রেজা করিম, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে এক দফা দাবিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ঢিলেঢালা হরতাল-অবরোধের একপর্যায়ে বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। গত বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতা করতে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করাসহ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকা, কর ও সেবার বিল জমা না দেওয়া, ব্যাংকের লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা এবং বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাঁদেরও আদালতে হাজির না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। অসহযোগের ডাক দিয়েছে বিএনপিকে অনুসরণ করে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসা অন্য দলগুলোও।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের প্রত্যাশা, জনগণের সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফল হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিশালী একটি মাধ্যম হিসেবে ‘অসহযোগ’ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সময়ের প্রয়োজনে রাজনৈতিক প্রথা অনুসরণ করে বিএনপিও সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি দিয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে এরই মধ্যে দেশব্যাপী জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি ও মিত্র দলগুলো। রাজধানীসহ সারা দেশে তারা তিন দিনব্যাপী জনসংযোগ করছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল রাজধানীতে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী। গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণফোরাম (মন্টু), পিপলস পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও একই রকম কার্যক্রম চালিয়েছে। ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে আলাদাভাবে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রুহুল কবির রিজভী গতকাল রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে বিএনপি ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচারকে ‘গণবিরোধী তৎপরতা’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছেও এই একতরফা নির্বাচন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এহেন অবস্থায় জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নব্য রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিপক্ষে সরকারের কোলাবরেটর হিসেবে কাজ করছে। এটা গণবিরোধী তৎপরতা।’
বিএনপি ও মিত্ররা আগামীকাল রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি পালন করবে। দলগুলোর নেতারা বলছেন, জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। তাঁরা ভোট বর্জনের পক্ষে। তাঁরা বলছেন, অন্য কর্মসূচিতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও অসহযোগের ক্ষেত্রে তা নেই। এখানে জনগণ পরোক্ষভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তাই জনগণকে এ বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সমন্বয় করে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে এ ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা এবং ভবিষ্যতে কর্মসূচি পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা করছে বিএনপি। এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে গতকাল আলোচনায় বসেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। সেখানে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার বিষয়ে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোরও পরামর্শ আসে আলোচনায়।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, হরতাল-অবরোধ ছাড়াও ‘অবস্থান’ ও ‘ঘেরাও’ কর্মসূচি আসতে পারে।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু জানান, চলমান কর্মসূচি নিয়ে শিগগির শরিকদের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা হবে। তিনি বলেন, ‘ইসির নিষেধাজ্ঞা, দমন-পীড়নসহ নানা বাধা-বিপত্তিতেও আমরা রাজপথে আছি। অসহযোগের ডাক জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন বাধা ডিঙিয়ে রাজপথে থাকাটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ তাঁর মতে, নির্বাচন প্রতিহত করা না গেলেও আন্দোলন থামবে না।
অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি বিএনপির ‘ভ্রান্ত কৌশল’ বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, বিএনপি এই কর্মসূচি কার্যকর করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা থাকতে হবে, যা বিএনপির চলমান আন্দোলনে নেই। অসহযোগের বিষয়েও মানুষ সাড়া দেবে বলে মনে হয় না।’
এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান অবশ্য বলেন, ‘প্রধানত জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ নাগরিক অধিকার রক্ষার চলমান সংগ্রামে মানুষকে সম্পৃক্ত করে সরকারকে অকার্যকর করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ভোট বর্জনসহ ঘোষিত ৫টি বিষয়ে সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি। জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে চলমান সংগ্রাম সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে—এই বিশ্বাসে আমরা কর্মসূচির ঘোষণা করেছি। গণসংযোগ ও উদ্বুদ্ধকরণের প্রক্রিয়ায় আমরা সেই লক্ষ্যে এই মুহূর্তে কাজ করে যাচ্ছি।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে এক দফা দাবিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ঢিলেঢালা হরতাল-অবরোধের একপর্যায়ে বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। গত বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতা করতে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করাসহ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকা, কর ও সেবার বিল জমা না দেওয়া, ব্যাংকের লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা এবং বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাঁদেরও আদালতে হাজির না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। অসহযোগের ডাক দিয়েছে বিএনপিকে অনুসরণ করে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসা অন্য দলগুলোও।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের প্রত্যাশা, জনগণের সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফল হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিশালী একটি মাধ্যম হিসেবে ‘অসহযোগ’ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সময়ের প্রয়োজনে রাজনৈতিক প্রথা অনুসরণ করে বিএনপিও সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি দিয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে এরই মধ্যে দেশব্যাপী জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি ও মিত্র দলগুলো। রাজধানীসহ সারা দেশে তারা তিন দিনব্যাপী জনসংযোগ করছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল রাজধানীতে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী। গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণফোরাম (মন্টু), পিপলস পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও একই রকম কার্যক্রম চালিয়েছে। ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে আলাদাভাবে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রুহুল কবির রিজভী গতকাল রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে বিএনপি ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচারকে ‘গণবিরোধী তৎপরতা’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছেও এই একতরফা নির্বাচন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এহেন অবস্থায় জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নব্য রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিপক্ষে সরকারের কোলাবরেটর হিসেবে কাজ করছে। এটা গণবিরোধী তৎপরতা।’
বিএনপি ও মিত্ররা আগামীকাল রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি পালন করবে। দলগুলোর নেতারা বলছেন, জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। তাঁরা ভোট বর্জনের পক্ষে। তাঁরা বলছেন, অন্য কর্মসূচিতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও অসহযোগের ক্ষেত্রে তা নেই। এখানে জনগণ পরোক্ষভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তাই জনগণকে এ বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সমন্বয় করে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে এ ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা এবং ভবিষ্যতে কর্মসূচি পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা করছে বিএনপি। এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে গতকাল আলোচনায় বসেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। সেখানে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার বিষয়ে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোরও পরামর্শ আসে আলোচনায়।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, হরতাল-অবরোধ ছাড়াও ‘অবস্থান’ ও ‘ঘেরাও’ কর্মসূচি আসতে পারে।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু জানান, চলমান কর্মসূচি নিয়ে শিগগির শরিকদের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা হবে। তিনি বলেন, ‘ইসির নিষেধাজ্ঞা, দমন-পীড়নসহ নানা বাধা-বিপত্তিতেও আমরা রাজপথে আছি। অসহযোগের ডাক জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন বাধা ডিঙিয়ে রাজপথে থাকাটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ তাঁর মতে, নির্বাচন প্রতিহত করা না গেলেও আন্দোলন থামবে না।
অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি বিএনপির ‘ভ্রান্ত কৌশল’ বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, বিএনপি এই কর্মসূচি কার্যকর করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা থাকতে হবে, যা বিএনপির চলমান আন্দোলনে নেই। অসহযোগের বিষয়েও মানুষ সাড়া দেবে বলে মনে হয় না।’
এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান অবশ্য বলেন, ‘প্রধানত জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ নাগরিক অধিকার রক্ষার চলমান সংগ্রামে মানুষকে সম্পৃক্ত করে সরকারকে অকার্যকর করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ভোট বর্জনসহ ঘোষিত ৫টি বিষয়ে সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি। জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে চলমান সংগ্রাম সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে—এই বিশ্বাসে আমরা কর্মসূচির ঘোষণা করেছি। গণসংযোগ ও উদ্বুদ্ধকরণের প্রক্রিয়ায় আমরা সেই লক্ষ্যে এই মুহূর্তে কাজ করে যাচ্ছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব ন
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব ন
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত লিখেছেন, ‘প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয়, বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করতে চাই। জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে জনাব তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে মনে রাখা জরুরি এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহতের ত্যাগ এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এই বাস্তবতা ক্ষমতার নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইয়ে প্রাপ্ত বাস্তবতা।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে হাসনাত লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার, যেখানে রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না, বরং রাষ্ট্রই তার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে না, বরং গণতন্ত্র হয়ে উঠবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করার সংজ্ঞা।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে আজ আমরা যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লড়াই। এই লড়াই যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়; সেটা নিশ্চিত করাও প্রত্যেকটি রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম জিয়া যেনো দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন সেই দোয়া করি। একইসাথে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবেন এই কামনা করি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত লিখেছেন, ‘প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয়, বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করতে চাই। জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে জনাব তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে মনে রাখা জরুরি এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহতের ত্যাগ এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এই বাস্তবতা ক্ষমতার নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইয়ে প্রাপ্ত বাস্তবতা।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে হাসনাত লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার, যেখানে রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না, বরং রাষ্ট্রই তার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে না, বরং গণতন্ত্র হয়ে উঠবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করার সংজ্ঞা।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে আজ আমরা যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লড়াই। এই লড়াই যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়; সেটা নিশ্চিত করাও প্রত্যেকটি রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম জিয়া যেনো দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন সেই দোয়া করি। একইসাথে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবেন এই কামনা করি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব ন
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলীয় পক্ষ থেকেও কোনো চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি।
তবে গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান। গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের পর তিনি ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেন। প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে তিনি ১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় জনসমাগমের কারণে বাসে উঠতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি বাসে ওঠেন।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরে সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, কন্যা, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বর এলাকার ১৯৬ নম্বর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
পথে রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, আর তারেক রহমান হাত নেড়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানেই আপাতত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলীয় পক্ষ থেকেও কোনো চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি।
তবে গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান। গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের পর তিনি ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেন। প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে তিনি ১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় জনসমাগমের কারণে বাসে উঠতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি বাসে ওঠেন।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরে সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, কন্যা, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বর এলাকার ১৯৬ নম্বর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
পথে রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, আর তারেক রহমান হাত নেড়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানেই আপাতত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের শেষ ধাপে বিএনপি দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তাতে জনগণকে যুক্ত করতে প্রচারে নেমেছে। যদিও এই কর্মসূচি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আন্দোলন আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব ন
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে