Ajker Patrika

আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিএনপির অভিযোগ মনগড়া: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৯: ১৩
আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিএনপির অভিযোগ মনগড়া: ওবায়দুল কাদের

আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি প্রসঙ্গে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেছে।’ 

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক দলীয় কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আদানির গ্রুপের সঙ্গে যেই চুক্তি করা হয়েছে, সেটা দেশবিরোধী। জনগণবিরোধী এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

নিরবচ্ছিন্নভাবে জনগণের বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আদানির কাছ থেকে একটি লাভজনক চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে দাবি ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেন, ‘ভারতের একটি কোম্পানিকে দিয়ে দুই বিলিয়ন ডলার এককালীন বিনিয়োগ করিয়ে, দেশটির অভ্যন্তরে ৬০০ একর জমির ওপর বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে, ভারতের আকাশে কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা সর্বনিম্ন দামে ক্রয় করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে এবং সেটা মানুষ ব্যবহার করবে।’

বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই আদানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ এই চুক্তির ফলে লাভবান হয়েছে। যারা বিদ্যুতের বদলে জনগণকে খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুতের দাবি করায় জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে—তাদের মুখে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা মানায় না।’

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে, জনগণই দলটির শক্তির একমাত্র উৎস বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ কখনো জনগণ ব্যতীত অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়নি। যার জন্য দেশি-বিদেশি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসংখ্যবার আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই থেকে অর্থ নিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন কাদের। একই সঙ্গে ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকাও দলটি দিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেখি, ক্ষমতা দখলের জন্য কীভাবে বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার মুচলেকা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা কখনই জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’ 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি একটি ডেড ইস্যু বলে আবারও মন্তব্য করেন কাদের। তাঁর দাবি গণতন্ত্রকামী প্রত্যেকটি মানুষ মাত্রই জানে, জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নয়—এমন ব্যক্তি দ্বারা একমুহূর্তের জন্যও রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪০
গণমাধ্যমপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণমাধ্যমপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচাইতে বেশি। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন?’

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও, টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শুনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরেও এক-দুই ঘণ্টা পর তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখেছি। নতুন নয়। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবোক্রেসিকে অ্যালাও (প্রশ্রয়) করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু কেন হয়ে যাবে মবোক্রেসি? তাকে কেন লালন করতে দেওয়া হবে! এগুলো আমি সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশ নিয়ে গণপ্রত্যাশা, গণ-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। পূর্ণ গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশের সব মানুষ। গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য যে প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।’

গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সব সময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কি করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।’

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জনগণ আশা করছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুঁটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিককে যেভাবে জেলে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে! সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটা ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসছে, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘একজন তরুণ নেতার এমন মৃত্যুর আমরা প্রতিবাদ জানাই। তাঁর কথার কারণে জীবন দিতে হবে, এটা মেনে নেওয়ার মতো না।’

তিনি বলেন, ‘কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তাঁর ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদ-উত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদি মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।’

মতবিনিময় সভায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে কারা হত্যা করেছে, জনগণের বুঝতে বাকি নেই: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর মগবাজারে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মগবাজারে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘ওসমান হাদি চাইত দেশ আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত থাকুক। তাই যারা দিল্লির আধিপত্যবাদীদের খুশি করতে চায়, তারাই এই হত্যার মদদদাতা। ওসমান হাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে “ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার” গড়ে তুলেছিল। আমাদের জাতিসত্তা, আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ, আমাদের সুস্থ স্বদেশীয় জাতীয় সংস্কৃতির বিরোধিতা যারা করে, বিজাতীয় সংস্কৃতি যারা এখানে আনতে চায়—তারাই ওসমান হাদির খুনির পক্ষে। দুইয়ে দুইয়ে চার হয়, এই অঙ্ক সহজেই বোঝা যায়।’

আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিনা হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।

ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও দাবি করছি—প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জাতির সামনে স্পষ্ট করুন। যদি তা না করেন, তবে জাতি বিশ্বাস করবে যে প্রশাসনের ভেতরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা লুকিয়ে আছে যারা খুনিদের রক্ষা করছে। ওসমানের মতো মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা বিদায় নেবে আর আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন খেয়েও দায়িত্ব পালন করবেন না, তা জনগণ মেনে নেবে না।’

তিনি যোগ করেন, ‘সরকারের যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন—জাতির কাছে বলেন, তার দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনি ওসমান হাদির জানাজায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে—প্রিয় হাদি, আমরা তোমাকে বিদায় জানাতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে শপথ নিতে এসেছি। ওয়াদা করতে এসেছি।— সেই ওয়াদাটা আপনি রক্ষা করুন। আপনার উপদেষ্টাদের বলুন। ইন্টেলিজেন্সের (গোয়েন্দা তথ্য) ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদের নাম প্রকাশ করুন, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলেই হাদির কফিনকে সামনে রেখে আপনি যে ওয়াদার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন সেটা সত্য বলেছেন বলে প্রমাণিত হবে।’

দেশবাসীর উদ্দেশে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘সরকারের এই নীরবতার দেয়াল ভেঙে এই জাতির গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একাত্ম হওয়া উচিত। শহীদ ওসমান বিন হাদির পরিবারের সঙ্গে আমরা শুধু জামায়াতে ইসলামি নয়, সারা দেশবাসী আছে এবং ইনশা আল্লাহ থাকবে।’

দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, এটিএম মা’ছুম, ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর ফারুক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২২
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যাহার করা কেবিন ক্রুরা হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ওই দুই কেবিন ক্রুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।

বিমান সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ পরে ওই ফ্লাইটে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগে নেওয়ার নজির রয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’, হাদির কবর জিয়ারত করে বললেন জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ রোববার ভোরে শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ রোববার ভোরে শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার ফজরের নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’

আজকের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক বড় দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে। আদর্শ ও কৌশলে দলগুলোর ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু লড়াই হতে হবে মুক্তির লড়াই, মানবতার লড়াই। ব্যক্তি নয়, দল নয়—জাতিই বড়। এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পথ চলতে হবে।’

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। গতকালের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অংশ নিয়েছেন, আশা করি তিনি জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তবে আমাদের কারও নিরাপত্তা থাকবে না—মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, তিনিই আমাদের জীবন ও নিরাপত্তার মালিক। তাই আমাদের জীবন আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’

যারা বিপ্লবী, তাঁদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে কখনো স্তব্ধ করা যায় না; বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়াকে সেই বার্তা দিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আল্লাহ তাআলা যে দেশে আমাদের পয়দা করেছেন, সেই দেশ ও জাতির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত