নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকলে জুলাই অভ্যুত্থান সফল হতো না। অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনেও নারীর অংশগ্রহণ জরুরি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ শনিবার বিকেলে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমিটির নারীবিষয়ক সেল আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নারীর হিস্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নারীর অংশগ্রহণ না থাকলে এই অভ্যুত্থান সফল হতো কি না সন্দেহ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনের এই সময়ে আমরা কেবল নারীর অংশগ্রহণ চাই না; বরং তাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও দেখতে চাই।’
সভায় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের অনন্য দিক হলো, এতে বিপুলসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ। ১৪ জুলাই যখন খুনি হাসিনা আমাদেরকে “রাজাকার” বলে চরম অপমান করে এবং মানবিক মর্যাদা হানি করে, তখন আমি রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আসতে ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু শামসুন নাহার হল থেকে বের হওয়া আমাদের বোনদের মিছিল আমাকে সাহস জোগায়।’
মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘৭১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিক্রমায় নারীদের উপস্থিতি যেখানে ছিল, সেখানেই আমরা সফল হয়েছি। বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে কেবল একজন নারী সদস্য দেখতে পাই আমরা। নতুন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে অনুষ্ঠিতব্য গণপরিষদে আমরা নারীদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।’
যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির লক্ষ্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে ভবিষ্যতে নারীদের জন্য বিশেষ সেল বা কোটার প্রয়োজন হবে না। নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সেলের প্রধান তাজনুভা জাবীন বলেন, ‘আমরা শুধু নারীর ক্ষমতায়ন বা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাই না; বরং দেশের জন্যও কথা বলতে চাই। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রে নারীর রাজনৈতিক ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন জরুরি। একজন নারী ঘর-সংসারের সমস্ত চ্যালেঞ্জ সামলে যখন রাজনীতিতে আসে, তখন তাকে সবার আগে জায়গা করে দেওয়া উচিত।’
যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখি, কিন্তু রাজনীতিতে নারীর আগ্রহ দেখি না। কারণ, রাজনীতিতে নারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নারীর রাজনীতি ভাবনা জানতে আমাদেরকে রান্নাঘর পর্যন্ত যেতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা নারীরা রাজনৈতিক পরিসর থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। এ ছাড়া নারীদের হিস্যার বিষয়ে কেবল নারীরা নয়; পুরুষদেরকেও বলতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, রুম্মানা জান্নাত, সৈয়দা নীলিমা দোলা, অ্যাডভোকেট সাইয়্যেদা আক্তার, তাহনিনা মেহরিন অনিন্দিতা, অর্পিতা শ্যামা দেব, টিনা নন্দী প্রমুখ।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকলে জুলাই অভ্যুত্থান সফল হতো না। অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনেও নারীর অংশগ্রহণ জরুরি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ শনিবার বিকেলে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমিটির নারীবিষয়ক সেল আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নারীর হিস্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নারীর অংশগ্রহণ না থাকলে এই অভ্যুত্থান সফল হতো কি না সন্দেহ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনের এই সময়ে আমরা কেবল নারীর অংশগ্রহণ চাই না; বরং তাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও দেখতে চাই।’
সভায় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের অনন্য দিক হলো, এতে বিপুলসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ। ১৪ জুলাই যখন খুনি হাসিনা আমাদেরকে “রাজাকার” বলে চরম অপমান করে এবং মানবিক মর্যাদা হানি করে, তখন আমি রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আসতে ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু শামসুন নাহার হল থেকে বের হওয়া আমাদের বোনদের মিছিল আমাকে সাহস জোগায়।’
মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘৭১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিক্রমায় নারীদের উপস্থিতি যেখানে ছিল, সেখানেই আমরা সফল হয়েছি। বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে কেবল একজন নারী সদস্য দেখতে পাই আমরা। নতুন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে অনুষ্ঠিতব্য গণপরিষদে আমরা নারীদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।’
যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির লক্ষ্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে ভবিষ্যতে নারীদের জন্য বিশেষ সেল বা কোটার প্রয়োজন হবে না। নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সেলের প্রধান তাজনুভা জাবীন বলেন, ‘আমরা শুধু নারীর ক্ষমতায়ন বা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাই না; বরং দেশের জন্যও কথা বলতে চাই। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রে নারীর রাজনৈতিক ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন জরুরি। একজন নারী ঘর-সংসারের সমস্ত চ্যালেঞ্জ সামলে যখন রাজনীতিতে আসে, তখন তাকে সবার আগে জায়গা করে দেওয়া উচিত।’
যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখি, কিন্তু রাজনীতিতে নারীর আগ্রহ দেখি না। কারণ, রাজনীতিতে নারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নারীর রাজনীতি ভাবনা জানতে আমাদেরকে রান্নাঘর পর্যন্ত যেতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা নারীরা রাজনৈতিক পরিসর থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। এ ছাড়া নারীদের হিস্যার বিষয়ে কেবল নারীরা নয়; পুরুষদেরকেও বলতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, রুম্মানা জান্নাত, সৈয়দা নীলিমা দোলা, অ্যাডভোকেট সাইয়্যেদা আক্তার, তাহনিনা মেহরিন অনিন্দিতা, অর্পিতা শ্যামা দেব, টিনা নন্দী প্রমুখ।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত অর্জন ধূলিসাৎ করে নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট অপশক্তি যেন জন্ম না নিতে পারে, এ আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সাতক্ষীরার বইমেলায় উদীচীর স্টলে ভাঙচুর করে ব্যানার পোড়ানো, ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’র স্টলে হামলা এবং টাঙ্গাইলে হেফাজতে ই
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা–কর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা।
১৫ ঘণ্টা আগেগত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাগমারায় এক স্মরণসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছু করেনি।’
১৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসার পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে এবং বিপুলসংখ্যক ভোটারকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে...
১ দিন আগে