রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিক।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৫ আগস্টের পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ২ হাজার ৩৮৫টি মামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেও অনেক মামলা হয়েছে। হত্যা, হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু অক্টোবরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ হাজার জনকে। গত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতা-কর্মীই আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের কেউ কেউ পরে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং কেউ কেউ বিদেশে চলে যান।
৫ আগস্টের পর বিগত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী। গ্রেপ্তার ও মামলার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টাসহ সাবেক ৩৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী, সাবেক ৩৮ সংসদ সদস্য, সাবেক ১১ সচিব, সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক বিচারপতি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও আনসার সদস্য মিলিয়ে ৮ জন, ৫ জন সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, যৌথ বাহিনী, পুলিশ, র্যাবের অভিযানে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি যে-ই হোন না কেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক উপদেষ্টাসহ ৩৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবশালী ৩ উপদেষ্টা, সাবেক ২৪ মন্ত্রী, ৫ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রী। তাঁরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী; শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী; সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি; সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু; সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান; সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান; সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক; সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন; সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু; সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম; সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। লতিফ বিশ্বাসকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগও রয়েছে।
সাবেক ৩৮ এমপিসহ আ.লীগ ও ১৪ দলের অনেক নেতা গ্রেপ্তার
গত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোহাম্মদ আলীসহ সাবেক ৩৮ এমপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, কাজী জাফর উল্যাহ, আহমদ হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, হাজি মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, আবদুর রহমান বদি, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও সাবেক এমপি এম এ আউয়াল, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, তৃণমূল বিএনপির আহ্বায়ক শমশের মুবিন চৌধুরী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্টে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলার মামলায় গ্রেপ্তারে সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে পুলিশ কর্মকর্তারা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক দুই আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মশিউর রহমান, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত উপকমিশনার (সুপারনিউমারারি উপকমিশনার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ, জুয়েল রানা, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এএসআই মো. আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেন।
হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আনসার বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে আছেন প্রভাবশালী সাবেক ১১ আমলা
সাবেক ১১ আমলাকেও গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও নজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম, হেলালুদ্দীন আহমদ।
এ ছাড়া আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গানবাংলা টিভির এমডি ও সিইও কৌশিক হোসেন তাপস, অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সারা দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ পাঁচ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, পৌরসভার সাবেক মেয়র, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অধিকাংশ মামলার তদন্ত শুরু হয়নি
জুলাই-আগস্টের গণহত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা প্রায় ২ হাজার ৪০০ মামলা হলেও বেশির ভাগের তদন্ত এখনো শুরু হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা ‘বাণিজ্য’ করতে নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করেছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের করা ২৬৫টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর বলেন, মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন ও অতীতের গুম, খুনের মামলার তদন্ত চলছে।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিক।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৫ আগস্টের পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ২ হাজার ৩৮৫টি মামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেও অনেক মামলা হয়েছে। হত্যা, হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু অক্টোবরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ হাজার জনকে। গত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতা-কর্মীই আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের কেউ কেউ পরে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং কেউ কেউ বিদেশে চলে যান।
৫ আগস্টের পর বিগত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী। গ্রেপ্তার ও মামলার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টাসহ সাবেক ৩৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী, সাবেক ৩৮ সংসদ সদস্য, সাবেক ১১ সচিব, সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক বিচারপতি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও আনসার সদস্য মিলিয়ে ৮ জন, ৫ জন সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, যৌথ বাহিনী, পুলিশ, র্যাবের অভিযানে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি যে-ই হোন না কেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক উপদেষ্টাসহ ৩৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবশালী ৩ উপদেষ্টা, সাবেক ২৪ মন্ত্রী, ৫ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রী। তাঁরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী; শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী; সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি; সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু; সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান; সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান; সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক; সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন; সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু; সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম; সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। লতিফ বিশ্বাসকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগও রয়েছে।
সাবেক ৩৮ এমপিসহ আ.লীগ ও ১৪ দলের অনেক নেতা গ্রেপ্তার
গত পাঁচ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোহাম্মদ আলীসহ সাবেক ৩৮ এমপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, কাজী জাফর উল্যাহ, আহমদ হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, হাজি মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, আবদুর রহমান বদি, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও সাবেক এমপি এম এ আউয়াল, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, তৃণমূল বিএনপির আহ্বায়ক শমশের মুবিন চৌধুরী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্টে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলার মামলায় গ্রেপ্তারে সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে পুলিশ কর্মকর্তারা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক দুই আইজিপিসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক দুই আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মশিউর রহমান, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত উপকমিশনার (সুপারনিউমারারি উপকমিশনার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ, জুয়েল রানা, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এএসআই মো. আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেন।
হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আনসার বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে আছেন প্রভাবশালী সাবেক ১১ আমলা
সাবেক ১১ আমলাকেও গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও নজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম, হেলালুদ্দীন আহমদ।
এ ছাড়া আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গানবাংলা টিভির এমডি ও সিইও কৌশিক হোসেন তাপস, অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সারা দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ পাঁচ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, পৌরসভার সাবেক মেয়র, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অধিকাংশ মামলার তদন্ত শুরু হয়নি
জুলাই-আগস্টের গণহত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা প্রায় ২ হাজার ৪০০ মামলা হলেও বেশির ভাগের তদন্ত এখনো শুরু হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা ‘বাণিজ্য’ করতে নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করেছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের করা ২৬৫টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর বলেন, মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন ও অতীতের গুম, খুনের মামলার তদন্ত চলছে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা, হত্যা ও অতীতের গুম-খুন, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় গত পাঁচ মাসে সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক। এরপরই আছেন পুলিশের কর্মকর্তা। রয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী আমলা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে