Ajker Patrika

গর্হিত বক্তব্যের জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ০০
গর্হিত বক্তব্যের জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান আজ সোমবার এক আলোচনা সভায় ‘বাকশাল’ ও ‘১৯৭৫ সাল’ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ইতিহাস হিসেবে তাঁর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঈন খানের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মঈন খান সাহেবদের দল পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে, তারপর ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আলবদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে জাতির কাছে।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল, তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশে-বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় মঈন খান ও তাঁর দলের লোকজন কোথায় ছিল প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া পাকিস্তানি চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল কি না, সেটাই আজকে প্রশ্ন। বাংলাদেশের প্রথম সরকার, তথা মুজিবনগর সরকারের অধীনে নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করতেন জিয়াউর রহমান। ইতিহাস বিকৃত করলে তার পরিণতি কারও জন্য শুভ হয় নাই। বিএনপি প্রমাণ করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে এই দল। বিএনপি এখনো সেই লিগ্যাসি বহন করে চলছে।’

একেকবার একেকটা নিয়ে বিএনপি আজকে অপপ্রচার করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে, দেশের কারাগারগুলোতে সব মিলিয়ে তাদের ১০ হাজারের মতো বন্দী আছে। অথচ তারা আজকে জাতিসংঘ ও মার্কিন কংগ্রেসম্যানের কাছে অপপ্রচার করেছে। মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদেরকে দিয়ে বলাচ্ছে যে বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী জেলে আছে, তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।’ 

আমেরিকার নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকার নির্বাচন দ্বিদলীয় গণতান্ত্রিক অবস্থা, এটা তাদের জন্মগতই। একজন ইনডিপেনডেন্ট হয়েছে, এটার কোনো দাম সেখানকার জনগণের কাছে নেই। সেখানে ডেমোক্র্যাট আছে, রিপাবলিকরা আছে এবং তাদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে এগিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে ৯১টা মামলা রয়েছে। তিনি প্রতিনিয়ত মামলা ফেস করছেন। বাইডেন বলেছেন, আমেরিকার গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য পুনর্বার ইলেকশনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করব। এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

স্থানীয় নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক সরিয়ে দেওয়া কি দলীয় কোন্দল নিরসনের জন্য, নাকি বিএনপির যারা নির্বাচনে আসতে পারেনি, তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি, কোন্দল নিরসনের জন্য আমাদের কৌশল নিতে হয়েছে। ইলেকশনে আমরা কৌশল নিয়েছি, স্বতন্ত্রদের ইলেকশন করতে দিয়েছি। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিল, তারা নির্বাচন করেছে। সে কৌশলের তো বিজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নতুন চমকের বিজয় তো হয়েছে।’ 

অনেকে বলেছে, লোকজন কেন্দ্রে আসবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত ভোটার অংশ নিয়েছে, এটা তো এখন পরিষ্কার। এখানে রাখঢাক করার তো কিছু নেই। এটা আমাদের একটা কৌশল। আমরা এই কৌশলটা নিয়েছি, আমাদের দলের ভালোর জন্য এবং কিছুটা জনদাবির মুখে। আমাদের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকেও এই দাবিটা এসেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক না দেওয়ার জন্য। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটিরও অনেকে একমত পোষণ করেছেন। সে মোতাবেক আমাদের নেত্রী পূরণ করেছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি এত কিছু বুঝি না, আমি বুঝি ভারত। আমাদের অলমোস্ট বেশির ভাগ সীমান্ত ভারতের সাথে সম্পৃক্ত। এদিকে মিয়ানমারের কিছু অংশ, বাকিটা ভারত দ্বারা বেষ্টিত। ভারত আমাদের চেয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ বহু বিষয়ে এগিয়ে, একটি শক্তিধর দেশ। ভারত এখন বিশ্বে যে পজিশন, সেটা প্রায় পরাশক্তির পর্যায়ে। ভারতের সাথে ঝগড়া করে আমাদের কোনো লাভ নেই। তাদেরও এখানে ইন্টারেস্ট আছে, আমাদেরও আছে। ক্রস বর্ডার টেররিজম নিয়ে উদ্বেগ তাদেরও আছে, আমাদেরও আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছি—তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, বাংলাদেশের আগামী দিনের গণতান্ত্রিক যাত্রার দিকনির্দেশক আজকে নিজের মাতৃভূমিতে অবতরণ করবেন দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন শেষে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা আজ সারা দেশবাসী দেখবেন, আমরা দেখব, সারা বিশ্ববাসী দেখবেন। ইনশা আল্লাহ আমরা আশা করি—এই মুহূর্তটাকে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে পালন করতে পারব।’

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে দেশের পথে তারেক রহমান। আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমানের ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকা পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

দেশের কোটি কোটি মানুষ তারেক রহমানকে এক নজর দেখার জন্য এবং তার মুখ থেকে কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনের পর এখন মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করেছি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার পরিণতি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছে, আর আজ আমরা এক মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছি।’

গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি মগবাজার ফ্লাইওভারে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো এরই ইঙ্গিত দেয়। ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দেশি বিদেশি দোসররা এখনো সক্রিয়। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা তাদের জন্যই দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। সহিংসতা ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা রুদ্ধ করতে চায়, তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার পথে বিমানের ফ্লাইট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১১
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০১
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাসের বেশি সময় পর আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের গুলশান বাসভবন পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজিবি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি রয়েছে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নয়টি সেক্টর ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, সমাবেশস্থল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার হাসপাতাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার থেকে গুলশান-২ বাসভবন যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বাসভবন ও গুলশান পার্টি অফিস, রুফটপ নিরাপত্তা এবং কন্ট্রোলরুম। এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৪ হাজার ৬৪৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াতের সময় সবচেয়ে বেশি ৭৮৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাতজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এপিবিএন-এর এক হাজার ৫৬ জন, ১০০ জন ডিবি পুলিশ, ৬৬ জন এটিইউ ও ৬৬ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া থাকবেন ১১০ জন নারী পুলিশ সদস্য।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের প্রটেকশনের জন্য এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানবন্দরে এস্কর্ট নিরাপত্তায় একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ১৫৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এস্কর্ট নিরাপত্তায় থাকবেন দেড় শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য। বিমানবন্দর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িসহ অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া আর কোনো গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৮২ জন সদস্য। এছাড়া শতাধিক বিএনপি চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছে বিজিবি মোতায়েন।

‎ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েনের পাশাপাশি তাঁর বাসা ও অফিসে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সারাদেশ থেকে বিপুল নেতাকর্মীর সমাগমের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল ‎বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তাঁর (তারেক রহমান) দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁরা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।

গত শনিবার তারেক রহমানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

‎এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

একই সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের সিলেটে অবতরণ

বিশেষ প্রতিনিধি ও  নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০২
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানটি অবতরণ করে।

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটটি সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বিরতির সময়ে তারেক রহমান বিমানের ভেতরেই অবস্থান করবেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রাবিরতি শেষে উড়োজাহাজটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির অবতরণের কথা রয়েছে। তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লেখেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

একই পোস্ট শেয়ার করেছেন তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান। তিনিও একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

১৭ বছর ৩ মাস ১৪ দিন। শুধু দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন। মাতৃভূমি ছেড়ে থাকা দীর্ঘ এই সময়ের নির্বাসিত জীবনের ক্লান্তি চোখেমুখে লেগে আছে। অন্যদিকে সেই নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে নতুন প্রত্যাশার এক সকালের ঘোর লাগা অনুভূতি। ক্লান্তি আর তীব্র ভালোবাসার অনুভূতির মিশেলে দৃষ্টি দিয়েছেন উড়োজাহাজের জানালায়। এমন এক ছবি দিয়েই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

এক-এগারোর সময় প্রায় ১৮ মাস কারান্তরীণ থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। সেই যাওয়ার পর এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৭ বছর ৩ মাস। ২৫ ডিসেম্বর দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশে ফিরতে যাচ্ছেন তারেক। দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে দল ও দলের বাইরে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা। দলের নেতা-কর্মীদের বাইরে সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত