যাচসেরা গিল অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তাঁর ১২৯ বলের ইনিংসটিতে আছে ৯ চার ও ২ ছয়। বল হাতে রিশাদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। ১টি করে তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
হারলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতেছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসটি ছিল বিরুদ্ধস্রোতে তাঁর ও জাকির আলীর প্রতিরোধের গল্প। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরই তাঁরা যোগ করেন ১৫৪ রান। ভারতের বিপক্ষে তো বটেই, ষষ্ঠ উইকেটে এটি ওয়ানডেতে যেকোনো দলের বিপক্ষেই সবচেয়ে বড় জুটি। অথচ কী ধ্বংসস্তূপের ওপরই না দাঁড়িয়ে এই জুটি গড়েছেন তাঁরা!
টস জেতার হাসিটা শুধু হেসেছিলেন শান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং বেছে নিলে স্মিত হাসি হেসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতই। পরে তো মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে তিনি বলেই দিলেন, ‘টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই বেছে নিতেন!’ বড় ইনিংস গড়ার যে আশায় আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শান্ত, অধিনায়কের সে আশা পূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ৩৫ রানেই গায়েব দলের পাঁচ উইকেট!
প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার আউট। মোহাম্মদ শামিকে ড্রাইভ খেলতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারে আউট অধিনায়ক শান্ত। মুখে ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া’র কথা বললেও তাঁর ব্যাটিংটাই যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি! হর্ষিত রানার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে এমন শট খেলার কোনো মানে হয় না! অধিনায়কের বিদায়ে স্কোরবোর্ডের বাংলাদেশ—২/২!
তিনে ব্যাটিংয়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গায় পতনের মিছিলে শামিল হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শামির দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। এরপর হতাশ করেছেন তানজিম হাসান (২৫)। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বল হাতে নেওয়া অক্ষর প্যাটেলের বল অফ সাইডে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। অনেক বিপর্যয়েই দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়া মুশফিক অক্ষরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন লোকেশ রাহুলের। সৌম্য, শান্তর মতো ‘ডাক’ মেরেছেন তিনিও। এখানে বলে রাখা ভালো, তানজিম সাকিবকে ধরে বাংলাদেশ ইনিংসে ৪ ব্যাটারই আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
পরপর দুই বলে তানজিদ ও সৌম্যকে আউট করা অক্ষর হ্যাটট্রিকের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাকের আলী। রোহিত সেটি ধরতে না পারায় বেঁচে যান জাকের। সেঞ্চুরিয়ান হৃদয়ও একবার ‘জীবন’ পেয়েছেন। কুলদীপ যাদবের বলে তাঁর ক্যাচ ড্রপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এই ‘জীবন’ পাওয়াটাই প্রতিরোধের সাহস জুগিয়েছে তাঁদের। ৩৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর যখন বাংলাদেশের অতি অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শুরু হয়ে গেছে, তখন ভারতীয় ফিল্ডারদের এই পিচ্ছিল হাত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে হৃদয়-জাকেরই; যা কাজে লাগিয়ে ধৈর্য, রক্ষণ ও আগ্রাসনের মিশেলে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
১১৪ বলে ৪টি চারে ৬৮ রান করে জাকের শামির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তবে উইকেটে ব্যাটিং দৃঢ়তার প্রদর্শন অব্যাহত রাখেন হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯০-এর ঘরে পৌঁছানোর পর পেশিতে টান পড়ে হৃদয়ের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেই রানের তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন হৃদয়। হৃদয়ের হৃদয় জেতা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশকে থামতে হয় ২২৮ রানে।

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য। তাসকিন, মোস্তাফিজ, রিশাদরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভারতীয় ব্যাটারদের কাজটাকে কঠিন করার চেষ্টা করেছেন বটে; কিন্তু ভারতকে কক্ষচ্যুত করা যায়নি! ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে গেছে তারা।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশ বোলারদের, যেমনটা ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশকে দিয়েছিল ৩৫ রানেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু তাসকিনরা তা পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে শুধু রোহিতকে হারিয়ে ভারত তুলে ফেলে ৬৯ রান। পরে কোহলি (২২), শ্রেয়াস আইয়ার (১৫), অক্ষর প্যাটেলও (৮) আউট হয়ে গেলেও আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যায় ভারত। অবশ্য বাংলাদেশ ফিল্ডাররা রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া এবং ক্যাচ ড্রপ না করলে আরও ২টি উইকেট পড়তে পারত ভারতের। কিন্তু হার এড়াতে পারতেন না শান্তরা।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতকে শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছন্ন ৮৭ রানের জুটি ভারতের জয় নিশ্চিত করে। ৪৭ বলে ৪১ রান করেন রাহুল। ম্যাচসেরা গিল অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তাঁর ১২৯ বলের ইনিংসটিতে আছে ৯ চার ও ২ ছয়। বল হাতে রিশাদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। ১টি করে তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
হারলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতেছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসটি ছিল বিরুদ্ধস্রোতে তাঁর ও জাকির আলীর প্রতিরোধের গল্প। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরই তাঁরা যোগ করেন ১৫৪ রান। ভারতের বিপক্ষে তো বটেই, ষষ্ঠ উইকেটে এটি ওয়ানডেতে যেকোনো দলের বিপক্ষেই সবচেয়ে বড় জুটি। অথচ কী ধ্বংসস্তূপের ওপরই না দাঁড়িয়ে এই জুটি গড়েছেন তাঁরা!
টস জেতার হাসিটা শুধু হেসেছিলেন শান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং বেছে নিলে স্মিত হাসি হেসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতই। পরে তো মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে তিনি বলেই দিলেন, ‘টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই বেছে নিতেন!’ বড় ইনিংস গড়ার যে আশায় আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শান্ত, অধিনায়কের সে আশা পূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ৩৫ রানেই গায়েব দলের পাঁচ উইকেট!
প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার আউট। মোহাম্মদ শামিকে ড্রাইভ খেলতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারে আউট অধিনায়ক শান্ত। মুখে ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া’র কথা বললেও তাঁর ব্যাটিংটাই যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি! হর্ষিত রানার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে এমন শট খেলার কোনো মানে হয় না! অধিনায়কের বিদায়ে স্কোরবোর্ডের বাংলাদেশ—২/২!
তিনে ব্যাটিংয়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গায় পতনের মিছিলে শামিল হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শামির দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। এরপর হতাশ করেছেন তানজিম হাসান (২৫)। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বল হাতে নেওয়া অক্ষর প্যাটেলের বল অফ সাইডে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। অনেক বিপর্যয়েই দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়া মুশফিক অক্ষরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন লোকেশ রাহুলের। সৌম্য, শান্তর মতো ‘ডাক’ মেরেছেন তিনিও। এখানে বলে রাখা ভালো, তানজিম সাকিবকে ধরে বাংলাদেশ ইনিংসে ৪ ব্যাটারই আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
পরপর দুই বলে তানজিদ ও সৌম্যকে আউট করা অক্ষর হ্যাটট্রিকের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাকের আলী। রোহিত সেটি ধরতে না পারায় বেঁচে যান জাকের। সেঞ্চুরিয়ান হৃদয়ও একবার ‘জীবন’ পেয়েছেন। কুলদীপ যাদবের বলে তাঁর ক্যাচ ড্রপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এই ‘জীবন’ পাওয়াটাই প্রতিরোধের সাহস জুগিয়েছে তাঁদের। ৩৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর যখন বাংলাদেশের অতি অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শুরু হয়ে গেছে, তখন ভারতীয় ফিল্ডারদের এই পিচ্ছিল হাত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে হৃদয়-জাকেরই; যা কাজে লাগিয়ে ধৈর্য, রক্ষণ ও আগ্রাসনের মিশেলে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
১১৪ বলে ৪টি চারে ৬৮ রান করে জাকের শামির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তবে উইকেটে ব্যাটিং দৃঢ়তার প্রদর্শন অব্যাহত রাখেন হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯০-এর ঘরে পৌঁছানোর পর পেশিতে টান পড়ে হৃদয়ের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেই রানের তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন হৃদয়। হৃদয়ের হৃদয় জেতা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশকে থামতে হয় ২২৮ রানে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য। তাসকিন, মোস্তাফিজ, রিশাদরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভারতীয় ব্যাটারদের কাজটাকে কঠিন করার চেষ্টা করেছেন বটে; কিন্তু ভারতকে কক্ষচ্যুত করা যায়নি! ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে গেছে তারা।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশ বোলারদের, যেমনটা ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশকে দিয়েছিল ৩৫ রানেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু তাসকিনরা তা পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে শুধু রোহিতকে হারিয়ে ভারত তুলে ফেলে ৬৯ রান। পরে কোহলি (২২), শ্রেয়াস আইয়ার (১৫), অক্ষর প্যাটেলও (৮) আউট হয়ে গেলেও আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যায় ভারত। অবশ্য বাংলাদেশ ফিল্ডাররা রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া এবং ক্যাচ ড্রপ না করলে আরও ২টি উইকেট পড়তে পারত ভারতের। কিন্তু হার এড়াতে পারতেন না শান্তরা।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতকে শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছন্ন ৮৭ রানের জুটি ভারতের জয় নিশ্চিত করে। ৪৭ বলে ৪১ রান করেন রাহুল। ম্যাচসেরা গিল অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তাঁর ১২৯ বলের ইনিংসটিতে আছে ৯ চার ও ২ ছয়। বল হাতে রিশাদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। ১টি করে তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
হারলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতেছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসটি ছিল বিরুদ্ধস্রোতে তাঁর ও জাকির আলীর প্রতিরোধের গল্প। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরই তাঁরা যোগ করেন ১৫৪ রান। ভারতের বিপক্ষে তো বটেই, ষষ্ঠ উইকেটে এটি ওয়ানডেতে যেকোনো দলের বিপক্ষেই সবচেয়ে বড় জুটি। অথচ কী ধ্বংসস্তূপের ওপরই না দাঁড়িয়ে এই জুটি গড়েছেন তাঁরা!
টস জেতার হাসিটা শুধু হেসেছিলেন শান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং বেছে নিলে স্মিত হাসি হেসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতই। পরে তো মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে তিনি বলেই দিলেন, ‘টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই বেছে নিতেন!’ বড় ইনিংস গড়ার যে আশায় আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শান্ত, অধিনায়কের সে আশা পূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ৩৫ রানেই গায়েব দলের পাঁচ উইকেট!
প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার আউট। মোহাম্মদ শামিকে ড্রাইভ খেলতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারে আউট অধিনায়ক শান্ত। মুখে ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া’র কথা বললেও তাঁর ব্যাটিংটাই যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি! হর্ষিত রানার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে এমন শট খেলার কোনো মানে হয় না! অধিনায়কের বিদায়ে স্কোরবোর্ডের বাংলাদেশ—২/২!
তিনে ব্যাটিংয়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গায় পতনের মিছিলে শামিল হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শামির দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। এরপর হতাশ করেছেন তানজিম হাসান (২৫)। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বল হাতে নেওয়া অক্ষর প্যাটেলের বল অফ সাইডে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। অনেক বিপর্যয়েই দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়া মুশফিক অক্ষরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন লোকেশ রাহুলের। সৌম্য, শান্তর মতো ‘ডাক’ মেরেছেন তিনিও। এখানে বলে রাখা ভালো, তানজিম সাকিবকে ধরে বাংলাদেশ ইনিংসে ৪ ব্যাটারই আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
পরপর দুই বলে তানজিদ ও সৌম্যকে আউট করা অক্ষর হ্যাটট্রিকের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাকের আলী। রোহিত সেটি ধরতে না পারায় বেঁচে যান জাকের। সেঞ্চুরিয়ান হৃদয়ও একবার ‘জীবন’ পেয়েছেন। কুলদীপ যাদবের বলে তাঁর ক্যাচ ড্রপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এই ‘জীবন’ পাওয়াটাই প্রতিরোধের সাহস জুগিয়েছে তাঁদের। ৩৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর যখন বাংলাদেশের অতি অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শুরু হয়ে গেছে, তখন ভারতীয় ফিল্ডারদের এই পিচ্ছিল হাত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে হৃদয়-জাকেরই; যা কাজে লাগিয়ে ধৈর্য, রক্ষণ ও আগ্রাসনের মিশেলে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
১১৪ বলে ৪টি চারে ৬৮ রান করে জাকের শামির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তবে উইকেটে ব্যাটিং দৃঢ়তার প্রদর্শন অব্যাহত রাখেন হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯০-এর ঘরে পৌঁছানোর পর পেশিতে টান পড়ে হৃদয়ের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেই রানের তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন হৃদয়। হৃদয়ের হৃদয় জেতা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশকে থামতে হয় ২২৮ রানে।

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য। তাসকিন, মোস্তাফিজ, রিশাদরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভারতীয় ব্যাটারদের কাজটাকে কঠিন করার চেষ্টা করেছেন বটে; কিন্তু ভারতকে কক্ষচ্যুত করা যায়নি! ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে গেছে তারা।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশ বোলারদের, যেমনটা ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশকে দিয়েছিল ৩৫ রানেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু তাসকিনরা তা পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে শুধু রোহিতকে হারিয়ে ভারত তুলে ফেলে ৬৯ রান। পরে কোহলি (২২), শ্রেয়াস আইয়ার (১৫), অক্ষর প্যাটেলও (৮) আউট হয়ে গেলেও আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যায় ভারত। অবশ্য বাংলাদেশ ফিল্ডাররা রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া এবং ক্যাচ ড্রপ না করলে আরও ২টি উইকেট পড়তে পারত ভারতের। কিন্তু হার এড়াতে পারতেন না শান্তরা।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতকে শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছন্ন ৮৭ রানের জুটি ভারতের জয় নিশ্চিত করে। ৪৭ বলে ৪১ রান করেন রাহুল। ম্যাচসেরা গিল অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তাঁর ১২৯ বলের ইনিংসটিতে আছে ৯ চার ও ২ ছয়। বল হাতে রিশাদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। ১টি করে তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
হারলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতেছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসটি ছিল বিরুদ্ধস্রোতে তাঁর ও জাকির আলীর প্রতিরোধের গল্প। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরই তাঁরা যোগ করেন ১৫৪ রান। ভারতের বিপক্ষে তো বটেই, ষষ্ঠ উইকেটে এটি ওয়ানডেতে যেকোনো দলের বিপক্ষেই সবচেয়ে বড় জুটি। অথচ কী ধ্বংসস্তূপের ওপরই না দাঁড়িয়ে এই জুটি গড়েছেন তাঁরা!
টস জেতার হাসিটা শুধু হেসেছিলেন শান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং বেছে নিলে স্মিত হাসি হেসেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতই। পরে তো মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে তিনি বলেই দিলেন, ‘টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই বেছে নিতেন!’ বড় ইনিংস গড়ার যে আশায় আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শান্ত, অধিনায়কের সে আশা পূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ৩৫ রানেই গায়েব দলের পাঁচ উইকেট!
প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার আউট। মোহাম্মদ শামিকে ড্রাইভ খেলতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পরের ওভারে আউট অধিনায়ক শান্ত। মুখে ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া’র কথা বললেও তাঁর ব্যাটিংটাই যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি! হর্ষিত রানার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে এমন শট খেলার কোনো মানে হয় না! অধিনায়কের বিদায়ে স্কোরবোর্ডের বাংলাদেশ—২/২!
তিনে ব্যাটিংয়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গায় পতনের মিছিলে শামিল হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শামির দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। এরপর হতাশ করেছেন তানজিম হাসান (২৫)। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বল হাতে নেওয়া অক্ষর প্যাটেলের বল অফ সাইডে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। অনেক বিপর্যয়েই দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়া মুশফিক অক্ষরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন লোকেশ রাহুলের। সৌম্য, শান্তর মতো ‘ডাক’ মেরেছেন তিনিও। এখানে বলে রাখা ভালো, তানজিম সাকিবকে ধরে বাংলাদেশ ইনিংসে ৪ ব্যাটারই আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
পরপর দুই বলে তানজিদ ও সৌম্যকে আউট করা অক্ষর হ্যাটট্রিকের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাকের আলী। রোহিত সেটি ধরতে না পারায় বেঁচে যান জাকের। সেঞ্চুরিয়ান হৃদয়ও একবার ‘জীবন’ পেয়েছেন। কুলদীপ যাদবের বলে তাঁর ক্যাচ ড্রপ করেন হার্দিক পান্ডিয়া।
এই ‘জীবন’ পাওয়াটাই প্রতিরোধের সাহস জুগিয়েছে তাঁদের। ৩৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর যখন বাংলাদেশের অতি অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শুরু হয়ে গেছে, তখন ভারতীয় ফিল্ডারদের এই পিচ্ছিল হাত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে হৃদয়-জাকেরই; যা কাজে লাগিয়ে ধৈর্য, রক্ষণ ও আগ্রাসনের মিশেলে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
১১৪ বলে ৪টি চারে ৬৮ রান করে জাকের শামির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তবে উইকেটে ব্যাটিং দৃঢ়তার প্রদর্শন অব্যাহত রাখেন হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯০-এর ঘরে পৌঁছানোর পর পেশিতে টান পড়ে হৃদয়ের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেই রানের তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন হৃদয়। হৃদয়ের হৃদয় জেতা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশকে থামতে হয় ২২৮ রানে।

পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের
২ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
৩ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আজ চার ম্যাচের তিনটিরই পরিণতি হয়েছে ড্র। কিংস অ্যারেনায় এগিয়ে যেতে ৫ মিনিট সময় লাগে কিংসের। মাঝমাঠে ইয়াসিন খানের ভুল পাস চলে যায় দোরিয়েলতন গোমেসের কাছে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দেওয়া থ্রু পাস কাজে লাগিয়ে জাল কাঁপান রাকিব হোসেন।
১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমানুয়েল সানডে। এবারও গোলের জোগানদাতা দোরিয়েলতন। তাঁর কাছ থেকে ফাঁকায় পাওয়া বল জালে পাঠাতে কোনো অসুবিধা হয়নি সানডের। জোড়া ধাক্কার পর গা ঝারা দিয়ে ওঠে আবাহনী। ১৯ মিনিটে বক্সের ভেতর মিরাজুল ইসলাম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা। সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন দিয়াবাতে।
বিরতির পর সমতায় আসে আকাশি-নীলরা। ৫০ মিনিটে মোরসালিনের সঙ্গে ওয়ান টু করে দিয়াবাতে পান দ্বিতীয় গোলের দেখা। মালির এই স্ট্রাইকের হ্যাটট্রিকের কাছেও ছিলেন। ৭০ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় আবাহনী। কিংসের ডিফেন্ডার এমানুয়েল টনি অদ্ভুত এক ভুল করে বসেন। অফসাইড ভেবে বক্সের মধ্যেই বল হাত দিয়ে ধরে ফেলেন! পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু দিয়াবাতের শট এবার ফিরিয়ে দেন কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান। তাতে এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর।
ফলে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে কিংস। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আবাহনী। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এনিয়ে টানা ৩ ম্যাচ জয়হীন থাকল তারা। ২৪ মিনিটে সলোমোন কিংয়ের পাস থেকে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায় অভিষেক লিম্বুর গোলে। বিরতির পর মোহামেডানকে সমতায় ফেরান স্যামুয়েল বোয়াটেং। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাদা কালোরা আছে ছয়ে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রহমতগঞ্জ।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তাদের এগিয়ে দেন বেন ইব্রাহিম। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরিয়ান হোসেন। বিরতির পর উত্তাপ ছড়ায় ম্যাচে। ৫০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ফকিরেরপুলের শিহাব মিয়া। ৮০ পেনাল্টি থেকে মিনহাজুল স্বাধীন ব্যবধান কমালেও পিডব্লিউডির হার এড়াতে পারেননি।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ফর্টিস এফসি। ২১ মিনিটে মোলতাজিম আলম হিমেলের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। বিরতির পর ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফর্টিসকে সমতায় ফেরান পা ওমর বাবু।১৫ পয়েন্ট কিংসের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ফর্টিস।

পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আজ চার ম্যাচের তিনটিরই পরিণতি হয়েছে ড্র। কিংস অ্যারেনায় এগিয়ে যেতে ৫ মিনিট সময় লাগে কিংসের। মাঝমাঠে ইয়াসিন খানের ভুল পাস চলে যায় দোরিয়েলতন গোমেসের কাছে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দেওয়া থ্রু পাস কাজে লাগিয়ে জাল কাঁপান রাকিব হোসেন।
১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমানুয়েল সানডে। এবারও গোলের জোগানদাতা দোরিয়েলতন। তাঁর কাছ থেকে ফাঁকায় পাওয়া বল জালে পাঠাতে কোনো অসুবিধা হয়নি সানডের। জোড়া ধাক্কার পর গা ঝারা দিয়ে ওঠে আবাহনী। ১৯ মিনিটে বক্সের ভেতর মিরাজুল ইসলাম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা। সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন দিয়াবাতে।
বিরতির পর সমতায় আসে আকাশি-নীলরা। ৫০ মিনিটে মোরসালিনের সঙ্গে ওয়ান টু করে দিয়াবাতে পান দ্বিতীয় গোলের দেখা। মালির এই স্ট্রাইকের হ্যাটট্রিকের কাছেও ছিলেন। ৭০ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় আবাহনী। কিংসের ডিফেন্ডার এমানুয়েল টনি অদ্ভুত এক ভুল করে বসেন। অফসাইড ভেবে বক্সের মধ্যেই বল হাত দিয়ে ধরে ফেলেন! পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু দিয়াবাতের শট এবার ফিরিয়ে দেন কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান। তাতে এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর।
ফলে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে কিংস। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আবাহনী। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এনিয়ে টানা ৩ ম্যাচ জয়হীন থাকল তারা। ২৪ মিনিটে সলোমোন কিংয়ের পাস থেকে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায় অভিষেক লিম্বুর গোলে। বিরতির পর মোহামেডানকে সমতায় ফেরান স্যামুয়েল বোয়াটেং। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাদা কালোরা আছে ছয়ে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রহমতগঞ্জ।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তাদের এগিয়ে দেন বেন ইব্রাহিম। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরিয়ান হোসেন। বিরতির পর উত্তাপ ছড়ায় ম্যাচে। ৫০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ফকিরেরপুলের শিহাব মিয়া। ৮০ পেনাল্টি থেকে মিনহাজুল স্বাধীন ব্যবধান কমালেও পিডব্লিউডির হার এড়াতে পারেননি।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ফর্টিস এফসি। ২১ মিনিটে মোলতাজিম আলম হিমেলের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। বিরতির পর ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফর্টিসকে সমতায় ফেরান পা ওমর বাবু।১৫ পয়েন্ট কিংসের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ফর্টিস।

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
৩ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
জাকির মৃত্যুসংবাদ যখন আসে, তখন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট করছে রাজশাহী। ম্যাচ চলায় ক্রিকেটারদের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ ছিল না। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই ঢাকা ও রাজশাহীর ক্রিকেটাররা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অসুস্থ হওয়ার পর জাকিকে মাঠে কিছুক্ষণ সিপিআর দিয়ে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই আসে মৃত্যুসংবাদ। এরপর লাশ আনা হয় সিলেট স্টেডিয়ামে। জাকির চলে যাওয়ার দিনে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। দুই দলের ম্যাচ শেষে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় মুশফিককে। কেঁদেছেন শরিফুল ইসলামসহ অন্য ক্রিকেটাররাও। জাকির সঙ্গে মুশফিকের সম্পর্কটা ২৫ বছরের। অনূর্ধ্ব ১৯ দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), একাডেমি থেকে জাতীয় দল—সব জায়গাতেই প্রয়াত এই কোচ ছিলেন মুশফিকের অভিভাবকের মতো। দেশের নামকরা সব ক্রিকেটারের বিপদের দিনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জাকি। এবার তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।
জাকির মৃত্যুতে মাতম চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ঢাকা ক্যাপিটালস।
রাজশাহীর বিপক্ষে জয় জাকিকে উৎসর্গ করেছে ঢাকা। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের খবর। জাকি স্যার মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও দোয়া রইল। তবে একটি ভালো জয়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি। তিনি আমাদের কাছে অনেকটা বাবার মতো ছিলেন। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমরা যখনই কোনো ম্যাচ খেলি, জেতার জন্যই খেলি। এই জয় আমি জাকি স্যারকে উৎসর্গ করছি। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
জাকির মৃত্যুসংবাদ যখন আসে, তখন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট করছে রাজশাহী। ম্যাচ চলায় ক্রিকেটারদের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ ছিল না। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই ঢাকা ও রাজশাহীর ক্রিকেটাররা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অসুস্থ হওয়ার পর জাকিকে মাঠে কিছুক্ষণ সিপিআর দিয়ে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই আসে মৃত্যুসংবাদ। এরপর লাশ আনা হয় সিলেট স্টেডিয়ামে। জাকির চলে যাওয়ার দিনে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। দুই দলের ম্যাচ শেষে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় মুশফিককে। কেঁদেছেন শরিফুল ইসলামসহ অন্য ক্রিকেটাররাও। জাকির সঙ্গে মুশফিকের সম্পর্কটা ২৫ বছরের। অনূর্ধ্ব ১৯ দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), একাডেমি থেকে জাতীয় দল—সব জায়গাতেই প্রয়াত এই কোচ ছিলেন মুশফিকের অভিভাবকের মতো। দেশের নামকরা সব ক্রিকেটারের বিপদের দিনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জাকি। এবার তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।
জাকির মৃত্যুতে মাতম চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ঢাকা ক্যাপিটালস।
রাজশাহীর বিপক্ষে জয় জাকিকে উৎসর্গ করেছে ঢাকা। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের খবর। জাকি স্যার মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও দোয়া রইল। তবে একটি ভালো জয়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি। তিনি আমাদের কাছে অনেকটা বাবার মতো ছিলেন। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমরা যখনই কোনো ম্যাচ খেলি, জেতার জন্যই খেলি। এই জয় আমি জাকি স্যারকে উৎসর্গ করছি। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের
২ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবুও মেলবোর্নে প্রচুর পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় প্রথম তিন দিনের। প্রথম দিনে রেকর্ড ৯৪,১৯৯ হাজার দর্শকের উপস্থিতির কারণে পুরো বক্সিং ডে টেস্টে দর্শকসংখ্যার নতুন রেকর্ড গড়ার আশা করা হয়েছিল । কিন্তু দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টও দুই দিনে শেষ হয়।তাতে প্রায় ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৪১ কোটি টাকা) ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এক দিনে ২০ উইকেট পড়ার ঘটনা বাড়াবাড়ি কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোট করে বললে, হ্যাঁ (বাড়াবাড়ি)। একজন ভক্ত হিসেবে এটি দেখতে যতটা মন্ত্রমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক ছিল, আমরা স্পষ্টতই চাই টেস্ট ক্রিকেট আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলুক।’
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘সহজভাবে বলতে চাই— ছোট টেস্ট ম্যাচ ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। এর চেয়ে সরাসরি কথা আর হতে পারে না। তাই আমি ব্যাট এবং বলের মধ্যে আরও ভারসাম্য দেখতে চাই। আমার মনে হয় গতকালের খেলায় বল কিছুটা সুবিধা পেয়েছে। এর জন্য ব্যাটারদেরও কিছুটা দায় আছে, সবকিছু পিচের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না; তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
সাবেক অনেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার প্রথম দিনে মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। বোলারদের জন্য অতি সহায়ক তা। সংক্ষিপ্ত টেস্ট এড়াতে পরবর্তী উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন গ্রিনবার্গ। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা উইকেট তৈরির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলি এবং মাঠকর্মী, আবহাওয়া ও মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই পিচ তৈরি হতে দিই। কিন্তু যখন খেলার ওপর—বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রভাব দেখবেন, তখন এতে জড়িয়ে না পড়াটা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’
গ্রিনবার্গ আরও বলেন, ‘আমি বলছি না যে আমরা গিয়ে মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব, তবে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে আমাদের প্রত্যাশা কী— সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতেই হবে। গত রাতে আমি ভালোভাবে ঘুমাইনি। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো— এই অভিজ্ঞতাগুলো যেন দিন দিন অব্যাহত রাখা যায়। সেটাই আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ।’

একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবুও মেলবোর্নে প্রচুর পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় প্রথম তিন দিনের। প্রথম দিনে রেকর্ড ৯৪,১৯৯ হাজার দর্শকের উপস্থিতির কারণে পুরো বক্সিং ডে টেস্টে দর্শকসংখ্যার নতুন রেকর্ড গড়ার আশা করা হয়েছিল । কিন্তু দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টও দুই দিনে শেষ হয়।তাতে প্রায় ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৪১ কোটি টাকা) ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এক দিনে ২০ উইকেট পড়ার ঘটনা বাড়াবাড়ি কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোট করে বললে, হ্যাঁ (বাড়াবাড়ি)। একজন ভক্ত হিসেবে এটি দেখতে যতটা মন্ত্রমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক ছিল, আমরা স্পষ্টতই চাই টেস্ট ক্রিকেট আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলুক।’
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘সহজভাবে বলতে চাই— ছোট টেস্ট ম্যাচ ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। এর চেয়ে সরাসরি কথা আর হতে পারে না। তাই আমি ব্যাট এবং বলের মধ্যে আরও ভারসাম্য দেখতে চাই। আমার মনে হয় গতকালের খেলায় বল কিছুটা সুবিধা পেয়েছে। এর জন্য ব্যাটারদেরও কিছুটা দায় আছে, সবকিছু পিচের ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না; তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
সাবেক অনেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার প্রথম দিনে মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। বোলারদের জন্য অতি সহায়ক তা। সংক্ষিপ্ত টেস্ট এড়াতে পরবর্তী উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন গ্রিনবার্গ। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা উইকেট তৈরির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলি এবং মাঠকর্মী, আবহাওয়া ও মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই পিচ তৈরি হতে দিই। কিন্তু যখন খেলার ওপর—বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রভাব দেখবেন, তখন এতে জড়িয়ে না পড়াটা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’
গ্রিনবার্গ আরও বলেন, ‘আমি বলছি না যে আমরা গিয়ে মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব, তবে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে আমাদের প্রত্যাশা কী— সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতেই হবে। গত রাতে আমি ভালোভাবে ঘুমাইনি। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো— এই অভিজ্ঞতাগুলো যেন দিন দিন অব্যাহত রাখা যায়। সেটাই আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের
২ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পরিচিত কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বোলাররাই ঢাকার জয়ের ভীত গড়ে দেন। ইমাদ ওয়াসিম, সালমান মির্জাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজশাহী। সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৭ রানে শান্তকে থামান ইমাদ। দুটি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ বক্তিগত রান। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তানজিদ হাসান তামিমরা উইকেটে টিকে গেলেও বিধ্বংসী হতে পারেননি। রাজশাহীও পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। ১০০ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করেন নাওয়াজ। ১ বল কম খেলে ২৪ রান করেন মুশফিক। ১৫ বলে ২০ রান এনে দেন তামিম। ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ইমাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ মাত্র ১৬ রান। সমান ওভার বল করে ১৭ রানে ১ উইকেট নেন সালমান। ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন নাসির হোসেন।
জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে সাইফ হাসান ও উসমান খানকে হারায় তারা। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ৩৯ বল খেলা মামুনের অবদান ৪৫ রান। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তাঁর সঙ্গী শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ৫ নম্বরে নেমে ২২ বলে ১৯ রান করেন নাসির। তাঁর এই ইনিংসে কিছুটা চাপে পড়েছিল ঢাকা। কিন্তু চাপ সামলে শেষ হাসি হাসে ঢাকা।
বিপিএলের গত পর্বে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিল ঢাকা। কার্যত সেখানেই প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয় তাদের। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শুরুটা হলো ব্যতিক্রম। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে দারুণ কিছু করার বার্তাই যেন দিয়ে রাখল মিঠুনের দল।

ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পরিচিত কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা। বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বোলাররাই ঢাকার জয়ের ভীত গড়ে দেন। ইমাদ ওয়াসিম, সালমান মির্জাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজশাহী। সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৭ রানে শান্তকে থামান ইমাদ। দুটি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ বক্তিগত রান। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তানজিদ হাসান তামিমরা উইকেটে টিকে গেলেও বিধ্বংসী হতে পারেননি। রাজশাহীও পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। ১০০ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করেন নাওয়াজ। ১ বল কম খেলে ২৪ রান করেন মুশফিক। ১৫ বলে ২০ রান এনে দেন তামিম। ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ইমাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ মাত্র ১৬ রান। সমান ওভার বল করে ১৭ রানে ১ উইকেট নেন সালমান। ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন নাসির হোসেন।
জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে সাইফ হাসান ও উসমান খানকে হারায় তারা। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ৩৯ বল খেলা মামুনের অবদান ৪৫ রান। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তাঁর সঙ্গী শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ৫ নম্বরে নেমে ২২ বলে ১৯ রান করেন নাসির। তাঁর এই ইনিংসে কিছুটা চাপে পড়েছিল ঢাকা। কিন্তু চাপ সামলে শেষ হাসি হাসে ঢাকা।
বিপিএলের গত পর্বে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিল ঢাকা। কার্যত সেখানেই প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয় তাদের। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শুরুটা হলো ব্যতিক্রম। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে দারুণ কিছু করার বার্তাই যেন দিয়ে রাখল মিঠুনের দল।

বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষেই ধারণা করা হয়েছিল, জয়ের জন্য দুবাইয়ের উইকেটে ২২৯ রান তোলাটা ভারতের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাঁদের বোলাররা কাজটা যেভাবে ঠিকঠাকমতো করেছেন, ব্যাটাররাও নিজেদের কাজটা সেভাবে করতে পারলে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতের জন্য এটা মামুলিই একটা লক্ষ্য।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পুলিশের কাছে হারের বেদনা ভুলে বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৬ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচের তখনো অনেকটা পথ বাকি। আবাহনী লিমিটেডও তাই হাল ছাড়েনি। সমতা ফিরিয়ে জয়েরও খুব কাছাকাছি ছিল তারা। কিন্তু নায়ক হতে গিয়ে বরং খলনায়কই হয়ে গেলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাঁর পেনাল্টি মিসে ২-২ গোলের
২ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাহবুব আলী জাকিকে পাশে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সঙ্গে জাকির সম্পর্কটাও ছিল দারুণ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু একটু বেশিই ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। তাঁর অঝোরে কান্না যেন সেটারই প্রমাণ দেয়।
৩ ঘণ্টা আগে
একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ দিন। অথচ অ্যাশেজে ৪ টেস্টের ইতি ঘটল মাত্র ১৩ দিনেই। এর মধ্যে দুটি টেস্ট দুই দিনের বেশি টিকতে পারেনি। সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হলো আজ দ্বিতীয় দিনেই। ক্রিকেটের বাণিজ্যিক দিক থেকে তা লোকসানেরই বটে। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
৩ ঘণ্টা আগে