Ajker Patrika

বিএনপির গণমিছিল শুরু, নয়াপল্টনে যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬: ০১
বিএনপির গণমিছিল শুরু, নয়াপল্টনে যান চলাচল বন্ধ

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোর গণমিছিল। বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়। এতে নয়াপল্টনের দুই দিকের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা ঘুরে আবারও নয়াপল্টনে এসে শেষ হবে।

গণমিছিলের মূল ট্রাকে যাঁরা রয়েছেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। গণমিছিলের সমন্বয় করবেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 

এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনকে মিছিলে অংশ নিতে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংগঠন তাদের নির্ধারিত স্থানে পূর্বেই অবস্থান নিয়েছে। 

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় গণমিছল। ছবি: আজকের পত্রিকাগত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৪ ডিসেম্বর একযোগে সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে গণমিছিল কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় ঢাকায় এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে রংপুর মহানগরের কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। 

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মিছিল কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় শেষ হবে তা জানিয়েছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ সময় গণমিছিল সফল করতে ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির পাশাপাশি এদিন ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও জামায়াতে ইসলামীও গণমিছিলের কর্মসূচি পালন করছে।

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় গণমিছলটি। ছবি: আজকের পত্রিকাএরই মধ্যে রাজধানীর মালিবাগে জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ।

এদিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায়ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও জিরো পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান, প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব: তারেক রহমানের পোস্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য।’

তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

তিনি লিখেছেন, ‘অনেকের কাছে তিনি ছিলেন দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী; অনেকের কাছে গণতন্ত্রের মা, বাংলাদেশের মা। আজ দেশ গভীরভাবে শোকাহত এমন একজন পথপ্রদর্শককে হারিয়ে, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনিঃশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

একজন মমতাময়ী মা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। আজীবন লড়েছেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে; নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ত্যাগ ও সংগ্রামে ভাস্বর হয়েও, তিনি ছিলেন পরিবারের সত্যিকারের অভিভাবক; এমন একজন আলোকবর্তিকা যাঁর অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়েও শক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও যন্ত্রণা, একাকিত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেও তিনি অদম্য সাহস, সহানুভূতি ও দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে।’

খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব। তিনি রেখে গেছেন জনসেবা, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন। তাঁর প্রতি দেশবাসীর আবেগ, ভালোবাসা ও বৈশ্বিক শ্রদ্ধায় আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করেছেন: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৪
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঈন খান এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য।

মঈন খান আরও বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই দেশে নারী শিক্ষার জন্য সবার আগে কথা বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জরুরি বৈঠকে বিএনপি, এভারকেয়ার থেকে যোগ দিলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জরুরি বৈঠকে বিএনপি, এভারকেয়ার থেকে যোগ দিলেন তারেক রহমান

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক চলছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সেখানে যুক্ত হয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দুপুর ১টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের শোক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের পাঠানো শোকবার্তায় দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধি ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও বহুদলীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল, যা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পৃথক আরেক শোকবার্তায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির আপসহীন নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজনীতির যে সাহসী শিক্ষা ও আদর্শ তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন, তা ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জন্য তাঁর ত্যাগ ও আত্মনিবেদন জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত