ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী। এর মধ্যে ছিল বৃষ্টি-অরণ্য বা রেইনফরেস্ট, মরুভূমি, মহাসাগর, জলাভূমি, খামারসহ নানান পরিবেশ। প্রকল্পের নাম বায়োস্ফিয়ার ২। কারণ, আমাদের পৃথিবী বায়োস্ফিয়ার ১। এই কাচঘেরা পৃথিবীতে আটজন মানুষ দুই বছর ধরে চেষ্টা করেছেন টিকে থাকতে।
তাঁদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ

১৯৯১ সালে আটজন মানুষ এই কাচঘেরা বায়োস্ফিয়ার ২ এ প্রবেশ করেন। তাঁরা নিজেরা নিজেদের খাবার উৎপাদন করেন, অক্সিজেন ও পানি পুনর্ব্যবহার করেন এবং বায়োস্ফিয়ার ২ এর বিশেষ প্রকৃতিতে টিকে থাকার চেষ্টা চালান। তবে কিছুদিন পর দেখা দেয় নানা সমস্যা। সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে, বেড়ে যায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। মাটির জীবাণু ও ছত্রাক অক্সিজেন ব্যবহার করে ফেলছিল বেশি। গাছপালা সেটা পূরণ করতে পারছিল না। এ ছাড়া কাচের ছাদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছিরা ফুল চিনতে পারছিল না। ফলে পরাগায়ন বন্ধ হয়ে যায়। গাছের ফল-ফুল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
ব্যর্থতা নয়, ছিল বিজ্ঞানচর্চা

সেই সময় অনেকে এই প্রকল্পকে ব্যর্থ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গবেষকেরা বলছেন, এটি ছিল এক সাহসী বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। অনেক কিছু ভুল হয়েছিল ঠিকই, তবে সেখান থেকেই উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা। মূল সমস্যা ছিল, মাটিতে থাকা জীবাণু ও ছত্রাকগুলো এত বেশি অক্সিজেন খাচ্ছিল যে গাছপালাও সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারছিল না। এমনকি, কাচের ছাদ ইউভি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছি ও অন্য পোকাগুলো ফুল চিনতে পারছিল না, ফলে পরাগায়ন থেমে যায়। তবু গবেষকেরা গাছ কেটে নতুন চারা গজানোর চেষ্টা করেছেন, নতুন পরাগায়নকারী পোকা আনার পরিকল্পনা করেছেন। কোরাল রিফ, মরুভূমি ও খামার—সবকিছুর ভেতর দিয়ে চলতে থাকে নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া।
পৃথিবীর গুরুত্ব নতুন করে বোঝা
‘এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পর বুঝেছি, আমি বেঁচে আছি প্রকৃতির কারণে। প্রতিটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছের প্রতি তখন সম্মান জন্মেছিল।’ মার্ক নেলসন, বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্পে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী

বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্প আমাদের বড় যে শিক্ষা দিয়েছে, তা হলো, পৃথিবীর মতো জটিল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাসযোগ্য পরিবেশ আর কোথাও তৈরি করা সম্ভব নয়। অন্তত এখনো মানুষ সে উপায় লাভ করতে পারেনি। জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, মাটি, পানি—সবকিছু একসঙ্গে কাজ করে আমাদের টিকিয়ে রাখে। গবেষক ডেভিড টিলম্যান হিসাব করে দেখিয়েছেন, যদি এই ধরনের কৃত্রিম পৃথিবীতে মানুষকে রাখা হয়, তাহলে প্রতি মাসে একজন মানুষের জীবনধারণ ব্যয় হবে প্রায় ৮২ হাজার ডলার। তা-ও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে মানুষ সেখানে সত্যিই টিকে থাকতে পারবে।
আজকের গবেষণায় নতুন আশার আলো
বর্তমানে বায়োস্ফিয়ার ২ ব্যবহৃত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণার একটি পরীক্ষাগার হিসেবে। এখানে দেখা হচ্ছে রেইনফরেস্ট কীভাবে খরা ও গরমে প্রতিক্রিয়া করছে। কোরাল রিফ কীভাবে অ্যাসিডযুক্ত মহাসাগরে টিকে থাকতে পারে, অথবা কোন উদ্ভিদ মাটির গভীর থেকে পানি টেনে নেয়। এই প্রকল্পকে গবেষকেরা আজ তুলনা করেন লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো মেগা বিজ্ঞান প্রকল্পগুলোর সঙ্গে। আর এখানকার ফলাফল আমাদের প্রকৃতি রক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিকল্পনার জন্য অমূল্য তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
বায়োস্ফিয়ার ২ প্রমাণ করেছে, মানবজাতির অস্তিত্ব প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রকৃতির অংশ। মহাকাশে বসতি গড়া যতই স্বপ্ন মনে হোক, পৃথিবী ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। আর তাই প্রকৃতিকে ভালোবেসে, যত্ন নিয়ে, বিজ্ঞানমনস্ক পদ্ধতিতে রক্ষা করাই আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। এই পৃথিবীই আমাদের একমাত্র ঘর।
সূত্র: বিবিসি

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী। এর মধ্যে ছিল বৃষ্টি-অরণ্য বা রেইনফরেস্ট, মরুভূমি, মহাসাগর, জলাভূমি, খামারসহ নানান পরিবেশ। প্রকল্পের নাম বায়োস্ফিয়ার ২। কারণ, আমাদের পৃথিবী বায়োস্ফিয়ার ১। এই কাচঘেরা পৃথিবীতে আটজন মানুষ দুই বছর ধরে চেষ্টা করেছেন টিকে থাকতে।
তাঁদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ

১৯৯১ সালে আটজন মানুষ এই কাচঘেরা বায়োস্ফিয়ার ২ এ প্রবেশ করেন। তাঁরা নিজেরা নিজেদের খাবার উৎপাদন করেন, অক্সিজেন ও পানি পুনর্ব্যবহার করেন এবং বায়োস্ফিয়ার ২ এর বিশেষ প্রকৃতিতে টিকে থাকার চেষ্টা চালান। তবে কিছুদিন পর দেখা দেয় নানা সমস্যা। সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে, বেড়ে যায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। মাটির জীবাণু ও ছত্রাক অক্সিজেন ব্যবহার করে ফেলছিল বেশি। গাছপালা সেটা পূরণ করতে পারছিল না। এ ছাড়া কাচের ছাদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছিরা ফুল চিনতে পারছিল না। ফলে পরাগায়ন বন্ধ হয়ে যায়। গাছের ফল-ফুল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
ব্যর্থতা নয়, ছিল বিজ্ঞানচর্চা

সেই সময় অনেকে এই প্রকল্পকে ব্যর্থ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গবেষকেরা বলছেন, এটি ছিল এক সাহসী বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। অনেক কিছু ভুল হয়েছিল ঠিকই, তবে সেখান থেকেই উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা। মূল সমস্যা ছিল, মাটিতে থাকা জীবাণু ও ছত্রাকগুলো এত বেশি অক্সিজেন খাচ্ছিল যে গাছপালাও সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারছিল না। এমনকি, কাচের ছাদ ইউভি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছি ও অন্য পোকাগুলো ফুল চিনতে পারছিল না, ফলে পরাগায়ন থেমে যায়। তবু গবেষকেরা গাছ কেটে নতুন চারা গজানোর চেষ্টা করেছেন, নতুন পরাগায়নকারী পোকা আনার পরিকল্পনা করেছেন। কোরাল রিফ, মরুভূমি ও খামার—সবকিছুর ভেতর দিয়ে চলতে থাকে নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া।
পৃথিবীর গুরুত্ব নতুন করে বোঝা
‘এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পর বুঝেছি, আমি বেঁচে আছি প্রকৃতির কারণে। প্রতিটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছের প্রতি তখন সম্মান জন্মেছিল।’ মার্ক নেলসন, বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্পে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী

বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্প আমাদের বড় যে শিক্ষা দিয়েছে, তা হলো, পৃথিবীর মতো জটিল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাসযোগ্য পরিবেশ আর কোথাও তৈরি করা সম্ভব নয়। অন্তত এখনো মানুষ সে উপায় লাভ করতে পারেনি। জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, মাটি, পানি—সবকিছু একসঙ্গে কাজ করে আমাদের টিকিয়ে রাখে। গবেষক ডেভিড টিলম্যান হিসাব করে দেখিয়েছেন, যদি এই ধরনের কৃত্রিম পৃথিবীতে মানুষকে রাখা হয়, তাহলে প্রতি মাসে একজন মানুষের জীবনধারণ ব্যয় হবে প্রায় ৮২ হাজার ডলার। তা-ও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে মানুষ সেখানে সত্যিই টিকে থাকতে পারবে।
আজকের গবেষণায় নতুন আশার আলো
বর্তমানে বায়োস্ফিয়ার ২ ব্যবহৃত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণার একটি পরীক্ষাগার হিসেবে। এখানে দেখা হচ্ছে রেইনফরেস্ট কীভাবে খরা ও গরমে প্রতিক্রিয়া করছে। কোরাল রিফ কীভাবে অ্যাসিডযুক্ত মহাসাগরে টিকে থাকতে পারে, অথবা কোন উদ্ভিদ মাটির গভীর থেকে পানি টেনে নেয়। এই প্রকল্পকে গবেষকেরা আজ তুলনা করেন লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো মেগা বিজ্ঞান প্রকল্পগুলোর সঙ্গে। আর এখানকার ফলাফল আমাদের প্রকৃতি রক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিকল্পনার জন্য অমূল্য তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
বায়োস্ফিয়ার ২ প্রমাণ করেছে, মানবজাতির অস্তিত্ব প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রকৃতির অংশ। মহাকাশে বসতি গড়া যতই স্বপ্ন মনে হোক, পৃথিবী ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। আর তাই প্রকৃতিকে ভালোবেসে, যত্ন নিয়ে, বিজ্ঞানমনস্ক পদ্ধতিতে রক্ষা করাই আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। এই পৃথিবীই আমাদের একমাত্র ঘর।
সূত্র: বিবিসি
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী। এর মধ্যে ছিল বৃষ্টি-অরণ্য বা রেইনফরেস্ট, মরুভূমি, মহাসাগর, জলাভূমি, খামারসহ নানান পরিবেশ। প্রকল্পের নাম বায়োস্ফিয়ার ২। কারণ, আমাদের পৃথিবী বায়োস্ফিয়ার ১। এই কাচঘেরা পৃথিবীতে আটজন মানুষ দুই বছর ধরে চেষ্টা করেছেন টিকে থাকতে।
তাঁদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ

১৯৯১ সালে আটজন মানুষ এই কাচঘেরা বায়োস্ফিয়ার ২ এ প্রবেশ করেন। তাঁরা নিজেরা নিজেদের খাবার উৎপাদন করেন, অক্সিজেন ও পানি পুনর্ব্যবহার করেন এবং বায়োস্ফিয়ার ২ এর বিশেষ প্রকৃতিতে টিকে থাকার চেষ্টা চালান। তবে কিছুদিন পর দেখা দেয় নানা সমস্যা। সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে, বেড়ে যায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। মাটির জীবাণু ও ছত্রাক অক্সিজেন ব্যবহার করে ফেলছিল বেশি। গাছপালা সেটা পূরণ করতে পারছিল না। এ ছাড়া কাচের ছাদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছিরা ফুল চিনতে পারছিল না। ফলে পরাগায়ন বন্ধ হয়ে যায়। গাছের ফল-ফুল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
ব্যর্থতা নয়, ছিল বিজ্ঞানচর্চা

সেই সময় অনেকে এই প্রকল্পকে ব্যর্থ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গবেষকেরা বলছেন, এটি ছিল এক সাহসী বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। অনেক কিছু ভুল হয়েছিল ঠিকই, তবে সেখান থেকেই উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা। মূল সমস্যা ছিল, মাটিতে থাকা জীবাণু ও ছত্রাকগুলো এত বেশি অক্সিজেন খাচ্ছিল যে গাছপালাও সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারছিল না। এমনকি, কাচের ছাদ ইউভি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছি ও অন্য পোকাগুলো ফুল চিনতে পারছিল না, ফলে পরাগায়ন থেমে যায়। তবু গবেষকেরা গাছ কেটে নতুন চারা গজানোর চেষ্টা করেছেন, নতুন পরাগায়নকারী পোকা আনার পরিকল্পনা করেছেন। কোরাল রিফ, মরুভূমি ও খামার—সবকিছুর ভেতর দিয়ে চলতে থাকে নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া।
পৃথিবীর গুরুত্ব নতুন করে বোঝা
‘এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পর বুঝেছি, আমি বেঁচে আছি প্রকৃতির কারণে। প্রতিটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছের প্রতি তখন সম্মান জন্মেছিল।’ মার্ক নেলসন, বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্পে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী

বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্প আমাদের বড় যে শিক্ষা দিয়েছে, তা হলো, পৃথিবীর মতো জটিল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাসযোগ্য পরিবেশ আর কোথাও তৈরি করা সম্ভব নয়। অন্তত এখনো মানুষ সে উপায় লাভ করতে পারেনি। জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, মাটি, পানি—সবকিছু একসঙ্গে কাজ করে আমাদের টিকিয়ে রাখে। গবেষক ডেভিড টিলম্যান হিসাব করে দেখিয়েছেন, যদি এই ধরনের কৃত্রিম পৃথিবীতে মানুষকে রাখা হয়, তাহলে প্রতি মাসে একজন মানুষের জীবনধারণ ব্যয় হবে প্রায় ৮২ হাজার ডলার। তা-ও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে মানুষ সেখানে সত্যিই টিকে থাকতে পারবে।
আজকের গবেষণায় নতুন আশার আলো
বর্তমানে বায়োস্ফিয়ার ২ ব্যবহৃত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণার একটি পরীক্ষাগার হিসেবে। এখানে দেখা হচ্ছে রেইনফরেস্ট কীভাবে খরা ও গরমে প্রতিক্রিয়া করছে। কোরাল রিফ কীভাবে অ্যাসিডযুক্ত মহাসাগরে টিকে থাকতে পারে, অথবা কোন উদ্ভিদ মাটির গভীর থেকে পানি টেনে নেয়। এই প্রকল্পকে গবেষকেরা আজ তুলনা করেন লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো মেগা বিজ্ঞান প্রকল্পগুলোর সঙ্গে। আর এখানকার ফলাফল আমাদের প্রকৃতি রক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিকল্পনার জন্য অমূল্য তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
বায়োস্ফিয়ার ২ প্রমাণ করেছে, মানবজাতির অস্তিত্ব প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রকৃতির অংশ। মহাকাশে বসতি গড়া যতই স্বপ্ন মনে হোক, পৃথিবী ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। আর তাই প্রকৃতিকে ভালোবেসে, যত্ন নিয়ে, বিজ্ঞানমনস্ক পদ্ধতিতে রক্ষা করাই আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। এই পৃথিবীই আমাদের একমাত্র ঘর।
সূত্র: বিবিসি

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী। এর মধ্যে ছিল বৃষ্টি-অরণ্য বা রেইনফরেস্ট, মরুভূমি, মহাসাগর, জলাভূমি, খামারসহ নানান পরিবেশ। প্রকল্পের নাম বায়োস্ফিয়ার ২। কারণ, আমাদের পৃথিবী বায়োস্ফিয়ার ১। এই কাচঘেরা পৃথিবীতে আটজন মানুষ দুই বছর ধরে চেষ্টা করেছেন টিকে থাকতে।
তাঁদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ

১৯৯১ সালে আটজন মানুষ এই কাচঘেরা বায়োস্ফিয়ার ২ এ প্রবেশ করেন। তাঁরা নিজেরা নিজেদের খাবার উৎপাদন করেন, অক্সিজেন ও পানি পুনর্ব্যবহার করেন এবং বায়োস্ফিয়ার ২ এর বিশেষ প্রকৃতিতে টিকে থাকার চেষ্টা চালান। তবে কিছুদিন পর দেখা দেয় নানা সমস্যা। সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে, বেড়ে যায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। মাটির জীবাণু ও ছত্রাক অক্সিজেন ব্যবহার করে ফেলছিল বেশি। গাছপালা সেটা পূরণ করতে পারছিল না। এ ছাড়া কাচের ছাদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছিরা ফুল চিনতে পারছিল না। ফলে পরাগায়ন বন্ধ হয়ে যায়। গাছের ফল-ফুল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
ব্যর্থতা নয়, ছিল বিজ্ঞানচর্চা

সেই সময় অনেকে এই প্রকল্পকে ব্যর্থ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গবেষকেরা বলছেন, এটি ছিল এক সাহসী বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। অনেক কিছু ভুল হয়েছিল ঠিকই, তবে সেখান থেকেই উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা। মূল সমস্যা ছিল, মাটিতে থাকা জীবাণু ও ছত্রাকগুলো এত বেশি অক্সিজেন খাচ্ছিল যে গাছপালাও সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারছিল না। এমনকি, কাচের ছাদ ইউভি রশ্মি আটকে দেওয়ায় মৌমাছি ও অন্য পোকাগুলো ফুল চিনতে পারছিল না, ফলে পরাগায়ন থেমে যায়। তবু গবেষকেরা গাছ কেটে নতুন চারা গজানোর চেষ্টা করেছেন, নতুন পরাগায়নকারী পোকা আনার পরিকল্পনা করেছেন। কোরাল রিফ, মরুভূমি ও খামার—সবকিছুর ভেতর দিয়ে চলতে থাকে নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া।
পৃথিবীর গুরুত্ব নতুন করে বোঝা
‘এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পর বুঝেছি, আমি বেঁচে আছি প্রকৃতির কারণে। প্রতিটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছের প্রতি তখন সম্মান জন্মেছিল।’ মার্ক নেলসন, বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্পে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী

বায়োস্ফিয়ার ২ প্রকল্প আমাদের বড় যে শিক্ষা দিয়েছে, তা হলো, পৃথিবীর মতো জটিল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাসযোগ্য পরিবেশ আর কোথাও তৈরি করা সম্ভব নয়। অন্তত এখনো মানুষ সে উপায় লাভ করতে পারেনি। জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, মাটি, পানি—সবকিছু একসঙ্গে কাজ করে আমাদের টিকিয়ে রাখে। গবেষক ডেভিড টিলম্যান হিসাব করে দেখিয়েছেন, যদি এই ধরনের কৃত্রিম পৃথিবীতে মানুষকে রাখা হয়, তাহলে প্রতি মাসে একজন মানুষের জীবনধারণ ব্যয় হবে প্রায় ৮২ হাজার ডলার। তা-ও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে মানুষ সেখানে সত্যিই টিকে থাকতে পারবে।
আজকের গবেষণায় নতুন আশার আলো
বর্তমানে বায়োস্ফিয়ার ২ ব্যবহৃত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণার একটি পরীক্ষাগার হিসেবে। এখানে দেখা হচ্ছে রেইনফরেস্ট কীভাবে খরা ও গরমে প্রতিক্রিয়া করছে। কোরাল রিফ কীভাবে অ্যাসিডযুক্ত মহাসাগরে টিকে থাকতে পারে, অথবা কোন উদ্ভিদ মাটির গভীর থেকে পানি টেনে নেয়। এই প্রকল্পকে গবেষকেরা আজ তুলনা করেন লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো মেগা বিজ্ঞান প্রকল্পগুলোর সঙ্গে। আর এখানকার ফলাফল আমাদের প্রকৃতি রক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিকল্পনার জন্য অমূল্য তথ্য সরবরাহ করে চলেছে।
বায়োস্ফিয়ার ২ প্রমাণ করেছে, মানবজাতির অস্তিত্ব প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রকৃতির অংশ। মহাকাশে বসতি গড়া যতই স্বপ্ন মনে হোক, পৃথিবী ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। আর তাই প্রকৃতিকে ভালোবেসে, যত্ন নিয়ে, বিজ্ঞানমনস্ক পদ্ধতিতে রক্ষা করাই আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। এই পৃথিবীই আমাদের একমাত্র ঘর।
সূত্র: বিবিসি

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
০৯ আগস্ট ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
০৯ আগস্ট ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
০৯ আগস্ট ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
০৯ আগস্ট ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে