আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’-এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
কলসাল বায়োসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা বিশ্বের প্রথম ‘ডি-এক্সটিংকশন’ বা বিলুপ্ত প্রাণী পুনরুদ্ধারের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের গবেষকেরা ডায়ার উলফ বা ‘Aenocyon dirus’ প্রজাতিটি ফিরিয়ে এনেছে।
এর আগে প্লাইস্টোসিন যুগের উইলি বা লোমশ ম্যামথ ফিরিয়ে আনতে লোমশ ইঁদুর জন্ম দেন কলসাল বায়োসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা সফলভাবে পরীক্ষাগারে তিনটি ডায়ার উলফের বাচ্চা তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীরা এটি করেছেন ডায়ার উলফের জেনোম পুনর্গঠন করে, যা তাঁরা প্রাচীন ডিএনএ থেকে সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা ডায়ার উলফের জেনেটিক কোড (জেনোম) তৈরি করার জন্য, এমন বিশেষ জিনের সংস্করণ চিহ্নিত করেছেন, যা শুধু ডায়ার উলফে ছিল এবং বিলুপ্ত প্রাণীটির জীবিত আত্মীয়দের মধ্যে ছিল না।
এরপর বিজ্ঞানীরা আধুনিক গ্রে উলফ বা ধূসর নেকড়ে (Canis lupus) থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করেন এবং সেটি পরিবর্তন (এডিট) করেন। এর মাধ্যমে ডায়ার উলফের বিশেষ জিনগুলোর সংস্করণ যুক্ত করতে সক্ষম হন তাঁরা। এই পরিবর্তিত ডিএনএ গ্রে উলফের ডিমের কোষে স্থাপন করা হয়। এই ডিমে নিউক্লিয়াস আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপর গবেষণাগারে ডিমগুলো পরিপক্ব করা হয়। পরবর্তী সময়ে সারোগেট কুকুরের গর্ভে ভ্রূণগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।
তিনটি ভ্রূণ সফলভাবে তিনটি সারোগেট কুকুরের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হলে সেগুলো থেকে জন্ম নেয় শুভ্র সাদা নেকড়ে—রোমুলাস, রেমুস ও খালেসি। এই নেকড়েরা দেখতে ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের জন স্নোর ডায়ার উলফ ‘ঘোস্ট’-এর মতো। রোমের পৌরাণিক যমজ প্রতিষ্ঠাতাদের নাম রোমুলাস ও রেমুস। বলা হয়ে থাকে, তারা একটি নেকড়ের কাছে লালিত-পালিত হয়। আর খালেসি হলো গেম অব থ্রোনসের জনপ্রিয় নারী চরিত্রের নাম।
কলসাল বায়োসায়েন্সেসের সিইও বেন ল্যাম বলেছেন, ‘আমাদের দল একটি ১৩ হাজার বছর পুরোনো দাঁত এবং ৭২ হাজার বছর পুরোনো খুলি থেকে ডায়ার উলফের ডিএনএ সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই সুস্থ নেকড়ের বাচ্চার জন্ম হয়। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক কাজ, যা অনেকে স্বপ্নেও ভাবেননি। আজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীকে এক নতুন যুগের দিকে নিয়ে আসছি।’
ডায়ার উলফের জন্ম হলো যেভাবে
ডায়ার উলফের ‘ডি-এক্সটিংকশন’-এর জন্য ১৯৯৬ সালের ডলি ভেড়ার তৈরি ক্লোনিং প্রযুক্তির মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করেন কলসালের বিজ্ঞানীরা। প্রথমে ডায়ার উলফের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেটিকে আধুনিক গ্রে উলফের জেনেটিক কোডে বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের আসল জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলো পুনরুদ্ধার করেছে। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে বড় আকার, সাদা লোম এবং বড় দাঁত।
এই পদ্ধতিতে একটি নিখুঁত ক্লোন তৈরি করা যায়। এর জন্য যে প্রাণীর ক্লোন তৈরি করা হবে, তার একটি কোষ নেওয়া হয় এবং কোষের নিউক্লিয়াসে থাকা তার জেনেটিক উপাদান বের করা হয়। এরপর এই জেনেটিক তথ্য একটি আরেকটি প্রাণীর ডিমে সন্নিবেশ করা হয়, যেটির নিজের নিউক্লিয়াস আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। এখন সেই ডিম সব জেনেটিক তথ্য ধারণ করে, যা মূল ক্লোনিংবিষয়ক প্রাণীকে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয়। এরপর ডিমটি সারোগেটের গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সারোগেটে গর্ভধারণের পর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

যেহেতু ডায়ার উলফ শেষ বরফযুগের শেষে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তাই ডায়ার উলফের কোষের গঠন অনুমান করতে জীবাশ্ম রেকর্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা।
এদিকে প্রাণীর জেনোম পুনর্গঠনের জন্য বিজ্ঞানীরা ডায়ার উলফের জীবাশ্ম থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এগুলোকে তাদের জীবিত আত্মীয়দের, যেমন গ্রে উলফ (ধূসর নেকড়ে) ও শিয়ালের জেনোমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁরা ডিম দানকারী হিসেবে গ্রে উলফদের নির্বাচন করেন। কারণ, এই প্রাণীগুলো ডায়ার উলফের সবচেয়ে কাছের জীবিত আত্মীয়।
জিনোম বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ১৪টি জিনের মধ্যে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হন, যা ডায়ার উলফের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য দায়ী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় আকার, সাদা লোম, বড় দাঁত এবং স্বতন্ত্র ডাক।
এরপর জীবিত গ্রে উলফের রক্তের নমুনা থেকে কোষ সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। এ পদ্ধতি অনেক সহজ এবং কম ক্ষতিকর। তারপর সিআরআইএসপিআর জিন-এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা চিহ্নিত ১৪টি জিনের মধ্যে ২০টি সম্পাদনা করেন, যাতে এই জিনগুলো ডায়ার উলফের প্রাচীন আত্মীয়দের মতো একই জেনেটিক সিকোয়েন্স থাকে।
একবার এই ‘ডায়ার উলফ কোষ’ তৈরি হওয়ার পর তাদের নিউক্লিয়াস বের করে নেওয়া হয় এবং তা জীবিত গ্রে উলফের ডিমে সন্নিবেশ করা হয়। ঠিক যেমন ডলি শিপের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এসব ডিমের কোষের নিউক্লিয়াস আগে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, যাতে নতুন ডিএনএ প্রবেশের জন্য জায়গা তৈরি হয়।
সাধারণত প্রতিটি ক্রোমোজোমের একটিমাত্র অনুলিপি ধারণ করে প্রজনন কোষ (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু)। তবে শরীরের অন্যান্য কোষে দুটি অনুলিপি থাকে। যখন শরীরের যেকোনো কোষের নিউক্লিয়াস প্রজনন কোষে স্থানান্তর করা হয়, তখন প্রজনন কোষটি ক্রোমোজোমের দুটি অনুলিপি পায়। এর ফলে প্রজনন কোষটি সমস্ত জেনেটিক তথ্য পেয়ে যায়, যা পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ গঠনের জন্য প্রয়োজন।
গবেষণাগারে তৈরি ডিমগুলোকে পরিপক্ব হওয়ার সময় দেওয়া হয়। এর ফলে ৪৫টি ভ্রূণ তৈরি হয়। এরপর ভ্রূণগুলো দুটি গৃহপালিত কুকুরের গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, গৃহপালিত কুকুরগুলো প্রকৃতপক্ষে গ্রে উলফের একটি উপপ্রজাতি।
প্রতিটি সারোগেট কুকুরে মাত্র একটি ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। ৬৫ দিন গর্ভধারণের পর গত ১ অক্টোবর সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয় রোমুলাস এবং রেমুস। কয়েক মাস পর একই প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করা হয় আরেক সারোগেট কুকুরের মাধ্যমে। এর তিন মাস পরে খালেসির জন্ম হয়।
রোমুলাস এবং রেমাসের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার, প্রথম চিৎকার করার এবং নবজাতক থেকে ছোট শাবকের আকার ধারণ করার ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছে কলসাল। তারা এই ডায়ার উলফদের ‘বিশ্বের প্রথম ডি-এক্সটিংকশন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে ২০০৩ সালে আরেকটি ডি-এক্সটিংকশন ঘটেছিল। স্পেনের বিজ্ঞানীরা ‘বুকার্ডো’ বা ‘পিরেনিয়ান আইবেক্স’ (Capra pyrenaica pyrenaica) নামে পরিচিত একটি বিলুপ্ত বন্য ছাগল প্রজাতির ক্লোন তৈরি করেন। কিন্তু ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, নবজাতক ছাগলটি জন্মের কয়েক মিনিট পরেই মারা যায়।
কলসাল কোম্পানি আরও ঘোষণা করেছে, তারা ‘রেড উলফ’ (লাল উলফ) নামক বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনকভাবে বিলুপ্তির মুখে থাকা প্রজাতিটির ক্লোনও তৈরি করেছে।
জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ‘উলির মাউস’ (বড় লোমের ইঁদুর) তৈরির মাত্র কয়েক মাস পর ডায়ার উলফ তৈরির এই ঘোষণা এল। এটি কলসাল কোম্পানির জন্য বড় মাইলফলক। কারণ, তারা ২০২৮ সালের মধ্যে উইলি ম্যামথদের (অতিকায় ম্যামথ) পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’-এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
কলসাল বায়োসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা বিশ্বের প্রথম ‘ডি-এক্সটিংকশন’ বা বিলুপ্ত প্রাণী পুনরুদ্ধারের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের গবেষকেরা ডায়ার উলফ বা ‘Aenocyon dirus’ প্রজাতিটি ফিরিয়ে এনেছে।
এর আগে প্লাইস্টোসিন যুগের উইলি বা লোমশ ম্যামথ ফিরিয়ে আনতে লোমশ ইঁদুর জন্ম দেন কলসাল বায়োসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা সফলভাবে পরীক্ষাগারে তিনটি ডায়ার উলফের বাচ্চা তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীরা এটি করেছেন ডায়ার উলফের জেনোম পুনর্গঠন করে, যা তাঁরা প্রাচীন ডিএনএ থেকে সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা ডায়ার উলফের জেনেটিক কোড (জেনোম) তৈরি করার জন্য, এমন বিশেষ জিনের সংস্করণ চিহ্নিত করেছেন, যা শুধু ডায়ার উলফে ছিল এবং বিলুপ্ত প্রাণীটির জীবিত আত্মীয়দের মধ্যে ছিল না।
এরপর বিজ্ঞানীরা আধুনিক গ্রে উলফ বা ধূসর নেকড়ে (Canis lupus) থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করেন এবং সেটি পরিবর্তন (এডিট) করেন। এর মাধ্যমে ডায়ার উলফের বিশেষ জিনগুলোর সংস্করণ যুক্ত করতে সক্ষম হন তাঁরা। এই পরিবর্তিত ডিএনএ গ্রে উলফের ডিমের কোষে স্থাপন করা হয়। এই ডিমে নিউক্লিয়াস আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপর গবেষণাগারে ডিমগুলো পরিপক্ব করা হয়। পরবর্তী সময়ে সারোগেট কুকুরের গর্ভে ভ্রূণগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।
তিনটি ভ্রূণ সফলভাবে তিনটি সারোগেট কুকুরের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হলে সেগুলো থেকে জন্ম নেয় শুভ্র সাদা নেকড়ে—রোমুলাস, রেমুস ও খালেসি। এই নেকড়েরা দেখতে ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের জন স্নোর ডায়ার উলফ ‘ঘোস্ট’-এর মতো। রোমের পৌরাণিক যমজ প্রতিষ্ঠাতাদের নাম রোমুলাস ও রেমুস। বলা হয়ে থাকে, তারা একটি নেকড়ের কাছে লালিত-পালিত হয়। আর খালেসি হলো গেম অব থ্রোনসের জনপ্রিয় নারী চরিত্রের নাম।
কলসাল বায়োসায়েন্সেসের সিইও বেন ল্যাম বলেছেন, ‘আমাদের দল একটি ১৩ হাজার বছর পুরোনো দাঁত এবং ৭২ হাজার বছর পুরোনো খুলি থেকে ডায়ার উলফের ডিএনএ সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই সুস্থ নেকড়ের বাচ্চার জন্ম হয়। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক কাজ, যা অনেকে স্বপ্নেও ভাবেননি। আজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীকে এক নতুন যুগের দিকে নিয়ে আসছি।’
ডায়ার উলফের জন্ম হলো যেভাবে
ডায়ার উলফের ‘ডি-এক্সটিংকশন’-এর জন্য ১৯৯৬ সালের ডলি ভেড়ার তৈরি ক্লোনিং প্রযুক্তির মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করেন কলসালের বিজ্ঞানীরা। প্রথমে ডায়ার উলফের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেটিকে আধুনিক গ্রে উলফের জেনেটিক কোডে বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের আসল জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলো পুনরুদ্ধার করেছে। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে বড় আকার, সাদা লোম এবং বড় দাঁত।
এই পদ্ধতিতে একটি নিখুঁত ক্লোন তৈরি করা যায়। এর জন্য যে প্রাণীর ক্লোন তৈরি করা হবে, তার একটি কোষ নেওয়া হয় এবং কোষের নিউক্লিয়াসে থাকা তার জেনেটিক উপাদান বের করা হয়। এরপর এই জেনেটিক তথ্য একটি আরেকটি প্রাণীর ডিমে সন্নিবেশ করা হয়, যেটির নিজের নিউক্লিয়াস আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। এখন সেই ডিম সব জেনেটিক তথ্য ধারণ করে, যা মূল ক্লোনিংবিষয়ক প্রাণীকে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয়। এরপর ডিমটি সারোগেটের গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সারোগেটে গর্ভধারণের পর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

যেহেতু ডায়ার উলফ শেষ বরফযুগের শেষে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তাই ডায়ার উলফের কোষের গঠন অনুমান করতে জীবাশ্ম রেকর্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা।
এদিকে প্রাণীর জেনোম পুনর্গঠনের জন্য বিজ্ঞানীরা ডায়ার উলফের জীবাশ্ম থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এগুলোকে তাদের জীবিত আত্মীয়দের, যেমন গ্রে উলফ (ধূসর নেকড়ে) ও শিয়ালের জেনোমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁরা ডিম দানকারী হিসেবে গ্রে উলফদের নির্বাচন করেন। কারণ, এই প্রাণীগুলো ডায়ার উলফের সবচেয়ে কাছের জীবিত আত্মীয়।
জিনোম বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ১৪টি জিনের মধ্যে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হন, যা ডায়ার উলফের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য দায়ী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় আকার, সাদা লোম, বড় দাঁত এবং স্বতন্ত্র ডাক।
এরপর জীবিত গ্রে উলফের রক্তের নমুনা থেকে কোষ সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। এ পদ্ধতি অনেক সহজ এবং কম ক্ষতিকর। তারপর সিআরআইএসপিআর জিন-এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা চিহ্নিত ১৪টি জিনের মধ্যে ২০টি সম্পাদনা করেন, যাতে এই জিনগুলো ডায়ার উলফের প্রাচীন আত্মীয়দের মতো একই জেনেটিক সিকোয়েন্স থাকে।
একবার এই ‘ডায়ার উলফ কোষ’ তৈরি হওয়ার পর তাদের নিউক্লিয়াস বের করে নেওয়া হয় এবং তা জীবিত গ্রে উলফের ডিমে সন্নিবেশ করা হয়। ঠিক যেমন ডলি শিপের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এসব ডিমের কোষের নিউক্লিয়াস আগে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, যাতে নতুন ডিএনএ প্রবেশের জন্য জায়গা তৈরি হয়।
সাধারণত প্রতিটি ক্রোমোজোমের একটিমাত্র অনুলিপি ধারণ করে প্রজনন কোষ (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু)। তবে শরীরের অন্যান্য কোষে দুটি অনুলিপি থাকে। যখন শরীরের যেকোনো কোষের নিউক্লিয়াস প্রজনন কোষে স্থানান্তর করা হয়, তখন প্রজনন কোষটি ক্রোমোজোমের দুটি অনুলিপি পায়। এর ফলে প্রজনন কোষটি সমস্ত জেনেটিক তথ্য পেয়ে যায়, যা পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ গঠনের জন্য প্রয়োজন।
গবেষণাগারে তৈরি ডিমগুলোকে পরিপক্ব হওয়ার সময় দেওয়া হয়। এর ফলে ৪৫টি ভ্রূণ তৈরি হয়। এরপর ভ্রূণগুলো দুটি গৃহপালিত কুকুরের গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, গৃহপালিত কুকুরগুলো প্রকৃতপক্ষে গ্রে উলফের একটি উপপ্রজাতি।
প্রতিটি সারোগেট কুকুরে মাত্র একটি ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। ৬৫ দিন গর্ভধারণের পর গত ১ অক্টোবর সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয় রোমুলাস এবং রেমুস। কয়েক মাস পর একই প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করা হয় আরেক সারোগেট কুকুরের মাধ্যমে। এর তিন মাস পরে খালেসির জন্ম হয়।
রোমুলাস এবং রেমাসের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার, প্রথম চিৎকার করার এবং নবজাতক থেকে ছোট শাবকের আকার ধারণ করার ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছে কলসাল। তারা এই ডায়ার উলফদের ‘বিশ্বের প্রথম ডি-এক্সটিংকশন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে ২০০৩ সালে আরেকটি ডি-এক্সটিংকশন ঘটেছিল। স্পেনের বিজ্ঞানীরা ‘বুকার্ডো’ বা ‘পিরেনিয়ান আইবেক্স’ (Capra pyrenaica pyrenaica) নামে পরিচিত একটি বিলুপ্ত বন্য ছাগল প্রজাতির ক্লোন তৈরি করেন। কিন্তু ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, নবজাতক ছাগলটি জন্মের কয়েক মিনিট পরেই মারা যায়।
কলসাল কোম্পানি আরও ঘোষণা করেছে, তারা ‘রেড উলফ’ (লাল উলফ) নামক বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনকভাবে বিলুপ্তির মুখে থাকা প্রজাতিটির ক্লোনও তৈরি করেছে।
জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ‘উলির মাউস’ (বড় লোমের ইঁদুর) তৈরির মাত্র কয়েক মাস পর ডায়ার উলফ তৈরির এই ঘোষণা এল। এটি কলসাল কোম্পানির জন্য বড় মাইলফলক। কারণ, তারা ২০২৮ সালের মধ্যে উইলি ম্যামথদের (অতিকায় ম্যামথ) পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও সিএনএন

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৭ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৭ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৭ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৭ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে