আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই নিয়ে তারেক রহমানকে মোট ছয়টি মামলায় সাজা দেওয়া হলো। কোনো মামলাতেই তারেক রহমান বিচারের মুখোমুখি হননি। পলাতক ঘোষণা করে মামলার বিচার কাজ শেষ করা হয়েছে।
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় তারেক রহমান লন্ডন চলে যান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
আগে যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তারেক
এক. ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
দুই. ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয় তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও। বিচারিক আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলেও রাষ্ট্রের আপিলে উচ্চ আদালত সাজা দ্বিগুণ করেছেন।
তিন. ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনা থেকে উদ্ভূত হত্যা মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চার. একই দিনে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও রায় দেওয়া হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাঁচ. ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে। এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
আরও যত মামলা
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের। ওই সময় দায়ের করা একটি করফাঁকির মামলা স্থগিত রয়েছে। বাকি ৯টি মামলা ছিল চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান চার্জশিট ভুক্ত হন। গ্রেনেড হামলায় উদ্ভূত দুটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়।
ওই সময় দায়ের করা আরেকটি উল্লেখযোগ্য মামলা হচ্ছে, একটি হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলেকে বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তারেক রহমান ও বসুন্ধরার মালিক এই মামলার আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।
এসব মামলা ছাড়াও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে অসংখ্য মামলা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ওই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
২০২১ সালের ১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। ওই মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে। একই ঘটনায় প্রায় একই সময়ে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলাটি ও তদন্তাধীন আছে।
২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তারেকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এই মামলা পুলিশকে তদন্ত দেওয়া হয়। সেটিও তদন্তাধীন আছে।
ঢাকার আদালতে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কতটি মামলা রয়েছে পুরোপুরি হিসেব নেই। তবে সারা দেশে শতাধিক মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এগুলো সব মিথ্যা মামলা।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই নিয়ে তারেক রহমানকে মোট ছয়টি মামলায় সাজা দেওয়া হলো। কোনো মামলাতেই তারেক রহমান বিচারের মুখোমুখি হননি। পলাতক ঘোষণা করে মামলার বিচার কাজ শেষ করা হয়েছে।
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় তারেক রহমান লন্ডন চলে যান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
আগে যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তারেক
এক. ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
দুই. ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয় তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও। বিচারিক আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলেও রাষ্ট্রের আপিলে উচ্চ আদালত সাজা দ্বিগুণ করেছেন।
তিন. ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনা থেকে উদ্ভূত হত্যা মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চার. একই দিনে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও রায় দেওয়া হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাঁচ. ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে। এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
আরও যত মামলা
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের। ওই সময় দায়ের করা একটি করফাঁকির মামলা স্থগিত রয়েছে। বাকি ৯টি মামলা ছিল চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান চার্জশিট ভুক্ত হন। গ্রেনেড হামলায় উদ্ভূত দুটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়।
ওই সময় দায়ের করা আরেকটি উল্লেখযোগ্য মামলা হচ্ছে, একটি হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলেকে বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তারেক রহমান ও বসুন্ধরার মালিক এই মামলার আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।
এসব মামলা ছাড়াও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে অসংখ্য মামলা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ওই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
২০২১ সালের ১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। ওই মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে। একই ঘটনায় প্রায় একই সময়ে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলাটি ও তদন্তাধীন আছে।
২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তারেকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এই মামলা পুলিশকে তদন্ত দেওয়া হয়। সেটিও তদন্তাধীন আছে।
ঢাকার আদালতে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কতটি মামলা রয়েছে পুরোপুরি হিসেব নেই। তবে সারা দেশে শতাধিক মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এগুলো সব মিথ্যা মামলা।
আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই নিয়ে তারেক রহমানকে মোট ছয়টি মামলায় সাজা দেওয়া হলো। কোনো মামলাতেই তারেক রহমান বিচারের মুখোমুখি হননি। পলাতক ঘোষণা করে মামলার বিচার কাজ শেষ করা হয়েছে।
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় তারেক রহমান লন্ডন চলে যান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
আগে যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তারেক
এক. ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
দুই. ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয় তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও। বিচারিক আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলেও রাষ্ট্রের আপিলে উচ্চ আদালত সাজা দ্বিগুণ করেছেন।
তিন. ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনা থেকে উদ্ভূত হত্যা মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চার. একই দিনে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও রায় দেওয়া হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাঁচ. ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে। এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
আরও যত মামলা
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের। ওই সময় দায়ের করা একটি করফাঁকির মামলা স্থগিত রয়েছে। বাকি ৯টি মামলা ছিল চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান চার্জশিট ভুক্ত হন। গ্রেনেড হামলায় উদ্ভূত দুটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়।
ওই সময় দায়ের করা আরেকটি উল্লেখযোগ্য মামলা হচ্ছে, একটি হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলেকে বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তারেক রহমান ও বসুন্ধরার মালিক এই মামলার আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।
এসব মামলা ছাড়াও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে অসংখ্য মামলা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ওই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
২০২১ সালের ১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। ওই মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে। একই ঘটনায় প্রায় একই সময়ে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলাটি ও তদন্তাধীন আছে।
২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তারেকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এই মামলা পুলিশকে তদন্ত দেওয়া হয়। সেটিও তদন্তাধীন আছে।
ঢাকার আদালতে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কতটি মামলা রয়েছে পুরোপুরি হিসেব নেই। তবে সারা দেশে শতাধিক মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এগুলো সব মিথ্যা মামলা।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই নিয়ে তারেক রহমানকে মোট ছয়টি মামলায় সাজা দেওয়া হলো। কোনো মামলাতেই তারেক রহমান বিচারের মুখোমুখি হননি। পলাতক ঘোষণা করে মামলার বিচার কাজ শেষ করা হয়েছে।
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের আটক অভিযান চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় তারেক রহমান লন্ডন চলে যান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
আগে যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তারেক
এক. ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
দুই. ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয় তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও। বিচারিক আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলেও রাষ্ট্রের আপিলে উচ্চ আদালত সাজা দ্বিগুণ করেছেন।
তিন. ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনা থেকে উদ্ভূত হত্যা মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চার. একই দিনে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও রায় দেওয়া হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাঁচ. ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে। এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
আরও যত মামলা
১ / ১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের। ওই সময় দায়ের করা একটি করফাঁকির মামলা স্থগিত রয়েছে। বাকি ৯টি মামলা ছিল চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান চার্জশিট ভুক্ত হন। গ্রেনেড হামলায় উদ্ভূত দুটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়।
ওই সময় দায়ের করা আরেকটি উল্লেখযোগ্য মামলা হচ্ছে, একটি হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলেকে বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তারেক রহমান ও বসুন্ধরার মালিক এই মামলার আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।
এসব মামলা ছাড়াও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে অসংখ্য মামলা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ওই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
২০২১ সালের ১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। ওই মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে। একই ঘটনায় প্রায় একই সময়ে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলাটি ও তদন্তাধীন আছে।
২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তারেকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এই মামলা পুলিশকে তদন্ত দেওয়া হয়। সেটিও তদন্তাধীন আছে।
ঢাকার আদালতে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কতটি মামলা রয়েছে পুরোপুরি হিসেব নেই। তবে সারা দেশে শতাধিক মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এগুলো সব মিথ্যা মামলা।

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
৭ মিনিট আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
২ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’ আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার নামে খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা খবর ছড়িয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজ আপনাদের ডেকেছি।’
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘আকাফু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরী। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন এবং আমার নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরও চাকরিচ্যুত করেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।’
মান্নার দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। মান্না প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
মান্না বলেন, ‘কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা আমার ওপর পড়ে। আমি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল অনুমোদন করে। নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণখেলাপি তালিকা থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি উচ্চ আদালতে আমার সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্টে অর্ডারের জন্য রিট করি। ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আমার পক্ষে রায় দেয়। তবে সন্ধ্যার আগেই অদৃশ্য কারণে সেই স্টে অর্ডার রিকল করা হয়।’
মান্না আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আরেকটি বেঞ্চে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি এটিকে ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ানো’ বলে মন্তব্য করেন।
আগামীকাল রোববার হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবারও আবেদন করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, রায় আমার পক্ষে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।’

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার নামে খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা খবর ছড়িয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজ আপনাদের ডেকেছি।’
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘আকাফু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরী। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন এবং আমার নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরও চাকরিচ্যুত করেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।’
মান্নার দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। মান্না প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
মান্না বলেন, ‘কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা আমার ওপর পড়ে। আমি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল অনুমোদন করে। নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণখেলাপি তালিকা থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি উচ্চ আদালতে আমার সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্টে অর্ডারের জন্য রিট করি। ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আমার পক্ষে রায় দেয়। তবে সন্ধ্যার আগেই অদৃশ্য কারণে সেই স্টে অর্ডার রিকল করা হয়।’
মান্না আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আরেকটি বেঞ্চে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি এটিকে ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ানো’ বলে মন্তব্য করেন।
আগামীকাল রোববার হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবারও আবেদন করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, রায় আমার পক্ষে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়
০২ আগস্ট ২০২৩
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
২ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’ আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ওই সময়ে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন তারেক রহমান।

এক দিন পরে কোকোর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ওই সময়ে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন তারেক রহমান।

এক দিন পরে কোকোর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়
০২ আগস্ট ২০২৩
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
৭ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’ আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খানের বিএনপিতে যোগদানের খবর জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে বিএনপি থেকে তাঁর মনোনয়নেরও ঘোষণা দেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিএনপির কার্যালয়ে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করব।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খানের বিএনপিতে যোগদানের খবর জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে বিএনপি থেকে তাঁর মনোনয়নেরও ঘোষণা দেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিএনপির কার্যালয়ে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করব।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়
০২ আগস্ট ২০২৩
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
৭ মিনিট আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’ আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সোহেল বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতি আমাদের নেতা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শায়িত হাদির সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল দুই বীর যেন একজন অপরজনের পাশে দাঁড়িয়ে। হাদি আমাদের ভাই। হাদির লড়াই আমাদের লড়াই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী আরেক কবি, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের আরেক ঠিকানা কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারেক রহমান। আমাদের কবি নজরুল যেমন চেতনার উৎস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তেমনিভাবে হাদি আমাদের জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ের সাহসী ঠিকানা, সাহসী বাতিঘর হয়ে আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে থাকবে। অবশ্যই সেই ঠিকানার মতোই আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যাবেন এমন একটি জায়গায়, যে বাংলাদেশকে দেখে সবাই স্যালুট দেবে, যে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে সবাই সম্মান দেখাবে এবং কৌতূহলের সঙ্গে দেখবে কীভাবে একজন নেতা, একজন জাতীয়তাবাদী নেতা একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। দেশকে উন্নয়নের কোন শিখরে নিয়ে যাওয়া যায়, তার উদাহরণ তৈরি করবেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘হাদি আমাদের ভাই, হাদির লড়াই আর আমাদের লড়াই এক লড়াই। এ লড়াই হচ্ছে, এই দেশ পৃথিবীর বুকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সোহেল বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতি আমাদের নেতা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শায়িত হাদির সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল দুই বীর যেন একজন অপরজনের পাশে দাঁড়িয়ে। হাদি আমাদের ভাই। হাদির লড়াই আমাদের লড়াই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী আরেক কবি, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের আরেক ঠিকানা কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারেক রহমান। আমাদের কবি নজরুল যেমন চেতনার উৎস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তেমনিভাবে হাদি আমাদের জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ের সাহসী ঠিকানা, সাহসী বাতিঘর হয়ে আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে থাকবে। অবশ্যই সেই ঠিকানার মতোই আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যাবেন এমন একটি জায়গায়, যে বাংলাদেশকে দেখে সবাই স্যালুট দেবে, যে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে সবাই সম্মান দেখাবে এবং কৌতূহলের সঙ্গে দেখবে কীভাবে একজন নেতা, একজন জাতীয়তাবাদী নেতা একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। দেশকে উন্নয়নের কোন শিখরে নিয়ে যাওয়া যায়, তার উদাহরণ তৈরি করবেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ বুধবার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়
০২ আগস্ট ২০২৩
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
৭ মিনিট আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
২ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিএনপিতে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান।
৩ ঘণ্টা আগে