Ajker Patrika

দেশকে আর ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন না: আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি 
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে যেকোনো বিষয়ে মানুষ রাস্তায় নামে, রাস্তা বন্ধ করে দেয়, এটা দায়িত্বশীলতার কাজ নয়। ধৈর্য ধরেন, একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে। সরকার আসছে, আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন করি না, তাকে আমরা কিন্তু ব্যর্থও হতে দিতে চাই না। আমরা চাই, এই সরকারই যেন নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে। তাকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সহযোগিতা করতে চাই।’

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ি মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের মোকাবেলাসহ নানা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রথম থেকে বলেছি, সহযোগিতা করেছি। আজকে সংস্কারের যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, আমরা দেখছি, সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমাদের এই সুযোগ যে আমরা পেয়েছি, এটাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই, আমাদের শত্রুরা বিভিন্ন টোপ ফেলছে, ট্র্যাপ করছে, যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করি, নিজে হাতে সব তুলে নেই। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। সকলকে সহযোগিতা করে দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।’

গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। গায়েবি মিথ্যা মামলা, গুম-খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হাসিনা সরকার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই দেশ থেকে রাজনীতিকে চিরতরে নির্বাসিত করার জন্য, শুধু তার দল থাকবে, আর কোনো দল থাকবে না এইভাবে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। রাষ্ট্রের সব ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, সব ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করেছে, সবচেয়ে আগে ধ্বংস করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকার ঘোষণা করেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে কুত্তা ঘুরাঘুরি করেছে। শফিউল আলম প্রধান তখন বলেছিলেন, কুত্তা মার্কা নির্বাচন।’

বর্তমান সরকারকে এদেশের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলেই ক্ষমতায় বসিয়েছে। ড. ইউনূস (প্রধান উপদেষ্টা) সম্মানিত ব্যক্তি, সবাই পছন্দ করেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিলো যেসব যায়গার সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো শেষ করে বর্তমান সরকার দ্রুত সবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন নতুন খেলা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু দল বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তাদের অনুরোধ করে বলতে চাই, দেশকে আর ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন না, নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিবেন না।’

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি শেখ হাসিনার অন্যায়ের ফল বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিছু দিন আগে চোখে পড়ল, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কান্না করতে করতে বলছে, আমার বাবার বাড়িটা ৩২ নম্বরে আমরা দিয়েছিলাম, জাদুঘর করেছিলাম, সেটাকে পর্যন্ত ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? কি আমার অপরাধ। অপরাধ? আপনি এটাই তো আপনি বুঝতে পারছেন না হাসিনা। আপনার কি অপরাধ! আপনি একটা জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন। আপনি একটা জাতির অধিকারকে ধ্বংস করেছেন। আপনি দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ধর্মকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন।’

বেলা ২টার দিকে শুরু হওয়া এ সমাবেশ ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু ও নজরুল ইসলাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নিতে কাতার থেকেই আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। জার্মান কোম্পানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় অবতরণ করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শায়রুল কবির খান বলেছেন, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় কাতারের আমির তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন, যা শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।

শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।

এদিকে, নতুন করে পাঠানো এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেটি জার্মানি থেকে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

বাসস, ঢাকা  
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।

একই সঙ্গে রাজধানীর নয়াপল্টনে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

এ সময় তিনি বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। কারাগার থেকেই তাঁর রোগের সূচনা। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হন তিনি।’

বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষে দলমত-নির্বিশেষে এই মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অভিভাবকত্বে আমরা উত্তরণ হয়ে যেতে পারি, সে জন্য দেশের জনগণে আল্লাহ তাআলার কাছে আকুতি করেছেন।’

সবার কাছে দলীয় চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া করি, যিনি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন, সেই নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন।’

রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণও দোয়ায় অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৬
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।

আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’

এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।

চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫০
সকালে বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত