Ajker Patrika

দেশের ম্যারাথনের পায়ে ‘অনুমতি’র শিকল

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ৪২
দেশের ম্যারাথনের পায়ে ‘অনুমতি’র শিকল

বাংলাদেশের বড় শহরগুলোয় মাঠের তীব্র সংকট। নিজেকে সুস্থ আর ওজন ঠিক রাখার তাগিদ থেকেই সচেতন মানুষ শরীরচর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন দৌড়কে। আর এভাবেই বাংলাদেশ ঘটে গেছে ম্যারাথন দৌড়ের সামাজিক বিপ্লব। হাফ বা ফুল ম্যারাথনের নিয়মিত প্রতিযোগিতা হয় বাংলাদেশে। এখন এসব প্রতিযোগিতা আয়োজনে অনুমতি চেয়ে ম্যারাথন রানারদের ক্ষোভের কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিবের (মন্টু) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের কাছে। সেই চিঠিতে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অনুমোদন ছাড়া ম্যারাথন আয়োজনের অনুমতি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের এই চিঠিকে ‘অবৈধ’ দাবি করে ফেডারেশনকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি উকিল নোটিশ পাঠান আইনজীবী ও ম্যারাথন দৌড়বিদ ব্যারিস্টার আইমান রহমান খান। সেই নোটিশে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশনের ‘অনুমতি’ গ্রহণের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন আইমান রহমান। কিন্তু নোটিশের পক্ষে-বিপক্ষে ফেডারেশনের কোনো জবাব না আসায় হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আইমান আজকের পত্রিকা বললেন, ‘আমরা আমাদের উকিল নোটিশে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন আমাদের চিঠির কোনো জবাবই দেয়নি। এখন আমরা সাধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

চিঠিতে যেকোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যারাথন আয়োজনে অনুমতি গ্রহণের আদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ফেডারেশন এ ধরনের অনুমতি দাবি করতে পারে না। আইমান বলেন, ‘২০১৮ সালের যে আইন, সেখানে এমন কিছু লেখা নাই, যেখানে ফেডারেশনের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। সেখানে উল্টো বলা আছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব ফেডারেশনকে সহায়তা করবে এবং ক্রীড়ার মান োন্নয়নে সহায়তা করবে। এই অনুমতি বা এনওসির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি মূল আইনে। সেই হিসাবে তাঁরা যা করেছেন সেটা আইনত অবৈধ।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আইন কর্মকর্তা এস এম কবিরুল হাসান বিষয়টি নিয়ে বললেন, ‘উভয় পক্ষেরই যৌক্তিকতা আছে। আইন অনুযায়ী যে কেউ ম্যারাথন আয়োজন করতে পারে। ফেডারেশন বলছে, সবকিছু একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা উচিত। তাদের বক্তব্য, আমরা অবশ্যই অনুমতি দেব। কিন্তু যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। তবে অনুমতি না বলে ফেডারেশন ইনফরম (অবহিতকরণ) শব্দটি ব্যবহার করতে পার‍ত। ফেডারেশন যে নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এনএসসি এটা সমর্থন করবে না।’

বাংলাদেশে এখন ৫০ হাজারেরও বেশি সক্রিয় ম্যারাথন দৌড়বিদ আছেন। নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। ফেডারেশনের আপত্তি ছিল, এই নিবন্ধন ফি ও পৃষ্ঠপোষকদের অর্থকে কেন্দ্র করে ব্যবসা শুরু করেছেন দৌড়বিদদের কেউ কেউ। তাদের এই চিঠি সে কারণেই। তবে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশন পদে পদে বাধা তৈরি করে বলে দাবি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, লেখক ও দৌড়বিদ খন্দকার রাজীব হোসেনের। তিনি বললেন, ‘ফেডারেশনের যিনি দায়িত্বে আছেন (সাধারণ সম্পাদক), কেউ দৌড় আয়োজন করতে চাইলেই তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে জেলা প্রশাসককে নেতিবাচক চিঠি পাঠান। বাস্তবতা হলো, ম্যারাথন নামের এই আন্দোলনের সঙ্গে ফেডারেশনের তিলমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এত ম্যারাথন রানার তৈরি হচ্ছে, তাতেও তাদের অবদান নেই। কোনোভাবে তাদের মাথায় ঢুকে গেছে, দৌড় একটা লাভজনক ব্যবসা। অনেকটা গায়ের জোরে তারা এই চিঠি দিয়েছে।’

ফেডারেশনের চিঠিতেও আছে গরমিল। হিল ট্র্যাকিং প্রতিযোগিতাকেও তাদের দাবি করে অনুমতি চাওয়া হলেও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম জানালেন, হিল ট্র্যাকিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। তবে কেন হিল ট্র্যাকিংয়ে ফেডারেশন অনুমতি চাইল সে বিষয়ের ফারুকুলের মন্তব্য, ‘সম্ভবত জানাশোনার অভাব!’

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব আছেন দেশের বাইরে। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবিনার কাঁধে আরেকটি সাফের দায়িত্ব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১৭
ফুটসাল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ফাইল ছবি
ফুটসাল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ফাইল ছবি

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।

আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে শুরু হবে সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ এতে অংশ নেবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে সব দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।

পুরুষ দলের কোচ সাইদ খোদারাহমির অধীনেই চলছে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প। প্রাথমিক দলও সাজানো হয়েছে। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাবিনা ছাড়াও দলে আছেন ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার, নিলুফা ইয়াসমিনও।

সাফ ফুটসালে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল: সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), মাতসুশিমা সুমাইয়া, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, লিপি আক্তার, উন্নতি খাতুন, মেহেনুর আক্তার, রাত্রি মণি, সুমি খাতুন, নওশন জাহান, নিলুফা ইয়াসমিন, মিসরাত জাহান মৌসুমী, মার্জিয়া, নাসরিন আক্তার, শেজুতি ইসলাম স্মৃতি, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না আক্তার জিলি ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার রুমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
স্বামী আল মামুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
স্বামী আল মামুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।

রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু যুবাদের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৯
৯৬ রানেরে ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন জাওয়াদ আবরার। ছবি: এসিসি
৯৬ রানেরে ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন জাওয়াদ আবরার। ছবি: এসিসি

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।

আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।

এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।

শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শতভাগ ফিট হয়ে নির্বাচকেদের দিকে তাকিয়ে খাজা

ক্রীড়া ডেস্ক    
উসমান খাজা। ছবি: এক্স
উসমান খাজা। ছবি: এক্স

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।

পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।

ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।

খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’

সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত