আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে। এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব। পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে। কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে। এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব। পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে। কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে। এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব। পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে। কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে। এর সম্ভাব্য মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা!
এই হিসাব একটি গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা করে হিসাব করা হয়েছে কতগুলো গর্ত প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালসের (পিজিএম) আধার। এগুলো মূলত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এই মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে—রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিউট্রন নক্ষত্রের ভয়াবহ সংঘর্ষের সময় এই উপাদানগুলো তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এসব ধাতু ক্যাটালাইটিক কনভারটার (ক্ষতিকর গ্যাস শোষণের জন্য গাড়িতে ব্যবহার করা হয়), ইলেকট্রনিকস এবং সবুজ অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক জয়ন্ত ব্যসনাকেরে বলেন, ‘মহাজাগতিক সময়ে নক্ষত্রের জন্ম ও মৃত্যুর বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এই উপাদানগুলো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে গ্রহ গঠনকারী ডিস্ক এবং পরে গ্রহ ও গ্রহাণুর মধ্যে জমা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধাতব গ্রহাণুগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোহা থাকে এবং পিজিএমগুলো এর সঙ্গে আবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। যখন এই গ্রহাণুগুলো চাঁদের মতো কোনো বস্তুকে আঘাত করে, তখন গতিবেগের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে এর কিছু অংশ অক্ষত থাকতে পারে।’
পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এ কারণে চাঁদের দিকে আগত মহাজাগতিক শিলা পুড়ে যায় না। এ ছাড়া চাঁদের কোনো টেকটোনিক প্লেটও নেই, যা আছড়ে পড়া গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষকে মাটির গভীরে ঠেলে দিতে পারে। তাই আঘাতকারী বস্তুর বেশির ভাগ অংশই উপরিভাগে থেকে যাওয়ার কথা।
ব্যসনাকেরে এবং তাঁর সহগবেষকেরা অনুমান করেন, চাঁদে ৩ কোটি কেজি পর্যন্ত পিজিএম থাকতে পারে। তবে প্রকৃত পরিমাণ গ্রহাণুর আকার, গতি এবং আঘাতের কোণের ওপর নির্ভর করবে। যদি এই নতুন গবেষণা সামান্যও সঠিক হয়, তাহলে চাঁদ হবে পৃথিবীর বাইরে পিজিএমের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিচিত ভান্ডার। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বার্ষিক পিজিএম উৎপাদন প্রায় ৬০০ টন।
চাঁদে এই ধাতুগুলো কতটা ঘনীভূত অবস্থায় রয়েছে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ব্যসনাকেরে উল্লেখ করেছেন, পিজিএমগুলো মূল গ্রহাণুর প্রতি মিলিয়ন ভাগের ১০ থেকে ১০০ ভাগ ঘনত্বে থাকতে পারে, এই ঘনত্ব পৃথিবীর অনেক খনির মতোই বা তার চেয়েও ভালো।
তবে, চাঁদে খননের জন্য প্রচুর প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষজ বল পৃথিবীর এক-ষষ্ঠাংশ হওয়ায় সেখানে ওজন, চাপ বা প্রবাহী গতিবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল প্রচলিত নিষ্কাশন কৌশলগুলো প্রয়োগ করা কঠিন হবে। এ ছাড়া সেখানে কোনো তরল পানি নেই, এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ পিজিএম পরিশোধনের পদ্ধতি পানিনির্ভর। প্রকৌশলীদের শুষ্ক পরিবেশে আকরিক নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
এর পরও চাঁদে কিছু সুবিধা রয়েছে, যা গ্রহাণুগুলোতে নেই। চাঁদ পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি হওয়ায় প্রায় রিয়েল-টাইম রিমোট অপারেশনের (পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা সম্ভব। পৃথিবীর সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের যোগাযোগ বিলম্ব থাকায় রোবটগুলোকে সহজেই নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, গ্রহাণু খননের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের কি প্লাটিনামের দাম কমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? ব্যসনাকেরে বলেন, ‘যদি একসঙ্গে ১০০ টন পিজিএম চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আনা হয়, তাহলে দাম কমে যেতে পারে। কিন্তু এটি খুবই অসম্ভব। সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো—অন্তত চাঁদ খননের প্রাথমিক দিনগুলোতে—কেউ কেউ বছরে কয়েক টন ফিরিয়ে আনতে পারবে। এটি দামের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’
হার্ভার্ড ও স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের গবেষকদের লেখা এই গবেষণাপত্র ‘প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে