আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সবকিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকাশের এই নতুন শ্রেণির বিস্ফোরণ বিগ ব্যাংয়ের পর সর্বাধিক শক্তিশালী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এ ধরনের বিস্ফোরণকে ‘এক্সট্রিম নিউক্লিয়ার ট্র্যানসিয়েন্টস’ বা সংক্ষেপে ‘ইনএনটি’ নামে চিহ্নিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির (আইএফএ) গবেষকেরা। গত ৪ জুন সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেসন হিঙ্কল জানান, ইনএনটি ঘটতে পারে তখনই, যখন সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ ভারী কোনো নক্ষত্র একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে যায়। এই সংস্পর্শে নক্ষত্রটি পুরোপুরি ধ্বংস হয় এবং আশপাশের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড শক্তি। আগেও কিছু ধ্বংসাত্মক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা গেছে, যেগুলো ‘টাইডাল ডিসরাপশস ইভেন্টস (টিডিই) নামে পরিচিত। তবে ইনএনটির শক্তি ও প্রভাব সেগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ও ভিন্ন মাত্রার।
বিজ্ঞানী হিঙ্কল আরও জানান, ‘ইনএনটি একেবারে নতুন রকমের বিস্ফোরণ। এগুলো শুধু টিডিইয়ের চেয়ে বেশি উজ্জ্বলই নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে উজ্জ্বল থাকে। এমনকি এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার চেয়েও এরা বেশি শক্তিশালী।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের সূত্রপাত হয় যখন হিঙ্কল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘গাইয়া’ (একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ) মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। সেখানে ধরা পড়ে দুটি অস্বাভাবিক ট্রান্সিয়েন্ট, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গ্যালাক্সি থেকে আসা দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণ। এসব ট্রান্সিয়েন্ট উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, অথচ তাতে সাধারণ ট্রান্সিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য ছিল না।
হিঙ্কল আরও বলে, গাইয়া শুধু জানাতে পারে যে, কোনো বস্তু উজ্জ্বল হয়েছে, তবে কেন হয়েছে, তা বলে না। তবে আমি যখন এই ধীর, মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণগুলো দেখলাম, বুঝে গেলাম এটা আলাদা কিছু।’
এরপর তিনি বিশ্বের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গঠিত হয় বহু বছরব্যাপী এক যৌথ গবেষণা প্রকল্প। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার পর্যবেক্ষণকেন্দ্র জুইকি ট্রান্সিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি থেকে তৃতীয় একটি সন্দেহজনক ঘটনা শনাক্ত হয়। পরে এই তিন ঘটনার বিশ্লেষণে উঠে আসে ইনএনটির উপস্থিতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব বিস্ফোরণ একটি বিশেষ কারণে ঘটছে। যখন কোনো বিশাল নক্ষত্র ধীরে ধীরে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছে চলে যায়, তখন ব্ল্যাকহোলটি সেই নক্ষত্রকে পুরোপুরি গিলে ফেলে। এর ফলে একটানা ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ছড়িয়ে পড়ে। আর সাধারণ ব্ল্যাকহোলগুলো আশপাশের জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে টেনে নেয়, তাই সেগুলোর আলোও হয় অনিয়মিত ও ঝাপসা।
গবেষণায় সবচেয়ে শক্তিশালী যে ইনএনটি শনাক্ত হয়েছে, সেটির নাম ‘Gaia 18 cdj’। একটি সাধারণ সুপারনোভা এক বছরে যত শক্তি ছড়ায়, সূর্য তার পুরো ১০ বিলিয়ন বছরের জীবনে ঠিক ততই শক্তি ছড়ায়। তবে Gaia 18 cdj নামের এই বিস্ফোরণ মাত্র ১২ মাসে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি ছড়িয়েছে, যা ২৫টি সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার একসঙ্গে ছড়ানো শক্তির থেকেও বেশি।
এই বিস্ফোরণগুলো শুধু নক্ষত্রের মৃত্যুই নয়, বরং বিশাল ব্ল্যাকহোলগুলো বৃদ্ধির পেছনের রহস্যও উন্মোচন করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরেক গবেষক ও সহলেখক বেঞ্জামিন শ্যাপি বলেন, ‘এই আলো বিকিরণ এত উজ্জ্বল যে আমরা এগুলো অনেক দূর থেকে দেখতে পারি। আর জ্যোতির্বিদ্যায় দূর মানে অতীত—অর্থাৎ আমরা যখন এগুলো দেখি, তখন মহাবিশ্ব ছিল তার বর্তমান বয়সের অর্ধেক। তখনকার সময়ে নক্ষত্র ও ব্ল্যাকহোল বৃদ্ধির গতি ছিল এখনকার তুলনায় ১০ গুণ বেশি।’
তবে গবেষকদের জন্য রয়েছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে সুপারনোভাগুলো নিয়মিতভাবে শনাক্ত হয়, সেখানে ইনএনটি ঘটার হার কমপক্ষে ১ কোটি গুণ কম। তাই এই বিস্ময়কের ঘটনা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ এবং জনগণের সমর্থন।
তথ্যসূত্র: পপুলার সায়েন্স

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সবকিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকাশের এই নতুন শ্রেণির বিস্ফোরণ বিগ ব্যাংয়ের পর সর্বাধিক শক্তিশালী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এ ধরনের বিস্ফোরণকে ‘এক্সট্রিম নিউক্লিয়ার ট্র্যানসিয়েন্টস’ বা সংক্ষেপে ‘ইনএনটি’ নামে চিহ্নিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির (আইএফএ) গবেষকেরা। গত ৪ জুন সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেসন হিঙ্কল জানান, ইনএনটি ঘটতে পারে তখনই, যখন সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ ভারী কোনো নক্ষত্র একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে যায়। এই সংস্পর্শে নক্ষত্রটি পুরোপুরি ধ্বংস হয় এবং আশপাশের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড শক্তি। আগেও কিছু ধ্বংসাত্মক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা গেছে, যেগুলো ‘টাইডাল ডিসরাপশস ইভেন্টস (টিডিই) নামে পরিচিত। তবে ইনএনটির শক্তি ও প্রভাব সেগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ও ভিন্ন মাত্রার।
বিজ্ঞানী হিঙ্কল আরও জানান, ‘ইনএনটি একেবারে নতুন রকমের বিস্ফোরণ। এগুলো শুধু টিডিইয়ের চেয়ে বেশি উজ্জ্বলই নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে উজ্জ্বল থাকে। এমনকি এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার চেয়েও এরা বেশি শক্তিশালী।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের সূত্রপাত হয় যখন হিঙ্কল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘গাইয়া’ (একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ) মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। সেখানে ধরা পড়ে দুটি অস্বাভাবিক ট্রান্সিয়েন্ট, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গ্যালাক্সি থেকে আসা দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণ। এসব ট্রান্সিয়েন্ট উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, অথচ তাতে সাধারণ ট্রান্সিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য ছিল না।
হিঙ্কল আরও বলে, গাইয়া শুধু জানাতে পারে যে, কোনো বস্তু উজ্জ্বল হয়েছে, তবে কেন হয়েছে, তা বলে না। তবে আমি যখন এই ধীর, মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণগুলো দেখলাম, বুঝে গেলাম এটা আলাদা কিছু।’
এরপর তিনি বিশ্বের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গঠিত হয় বহু বছরব্যাপী এক যৌথ গবেষণা প্রকল্প। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার পর্যবেক্ষণকেন্দ্র জুইকি ট্রান্সিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি থেকে তৃতীয় একটি সন্দেহজনক ঘটনা শনাক্ত হয়। পরে এই তিন ঘটনার বিশ্লেষণে উঠে আসে ইনএনটির উপস্থিতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব বিস্ফোরণ একটি বিশেষ কারণে ঘটছে। যখন কোনো বিশাল নক্ষত্র ধীরে ধীরে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছে চলে যায়, তখন ব্ল্যাকহোলটি সেই নক্ষত্রকে পুরোপুরি গিলে ফেলে। এর ফলে একটানা ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ছড়িয়ে পড়ে। আর সাধারণ ব্ল্যাকহোলগুলো আশপাশের জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে টেনে নেয়, তাই সেগুলোর আলোও হয় অনিয়মিত ও ঝাপসা।
গবেষণায় সবচেয়ে শক্তিশালী যে ইনএনটি শনাক্ত হয়েছে, সেটির নাম ‘Gaia 18 cdj’। একটি সাধারণ সুপারনোভা এক বছরে যত শক্তি ছড়ায়, সূর্য তার পুরো ১০ বিলিয়ন বছরের জীবনে ঠিক ততই শক্তি ছড়ায়। তবে Gaia 18 cdj নামের এই বিস্ফোরণ মাত্র ১২ মাসে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি ছড়িয়েছে, যা ২৫টি সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার একসঙ্গে ছড়ানো শক্তির থেকেও বেশি।
এই বিস্ফোরণগুলো শুধু নক্ষত্রের মৃত্যুই নয়, বরং বিশাল ব্ল্যাকহোলগুলো বৃদ্ধির পেছনের রহস্যও উন্মোচন করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরেক গবেষক ও সহলেখক বেঞ্জামিন শ্যাপি বলেন, ‘এই আলো বিকিরণ এত উজ্জ্বল যে আমরা এগুলো অনেক দূর থেকে দেখতে পারি। আর জ্যোতির্বিদ্যায় দূর মানে অতীত—অর্থাৎ আমরা যখন এগুলো দেখি, তখন মহাবিশ্ব ছিল তার বর্তমান বয়সের অর্ধেক। তখনকার সময়ে নক্ষত্র ও ব্ল্যাকহোল বৃদ্ধির গতি ছিল এখনকার তুলনায় ১০ গুণ বেশি।’
তবে গবেষকদের জন্য রয়েছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে সুপারনোভাগুলো নিয়মিতভাবে শনাক্ত হয়, সেখানে ইনএনটি ঘটার হার কমপক্ষে ১ কোটি গুণ কম। তাই এই বিস্ময়কের ঘটনা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ এবং জনগণের সমর্থন।
তথ্যসূত্র: পপুলার সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সবকিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকাশের এই নতুন শ্রেণির বিস্ফোরণ বিগ ব্যাংয়ের পর সর্বাধিক শক্তিশালী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এ ধরনের বিস্ফোরণকে ‘এক্সট্রিম নিউক্লিয়ার ট্র্যানসিয়েন্টস’ বা সংক্ষেপে ‘ইনএনটি’ নামে চিহ্নিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির (আইএফএ) গবেষকেরা। গত ৪ জুন সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেসন হিঙ্কল জানান, ইনএনটি ঘটতে পারে তখনই, যখন সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ ভারী কোনো নক্ষত্র একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে যায়। এই সংস্পর্শে নক্ষত্রটি পুরোপুরি ধ্বংস হয় এবং আশপাশের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড শক্তি। আগেও কিছু ধ্বংসাত্মক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা গেছে, যেগুলো ‘টাইডাল ডিসরাপশস ইভেন্টস (টিডিই) নামে পরিচিত। তবে ইনএনটির শক্তি ও প্রভাব সেগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ও ভিন্ন মাত্রার।
বিজ্ঞানী হিঙ্কল আরও জানান, ‘ইনএনটি একেবারে নতুন রকমের বিস্ফোরণ। এগুলো শুধু টিডিইয়ের চেয়ে বেশি উজ্জ্বলই নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে উজ্জ্বল থাকে। এমনকি এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার চেয়েও এরা বেশি শক্তিশালী।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের সূত্রপাত হয় যখন হিঙ্কল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘গাইয়া’ (একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ) মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। সেখানে ধরা পড়ে দুটি অস্বাভাবিক ট্রান্সিয়েন্ট, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গ্যালাক্সি থেকে আসা দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণ। এসব ট্রান্সিয়েন্ট উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, অথচ তাতে সাধারণ ট্রান্সিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য ছিল না।
হিঙ্কল আরও বলে, গাইয়া শুধু জানাতে পারে যে, কোনো বস্তু উজ্জ্বল হয়েছে, তবে কেন হয়েছে, তা বলে না। তবে আমি যখন এই ধীর, মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণগুলো দেখলাম, বুঝে গেলাম এটা আলাদা কিছু।’
এরপর তিনি বিশ্বের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গঠিত হয় বহু বছরব্যাপী এক যৌথ গবেষণা প্রকল্প। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার পর্যবেক্ষণকেন্দ্র জুইকি ট্রান্সিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি থেকে তৃতীয় একটি সন্দেহজনক ঘটনা শনাক্ত হয়। পরে এই তিন ঘটনার বিশ্লেষণে উঠে আসে ইনএনটির উপস্থিতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব বিস্ফোরণ একটি বিশেষ কারণে ঘটছে। যখন কোনো বিশাল নক্ষত্র ধীরে ধীরে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছে চলে যায়, তখন ব্ল্যাকহোলটি সেই নক্ষত্রকে পুরোপুরি গিলে ফেলে। এর ফলে একটানা ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ছড়িয়ে পড়ে। আর সাধারণ ব্ল্যাকহোলগুলো আশপাশের জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে টেনে নেয়, তাই সেগুলোর আলোও হয় অনিয়মিত ও ঝাপসা।
গবেষণায় সবচেয়ে শক্তিশালী যে ইনএনটি শনাক্ত হয়েছে, সেটির নাম ‘Gaia 18 cdj’। একটি সাধারণ সুপারনোভা এক বছরে যত শক্তি ছড়ায়, সূর্য তার পুরো ১০ বিলিয়ন বছরের জীবনে ঠিক ততই শক্তি ছড়ায়। তবে Gaia 18 cdj নামের এই বিস্ফোরণ মাত্র ১২ মাসে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি ছড়িয়েছে, যা ২৫টি সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার একসঙ্গে ছড়ানো শক্তির থেকেও বেশি।
এই বিস্ফোরণগুলো শুধু নক্ষত্রের মৃত্যুই নয়, বরং বিশাল ব্ল্যাকহোলগুলো বৃদ্ধির পেছনের রহস্যও উন্মোচন করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরেক গবেষক ও সহলেখক বেঞ্জামিন শ্যাপি বলেন, ‘এই আলো বিকিরণ এত উজ্জ্বল যে আমরা এগুলো অনেক দূর থেকে দেখতে পারি। আর জ্যোতির্বিদ্যায় দূর মানে অতীত—অর্থাৎ আমরা যখন এগুলো দেখি, তখন মহাবিশ্ব ছিল তার বর্তমান বয়সের অর্ধেক। তখনকার সময়ে নক্ষত্র ও ব্ল্যাকহোল বৃদ্ধির গতি ছিল এখনকার তুলনায় ১০ গুণ বেশি।’
তবে গবেষকদের জন্য রয়েছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে সুপারনোভাগুলো নিয়মিতভাবে শনাক্ত হয়, সেখানে ইনএনটি ঘটার হার কমপক্ষে ১ কোটি গুণ কম। তাই এই বিস্ময়কের ঘটনা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ এবং জনগণের সমর্থন।
তথ্যসূত্র: পপুলার সায়েন্স

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সবকিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকাশের এই নতুন শ্রেণির বিস্ফোরণ বিগ ব্যাংয়ের পর সর্বাধিক শক্তিশালী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এ ধরনের বিস্ফোরণকে ‘এক্সট্রিম নিউক্লিয়ার ট্র্যানসিয়েন্টস’ বা সংক্ষেপে ‘ইনএনটি’ নামে চিহ্নিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির (আইএফএ) গবেষকেরা। গত ৪ জুন সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেসন হিঙ্কল জানান, ইনএনটি ঘটতে পারে তখনই, যখন সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ ভারী কোনো নক্ষত্র একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে যায়। এই সংস্পর্শে নক্ষত্রটি পুরোপুরি ধ্বংস হয় এবং আশপাশের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড শক্তি। আগেও কিছু ধ্বংসাত্মক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা গেছে, যেগুলো ‘টাইডাল ডিসরাপশস ইভেন্টস (টিডিই) নামে পরিচিত। তবে ইনএনটির শক্তি ও প্রভাব সেগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ও ভিন্ন মাত্রার।
বিজ্ঞানী হিঙ্কল আরও জানান, ‘ইনএনটি একেবারে নতুন রকমের বিস্ফোরণ। এগুলো শুধু টিডিইয়ের চেয়ে বেশি উজ্জ্বলই নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে উজ্জ্বল থাকে। এমনকি এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার চেয়েও এরা বেশি শক্তিশালী।’
এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের সূত্রপাত হয় যখন হিঙ্কল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘গাইয়া’ (একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ) মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। সেখানে ধরা পড়ে দুটি অস্বাভাবিক ট্রান্সিয়েন্ট, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গ্যালাক্সি থেকে আসা দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণ। এসব ট্রান্সিয়েন্ট উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, অথচ তাতে সাধারণ ট্রান্সিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য ছিল না।
হিঙ্কল আরও বলে, গাইয়া শুধু জানাতে পারে যে, কোনো বস্তু উজ্জ্বল হয়েছে, তবে কেন হয়েছে, তা বলে না। তবে আমি যখন এই ধীর, মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী আলোর বিকিরণগুলো দেখলাম, বুঝে গেলাম এটা আলাদা কিছু।’
এরপর তিনি বিশ্বের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গঠিত হয় বহু বছরব্যাপী এক যৌথ গবেষণা প্রকল্প। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার পর্যবেক্ষণকেন্দ্র জুইকি ট্রান্সিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি থেকে তৃতীয় একটি সন্দেহজনক ঘটনা শনাক্ত হয়। পরে এই তিন ঘটনার বিশ্লেষণে উঠে আসে ইনএনটির উপস্থিতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব বিস্ফোরণ একটি বিশেষ কারণে ঘটছে। যখন কোনো বিশাল নক্ষত্র ধীরে ধীরে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছে চলে যায়, তখন ব্ল্যাকহোলটি সেই নক্ষত্রকে পুরোপুরি গিলে ফেলে। এর ফলে একটানা ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ছড়িয়ে পড়ে। আর সাধারণ ব্ল্যাকহোলগুলো আশপাশের জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে টেনে নেয়, তাই সেগুলোর আলোও হয় অনিয়মিত ও ঝাপসা।
গবেষণায় সবচেয়ে শক্তিশালী যে ইনএনটি শনাক্ত হয়েছে, সেটির নাম ‘Gaia 18 cdj’। একটি সাধারণ সুপারনোভা এক বছরে যত শক্তি ছড়ায়, সূর্য তার পুরো ১০ বিলিয়ন বছরের জীবনে ঠিক ততই শক্তি ছড়ায়। তবে Gaia 18 cdj নামের এই বিস্ফোরণ মাত্র ১২ মাসে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি ছড়িয়েছে, যা ২৫টি সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারনোভার একসঙ্গে ছড়ানো শক্তির থেকেও বেশি।
এই বিস্ফোরণগুলো শুধু নক্ষত্রের মৃত্যুই নয়, বরং বিশাল ব্ল্যাকহোলগুলো বৃদ্ধির পেছনের রহস্যও উন্মোচন করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরেক গবেষক ও সহলেখক বেঞ্জামিন শ্যাপি বলেন, ‘এই আলো বিকিরণ এত উজ্জ্বল যে আমরা এগুলো অনেক দূর থেকে দেখতে পারি। আর জ্যোতির্বিদ্যায় দূর মানে অতীত—অর্থাৎ আমরা যখন এগুলো দেখি, তখন মহাবিশ্ব ছিল তার বর্তমান বয়সের অর্ধেক। তখনকার সময়ে নক্ষত্র ও ব্ল্যাকহোল বৃদ্ধির গতি ছিল এখনকার তুলনায় ১০ গুণ বেশি।’
তবে গবেষকদের জন্য রয়েছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে সুপারনোভাগুলো নিয়মিতভাবে শনাক্ত হয়, সেখানে ইনএনটি ঘটার হার কমপক্ষে ১ কোটি গুণ কম। তাই এই বিস্ময়কের ঘটনা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ এবং জনগণের সমর্থন।
তথ্যসূত্র: পপুলার সায়েন্স

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
০৫ জুন ২০২৫
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
০৫ জুন ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
০৫ জুন ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
০৫ জুন ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৫ দিন আগে