
আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে