Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

ঢাবি সংবাদদাতা
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই অভ্যুত্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দাবি পূরণ না হলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ ছাড়া আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই অভ্যুত্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।

রোববার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ৬ দফা দাবি হলো—আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, প্রশাসন ও ব্যবসা অঙ্গনে আওয়ামী দোসরদের নির্মূলে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া, আহতদের পুনর্বাসন এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ছাত্রদের নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠন করা, গণ-অভ্যুত্থানের সকল অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন এবং গণ-অভ্যুত্থান অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি-সংগঠনকে স্বীকৃতি দেওয়া।

৬ দফা দাবি উত্থাপনের সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যে দল এবং প্রশাসন দেশের মানুষকে এত নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। আহত ছাত্র-জনতা যে উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছে, তার পক্ষে কোনো কাজই সরকার করছে না।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ইয়ামিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে রাজনীতি করবে কি না, এই সিদ্ধান্ত দেবে আহতরা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আহত এবং শহীদ পরিবারের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ না করলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করব।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ না করলে রাষ্ট্রের জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। তখন জনগণকে সন্ত্রাসী কিংবা উগ্রবাদী বলতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কাছে জুলাইয়ের বিপ্লবীরা নিরাপদ না। ইতিমধ্যে তাঁরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। গুপ্তহত্যার শঙ্কা সৃষ্টি করছে।’

ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো মন্ত্রণালয়গুলোতে যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে পারেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান অস্থিরতায় বন্ধ করতে পারেনি। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এমন বহু জায়গায় ব্যর্থতা আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতন চাই না। আমরা দেশ বিনির্মাণের যে সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগাতে চাই। ১৮ কোটি মানুষের এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠ স্বার্থ হাসিলকে আমরা মেনে নেব না। এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ ব্যর্থ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত