অনলাইন ডেস্ক
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু প্রচলিত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার কারণে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থার কারণে পরোক্ষভাবে আরও ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন জনবহুল দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। গত সোমবার চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ল্যানসেটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিশ্বজুড়ে বছরে সরাসরি ১৯ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার। এএমআর বিশ্বজুড়ে বছরে ৮২ লাখ মানুষের মৃত্যুতে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবে। আগে সংখ্যাটি ছিল ৪৭ লাখ ১০ হাজার। বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করা জীবাণুগুলো (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গি ও বিভিন্ন পরজীবী) প্রচলিত ওষুধগুলোকে রেজিস্ট বা প্রতিরোধ করা শিখে গেলে তাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। নতুন ধরনের এই রোগ প্রতিরোধী জীবাণুগুলোকে ইংরেজিতে অনেক সময় বলা হয় ‘সুপারবাগ’।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সুপারবাগের কারণে রোগের চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা। নির্বিচার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এর একটি বড় কারণ।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সামনে এর হার আরও বাড়বে।
ল্যানসেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (জিআরএএম) প্রজেক্ট। গবেষণায় কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধজনিত মৃত্যু
কমবে। গত ৩০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, নবজাতক ও শিশুদের জন্য টিকা এবং চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এতে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, সুপারবাগের কারণে শিশুদের মৃত্যু কমলেও চিকিৎসা জটিল হচ্ছে। কোনো সংক্রমণের কারণে শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলা কষ্টসাধ্য হয়েছে।
উল্টো ঘটনা ঘটেছে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। গবেষণা বলছে, এএমআরের কারণে ৭০ বছরের কোঠায় যাঁদের বয়স, তাঁদের মধ্যে মৃত্যু বেড়েছে ৮০ শতাংশ। একই কারণে বয়স্কদের যেকোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়াও কঠিন হয়েছে। বিগত তিন দশকের চিত্র তুলে ধরে গবেষণায় বলা হয়েছে, দিন দিন এই সুপারবাগের সক্ষমতা বেড়েছে।
এই গবেষণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকসের গবেষক ও ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার সহলেখক মোহসেন নাগবি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স যে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি, সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলে এই হুমকি আরও বাড়বে।
উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব, সেই কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ব্যবহার করা গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু প্রচলিত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার কারণে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থার কারণে পরোক্ষভাবে আরও ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন জনবহুল দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। গত সোমবার চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ল্যানসেটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিশ্বজুড়ে বছরে সরাসরি ১৯ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার। এএমআর বিশ্বজুড়ে বছরে ৮২ লাখ মানুষের মৃত্যুতে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবে। আগে সংখ্যাটি ছিল ৪৭ লাখ ১০ হাজার। বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করা জীবাণুগুলো (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গি ও বিভিন্ন পরজীবী) প্রচলিত ওষুধগুলোকে রেজিস্ট বা প্রতিরোধ করা শিখে গেলে তাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। নতুন ধরনের এই রোগ প্রতিরোধী জীবাণুগুলোকে ইংরেজিতে অনেক সময় বলা হয় ‘সুপারবাগ’।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সুপারবাগের কারণে রোগের চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা। নির্বিচার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এর একটি বড় কারণ।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সামনে এর হার আরও বাড়বে।
ল্যানসেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (জিআরএএম) প্রজেক্ট। গবেষণায় কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধজনিত মৃত্যু
কমবে। গত ৩০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, নবজাতক ও শিশুদের জন্য টিকা এবং চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এতে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, সুপারবাগের কারণে শিশুদের মৃত্যু কমলেও চিকিৎসা জটিল হচ্ছে। কোনো সংক্রমণের কারণে শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলা কষ্টসাধ্য হয়েছে।
উল্টো ঘটনা ঘটেছে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। গবেষণা বলছে, এএমআরের কারণে ৭০ বছরের কোঠায় যাঁদের বয়স, তাঁদের মধ্যে মৃত্যু বেড়েছে ৮০ শতাংশ। একই কারণে বয়স্কদের যেকোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়াও কঠিন হয়েছে। বিগত তিন দশকের চিত্র তুলে ধরে গবেষণায় বলা হয়েছে, দিন দিন এই সুপারবাগের সক্ষমতা বেড়েছে।
এই গবেষণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকসের গবেষক ও ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার সহলেখক মোহসেন নাগবি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স যে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি, সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলে এই হুমকি আরও বাড়বে।
উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব, সেই কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ব্যবহার করা গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।
চীনের ইউনান প্রদেশের হোংহে এলাকায় ১১ লাখ ৫০ হাজার টনের বিরল খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই বিপুল পরিমাণ খনিজের মজুত চীনের ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চীনা...
১ দিন আগেপ্রথমবারের মতো নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উত্তর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট পাকিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, শহর পরিকল্পনা এবং কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
৩ দিন আগেপ্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ‘নিউ গ্লেন’ রকেট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণে সমর্থ হয়েছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৪ দিন আগেএখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুর পর ক্রায়োপ্রিজারভেশনের মাধ্যমে আবারও বেঁচে উঠেছেন এমন নজির নেই। এমনকি এ রকম ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কিংস কলেজ লন্ডনের নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ক্লাইভ কোয়েন এই ধারণাকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৪ দিন আগে